গ্রামের পুরনো ঐতিহ্যবাহী মেলা( শেষ পর্ব) || @shy-fox 10% beneficiary by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেলা
- ৩১, অক্টোবর ,২০২২
- সোমবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেলা একটু ঘুরাঘুরি করা মুহূর্তের গল্প শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
Device : A20s
গ্রামের পুরনো ঐতিহ্যবাহী মেলা
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এমন লোক খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। আমিও খুবই ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে খুবই পছন্দ করতাম। আমার কিছু বন্ধু ছিল তারাও ঘুরতে খুবই পছন্দ করে। বন্ধুদের চাওয়া-পাওয়ার সাথে মিল থাকলে তাহলে তো কোন কথাই নেই। যেখানে দুচোখ যায় সেখানেই যেতে মন চায় মন শুধু চায় ছুটাছুটি করতে বিভিন্ন জায়গায় অচেনা দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে।
Device : A20s
মেলার সুন্দর দৃশ্য পটভূমি
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
এই জায়গাটিতে প্রতিবছর একমাস ব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। যেটা গ্রাম বাংলার পুরনো ঐতিহ্য হিসেবে ধরে রেখেছে। গ্রাম্য পরিবেশে ছোটবেলায় এই ধরনের মেলা উপভোগ করতে খুবই ভালো লাগতো। এর আগে মেলার দৃশ্য পটভূমির প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজকে গ্রাম্য পরিবেশের মেলায় অলিম্পিক সার্কাসে দারুন সময় অতিবাহিত করেছি প্রায় পাঁচ বছর পর সেই বিষয়টি শেয়ার করব। ছোটবেলায় যখন বাবা মায়ের সাথে সার্কাস দেখতে যেতাম তখন মনে হতো এই নতুন একটি জগতের বিস্ময়কর কিছু দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি। অবাক হতাম বিভিন্ন ধরনের অবিশ্বাস্য খেলা উপভোগ করতে পেরে খুবই ভালো লাগতো।
Device : A20s
অলিম্পিক সার্কাসে প্রবেশ মুহূর্তে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
বর্তমান এই সার্কাস দেখার প্রতি তেমন একটা আগ্রহ নেই আমার এক বন্ধুর অনুরোধে সার্কাসে প্রবেশ করেছিলাম। যাইহোক, মেলায় যখন এসেছি বেলার সম্পূর্ণ দৃশ্য উপভোগ না করলে মেলায় দেখার সার্থকতা হয় না। কারণ বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় সবকিছু হাতের মুঠ হয়ে চলে এসেছে। আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক ভালো ভালো সার্কাস দেখতে পারি। সেজন্য মেলায় উপস্থিতিতে সার্কাস দেখার আগ্রহ টা এখন আর তেমন একটা নাই আগে এই সার্কাস দেখতে অনেক মানুষ সমবেত হতো। এই সার্কাসে প্রবেশ করার পর সেই দৃশ্যমান বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারি। এখন শুধুই অট্টহাসি পায় এগুলো দেখে তেমন আর মজা পাই না আমার কাছে ভালো লাগেনি তেমন একটা তবুও গিয়েছিলাম সেই ছোট্টবেলার অনুভূতি উপভোগ করতে। আমরা চারজন ছিলাম টিকিট কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করি।
Device : A20s
সার্কাস দেখার সময় উপভোগ্য সুন্দর মুহূর্ত
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
ভিতরে প্রবেশ করার পরে ছোট্ট থাকতে যে সার্কাস দেখেছিলাম ঠিক সেই রকমই আয়োজন করা হয়েছে ।তারপর বিভিন্ন ধরনের অলিম্পিক খেলা উপভোগ করার জন্য বসলাম উপরে গিয়ে কিন্তু তাদের নতুন কোন ভিন্ন ধরনের খেলা দেখতে পেলাম না। সব কিছুই আগের মতই রয়েছে সেই সকল পুরনো খেলাধুলায় এখনো চলছে। যেটা আধুনিকতার ছোঁয়ায় কোন পরিবর্তন হয়নি আমার কাছে খুবই খারাপ লাগছিল। কিছু সময় উপভোগ করে আমরা বেরিয়ে এসেছিলাম। যাইহোক, মেলায় স্বয়ংসম্পূর্ণ দৃশ্যমান সবকিছু উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। পরীক্ষা সামনে রেখেই বেড়াতে গিয়েছিলাম বন্ধুদের অনুরোধে অনেক ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছি। আশা করি আমার কাটানো মুহূর্তটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মেলার শেষ পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে ঘোরাঘুরি করতে সবারই খুব ভালো লাগে কিন্তু সময়ের অভাবে তেমন একটা ঘুরতে যাওয়া হয় না। টিভিতে অনেকবার সার্কাস দেখেছি কিন্তু এভাবে সরাসরি কখনো আমার সার্কাস দেখা হয়নি। তবে আপনার কাছ থেকে জেনে খুব খারাপ লাগলো যে সার্কাসের কোন পরিবর্তন হয়নি সেই আগের মতই রয়ে গেছে। যাইহোক বন্ধুদের সাথে খুব ভালোই ঘোরাঘুরিও আড্ডা দিয়েছেন। ভালো সময় কাটিয়েছেন এভাবে সব সময় ভালো সময় কাটান এই কামনা করি।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গাসসির মেলা যেটা অনেক পুরনো আমি ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি জমজমাট মেলা আয়োজন করা হয়ে থাকে।
আপনি প্রতিনিয়ত ক্ষুদ্রতম সাপোর্ট দিয়ে পাশে রয়েছেন যেটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।
হুম গ্রামের মেলাতে এখনো সার্কাস খেলা অনেক জনপ্রিয় ৷ বিশেষ করে যখন ছোট ছিলাম তখন সবচেয়ে বেশি সার্কাস খেলা দেখবার জন্য বাহানা ধরতাম ৷
ভালো লাগলো ভাই আপনার বন্ধুদের সাথে মেলায় গিয়ে সার্কাস খেলা দেখছেন ৷ টিকিট কত ছিল জানি না ৷ তবে এখন আধুনিক প্রযুক্তির যুগে অনেকটাই বিলুপ্ত হচ্ছে ৷
তবুও ঐতিহ্য বলে কথা ৷
ভালো লাগলো ভাই
বর্তমানে প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে সার্কাসের জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছে এখনো গ্রামের অনেক মানুষ এটা উপভোগ করতে পছন্দ করে।
শেষ পর্বে সে খুব ভালো ভালো কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম, যেখানে সার্কাস সহ আরো বিভিন্ন রকম খেলা রয়েছে। সত্যি বলতে আগের যে খেলা গুলো সেগুলোকেই এখনো দেখানো হচ্ছে। তবে নতুন কোন খেলা ইতিমধ্যে দেখা যায় নাই। মাঝেমধ্যে সার্কাসে প্রাইভেট কার রাইডিং আসে একটি সার্কেলের মধ্যে রাইড করে।এটা কিছুটা নতুন হতে পারে। যাই হোক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
এইগুলো ছোটবেলা থেকেই দেখে চলেছি এখন আর তেমন অনুভূতি কাজ করে না ছোটবেলার অনুভূতিটাই বেস্ট ছিল।
যেটাই বলেন অনেক চমৎকার ছিল ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
অনেক আগে মনে হয় মেলার একটি পোস্ট দেখেছিলাম আপনার।যাই হোক ঘোরাঘুরি করতে খুব ভালো লাগে।যদিও এখন তেমন ঘুরতে পারি না। তবে আমি কখন সার্কাস দেখিনি। আমার খুব ইচ্ছা সরাসরি সার্কাস দেখার।তবে হ্যা প্রযুক্তির উন্নয়নে গ্রামীন জিনিস গুলো এখন আর আকর্ষণীয় লাগেন। যাই হোক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
সেটা নৌকা বাইশের মেলার পোস্ট ছিল আর এটা হল গ্রাম বাংলার পুরনো ঐতিহ্যবাহী মেলা যেটা এক মাস অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রামের এমন সুন্দর মেলা দেখতে অনেক ভাল লাগে।যদি থাকে সঙ্গে এমন মনের মতন বন্ধু থাকে।অলিম্পিক সার্কাস টিভিতে দেখেছি তবে এভাবে কোন দিন দেখা হয় নি।সরাসরি দেখার মজাই আলাদা।সব বন্ধু মিলে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছেন।
বন্ধুদের সাথে দারুন সময় অতিবাহিত করেছি সত্যিই এই মেলায় গিয়ে অনেক ভালো লেগেছিল যেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
আমার মনে হয় সার্কাস ছাড়া মেলা অসম্পূর্ণ। আমাদের এখানে প্রতিবছর বৈশাখী মেলায় সার্কাস আসে।সবাই খুবই আগ্রহ নিয়ে দেখে।তবে একটি কথা ঠিক বলেছেন সার্কাসে আধুনিকতার ছোয়া লাগে নি,সেই মান্ধাতার আমলেই পড়ে আছে।এভাবে চলতে থাকলে একসময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্য।আপনার সার্কাস দেখার পোস্ট পড়ে অনেক ভাল লাগল।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপনার কথা ঠিক আছে সার্কাস ছাড়া মেলা অসম্পূর্ণ প্রতিবছর এখানে সার্কাস আসে।
আমাদের ওইখানে ঋতু বৈষম্যের কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের মেলা অনুষ্ঠিত হয় সত্যিই অনেক ভালো লাগার বিষয়।
মনে আছে আমিও ছোটবেলায় একবার সার্কাস দেখতে গিয়েছিলাম আর জোকারের কার্যকলাপ দেখে সবচেয়ে বেশি মজা পেয়েছিলাম। আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় তিন চার কিলোমিটার দূরে মেলা হয়েছিল সেখানে অবশ্য সার্কাস এসেছিল কিন্তু যাওয়া হয়নি। অনেকদিন পরে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সার্কাসের কিছু দৃশ্য দেখতে পেলাম।
কয়দিন আগে আপনাদের সাথে গিয়েছিলাম কিন্তু সার্কাস দেখা হয়নি কিন্তু এরকম ঘুরাঘুরি করতেও ভালো লাগে ।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া ছোটবেলায় এরকম সার্কাস দেখে খুবই মজা লাগতো। আসলে বয়সের একটা বিষয় আছে। সব জিনিসকি সব বয়সে মানায় ? সে জন্যই হয়তো আপনার সার্কাস এখন একদমই ভালো লাগেনি। ছোট কোন বাচ্চাকে সাথে নিয়ে গেলে বুঝতেন যে সে কত মজা পাচ্ছে। তারপরও বর্তমান আধুনিক যুগে এই সার্কাস ব্যাকডেটেড হয়ে গিয়েছে। কিছুটা নতুনত্ব আসলেই আনা উচিৎ এতে।
বয়সের সাথে সাথে অনুভূতির ভালোলাগার বিষয়টি পরিবর্তিত যেটা এখন বুঝতে পারছি আপু।