কলেজ ক্যাম্পাসে একদিন(১০% লাজুক খাক এবং ৫% এবিবি স্কুলের জন্য)
হ্যালো বন্ধুরা
সবাই কে আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন , আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @rimon76 চলে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আমার আজকের ভ্লগে থাকছে অনেক দিন পরে ক্যাম্পাস গেলাম এবং কেমন কাটলো দিনটা সেই সম্পর্কে শেয়ার করবো আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে তো চলুন শুরু করি আমার আজকের ব্লগ।
রেমাল এর প্রভাবে রাতে ঝড় বৃষ্টি বাতাস ভালোই ছিলো, আবহাওয়া টাও ছিলো শীতল, যার ফলে এমন বিভর ঘুমের মধ্যে ছিলাম, অনেক দিন পর ঘুম টাও বেশ হয়েছে সকালে এক লাফে উঠে দেখি ঘড়িতে সময় ১০: ১৫। যেহুতু আমার অনেক দিন বাদে ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা এবং বিশেষ কিছু কাজও ছিলো সে সব চিন্তা করে যথারীতি গোসল সেরে ফ্রেশ হয়ে তাড়াহুড়ো করে তৈরী হয়ে নিলাম ক্যাম্পাসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
এদিকে আম্মু নাস্তার জন্য তাড়া দিচ্ছে এক প্রকার না খেয়েই বেড়িয়ে গেলাম। কারন বেলা বেড়েছে আর আমাকে বাসে করে যেতে হবে। অফিস টাইমে এমনিতেই অনেক ভীড় হয়ে থাকে আর আমি অলরেডি দেরী করে ফেলেছি। বাসা থেকে বেড়িয়ে একটু দূরত হেটে প্রথম একটা বাসেই উঠে পরলাম যেটা আমার কলেজ ক্যাম্পাস হয়েই যায়। বাসে উঠে আমি আহাম্মক! একটু পা দেওয়ার মতো জায়গাও নেই । তবুও ঐ ভাবে চাপাচাপি করে এক কোনে দাড়িয়ে পড়লাম। একে তো বাসের মধ্যে ভীড় অপর দিকে ট্রাফিকের লম্বা সিগন্যাল। সেখানেই কেটে গেলো আমার ৩০ মিনিট এর বেশি।
তারপর শেষমেষ ভীড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে জ্যাম ঠেলে ক্যাম্পাসের সামনে গিয়ে নামলাম।যেখানে আমার বাসা থেকে ক্যাম্পাসে যেতে লাগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সেখানে লেগে গেলো ১ ঘন্টা। তার উপর আবার চিটচিটে গরম ও অবস্থা বেহাল। এজন্য হয়তো মানুষ ঢাকার নাম শুনলেই একটু নাক মুখ কুচকায়, কারন এখানে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছনো খুবই কষ্টকর ব্যাপার।
যাইহোক সকল পরিস্থিতি উপেক্ষা করে প্রবেশ করলাম আমার চেনা ক্যাম্পাসে। ভেতরে তেমন কোনো সহপাঠী কে দেখতে পেলাম না। যে বিশেষ কাজে গিয়েছিলাম তার জন্য গেলাম ডিপার্টমেন্ট স্যারের সাথে দেখা করতে। গিয়ে দেখি তিনিও তার কেবিনে নেই অতঃপর তাকে কল করলাম। সে অপেক্ষা করতে বললো। সেখানে প্রায় ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করলাম। আর ঘুরেফেরি ক্যাম্পাসে চোখ মেলে দেখছিলাম চেনা জায়গা কেমন যেনো অচেনা লাগছে।
মনে হচ্ছে কতে শতো বছর পর এসেছি দেখতে দেখতে চোখ পড়লো এক কোনে যেখানে রেমাল এর ঝড়ের প্রভাবে একটা গাছ উপরে আছে। দেখে খারাপ লাগলো। কারন গাছ আমাদের অনেকটাই ছায়া দিতো এই অবস্থা দেখে পরক্ষনে মনে হলো তাহলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ না জানি কতো টাই র্দুভোগে আছে। এসব ভাবতে ভাবতে স্যার চলে এলো। আমিও যথারীতি আমার সকল কাজ সেরে নিলাম এবং কিছু ক্ষন পরেই ক্যাম্পাস তাগ করলাম। বাসায় ফেরার সময় সেই একই অবস্থা এখন যাওয়ার সময় তো তাও বাস পেয়েছিলাম বাসায় ফেরার সময় রাস্তায় কোনো বাসের দেখা নেই। অনেক অপেক্ষার পর অবশেষে একটা বাস আসলো আর আমি কোনো কিছু না ভেবে উঠে পড়লাম।
দুপুর হওয়াতে তেমন একটা ভীড় ছিলো না তবে বাসায় ফেরার সময় ও বসার জায়গা পায় নি। অবশেষে নিজ গন্তব্য আসলাম আর বাস থেকে নেমে গেলাম। অনেকে ক্লান্ত ছিলাম। কিন্তু যখন নিজের রুমে এসে শুয়ে পড়লাম মনে হচ্ছিলো লক্ষকোটি টাকা দিয়েও এই শান্তি কেনা যাবে না। কারন আপনি যতো দৌড়াদৌড়ি করেন না কেনো দিন শেষে আপনার বাড়ি আপনার নিজের শান্তির জায়গা আপনাকে সকল ক্লান্তি সকল খারাপ লাগা ভুলিয়ে দেয়।
তো বন্ধুরা আমার ব্লগ টা আজকে এখানেই শেষ করছি। আশা করি সবার অনেক ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন আবারো দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টে।
পোস্টের | বিবরণ |
---|---|
পোস্টের ধরন | কলেজ ক্যাম্পাসে একদিন |
লোকেশন | ঢাকা, বাংলাদেশ |
ক্যামেরা | ভিভো |
ক্যামেরাম্যান | @rimon76 |
অফিস টাইমে বাসের মধ্যে পা দেওয়ার জায়গা থাকে না এটা সাভাবিক আর ঢাকার মতো একটা জায়গায় নিত্যদিনের ব্যপার।অনেক দিন পরে নিজের ক্যাম্পাসে গিয়েছেন অনেক দারুন একটা সময় উপভোগ করেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
বেশ সুন্দরভাবে আপনি আজকের পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। আসলে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অনেকের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে অনেক ক্ষয়ক্ষতি। এদিকে আপনি আপনার কলেজে যেতে জ্যামের সম্মুখীন। অতঃপর কলেজে উপস্থিত হয়েছেন আবার অনেক জায়গায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব লক্ষ্য করেছেন। আমিও গতকাল লক্ষ্য করলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ উপড়িয়ে পড়ে রয়েছে বেশ কয়েকটা। যাই হোক এভাবে সুন্দর সুন্দর ব্লগ নিয়ে উপস্থিত হবেন আশা করি।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য।