শীতের রাতে ঘোরাঘুরি ও খেজুরের রস খেতে যাওয়া (১০% পে আউট লাজুক খ্যাকের এবং ৫% এবিবি স্কুল) )
হ্যালো বন্ধুরা
সবাই কে আসসালামু আলাইকুম ,আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @rimon76 চলে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আমার আজকের ভ্লগে থাকছে গ্রামে গিয়ে শীতের রাতে কি ভাবে মাঝ রাতে বাসা থেকে বাইক নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছিলাম,এবং খেজুরের রস খেলাম । আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে তো চলুন শুরু করি আমার আজকের ব্লগ।
ঢাকা থেকে শীতের ছুটি কাটাতে কুষ্টিয়া গিয়েছিলাম। প্রতিবছর গ্রামের শীতের পিঠাপুলি এবং ঘোরাঘুরির উদ্দেশে যাওয়া হয়। সে বারও ব্যতিক্রম ছিলো না। হঠ্যাৎ তোড়জোড় করে একদিন কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্য রওনা হয়ে গেলাম। গ্রামের পরিবেশ শীতের সকাল বরাবরই আমাকে খুব টানে যেহেতু আমি গ্রামেরই ছেলে।
জীবন জীবিকার তাগিদে শহরে থাকতে হয় যেখানে নেই কোনো খোলা হাওয়া চারদিকে শুধু উঁচু দালান আর বিষাক্ত বাতাস যে বাতাসে প্রান নেই,
নেই কোনো প্রশান্তি। তো গ্রামের সেই বাতাস খোলা পরিবেশ চেনা মানুষ নিজের দেশ সব কিছুর টানেই গ্রামে চলে গেলাম নভেম্বরের শেষের দিকে। বেশ মজা পাচ্ছিলাম উপভোগ করছিলাম । শীত পরছে অনেক সবার সাথে দেখা হচ্ছে । বাড়ি তে যাওয়া বাড়ির মানুষ পিঠা বানাতে ব্যস্ত সব কিছু মিলিয়ে একটা হইহূল্লর ব্যাপার। এই ভাবে চলতে লাগলো কয়েকদিন।
হঠ্যাৎ একদিন মাথায় এলো শীতের রাতে মাঝ রাতে ঘর থেকে বের হবো এবং গ্রাম থেকে শহরে যাবো। যেহেতু বাইকের প্রতি আমার অনেক দুর্বলতা তাই ভেবে রেখেছি বাইক নিয়েই বের হবো এবং শীতের রাতে রাইড উপভোগ করবো, বিষয় টা আমার এক কাকা কে জানিয়ে রেখেছিলাম যে আমরা দুজনেই যাবো। যেই কথা সেই কাজ। একদিন রাত তিনটার দিকে কাকা ফোন দিয়ে আমাকে বের হতে বল্লো। অতো রাতে বের হবো বাসা থেকে তো পারমিশন দিবে না, তাই কাউকে কিছু না বলে চুপিচুপি পেছনের দরজা দিয়ে বাইক নিয়ে বের হয়ে পরলাম।
অতঃপর কাকা আর আমি মিলে গন্তব্যহীন ভাবে কনকনে শীতে চলতে থাকলাম কোথায় যাবো বা থামবো কোনো টাই আমরা ঠিক করি নি। চলছি তো চলছি গ্রাম থেকে বের হয়ে শহরের দিকে চলতে থাকলাম কনকনে শীতে রাস্তায় একটা মানুষ ও নেই শুধু যাতায়াত করছে মালবাহী কিছু বড় বড় ট্রাক। তারপর আমরা এই ভাবে শহর ছেড়ে অনেক দূর চলে গেলাম আমি বাইক রাইড করছিলাম। সাথে দারুন এক অনুভূতি উপভোগ করছিলাম। এভাবে চলতে চলতে আমরা অনেক দূরে চলে গিয়েছি। হালকা আলো দেখা যাচ্ছে মনে হচ্ছে সকালের সূর্য মামা উঁকি দিচ্ছে। আমরা একটা জায়গা থামলাম এবং খেজুরের রসের খোঁজ করলাম আমাদের দেরী আর রসের চাহিদা থাকায় সেখানে আর রস পেলাম না অবশেষে সেখান থেকে ফিরে আসতে হলো।
আসতে আসতে সকাল হয়ে গেলো আমরা গ্রামের বাজারে এসে একটি হোটেল থেকে নাস্তা করলাম তখন ঘড়িতে বাজে সকাল আটটা। ফোন বের করে সময় দেখতে গিয়ে দেখি ফোন টা বন্ধ হয়ে গেছে । আসল ঘটনা টা ঘটলো বাসায় ফেরার পর।
বাসায় গিয়ে দেখি সবাই অনেক চিন্তিত। কারন আমাকে সকাল থেকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনি আমি আমার রুমেও নেই সেই সাথে তো ফোনটাও বন্ধ বাসার মানুষ ভেবেই নিয়েছে হয়তো আমাকে কেউ তুলে নিয়ে গেছে, বা এমন কিছু যেহেতু আমার কোনো খোঁজ নেই। বাসায় ফেরার পর সবাই অনেক বকাবকি করলো আর এই কান্ড দেখে আমি বকাবকি তে মন খারাপ করবো কি উল্টো হেসে ফেলেছি সবাই কতো কিছু ভেবে ফেলেছে।
তবে আমি বিষয় টা মজার ভাবে নিলেও বাসার মানুষ আসলেই অনেক চিন্তায় পরে গিয়েছিলো যেহেতু আমি গ্রামে থাকি না কোথা থেকে কি হলো। তাদের চিন্তা করাটাই স্বাভাবিক। এইতো ছিলো শীতে গ্রামে ঘুরতে যাওয়া দারুণ একট অভিজ্ঞতা।
আমার ব্লগ টা এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা। আশা করি সবার অনেক ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন আবারো দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টে।
পোস্টের | বিবরণ |
---|---|
পোস্টের ধরন | শীতের সকালে ঘুরাঘুরি |
লোকেশন | কুষ্টিয়া , বাংলাদেশ |
ক্যামেরা | ভিভো |
ক্যামেরাম্যান | @rimon76 |
শিতের দিনের এই মুহুর্ত গুলোই খুবই উপভোগ্য লাগে।নিজের হাতে রস পেরে খাওয়া একটা অন্য রকম ব্যাপার। খুব সুন্দর হয়েছে আপনার ব্লগটা দারুন ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন।ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামতের জন্য
শীতের সময়টা খেজুরের রস খেতে যাওয়ার জন্য ভালোলাগার অন্যতম সময়। দেখা যায় চাদর বিছিয়ে চলে যাওয়া হয় কয়েকজন বন্ধু মিলে এলাকার গাছি ভাইদের বাড়িতে। অথবা রাস্তার পাশের খেজুর গাছের কাছে। যায়হোক শীতের সেই সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
মতামত দিয়ে এইভাবেই পাশে থাকবেন ধন্যবাদ ভাই।