"আসসালামু আলাইকুম"
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার নানু বাড়িতে থাকা অবস্থায় আমার নানু বাড়ির পুকুর চেকার একটি সুন্দর দৃশ্য। আমি সবসময় প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সবকিছুর ছবি এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। তাই আজকে আমার এই বিষয়টি আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে অনেক বেশি মনের মধ্যে আগ্রহ জেগে উঠলো,
| পুকুরে যখন পানি ছিল তখন আমি পুকুরের এক পাশ থেকে এই দৃশ্যটি সুন্দরভাবে তুলে ওঠার জন্য একটি ছবি উঠাই। |
|---|
| এবার পুকুরের মাঝ দিয়ে একটা করে আইল দেওয়া ছিল এগুলো বের হয়েছে আমরা জমির ক্ষেত্রে যেমন আইল দেই যাতে করে একজন জমির পানি আরেক জনের জমিতে না যায়। সেরকম এখানেও আইল দিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে একজন মাছ আরেক জনের কাছে না যায়। |
|---|
| এবার আমার নানুরা প্রত্যেকটা মুড়া থেকে মাছ ধরতেছে এবং খছায় ঢুকাচ্ছে আমার নানুর বাসায় এই দিক পুকুরে অনেকগুলো করে গাছের মুড়া দেওয়া হয়ে থাকে যাতে করে তার নিচে শিংগি মাছ এবং কৈ মাছ আসে। |
|---|
| এটা আমার আরেকটি নানুর পুকুর তারা তাদের পুকুরে মাছ ধরতেছে এবং আশেপাশে অনেক ছেলেরা জ্বর হয়েছে দেখার জন্য। আমার নানু বাসায় এই দিনটিতে অনেক মজা হয়ে থাকে আমার নানুরা পাঁচ ভাই তাদের প্রত্যেকের একটি একটি করে পুকুর রয়েছে এই পুকুরে অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর মাছ রয়েছে মাছগুলো দেখতে যে রকম মন মুগ্ধকর খেতে সেরকমই সুস্বাদু। আর এই মাছগুলো এখন দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে আমাদের অসচেতনতার কারণে। |
|---|
| নিজ নিজ পুকুরের পানি তাদের নিজ নিজ শ্যালো মেশিন দিয়ে উঠিয়ে জমিতে দেওয়া হচ্ছে পরিবেশটি দেখতে অনেক সুন্দর আমার কাছে মনে হয়েছে। আসলে গ্রামে এরকম অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য রয়েছে যা দেখতে অনেক অনেক ভালো লাগে। |
|---|
| দূর থেকে একটা ছোট্ট ঘর দেখা যাচ্ছে মিশিনের পাশে। সেখানে আমার মামারা রাতে ছিল পানি তুলেছে এবং সেখানে হালকা করে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ঘুমিয়ে ছিল। |
|---|
| পানি তোলা শেষে এই পানা গুলো তুলে ফেলা হয় এবং এই পানা গুলোর নিচে অনেক মাছ পাওয়া যায়। |
|---|
| মাছ মারা শেষে পুকুর গুলোতে আবার ভালো করে গাছের মুড়া এবং বাসের ঝিক দেওয়া হয়ে থাকে যাতে করে পরবর্তীতে আবার অনেক অনেক মাছ সেখানে জমা হয়ে থাকে। |
|---|
| মাছ মারার শেষ মুহূর্তে গ্রামের কিছু ছেলেরা পুকুরে নামে মাছ ধরার জন্য এবং এই দৃশ্যগুলো দেখতে অনেক সুন্দর এবং মনমুগ্ধকর জানিনা আপনাদের কাছে এই বিষয়টি কেমন লাগবে। কিন্তু আমার কাছে এই বিষয়টি অনেক ভালো লেগেছে এবং দেখেও অনেক ভালো লাগলো। |
|---|
| মাছ মারা শেষে মাছগুলো একটা ডেকচিতে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয় ওই সময়ের একটি দৃশ্য। |
|---|
| এটি আরেকটি ডেকচিতে নেওয়া হয়েছে। আগে অনেক মাছ ছিল কিন্তু দিন দিন মাছের পরিমাণ কমে যাচ্ছে এখন শুধু ২-৩ ডেকচি মাছ হয় আমি যখন ছোট ছিলাম তখন এই পুকুর গুলোতে আমার নানুরা দু-একটি ভ্যানে করে মাছ নিয়ে যাইতো এবং অনেক অনেক মাছ ছিল যা দেখে মন ভরে যেত এখন সে রকম মাছ নেই আগের মত কিন্তু যেটা দেখলাম এটাই অনেক |
|---|
| বাসায় এনে মাছ গুলো একটি একটি ডেকচি থেকে মাটিতে ঠালা হয় এবং বেঁচে নেওয়া হয়। |
|---|
| এখানে তিনটি মাছ দেখতে পারতেছেন এই মাসগুলোর নাম হল শৌল মাছ। মাছ গুলো অনেক বড় বড় হয় কিন্তু এবার শুধু এত টুকু করে হয়েছে। |
|---|
| এবার শাটি মাছ গুলো ভালো পানি দিয়ে পরিষ্কার করে একটি ভাড়ায় তুলে রাখলো এবং মাছগুলো দেখতেও অনেক সুন্দর লাগতেছিল। |
|---|
| এবার মাগুর মাছ গুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে আর একটি ভাড়ায় রাখল এবং আমি ছবি তোলার পর প্রত্যেকটা ভাড়ায় পানি দিয়ে দিল যাতে করে মাছগুলো কিছুদিন বেঁচে থাকতে পারে। |
|---|
জানিনা আমার উপস্থাপনা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। কিন্তু আমি আমার মত করে সাজিয়ে এবং সুন্দর ভাবে লেখার চেষ্টা করেছি। যদি লেখার মধ্যে অথবা উপস্থাপনার মধ্যে কোথাও ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি ঘুরতে এবং ঘোড়ার সাথে সাথে ফোন বা ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে অনেক বেশি ভালোবাসি। এবং আমার এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লাগ, তাইতো আমি আজ এই বিষয়টি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আমার এই বিষয়টি উপস্থাপনার কারণ হলো আজ আমাদের জন্যই আমাদের দেশ থেকে অনেক সুস্বাদু এবং মিষ্টি জাতীয় মাছ গুলো ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে শুধু আমাদের একটু অসচেতনতার কারণে আমরা যদি সচেতন থাকি তাহলে এরকম কোন কিছুই হবে না। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত অন্যকে না বলে নিজে নিজেই একটু সচেতন হয়ে যায় তাহলেই দেখা যাবে ধীরে ধীরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তো বন্ধুরা আজ এখানেই বিদায় নিলাম, দেখা হবে আবার আরেকটি নতুন ব্লগ নিয়ে সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ সবাইকে
.....
💖💖💖
মাছ ধরার দৃশ্য খুবই ভালো লাগলো। অনেক বছর আগে
আমাদের গ্রামের বাড়িতে এই দৃশ্য দেখেছিলাম আপনার
মাধ্যমে আবার সেই স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। পুকুর সেচে যে নানান রকম দেশি মাছ পেয়েছেন সেটাও ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
আপনার পুকুর সেচের পোস্টটি দেখে ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো। ছোট থাকতে এভাবেই মাছ ধরতাম। অনেক মজা হতো যখন পুকুর সেচা হতো। কাঁদার মধ্যে মাছ ধরার মজাই আলাদা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আসলেই কাঁদার মধ্যে মাছ ধরার মজাই আলাদা কিন্তু আমি অসুস্থ থাকায় মাছ ধরতে পারি নি শুরু মাছ ধরা দেখেছি । আপনার জন্য ও শুভকামনা রইল।
বিলের মাছ খেতে খুবই মজা, শীতের দিনেই বিল পুকুর সেকার করে আমাদের গ্রামেও এই সময়ে বিল পুকুর সেকার করা হয়,বিলের এবং গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যর কিছু ছবি দেখে ভালোই লাগল।আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করছেন।শুভ কামনা রইল
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্য ও শুভকামনা রইল।
গ্রামের বাড়িতে এভাবে পুকুর সেকা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে আনন্দ লাগে যখন দেখেছে সবাই মাছ ধরতেছে একসাথে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে দারুণ হয়েছে। এরকম তাজা তাজা পুকুরের মাছ খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে কৈ মাছ । ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মতামতের জন্য। কৈ মাছের দাওয়াত রইল আপনার জন্যও আসিয়েন?
বাহ ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। তাছাড়া গ্রামে সবাই মিলে একসঙ্গে মাছ ধরার মজায় আলাদা। ফটোগ্রাফির সাথে আপনি অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাইয়া,, ❤️❤️
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর মতামতের জন্য। অনেক অনেক ভালোবাসা রইল আপনার জন্য।
মাছ ধরতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।।
মাছ ধরার সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন।।
মাছগুলোর ছবি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।।।
ভাই আসলেই মাছ ধরতে অনেক মজা লাগে আমিও নানু বাড়িতে আসলে মাছ ধরে থাকি।
আপনার পোস্টটি দেখে পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। কত সময় কেটেছে এভাবে মাছ ধরে। আর এই মাছ ধরার মজাই ছিল আলাদা। আর এই দেশি মাছগুলোর স্বাদ অতুলনীয় যা চিরদিন ছিল থাকবে এগুলো সোনালী অতীত এবং কি আনন্দ ভিন্ন ধরনের। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে যার প্রশংসা না করে পারলাম না। আমাদের সাথে এত সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি আপনার ছোট বেলার স্মৃতি গুলো আমার এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
বাহ বেশ দারুন সতেজ তরতাজা দেশীয় মাছ। আসলে গ্রামের পরিবেশটা এমন গ্রামীণ সবকিছুতেই ভরপুর। আমিও গ্রামে গেলে মাঝেমধ্যে মাছ ধরতে যাই বেশ ভালোই উপভোগ করি মাছ ধরা। আপনি খুব দারুণ করে মাছ ধরার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের যানানোর জন্য।
ভাই কি মনে করিয়ে দিলেন!!! ছোটবেলায় আমার নানা বাড়িতেও পুকুর সেচে এমন অনেক মাছ ধরেছি।ছোটবেলায় মাছ ধরতে আমার খুবই ভাল লাগত। তার কিছুটা অবশিষ্ট আছে এখনো। এত সুন্দর কিছু ছবি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনি আপনার ছোটবেলার স্মৃতি গুলো কিছুটা মনে রেখেছেন এবং মাছ ধরার কিছু কৌশল এখনো রেখে দিয়েছেন গ্রামে গেলে আবারো মাছ ধরার চেষ্টা করেন ভাইয়া আসলেই পুকুরে মাছ ধরার মজাই আলাদা।