গ্রাম্য পার্কে একদিন।
হ্যালো বন্ধুরা। আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। বেশ অনেকদিন হলো রিপোর্ট টাইপের পোস্ট আর ম্যান্ডেলা আর্ট ছাড়া আপনাদের সাথে শেয়ার করছি না। আজ একটু ঘোরাঘুরি নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি। আপনাদের সাথে কিছু শেয়ার করতে পারলে ভালো লাগে। আমি বোঝাতে পারবো না কতটা আবেগ জড়িয়ে আছে আপনাদের সাথে আমার। মাঝেমধ্যে আমার কিছু মোমেন্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করি এটা যে আমার কতটা ভালো লাগে বোঝাতে পারবো না।
যাইহোক, গত কিছুদিন আগে আমার চাচাতো ভাই আমাককে একপ্রকার জোর করে ধরে নিয়ে গেল ইউটিউব ভিলেজে। অনেকদিন আগে আমি গিয়েছিলাম কিন্তু মাঝে আর যাওয়া হয়নি। আসলে কৃত্রিম এইসব জায়গা আমার একটুও টানে না। প্রকৃতি আমার টানে খুব। যাইহোক গেলাম, ভাই নাকি কিছু ছবি উঠবে এজন্য ক্যামেরাটা নিয়ে গিয়েছিলাম সাথে। গিয়ে দেখলাম আগের থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন ৩০ টাকার টিকিট কেটে ঢুকতে হয়।
আমি ফোনে বেশি একটা ছবি তুলিনি। ক্যামেরায় ছবি তুলেছিলাম আর সেই ক্যামেরা সেদিন ছবি তোলার পর ভাইয়ের কাছেই রয়ে গেছে। ক্যামেরা থেকে কিছু ছবি নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলে অবশ্য আরো ভালো লাগতো। যাই হোক সেদিন কম করে হলেও দেড়শ থেকে দু'শ ছবি তুলে দিয়েছি।
ইউটিউব ভিলেজে দেখলাম নতুন একটা রেস্টুরেন্টে হয়েছে। খোলামেলা পরিবেশ। আমরা অনেকক্ষণ এদিক ওদিক ঘুরাফেরা করে রেস্টুরেন্টে বসেছিলাম কিছু খেতে। দুজনের জন্য ২ টা লেমন জুস আর নাগা উইংস অর্ডার করেছিলাম। অর্ডার করার ২০-২৫ মিনিট পরে হাতে পেয়েছিলাম। একটু বেশি-ই সময় নিয়েছিলো।
নাগা উইংস খেয়ে ভাইয়ের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছিলো। ভাই ঝাল খেতে পারেনা বেশি। আর আমি প্রচন্ড ঝাল খেতে পারি। আমি বেশ মজা করেই খেয়েছিলাম। টেস্টের দিক থেকে ১০ এ ৯ দেওয়া যায়। যাইহোক, খাওয়া শেষ করে আবারও কিছু ছবি তুলতে শুরু করেছিলাম। তখন একটা মজার ঘটনা ঘটেছিলো। ৩ টা মেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল একসাথে। তাদের মধ্যে থেকে একজন আমাকে ডেকে বলছিলেন এই ক্যামেরা কী এখানকার নাকি?? মানে উনি ভেবেছেন টাকা দিয়ে ছবি তুলে দেই কিনা। তখন আমি বলেছিলাম না, এটা পারসোনাল।
পরে আরও একজন জিজ্ঞেস করেছিলো যে ক্যামেরাটি শুধু পার্সোনাল ছবি তোলার জন্য কিনা। এরপর আমি মনে মনে ভাবলাম এখানে তো ভালোই ইনকাম করা যাবে দেখছি চাইলেই। বেশ মজা পেলাম।
আমরা ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। সন্ধ্যায় বাইক নিয়ে সোজা বাড়ির পাশের বাজারে চলে এসেছিলাম। ভাইকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম ক্যামেরা সহ আর আমি বাজারে ছিলাম। প্রতিদিন বিকেল সন্ধ্যায় একটু বাজারে আড্ডা দিতে ভালোই লাগে। যাইহোক আজ আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।
লোকেশনঃ- ইউটিউব ভিলেজে।
ছবিগুলো তোলা হয়েছে:- Xiaomi Redmi ফোন দিয়ে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
কৃত্রিম হলেও কিন্তু প্রকৃতির ছোঁয়া রয়েছে ইউটিউব ভিলেজে , ভালোই লাগছে চারপাশের পরিবেশ, দুই ভাই বেশ জয় করেছেন মনে হচ্ছে, আমার কিন্তু নাগা উইংস খুব ভালো লাগে প্রায় সময়ই বন্ধুরা মিলে খাবার খেতে যাই।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া, আপনাদের সাথে আমাদেরও একটা আবেগ জড়িয়ে আছে সেই শুরু থেকেই আমরা আপনাদের সাথে আছি। আপনাদেরকে ছাড়া আমরা এখানের কথা চিন্তাই করতে পারি না। ইউটিউব ভিলেজটা আপনাদের গ্রামের ওইদিকে সেটা জানা ছিল না। এখানকার ছবি অনেকেই দেখি শেয়ার করে। আপনি আপনার ক্যামেরার সুন্দর সুন্দর ছবিগুলো পরে আপনার ভাইয়ের কাছ থেকে এনে শেয়ার করবেন আমরা দেখব। নাগা উইংস এর কথা শুনে তো আমার ঝাল লেগে গেল। ওটা খেলে আসলেই ঝাল লাগে তবে ভালোও লাগে। অনেক সুন্দর সুন্দর মেয়েদের ছবি তুলতেন ভালোই হতো বিষয়টা আমরাও একটু দেখতাম।
আপনার ইউটিউব ভিলেজের জায়গাটা অনেক চমৎকার ছিল। লেমন জুস আর নাগা উইংস খাবারটা দারুণ ছিল। কিন্তু আপনার বন্ধু দেখছি একেবারে ঝাল খেতে পারে ঠিক আমার মেয়ের মতো। খাবারটা আসতে ভালো সময় লেগেছিল। সবচেয়ে ভালো লেগেছিল তিনটি মেয়ে যখন আপনার ক্যামেরা কথা জিজ্ঞেস করল আপনি যদি কিছু ছবি তুলে দিতেন, ভালোই ইনকাম হতো হা হা হা । ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনি বর্তমানে সব বিষয়ে লিখেছেন সেটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে ৷ তবে ভাই ভাগ্য কিন্তু ভালো ছিল আপনি ওই তিনটি মেয়ের ছবি তুলতে পারতেন ৷ আচ্ছা ভাই মেয়ে গুলো দেখতে নিশ্চয়ই রপবতী ছিল ৷ আমি থাকলে তো তাই করতাম তাদের সাথে একটা বেশ এনজয় সময় কাটাতাম ৷
যা হোক পার্কের প্রতিটি ফটোগ্রাফি গুলো ছিল দেখার মতো ৷
জোরপূর্বক হলেও মজাটা কিন্তু জোস ছিল আপনার জন্য। তবে ভাইয়া আমার মনে হয় আমার বাংলা ব্লগের মাঝে আমরা যারা আছি সবাই একে অন্যের পরিপূরক। যদিও সব সময় মন দিয়ে কাজ করতে পারছি না, কিন্তু মনে মনে সবাইকে খুব মিস করি। তবে আপনি মিষ্টি কন্ঠের অধিকারী, প্রিয় ভাই আমার, আপনাকে খুব মিস করি। অসাধারণ ছিল আপনার অনুভূতিগুলো। আমাদের মাঝে ইউটিউব পার্কের এত সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটানোর ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য শুভকামনা রইল।
সাধারণত রিপোর্ট আর্ট এই টাইপের পোস্টে খুব একটা কমেন্ট করি না। তবে আপনার জেনারেল রাইটিং ঘোরাঘুরি টাইপের পোস্ট মিস করি না। আমিও আপনার মতো মানবসৃষ্ট পরিবেশ আমার একেবারে পছন্দ না। প্রকৃতি আমার ভালো লাগে। তবে ঐ মেয়েগুলোকে কয়েকটি ছবি তুলে দিলেও পারতেন😆।।
নামটা কিন্তু সেরা দিয়েছে! ইউটিউব ভিলেজ! 😄আজ আমিও ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের একটা পার্কে গেছিলাম। অনেকটা এরিয়া জুরে বটে তবে এমন রেস্টুরেন্ট বা বাচ্চাদের অ্যাসুম পার্ক এমন ছিলো না। পার্কটা সুন্দর কিন্তু প্রাকৃতিক আর কৃত্রিম তফাৎ তো থাকবেই। তবে প্রি ওয়েডিং ফটোশ্যুট, এমনি ফটোশ্যূটের জন্য ভালো।
ইউটিউব ভিলেজ এর ফটোগ্রাফি এর আগেও দেখেছিলাম কিন্তু আজ যেন অনেক বেশি ভালো লাগছে । দেখতে খুবই চমৎকার জায়গাটি । কৃত্রিমভাবে তৈরি হলেও জায়গাটা বেশ সুন্দর দেখেই বোঝা যাচ্ছে । আপনি আর আপনার ভাই মিলে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া। আবার ক্যামেরা নিয়ে একটু মজাও হয়েছে । তবে নাগা উইংস দেখতে ঝাল লাগলেও কিন্তু মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে । ভালো ছিল সবকিছু । ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো থাকবেন ।
জায়গাটার সৌন্দর্য আসলেই চোখে পড়ার মতো।
সেই সাথে আপনার নিখুঁত ফটোগ্রাফি গুলো সৌন্দর্যটা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তবে দেখছি আপনার সাথে আমার একটি বিষয় মিল আছে সেটা হচ্ছে আমরা দুজনই ঝাল খেতে পছন্দ করি।
যাক ভাইয়া আপনার ইউটিউব ভ্রমণের মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। এই যেমন ৩০ টিকিটের মূল্য ৩০ টাকা, নাগা উইংস, প্রায় দুইশত ছবি তোলা ইত্যাদি। ধন্যবাদ ভাই আপনার মাধ্যমে সুন্দর দেখতে পেলাম।