ব্লাড গ্রুপিং বিড়ম্বনা!!
প্রত্যেকটা জায়গায় কেমন যেন একটা অনিয়ম আর দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। কিছুদিন আগে আমার ওয়াইফ কে নিয়ে গেছিলাম পপুলার ধানমন্ডি শাখায়। যেদিন ডাক্তার দেখালাম সেদিন ডক্টর অনেকগুলো টেস্ট দিয়েছিল। পরবর্তীতে প্রত্যেকটা টেস্ট করিয়ে অন্য একদিন রিপোর্টগুলো সাথে নিয়ে ডাক্তারের সাথে দেখা করেছিলাম।
অদ্ভুত একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম রিপোর্টে। ছোটবেলা থেকে আমার ওয়াইফ জেনে আসছে ওর রক্তের গ্রুপ বি নেগেটিভ। পপুলার থেকে হঠাৎ রিপোর্ট হাতে পেয়ে দেখলাম বি পজেটিভ এসেছে। পরবর্তীতে ডক্টরের সাথে ব্যাপারটি শেয়ার করলাম। ডক্টর বলল হয়তো বি পজিটিভি হবে কারণ এটাই বেশি মানুষের হয়। তখন ডাক্তারের কাছে আমরা শেয়ার করলাম যে আমার ওয়াইফের বাবার রক্ত বি নেগেটিভ। তখন ডক্টর ব্যাপারটিকে খুব সিরিয়াস ভাবে নিল।
সঙ্গে সঙ্গে ল্যাবের একজনকে ডেকে পাঠালেন ফোন করে। তিনি আসলেন এবং ডক্টর তাকে বলল ব্লাড রিচেক দিতে। ডক্টরের ব্যবহারটা এখানে খুবই ভালো লেগেছে। ডঃ আমাদেরকে সসম্মানে নিয়ে যেতে বললেন। ল্যাব থেকে যাকে ডেকে আনলো ডক্টর তাকে বললো এটা আমাদের রেপুটেশনের ব্যাপার এটা অনেক গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। এরপর উনি আমাদেরকে নিয়ে গেল এবং রিচেকের জন্য ব্লাড স্যাম্পল আবারো ল্যাবে পাঠালো। কিছু সময় পর আমাদেরকে জানালো আবারও বি পজেটিভ এসেছে। এরপর ডক্টর দেখে বলল হয়তো আগে থেকে আমরা ভুল জানতাম। এখন যেটা এসেছে সেটা সঠিক বলে মনে হচ্ছে আমার কাছে। তবুও আপনারা একটা ভালো হসপিটাল থেকে আরও একবার চেক করে দেখবেন।
উনি না বললেও আমি আরও একবার চেক করতাম। সত্যি সত্যি সেদিনই আমি ল্যাব এইডে গিয়েছিলাম। ল্যাবএইডে স্যাম্পল দিয়ে আমরা বাড়ি চলে আসলাম। এখানে আরেকটা জিনিস দেখে অবাক হলাম সেটা হচ্ছে সামান্য এক ব্লাড গ্রুপ টেস্ট এর জন্য ৮০০ টাকা ফি নিলো। মনে যা তা অবস্থা একেবারে!!
যাহোক কিছুদিন পর রিপোর্ট আনতে গেলাম। রিপোর্ট আনতে গিয়ে রিপোর্টটি যখন হাতে পেলাম তখন আমি আরো একবার অবাক হলাম। এখানে আবার বি নেগেটিভ আসছে। কি একটা বিপদে পড়ে গেলাম। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে দুটি হসপিটাল বাংলাদেশের সবচেয়ে নামকরা হসপিটাল গুলোর মধ্যে অন্যতম। তাহলে আমার এখন কোথায় যাওয়া উচিত?? নিশ্চয়ই দুই জায়গার যে কোন এক জায়গায় ভুল তথ্য দিয়েছে।
পুনরায় ডক্টরের কাছে ব্যাপারটি শেয়ার করতে চেয়েছিলাম। আমার কেন জানি সন্দেহ হচ্ছে পপুলারেই একটা ঝামেলা ছিল। যাইহোক সেটা আর হলো না। ওয়াইফকে ইমারজেন্সি বাসায় নিয়ে যেতে হয়েছে। সেদিনের পোস্টে আমি শেয়ার করেছিলাম। এখন যশোর থেকে আরো একবার চেক করে দেখতে হবে কি আসে।
মনে যা তা অবস্থা একেবারে!!!
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আজ পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া।সত্যিই ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক।নামকরা হাসপাতালগুলো যদি হয় এই অবস্থা তবে সাধারন মানুষ যাবে কোথায়? যারা ধনী তাইতো তারা বাইরে চলে যায়। আমার মনে হয় ল্যাব এইডের রিপোর্ট ঠিক আর পপুলারের রিপোর্ট ভুল।সত্যি কথা বলতে ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট ই যদি ভুল আসে তবে সে দেশে রোগ নির্নয় কিভাবে করবে। ভাবনার ই বিষয়ই।খুব খারাপ ই লাগলো।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এত ঝামেলা না করে চলে আসেন আমার এখানে। এখন সরকারি প্রতিষ্ঠান করে দেখেন। বিনামূল্যে টেস্ট করে দিব। হিহিহি। কি বলব এখন ভাইয়া। ব্লাড কি সত্যি কার টেস্ট করছে কিনা এটাই তো সন্দেহ। মাথায় যেটা আসছে সেটাই লিখে দিছে। ভাবছি এত ছোট ছোট টেস্টেরই এই অবস্থা। তাহলে বড় টেস্টগুলোর কি হবে। ভালো ঝামেলায় পড়েছিলেন বুঝাই যাচ্ছে।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুব সিরিয়াস একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে কিছুদিন আগে এই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল আমার আপু। বি নেগেটিভ ছোটবেলা থেকেই জেনে আসছে কিন্তু এখন পরীক্ষা করার পরে বি পজিটিভি এসেছে যেনেত একটু ভয় পাওয়ারি কথা। আসলে ভাই পপুলার হাসপাতাল মানে অঢেল টাকার ব্যাপার। সামান্য ব্লাড টেস্টের জন্যই ৮০০ টাকা নিয়েছিল জানতে পারলাম। পরবর্তীতে ডাক্তারের সাথে আপনারা কথা বলেছেন বিষয়টি নিয়ে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আসলে আমাদের দেশে ডায়াগোনেষ্টিক সেন্টার গুলোর এরমক ভুল্ভাল রিপোর্টের জন্য দেশীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর আস্থা হারিয়ে, চিকিৎসার জন্য বিদেশমুখি হচ্ছেন মানুষ। আশাকরি, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ এব্যাপারে জোড় দৃষ্টি দিবেন। সময় সুযোগ পেলে আইসিডিডিআর-বি থেকে টেস্টটি আবার করিয়ে নিবেন। আপনার বউয়ের সুস্থতা কামনা করছি। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
রক্তের গ্রুপ দুই হাসপাতালে দুই রকম এটা তো অবাক কান্ড।আপনার যেহেতু মনে হচ্ছে পপুলারে প্রবলেম তাইলে সেটাই হবে।কেননা ল্যাব এইড তো ভালো।তবে ওনারা সামান্য রক্তের গ্রুপ চেক করতে ৮০০ টাকা নিলেন এটা বুঝলাম না।যাইহোক বাসা থেকে আবার চেক করলে হয়তো বুঝতে পারবেন।কেননা এটা তো গুরুত্তপূর্ণ একটি ব্যাপার।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
দেশের স্বনামধন্য হসপিটালে যদি এমন অবস্থা হয়,তাহলে পাবলিক আর কোথায় যাবে। কারণ পপুলার এবং ল্যাব এইড হসপিটালের শাখা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। এমন নরমাল একটি টেস্ট করতে যদি এমন বিড়ম্বনায় পরতে হয়, তাহলে অসুস্থ হলে কিভাবে যাবো হসপিটালে। আমারও মনে হয় ল্যাব এইড এর রিপোর্টটি ঠিক এবং পপুলারের রিপোর্ট ভুল। যাইহোক এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। পপুলার হসপিটালের ব্যাপারে ভালো ধারণা পেলাম।
সামান্য রক্তের গ্রুপ জানতে আটশ টাকা ফি নিলো এটা একেবারেই অসহনীয়। তবে ভাই আপনি নিঃসন্দেহে মারাত্মক একটি বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। দুইটি নাম করা হসপিটাল থেকে ব্লাড গ্রুপের দুই রকম রিপোর্ট আসলো। যেটা নিঃসন্দেহে দুশ্চিন্তার কারণ। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে হয়তো পপুলার হাসপাতাল থেকেই ভুল রিপোর্ট দিয়েছে। তারপরও বিষয়টি আপনি আরো ভালোভাবে খতিয়ে দেখবেন।