একটি মুক্ত জীবন। গল্পটি ২১-০৭-২০২১ তারিখের
আসসালামুয়ালাইকুম। কেমন আছেন আপনারা সবাই? কিছুদিন যাবৎ আমি অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সময় পার করেছি। আজ ফ্রী হওয়াতে ভাবলাম আপনাদের সাথে আমার কাটানো কিছু সুন্দর মুহুর্ত শেয়ার করি।
ঈদের দিন আমরা সবাই কমবেশি ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করি। বিশেষ করে ছেলেরা দিনের অর্ধেকটাই ব্যস্ততার মদ্ধদিয়ে দিন কাটায়। কোরবানি ঈদে ,নামাজ পড়ে এসে সর্বপ্রথম মাংস প্রসেসিংয়ের কাজটি ছেলেদেরকেই করতে হয়। মাংস প্রসেসিং শেষ করে গরিব-দুঃখী এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে মাংস বিলিয়ে দেয়ার কাজটা ও ছেলেদেরকেই করতে হয়। এজন্যই ঈদের দিন আমি প্রায় অর্ধেক বেলাই ব্যস্ত ছিলাম। ব্যস্ততা শেষে বিশ্রাম নিয়ে দুপুর তিনটার দিকে কিছু ছোট ভাইদের সাথে বাইক নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলাম।
উদ্দেশ্যহীন ভাবে আমরা প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা বাইকে ঘুরে বেড়ালাম। এরপর আমরা একটি সুন্দর স্থানে গিয়ে পৌঁছলাম। এটি হলো পদ্মা নদীর একটি পার। নদীর দুই পাশের দৃশ্য গুলো অনেক সুন্দর লাগছিল । আমি কৃত্রিম সৌন্দর্য থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে বেশি পছন্দ করি। এজন্যই এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা স্থানগুলো অনেক বেশি ভালো লাগে। নদীর পার দিয়ে বাইক নিয়ে চলার সময় আমি একটি ভিডিও ধারণ করেছিলাম। ভিডিওটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। Recommended Resolution 2160p (4k)
বাইক নিয়ে অনেক সময় রাস্তা দিয়ে ঘোরার পর চিন্তা করলাম এবার একটু নদীর নিকটে যাওয়া যাক। তখন প্রায় সন্ধ্যা লেগে এসেছিল। আমরা সবাই রাস্তা থেকে নেমে নদীর কাছে গেলাম এবং সূর্যাস্তের মুহূর্তটা উপভোগ করলাম।
সে ই - মু হূ র্ত টিঃ
সন্ধ্যা লেগে যাওয়ার পর আমরা সেই স্থান থেকে চলে আসলাম এবং একটি কফিশপে গেলাম। কফি শপে গিয়ে আমরা সবাই একসাথে গান গেয়েছিলাম। অনেক সুন্দর ছিল সেই মুহূর্তটা । কফিশপ টি অবস্থিত ছিল নদীর পাশেই। নদীর বাতাস এবং চাঁদের আলো সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর লাগছিল পরিবেশটি।
অনেকক্ষণ যাবৎ ওই স্থানে আড্ডা দেওয়ার পর আমরা সবাই আমাদের বাড়ির নিকটে একটি বাজারে এসে পৌছালাম। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ওই বাজার থেকে 10 কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত একটি ছোট শহর, যেখানে কুমারখালীর বিখ্যাত মটকা চা বিক্রি হয়। আমরা 11 জন বাইক নিয়ে সেই জায়গাটির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কিছু সময়ের মধ্যে সেই স্থানে পৌঁছে গেলাম। এরপর আমরা সবাই সেই বিখ্যাত মটকা চা খেলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সেই সময়ের কোন ছবি আমি তুলে রাখিনি। যাই হোক, চা খাওয়া শেষ করে আমরা সবাই ওই স্থান থেকে আরও 10 কিলোমিটার পশ্চিমে একটি বড় ব্রিজের উপর গিয়েছিলাম। এখানে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখব এবং পানির স্রোতের শব্দ শুনব ।
ব্রিজের উপর থেকে তোলা ছবি। পানির মধ্যে চাঁদের আলো।
আমরা সবাই অনেকক্ষণ যাবৎ ব্রিজের উপর অবস্থান করে ছিলাম। এরপর রাত প্রায় এগারোটা বেজে গিয়েছিলো। সেই মুহুর্তে আমরা সবাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। হাইওয়ে রাস্তা ফাঁকা থাকায় আমরা খুব দ্রুতগতিতে ড্রাইভ করেছিলাম। প্রায় ৯০-১০০ কিলোমিটার বেগে। আধা ঘন্টার মধ্যেই বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলাম ৷ এটাই ছিল আমার ঈদের দিন।
Support @amarbanglablog by delegating STEEM POWER.
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
আহ! মুক্ত জীবন, দারুন ভালো লেগেছে ভাই।
গান গাওয়ার মুহুর্ত টা এবং নদীর সেই পরিবেশ টা জোশ ছিলো 😇
নদীর তীরে কফিশপ এবং হাতে কফি মুখে গান চিন্তা করতেই অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। অসাধারণ ভালোলাগার কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং সেগুলো সকলের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ
খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে সুন্দর মুহূর্তটি শেয়ার করার জন্য।
ভাই ভিডিও দুটো খুব সুন্দর হয়েছে। জায়গাটা অনেক সুন্দর।
অসাধারণ একটা ব্লগ পোস্ট । ভিডিও দু'টি অসাধারণ হয়েছে । পদ্মার পারে বেড়ানোর আমার অনেক দিনের সাধ । পদ্মা নদীর মাঝি পড়ার পর থেকেই । আপনি ভাগ্যবান পদ্মার এতো কাছে বসবাস করার জন্য ।
💝💝💝
আহারে জীবন ,আহা জীবন। জলে ভাসা পদ্ম যেমন ।আপনার জীবন দেখে আমার খুব হিংসা হচ্ছে। মাঝে মাঝে মন চায় এইরকম একদম ঘোরাঘুরি করি।
💝💝💝
অনেক আনন্দ পেলাম ভাই। সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া
খুব ভালো লাগলো । এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। খুবই আনন্দঘন এবং উপভোগ্য মুহুর্ত ছিলো। দারুন।