আর কত মানিয়ে নিতে হবে ??
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমরা তো সবাই ভালোই থাকতে চাই। কিন্তু ভালো থাকাটা কঠিন হয়ে যায় কিছু কিছু প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে। প্রত্যেকটা মানুষই জীবনযুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। কারো জন্য যুদ্ধের ময়দান টা অনেক কঠিন আর কারো জন্য খুবই সহজ। সমাজের গরিব আর মধ্যবিত্তদের অবস্থা সবচেয়ে করুণ।
একটা কথা আছেনা ? মধ্যবিত্তদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় আর গরিবরা তো স্বপ্ন দেখেই সাহস পায়না। একটা মানুষের শক্তি প্রয়োজন হয় সাহস প্রয়োজন হয় আর সময়ের প্রয়োজন হয় স্বপ্ন দেখার জন্য। কিছু মানুষ যারা সবসময়ই স্ট্রাগল করে যাচ্ছে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে, সে কিভাবে সময় পাবে স্বপ্ন দেখার ? আর যদিও স্বপ্ন দেখে তাহলে সেইভাবে তো প্রস্তুত হতে হবে। নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে আর প্রেসেন্ট পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে একটু বেশি অ্যাডভান্স হতে হবে। কিন্তু চিন্তা করুন আপনি একটু বেশি অ্যাডভান্স হয়ে সামনের দিকে আগানোর চেষ্টা করছেন কিন্তু আপনার পরিবেশ তখনই আরো বেশী কঠিন হয়ে গেল। আপনার বেঁচে থাকার জন্য আরও অনেক বেশি স্ট্রাগল করার প্রয়োজন হচ্ছে। তাহলে আপনি কিভাবে সৃজনশীল মনোভাব নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন? আপনি ব্যস্ত হয়ে পড়বেন আপনার নিজেকে আর নিজের পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। হ্যাঁ শত বাধার মধ্যে হয়তো পরিশেষে কিছু স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয় কিন্তু ওরকম হাজারো স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়ার আগেই ঝরে পড়ে যায়।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
আসলে আমি যেটা বুঝাতে চাচ্ছি সেটা আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন। গত শুক্রবার অর্থাৎ ৫ তারিখের কথা। আমি সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়েছিলাম সেদিন। কারণ শনিবার ভোরে আমার ক্লাস ছিল। অনেক সকাল সকাল আবার ঘুম থেকে উঠতে হয়েছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি প্রথমে যেটা করি: ডিস্কোর্ডে ঢুকি, তারপর বাইনান্সে ঢুকি, এরপর ফেসবুকে, দেন ম্যাসেঞ্জারে। ফেসবুকে ঢুকে দেখি হঠাৎ করে গভমেন্ট থেকে একটা অ্যানাউন্সমেন্ট এসেছে রাত ১০-১১ টার দিকে, যে রাত বারোটার পরে তেলের দাম বেড়ে যাবে। ছোট ভাই রাহুল নাকি এনাউন্সমেন্ট শুনার পরেই পাশের একটা তেল পাম্পে চলে গিয়েছিল তেল কিনতে। সেখানে তো যাচ্ছেতাই অবস্থা। প্রচুর ভিড় সবাই তেল কিনতে চলে এসেছে। বিষয় হচ্ছে তেলের দামটা হুট করে এভাবে বাড়ানো কি ঠিক হলো?
এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের বাজারে আগুন। সবকিছুর মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। গরীব আর মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন স্ট্রাগল করে নিজেদের টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছিল সবসময়ই। চেষ্টা করছিল পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার। হয়তো মানিয়ে নিতে পারত একসময়। কিন্তু হঠাৎ করেই আবার ময়দানটা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে গেল। এভাবেই কি চলবে সারাটি জীবন? জীবনটা কি এভাবেই চলতে চলতে একসময় শেষ হয়ে যাবে ?? যেই অকটেনের দাম ছিল ৮৯ টাকা লিটার, সেই অকটেনের মূল্য এখন ১৩৫ টাকা। এত বড় ধাক্কা কিভাবে সামলে নেবে গরিব আর মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন?? এরা কি রোবট?? আমার তো মনে হয় এরা সর্বংসহা। যা কিছু চাপিয়ে দেয়া যায় সবকিছুই সয়ে যায়। একজন বৃদ্ধ ভদ্রলোক তো সাংবাদিককে বলেই ফেললেন আমরা খুবই সুখে আছি। সত্যিই কিছু বলার নেই।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
তেলের মূল্যবৃদ্ধি মানে প্রত্যেকটা পণ্যদ্রব্যের মূল্য ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। আমি আজকে বললাম লিখে রাখুন। ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমে যখন ব্যয় বেড়ে যাবে, আল্টিমেটলি প্রত্যেকটি পণ্য দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যাবে। আর এটাই স্বাভাবিক। মানুষ তার গন্তব্যে যেতে এখন বেশি খরচ করবে। সবাই বাধ্য। মানুষের ইনকাম কি বেড়েছে?? যে পরিমাণ মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়তই সে পরিমাণ ইনকাম যদি না বাড়ে তাহলে তারা কিভাবে তাদের রক্তমাংসের শরীর কে টিকিয়ে রাখবে?? শরীরটাতো দিনশেষে খাবার চায়।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে যেটা মনে করা হচ্ছে সেটা হচ্ছে আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ ঋণ চেয়েছে। আর আইএমএফ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এর মধ্যে একটা শর্ত হলো জ্বালানি খাতে আর ভর্তুকি দেওয়া যাবে না। এখন বাংলাদেশ সে শর্ত মেনে নিয়েছে। ফলশ্রুত ভর্তুকি না দিয়ে সরাসরি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে দিয়েছে। এখন আমার একটা কথা আছে। সেটি হচ্ছে, সরকার ভর্তুকি দিতো সেটা কিন্তু জনগণের দেয়া ট্যাক্স থেকেই দেয়া হতো। এখন যেহেতু সরকার এ খাতে ভর্তুকি দিবে না এখন কি সরকার ট্যাক্স কমিয়ে দেবে?? কখনোই দেবে না। এটা অসম্ভব। তাহলে এই মূল্যবৃদ্ধিকে আমি অযৌক্তিক বলে মনে করি। শুধু আমি না, কোটি কোটি মানুষ এটাই মনে করে।
আমি আমার মতন করে চিন্তা করেছি। আর আমি আমার চিন্তাটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম৷ হয়তো ভুলত্রুটি কিছু বলতে পারি কিন্তু আসলে মূল বিষয় ঘুরেফিরে একটাই। বললে অনেক কিছু বলা যায় কিন্তু এই ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে বেশি কিছু ভেবে সেটার প্রকাশ ঘটাতে চাচ্ছি না । আজ আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
অনেক সুন্দর কিছু কথা বলেছেন ভাইয়া ৷ মধ্যবিত্ত মানুষ গুলোর স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় আর গরিব মানুষ গুলো তো স্বপ্ন দেখতেই সাহস পায় না ৷বর্তমান দেশের যা অবস্থা মধ্যবিত্ত মানুষ গুলোও স্বপ্ন দেখতে সাহস পাবে না ৷ আর গরিবের কথা থাক ৷ দেশের এমন দুর্দশায় ওই বৃদ্ধ ভদ্রলোক ঠিকি বলেছেন আমরা অনেক সুখে আছি ৷
মধ্যবিত্তদের স্বপ্ন দেখা ও বর্তমানে কাল্পনিক। যেটা কখনো পূরণ হবে কিনা জানিনা কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক ভয়াবহ অবস্থা সম্মুখীন হয়েছে পুরা বিশ্ব। যুদ্ধের কারণে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশগুলোর কঠিন পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে। সত্যি যেটা অনেক বড় একটা অত্যাচার আমি মনে করি। এটা ঠান্ডা মাথার একটা অত্যাচার শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ বিপদগ্রস্ত হয়েছে কিছুই করার নেই।
আসলে ভাই আমাদের সমাজের মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের জীবন চলা যেন খুবই কষ্ট হয়ে গেছে।কারণ দ্রব্যমূল্যের দাম প্রতি দিন বেড়ে চলেছে। বাজারে এমন কোন দ্রব্য নাই যার দাম বাড়েনি। হঠাৎ করে তেলের দাম রাতারাতি বেড়ে গেল এটা যে কত বড় দুঃখজনক সেটা বলে বুঝাতে পারব না। আসলে আমাদের দেশে কি হচ্ছে সেটা এখন ভাবার বিষয়। এভাবে হুট করে তেলের দাম রাতারাতি যদি বেড়ে যায় এবং প্রত্যেকটা জিনিস, আমি গতকাল বাজারে গিয়েছিলাম প্রত্যেকটা জিনিস ৫ থেকে ১০ টাকা এবং ১৫ টাকা বেশি পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এভাবে বাড়তে থাকলে আমাদের মধ্যবিত্ত স্বপ্ন তো শেষ হবেই, সাথে আমাদের নিম্নবিত্ত মানুষদের না খেয়ে মরতে হবে। জানিনা ভাই আমাদের দেশ থেকে সমস্যা কবে দূর হবে।
আসলে এখন মধ্যবিত্ত রাও স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়।জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে, নিদিষ্ট হিসাবের বাহিরে বাস ওয়ালারা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে।মাঝখান দিয়ে আমরা মানুষেরা অসহায় এত বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করবে,কিন্তু বেতন তো বাড়ে নি।এ দিকে দ্রব্যমূল্যের দাম যে হারে বাড়ছে।এখন বেঁচে থাকার জন্য সাধারণ মানুষেরা বিভিন্ন খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হতে চলছে। একটা ভিডিও তে দেখলাম বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ বাইরের দেশে ঢুকছে সে অর্থ দিয়ে এক বছরের পুরো
বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো। আসলে আমি তো এই চিন্তায় আছি বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হয় নাকি। ডলারের দাম দেখলাম ১৩.৮৪ এভাবে শুধু বেড়েই যাচ্ছে। তেলের দামের সাথে এখন সব কিছুর দাম বাড়বে। আগে ঢাকা ১ ঘন্টার লোড শেডিং ছিলো এখন তো ৩ ঘন্টাও হচ্ছে খুবই বাজে অবস্থা।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া আপনি মধ্যবিত্ত স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় গরিবরা স্বপ্ন দেখার সাহসই পায় না। আপনার এই কথায় আমি একমত পোষণ করছি ভাইয়া। বাংলাদেশে এখন খুবই ভয়াবহ অবস্থা চলছে। গতকালকে আমি জ্বালানি তেল সম্পর্কে একটি পোস্ট করেছিলাম বাংলাদেশ ভয়াবহক সম্পর্কে। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
কয়েক মাস আগে যখন ডিজেলের মুল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছিল তার কিছুদিন পরে আমি আমার ছেলের জন্য একটি খেলনা মোটরবাইক কিনতে গেছিলাম । তো দেখলাম কিছুদিন আগে যেই বাইক গুলোর দাম ছিল দুই হাজারের নিচে । তাদের দাম এখন ২.৫ হাজার । সব চেয়ে ছোট বাই সাইকেল এর দাম বলল ৪.৮ হাজার যেটি কিনা তেলের দাম বৃদ্ধির পুর্বে ৩.৪ হাজারে বিক্রি হচ্ছিলো । একটা সাইকেল তৈরি সহ দোকানে পৌছাতে ডিজেলের অবদান কত ? এটা নিশ্চয় কোন কঠিন হিসেব নয় । তার পরেও এত বৃদ্ধি । আর যেগুলো সরাসরি তেলের সাথে সম্পৃক্ত তাদের পরিস্থিতি এখন কীরুপ হবে তাই চিন্তার বিষয় । তবে আমরা সহনশীলতার মাত্রায় এখনো ১০০ ভাগ সলিড ।
জি ভাইয়া, আপনি ঠিকই বলেছেন তেলের মূল্য বৃদ্ধি মানে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসের মূল্য ঠিকই বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। আর যাতায়াত ভাড়া তো বাড়বেই এতে কোন সন্দেহ নেই। এরকম অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের দেশের সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের মত মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন শ্রেণীর মানুষেরা। যেটা আমাদের কারো কাম্য ছিল না। কারন আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম একটা উন্নত জীবন কিন্তু সেখানে আমাদেরকে জোর করে ডোবানো হচ্ছে।
মানিয়ে নেওয়া আর মেনে নেওয়া আজকাল জনগণের মূল ধর্ম তো!
আমি ভাবছি যে মানুষগুলো হিসেব করে করে ৫ টাকা বাস,টেম্পু ভাড়া দেয়,ওদের কি হবে!!
ওদের চোখের পানি খুব সস্তা 😒
আর কত হ্যাঁ ভাই আমাদের দেয়ালের পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আপনার মত করে এভাবে আসলে আমি চিন্তা করিনি। আমরা জনগণরাই তো ট্যাক্স এর মাধ্যমে ভর্তুকি দিচ্ছি। বরং ট্যাক্স এর পরিমাণ না কমে বছরে বছরে ট্যাক্স এর পরিমাণ বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ওয়েতে বাড়ছে। ব্যাংকে যারা টাকা রাখে আবগারি শুল্ক উৎস কর বিভিন্নভাবে সরকার টাকা কেটে নেয়। বর্তমানে দুটি কয়েক লোকের হাতে দেশের সব কয়টা টাকা আটকা পড়ে আছে। আগে ভর্তুকি দিত এখন তো দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ জনগণকে ই কষ্ট পেতে হচ্ছে। কবে যে আসবে সুদিন।