বৃষ্টিময়!!
আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি আমার গত একটি পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম আমি কেন ঢাকা থেকে বাসায় চলে এসেছি। আমি মূলত অ্যালার্জিজনিত প্রবলেম এর কারণে বাধ্য হয়েছিলাম বাড়িতে আসতে। গত ২৮ তারিখ রাত আড়াইটার দিকে বাড়িতে এসে পৌঁছেছিলাম। বাড়িতে এসে ঘুম দিয়েছিলাম লম্বা একটা। আমি আমার সমস্যার জন্য পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর একজন মেডিসিন ডাক্তারের কাছে ফোন দিয়ে সিরিয়ালটা ও দিয়ে রেখেছিলাম। আমার যাবার কথা ছিল বিকেল চারটায়।
বিকেল চারটার দিকে যখন আমি বেরোবো তখন আকাশে ঘন কালো মেঘ ভেসে এলো। আমি রাহুল আর রাজুর সাথে যাব বলে প্ল্যান করেছিলাম। ওরা দেখলাম টাইম মতো চলে এসেছে। যদিও আমার সিরিয়াল ছিল চারটায় আমি চিন্তা করেছিলাম পাঁচটার দিকে যাব, যেন বসে না থাকতে হয়। গিয়েই যেন দেখাতে পারি। কিন্তু আমরা যখন বেরোবো অর্থাৎ একেবারে পাঁচটা বাজে ওই সময়ে ঝড় শুরু হয়ে গেল। তবুও আমরা বেরিয়ে পড়লাম। ঝড়ের বেগ অতটাও বেশি ছিলো না। আমরা স্বাচ্ছন্দ্যেই রাস্তা দিয়ে এগিয়ে যেতে পারছিলাম। কিন্তু আর কিছু সময় পর বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। আপনাদের কি মনে আছে আমরা রমজান মাসের শেষের দিকে অর্থাৎ ঈদের দু-একদিন দিন আগে গিয়েছিলাম শপিং করতে। সেদিন প্রচন্ড ঝড় শুরু হয়েছিল। এরপর আমরা একটা জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। সেখানের সমস্ত ঘটনা ঐ পোস্টের মধ্যে শেয়ার করেছিলাম। ঠিক ওই জায়গাটায় পৌঁছানোর অল্প একটু আগেই সেদিনও বৃষ্টির মধ্যেই পড়লাম। তখন আমরা প্ল্যান করলাম ঝড়ের মধ্যে যে জায়গাটাতে আমরা আশ্রয় নিয়েছিলাম আগের দিন, ঠিক ঐ জায়গাটাতে গিয়েই দাঁড়াবো। সত্যি সেটাই করলাম। প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হল অল্পসময়ের মধ্যেই। আমরা অনেকক্ষণ যাবৎ দাঁড়িয়েছিলাম ঐখানে।
বহু সময় অপেক্ষা করার পর আমরা আবার রওনা দিলাম। তখনো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছিল। মাথায় একটা গামছা পেঁচিয়ে আমাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে আবারো যাত্রা শুরু করেছিলাম। আমার সিরিয়াল নাম্বার ছিল ৯। কিন্তু আমি অনেক দেরি কোরে ফেলেছিলাম। এই জন্য সবার শেষে আমাকে ডেকেছিল। যদিও বেশিক্ষণ বসতে হয় নি, কারণ সিরিয়াল শেষের দিকেরটাই চলছিল। এরপর ডক্টরের চেম্বারে গেলাম, সমস্যা গুলোর কথা বললাম। উনি আমাকে দুইটা টেস্টি দিল। কিন্তু সমস্যা হল টেস্টগুলোর রিপোর্ট দিবে আগামী ১ তারিখে। আপাতত কিছু ওষুধ লিখে দিল। ফাইনাল প্রেসকিপ্শনটা লিখবেন রিপোর্টগুলো হাতে পাওয়ার পর। ভালোই হলো, আজকে অনেক দ্রুত বাড়ি যেতে পারবো।
ডক্টর আপাতত কিছু ওষুধ লিখে দিয়েছিল। ওগুলো পপুলার এর নিজস্ব ফার্মেসি থেকে নিয়ে নিলাম। এরপর বাইরে গিয়ে দেখলাম গুড়িগুড়ি বৃষ্টি এখনো চলছেই৷ ওভাবেই রওনা দিয়ে দিলাম মাথায় গামছা পেঁচিয়ে যেন মাথায় বৃষ্টি না পড়ে। কিছু সময় যাওয়ার পর বৃষ্টির প্রকোপটা আরো অনেক বেড়ে গেল। সামনে ছিল বড় একটা ব্রিজ। টোলবক্সে টোল দিয়ে আমরা সামনে এগুতেই লক্ষ করলাম বৃষ্টি এতটাই বেড়েছে যে সামনে আগানো পসিবল না। আমরা একটা ছোট্ট টং দোকান দেখতে পেলাম। ওইখানেই ঢুকে পড়লাম।
বাহিরে প্রচুর বৃষ্টি। হাইওয়েতে একটা টং এর দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাওয়ার মধ্যে অন্যরকম একটা ফিলিংস কাজ করে। তারপর আবার বাইরে ঝুম বৃষ্টি। আমরা তিনজন তিন কাপ চা খেলাম। আমি পরে আরো এক কাপ খেয়েছিলাম। খুবই ভালো লাগছিল বৃষ্টি দেখে চা খেতে। আমরা প্রায় ৩০ মিনিট ওইখানে স্টে করেছিলাম।
প্রায় ৩০ মিনিট পর দেখলাম বৃষ্টি অনেকটাই কমে গেছে। গামছা মাথায় বেধে আবার আমরা ছুটে চললাম বাড়ির দিকে। আর পথে কোথাও দাঁড়াইনি। সোজা বাড়িতে চলে এসেছি। অনেকটাই ভিজে গেছি যদিও মাথায় গামছা ছিল। গামছা ও অনেকটাই ভিজে গেছে। বাড়িতে এসে দ্রুত রেস্ট করলাম। যাইহোক এটাই ছিল ঢাকা থেকে বাড়ি আসার উদ্দেশ্য। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ঢাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আপনি এই বৃষ্টির মাঝেও ডক্টর দেখানোর সুযোগ পেয়েছেন এটাই অনেক বেশি পাওয়ার। তবে যাই হোক আপনি যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন এই কামনা করছি। এর আগে শপিং করতে গিয়ে আপনি এবং আপনার বন্ধুরা ঝড়-বৃষ্টির সম্মুখীন হয়েছিলেন এই পোস্টটি আমি পড়েছিলাম। তবে যাই হোক আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বৃষ্টি ভেজা দিনে দিনে টং এর দোকান থেকে চা খাওয়া অনুভূতি শেয়ার করেছেন জেনে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ভাবে এই পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।💗💗
পরবর্তীতে বৃষ্টি হলে আমার সঙ্গে চা খাওয়ার কথা ছিল কিন্তু ভাইয়া আপনার। তা কিন্তু হলো না। যাইহোক বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে পেরেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আশা করি রিপোর্টও ভালো আসবে। দোয়া রইল আপনার জন্য।
সামনে আসছে বর্ষাকাল। কোন একটা বর্ষার বিকেলে হবে চা খাওয়া। 💖💖
আজকে কিন্তু অনেক বৃষ্টি হয়েছে। মিস করলেন।
আগের পোষ্টেও বলেছিলেন এলার্জি জনিত সমস্যার কথা। আমার কোন অ্যালার্জিজনিত সমস্যা নেই তাই বুঝতে পারিনা এ সমস্যার তীব্রতা। যাই হোক যে সমস্যার কারণেই হোক সাত দিন তো অন্তত বাড়িতে থাকতে পারবেন। আর বাড়ি মানেই শান্তি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া আপনি অসুস্থতার কারণে গ্রামে গেলেও আমরা কিন্তু বেশ উপকৃত হচ্ছি। কারণ আপনি গ্রামে যাওয়াতে একটু হলেও আবার গ্রামের দেখা পাচ্ছি। আশা করছি রিপোর্টে খারাপ কিছু আসবে না, ভালো কিছুই আসবে।
কালকে প্রচুর ঘুরেছি। নতুন একটা জায়গায় গিয়েছিলাম। ওখানে গিয়ে আপনার কথা মনে পড়ছিল যে গ্রামের ছবিগুলো আপনি খুবই পছন্দ করেন। ওই টা পোস্ট করব পরে একদিন।
আমি তো মনে করেছিলাম ভাইয়া আপনি যে লম্বা ঘুম দিয়েছেন আপনার ডাক্তারের কাছে যাওয়া হবেনা। অবশেষে আপনার বন্ধুরা এসে আপনাকে নিয়েই বের হলো। তবে মজার বিষয় হলো আপনি ঈদের কিছুদিন পরে আমাদেরকে একটা পোস্ট উপহার দিয়েছিলেন। বৃষ্টিতে ভেজা এবং ক্যান্টনমেন্টের পাশে একটা যাত্রী ছাউনিতে বসে সময় কাটানো এবং কিছুক্ষণ হেঁটে গিয়ে চা খাওয়া সবকিছুই মনে আছে জায়গাটা মনে হয় পিলখানার কাছাকাছি। তবুও আজকে যে আপনি ডাক্তার দেখাতে পেরেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগেলা। তবে বৃষ্টির প্রকোপ এবং কি জায়গায় জায়গায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি যাওয়ার অপেক্ষা করা হাইওয়ে রোডে টং দোকানে চা খাওয়ার মজাটাই আলাদা, এটা খুব অনুভব করা যায়। আমাদের সাথে আপনার মনের ভাবগুলো শেয়ার করার জন্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কিন্তু বৃষ্টির ফটোগ্রাফি ছিল খুবই দৃষ্টিনন্দন, শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
বর্ষাকাল এখনো আসে নি তবুও চারিদিকে শুধু বৃষ্টি নিয়েই মাতামাতি।ষড়ঋতু এখন আর নেই।আমারও খুব সামান্য এলার্জি আছে।তবে এটির অনেক প্রকারের হয়ে থাকে।আপনার রিপোর্ট ভালো আসুক দাদা এই কামনা করি।শুভকামনা রইলো।
প্রথমেই সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি, আপনি যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন এবং বর্তমানে আকাশের অবস্থা একদম অন্যরকম কখন বৃষ্টি এবং কখন রোদ হচ্ছে এ কোন কিছু আইডিয়া পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আপনার দিনটি বর্ণনা শুনে ভালোই লাগলো এবং আবারো আল্লাহতালার কাছে আপনার সুস্থতা কামনা করছি ধন্যবাদ।।
আসলেই ভাই, সুন্দর একটা মুহুর্ত। আপনি লিখছেন আমি বিষয়টা ফিল করলাম। চা মনে হয় খুব ভালো হইছিলো! আপনি দুই কাপ পান করে ফেললেন। যাইহোক আপনি জার্নির খুব সুন্দর বর্ননা দিয়েছেন। তবে আশা করি ১ তারিখে রিপোর্ট দেখানো নিয়ে আরো একটি ব্লগ দেখতে পারবো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই আমাদের সাথে আপনার জার্নির অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। 💕
আগের পোস্ট করেছিলাম চা খাওয়া নিয়ে আপনার আনন্দ যেভাবে শেয়ার করেছিলেন, তাতে আমাদের বেশ ভালো লেগেছিল। এবং এটা ভেবে ভালো লাগছে সত্যি যে একই জায়গায় গিয়ে একইভাবে বৃষ্টি আরম্ভ হলো। আবারও চা খাওয়ার সুযোগ হল সত্যিই আনন্দ কম নয়। আরেকটা কথা আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন দাদা আপনার সমস্যার সেরে উঠুক।