গরিবের কক্সবাজার থেকে ঘুরে এলাম।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আজকে আপনাদের নিয়ে যাব গরিবের কক্সবাজারে। ঘুরাঘুরিতে পটু রাহুল কতদিন আমাকে বলল ভাই একটা নতুন জায়গা খুঁজে পাইছি, আপনি যশোর থেকে ব্যাক করলে সেখানে যাব। এইতো গতকাল সেখান থেকেই ঘুরে আসলাম। এক কথায় অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। যখন গিয়েছিলাম তখন গোসল করার প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছিলাম।
এটা আসলে মেইন পদ্মা থেকে জেগে ওঠা চর। বালি ভূমির দারুন একটা সৌন্দর্য সেখানে। সেখানে গিয়ে দুপুরে গোসল করে ফিরব বলে মনস্থির করেছিলাম। যশোর সাথে করে এক্সট্রা কাপড়, তোয়ালে শ্যাম্পু সবকিছুই নিয়ে গেছিলাম। জায়গাটা আমাদের এখান থেকে ৭-৮ কিলো হবে। এই জায়গাটাতে আগে আমার কখনোই যাওয়া হয়নি। আমরা ছয় জন গিয়েছিলাম দুইটা বাইক নিয়ে। যখন ওই জায়গাটাতে পৌছালাম তখন সৌন্দর্য দেখে আমি একেবারে মুগ্ধ হয়ে যাই।
মনে হচ্ছে কোন একটা দ্বীপের মধ্যে আছি। মনে হচ্ছে কক্সবাজার আছি, শুধুমাত্র ঢেউটাই নেই। প্রথমেই নদীর পাশ দিয়ে শক্ত বালুর উপর দিয়ে অনেক খানিক বাইক চালাইলাম। এরপর আস্তে আস্তে জেগে ওঠা বড় আকৃতির বালুর চরের উপর যেতে লাগলাম। পানি দেখে মনে হবে একেবারে স্থির, কিন্তু না। পানিতে স্রোত আছে। যেখানে পা দিয়ে দাড়াচ্ছিলাম সেখানকার বালি আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছিল আর পা নিচে দেবে যাচ্ছিল। এ ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগতেছিলো।
ছোট ছোট গর্ত আছে সেখানে পানি জমে আছে, কিন্তু এরকম গর্ত গুলো পার দেয়ার পরেই মেইন নদীর ধারা দেখা যায়। আস্তে আস্তে আমরা সেখানে হেঁটে চলে গেলাম।
সেখানে গিয়ে মারাত্মক সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। আমাদের বাড়ির এত কাছেই এত সুন্দর একটি জায়গা অথচ কখনো আসা হয়নি। যাইহোক অনেকক্ষণ এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি করার পর আমার বাংলা ব্লগের নামটা এই সদ্য জেগে ওঠা চরের বুকে লিখে দিলাম।
নদীতে ছোট ছোট ঢেউ ছিল। পানি ছিল একেবারে স্বচ্ছ। পানি দেখেই মন চাচ্ছিল ঝাঁপিয়ে পড়ি। যেখানে অল্প পানি সেখানে পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিক ছিল। একটু গভীর পানিতে গেলেই প্রচন্ড ঠান্ডা পানি অনুভব করছিলাম। ঠান্ডা পানি হওয়ার সত্বেও এতটা স্বচ্ছ পানি দেখে গোসল করার লোভ সামলাতে পারিনি।
বেশ খানিকটা সময়ে পার করে গোসলের জন্য নেমে পড়লাম পানিতে। সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলাম শ্যাম্পু, কন্ডিশনার। জানতাম এখানে গোসল করলে প্রচুর বালি ঢুকবে চুলে। গোসল শেষ করে ওখানকার বাতাসে ব্যাপক ঠান্ডা লাগা শুরু হলো। বাতাসে যেন গা না শুকায় এই জন্য দ্রুতই গা মুছে ফেললাম। এরপর রোদে দাঁড়িয়ে থাকলাম অনেকক্ষণ।
গোসল শেষ করে আস্তে ধীরে পাড়ে চলে আসলাম। পাড়ে কয়েকটা নৌকা রাখা ছিল, সেখানে বসে কিছুক্ষণ সৌন্দর্যটা দূর থেকে উপভোগ করলাম। কি অপূর্ব!!
এরপর বাইক নিয়ে আসতে শুরু করলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। একটা অদ্ভুত ব্যাপার ঘটেছে আমাদের সাথে। ওখানে একটা কুকুর ছিল, সেই কুকুরটা আমাদের পিছু ছাড়ছিলই না। সেই নদীর ঐখান থেকে শুরু করে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এসে আমাদের সাথ ত্যাগ করে। দূরত্বটা ছিল অনেক বেশি। আমি অবাক হচ্ছিলাম যখন বাইক আমি জোরে টানতেছিলাম তখনও সে প্রচন্ড প্রচন্ড জোরে আমাদের পিছে পিছে দৌড়াচ্ছিল। আমি ইচ্ছে করে যেখানে বাইক দাঁড় করাচ্ছিলাম, কুকুরটিও সেখানে এসে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল।
ভেবেছিলাম সামনে একটা দোকান পেলে ওর জন্য একটা কিছু কিনে দিবো। যখন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঢুকে গেলাম তখন আরো মানুষজন দেখে আমাদের সাথ ত্যাগ করে চলে গেল। যাইহোক, আমরাও তখন ধীরে ধীরে বাড়ির দিকে চলে আসলাম।
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
গরিবের কক্সবাজার বলে ভুল করেননি মামু, সেদিন মডারেশন প্যানেলেও আপনি কিছু ছবি দিয়েছিলেন যা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। আমি কখনোই এই পদ্মার পারে যায়নি। তবে ছবিগুলো দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর হবে, তবে কখনো যদি যাওয়া হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে সাথে নেব।
একদিন এসে ঘুরে যাও। এখন অনেক সুন্দর লাগে পদ্মার চর।
পুরো বিষয়টা অনেক মিস করেছি। এভাবে একা একা যাওয়া ঠিক না। জায়গাটা আসলেই অনেক সুন্দর আমি অনেকবার গিয়েছি এই জায়গাটাতে। পদ্মা নদীতে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে আমাদের। বিশেষ করে নদীতে গোসল করার মুহূর্তগুলো এখনো মনে পরে ।
তোমাকে সব জায়গাতেই মিস করি। আজকেও মিস করছি।
ভাইয়া আপনার গরীবের কক্সবাজার তো দেখছি বড় লোকের কক্সবাজারের থেকেও অনেক সুন্দর। নদীর বুকের চড় আর নদীর স্রোত দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আবার নাকি সেখানে সাবান আর শ্যাম্পু দিয়ে গোসলও সেড়েছেন। তবে একটি কথা আমি ভাবী যে আমরা মানুষগুলো ভুল করলেও কিন্তু কুকুরগুলো মানুষ চিনতে ভুল করে না। আর তাই তো তারা সেই মানুষটিকে ছায়া দিয়ে আগলে রাখতে চায়। কখনও সুযোগ পেলে আপনার গরীবের কক্সবাজারে ঘুরে আসবো।
গোসল করে ঠান্ডা লাগিয়ে ফেলেছি।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি স্পট নিয়ে পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে ভাই গরিবের কক্সবাজার থেকে ঘুরে আপনি হয়তো বেশ ভালো ফিল করছেন। সেখানে গিয়ে দুপুরবেলায় গোসল করেছিলেন জানতে পারলাম আপনের পোষ্টের মাধ্যমে। বাংলা ব্লগের নাম নদীর বুকে খোদাই করে বেশ দারুণভাবে লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই ভাইয়া জায়গাটি বেশ সুন্দর ছিল। বালির মধ্যে হাঁটাহাঁটি করতে অনেক বেশি ভালো লাগছিল। গোসল করার মুহূর্তটা বেশ দারুন পার করেছি শীত লাগছিল প্রচুর। সব মিলিয়ে মুহূর্তটা অনেক ভালো কাটিয়েছিলাম
হুম দারুন।
দারুণ একটা শিরোনাম দিয়েছেন গরীবের কক্সবাজার। ছবি গুলো দেখে ও আপনার বর্ননা পড়ে মনে হচ্ছে জায়গাটি বেশ সুন্দর। আপনারা বেশ ইনজয় করেছেন বোঝা যাচ্ছে। আপনাদের পাহারায় যে কুকুরটি ছিল বেশ অদ্ভূত লেগেছে। সারাক্ষণেই সাথে ছিল আপনাদের! ছবি গুলো অনেক জীবন্ত। লেখাটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ওয়াও! ভাই জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। এমন জায়গায় গিয়ে সময় কাটাতে সবারই ভালো লাগবে। এমন স্বচ্ছ পানি দেখলে তো পানিতে ঝাপিয়ে পড়ে গোসল করতে ইচ্ছে করবেই। শুধু ঢেউ থাকলে মনে হতো একেবারে কক্সবাজার। বালির মধ্যে আমাদের কমিউনিটির নাম লিখেছেন, এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। কুকুরটা বডিগার্ড হিসেবে আপনাদের সাথে সাথে অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছিল। যাইহোক পোস্টটি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। এতো মনোমুগ্ধকর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
বালির বুকে আমার বাংলা ব্লগ লিখেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। এত সুন্দর জায়গায় গিয়েছেন দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। অনেক সময় আমাদের এলাকার অনেক জায়গাতেই হয়তো যাওয়া হয় না। কিন্তু হঠাৎ করে এই জায়গাগুলোতে গেলে অনেক ভালো লাগে। আর কুকুরটিকে দেখে মনে হচ্ছে সেও আপনাদের সাথে বাসায় যেতে চেয়েছিল।
কুকুরটি সেখানে একদম লোকজন না দেখে হয়তো আমাদের পিছু পিছু এসেছিল।
গরিবের কক্সবাজার,নামটি শুনে কেমন কেমন লাগলো দাদা।তারপর আপনার পোষ্ট পড়ে বেশ মজা পেলুন।তবে আমারশব্দটি বাদ পড়ে গিয়েছে লেখা।আবার অনেক সময় চোরাই বালির ঝুঁকি থাকে দাদা তাই যেখানে সেখানে বালু চরে পা দিবেন না।সুন্দর জায়গার ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো।যাইহোক কুকুরটি কিউট ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের এইখানে তেমন চোরাবালির ভয় নেই আপু। তবে এখানকার বালি কিছুটা নরম প্রকৃতির। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে পায়ের নিচে থেকে হালকা হালকা করে বালি সরে যেতে থাকে।