ফলোআপের জন্য আব্বুকে নিয়ে ইউনাইটেডে।
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। গত এক বছর আগে শীতের মধ্যেই আমি আপনাদের সাথে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। তখন আমার আব্বুর হার্টে রিং পরানো হয়েছিল। রিং পরানোর পর ডাক্তার বলেছিল ১ মাস পর ডক্টরের সাথে আবার দেখা করতে। ডাক্তারের কথা মত ১ মাস পর গিয়েছিলাম আব্বুকে নিয়ে। এরপর নেক্সট ফলোআপ ডেট ছিল ছয় মাস পর। ছয় মাস পর যাওয়ার পর আবারও ছয় মাস পর পরবর্তী ফলোআপ ডেট ছিলো। সেটাই গত ১৯ তারিখে দেখিয়ে আসলাম আবার।
ডাক্তারের কাছে আসার আগে অনেকগুলো টেস্ট করে আনতে বলেছিল। টেস্টগুলো করিয়ে রিপোর্টগুলো হাতে নিয়ে আব্বু এসেছিল গত ১৮ তারিখে আমার বাসায়। ১৯ তারিখ সকালে ছিল ডক্টর দেখানোর টাইম। আমরা সকাল আটটার দিকেই বেরিয়ে পড়েছিলাম হাসপাতালে উদ্দেশ্যে। যাওয়ার সাথে সাথেই ডক্টর দেখাতে পেরেছিলাম। আমি প্রচন্ড রকমের দুশ্চিন্তায় ছিলাম ডাক্তার দেখানোর আগে।
যখন আব্বুর রিং পড়ানো হয়েছিল তখন এনজিওগ্রাম রিপোর্টে দেখেছিলাম আব্বুর হার্টে আরো অনেকগুলো ব্লক রয়েছে । সেগুলো ছিল সিক্সটি %, ফিফটি % টোয়েন্টি % এরকম। আমি ভয়েছিলাম ৫০-৬০% এর ব্লকটা ৭০ পার্সেন্ট আপ হয়ে গেছে কিনা। এটা যদি ৭০% এর বেশি বেড়ে যায় তাহলে আবারো রিং করাতে হবে আর একটা।
সদ্য টেস্ট করে আনা রিপোর্ট গুলো দেখে ডক্টর বলল কিছু ওষুধ চেঞ্জ করতে হবে। গুড কোয়ালিটি ব্লাড পাম্প হচ্ছে না। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই। এ দুটো জিনিস আগে ঠিক করতে হবে। ডক্টর এবার আর এনজিওগ্রাম করাতে বললেন না। আব্বু খুবই ভীত ছিল এনজিওগ্রাম করা নিয়ে। কিছুদিন আগে আমার মেজ কাকু মারা গিয়েছে এনজিওগ্রাম করে রিং পরানোর পর। ওর পর থেকে আব্বু খুবই ভেঙে পরেছেন।
এনজিওগ্রাম করাতে হবে না এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। মূলত এনজিওগ্রামের রুমে যেতেই আব্বু ভয় পেত। যাইহোক তবে ডাক্তার নেক্সট ফলো আপে আসার সময় গতবার করা এনজিওগ্রাম এর ডিস্ক আনতে বলেছেন। সেদিন যে ওষুধগুলো লিখে দিলেন সে ওষুধ গুলো খেয়ে যদি বুকের মধ্যে ব্যথা না কমে তাহলে নেক্সট ৬ মাস পরে রেগুলার ফলোআপ সিডিউলে আসতে হবে। কিন্তু ওষুধগুলো খেয়ে যদি তবুও জোরে হাঁটার সময় বুকের মধ্যে ব্যথা করে তাহলে একমাস পরে আবার আসতে হবে।
যাই হোক, ডাক্তার দেখিয়ে আমরা চলে আসলাম নিচে। আমার খালু এসেছিল দেখা করতে। আব্বু আর খালু হাসপাতালের ক্যান্টিনে বসে কফি খাচ্ছিলেন। আমি আর বন্ধু পাপ্পু ও এক সাইডে গিয়ে দুটো কফি নিলাম। হসপিটালের আশেপাশের পরিবেশটা মারাত্মক সুন্দর। একদম নিরিবিলি লেকের পাশেই ছিল এই ক্যান্টিন টি। যাইহোক, যা কিছু প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লিখেছিল সেগুলো নিয়ে আমরা বাসার দিকে রওনা দিলাম। একটু প্রশান্তি কাজ করছে এখন।
এখন ওষুধগুলো খাওয়ার পরে যদি বুকে ব্যথা আর না করে তাহলে নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে। দেখা যাক এক মাস পরে কি হয়। আল্লাহ তাআলা, পৃথিবীর সকল বাবা মাকে সুস্থ রাখুন। আমিন। আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
যতটুকু জানি এনজিওগ্রাম করাতে নাকি কমবেশি সবাই খুব ভয় পায়। তবে আঙ্কেল একটু বেশি ভয় পেয়েছে,কারণ আপনার কাকু তো কিছুদিন আগে মারা গিয়েছে এনজিওগ্রাম করে রিং পরানোর পর। আশা করি ঔষধ খাওয়ার পর আঙ্কেলের বুকের ব্যথা কমবে। ইউনাইটেড হসপিটালের আশেপাশের পরিবেশটা আসলেই খুব সুন্দর। যাইহোক আঙ্কেলের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।