মাস্টারমাইন্ড - মুভি রিভিউ।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

হ্যালো বন্ধুরা

কি অবস্থা সবার? শীত শেষ , গরম প্রায় চলে এসেছে। সময়টা এখন নাতিশীতোষ্ণ। অনেকেরই পছন্দের সময় এটি। আমারও ভালই লাগে। যাইহোক, আমি আজকে একটি মুভি রিভিউ করতে যাচ্ছি। এটি একটি কমেডি মুভি। শুরু হতে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। ভালো লাগবে আশা করি।

Masterminds_(2016_film).png
Poster Collected From wikipedia

মুভি সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ-

নাম: মাস্টারমাইন্ড
পরিচালক: জারেড হেস
প্রযোজক: জন গোল্ডউইন, লর্ন মাইকেলস
মুক্তি: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (যুক্তরাষ্ট্র)
ভাষা: ইংরেজি
নির্মাণব্যয়: $২৫ মিলিয়ন
আয়: $২৯.৭ মিলিয়ন

তথ্যগুলো উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে

কাস্ট-

নংবাস্তব নামচরিত্রে
জ্যাক গ্যালিফিয়ানাকিসডেভিড
ক্রিস্টেন উইগকেলি
জেসন সুডেকিসমাইক
কেট ম্যাককিননজেন্ডিস
লেসলি জোন্সএফ.বি.আই এজেন্ট
রোস কিম্বালইরিক

প্লট/ স্টোরিলাইনঃ-

প্রথমেই বলে রাখি এটি বাস্তব একটি কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা। সিনেমার প্রথমেই আমরা সিনেমার প্রধান চরিত্রকে দেখতে পাই। তার নাম হলো ডেভিড। ডেভিড একটা কোম্পানিতে চাকরি করতো। তাদের কাজ ছিল বিভিন্ন এটিএম মেশিনে টাকা ঢুকানো। কিন্তু আমরা বুঝতে পারি ডেভিডের এই কাজ পছন্দ না। সে অনেকটা অতিষ্ঠ হয়ে গেছে এই একই কাজ করতে করতে। এজন্য ডেভিড তার কল্পনার জগতে হারিয়ে যায় আর ইচ্ছামত কল্পনা করতে থাকে। এরপরই আমরা দেখতে পাই ওই কোম্পানিতে নতুন একটি মেয়ে জব পেয়েছে। তার নাম হচ্ছে কেলি। আর কেলিকে ডেভিডের সাথেই দেয়া হয়েছে। ডেভিড যেখানে যায় কেলিকে সঙ্গে নিয়ে যায়। অর্থাৎ দুজন একই সাথে কাজ করছে।

একদিন কেলি আর ডেভিড একসাথে বন্দুক সুট প্রাক্টিস করছিলো। কারণ তাদের যেহেতু সিকিউরিটির জব তাই তাদের এটি প্রাকটিস করতে হয়। হঠাৎ ডেভিডের ফোনে জেন্ডিস নামের একটি মেয়ের ফোন আসে। তার সাথে ডেভিডের বিয়ে হবার কথা চলছিল । জেন্ডিসের ফোন পেয়ে ডেভিড জেন্ডিসের বাড়িতে যায় এবং দুইজন প্রচুর প্রচুর ফটোশুট করে। তাদের ফটোশুট গুলো যখন আপনি মুভিতে দেখবেন তখন সত্যি হাসি আটকে রাখতে পারবেন না। আমার প্রচন্ড হাসি পেয়েছিল। খুবই ফানি দৃশ্য ছিল। তাদের অঙ্গভঙ্গি ছিল খুবই মজার। এরপর দৃশ্যের পরিবর্তন হয় এবং আমরা দেখতে পাই পরেরদিন ডেভিড আর কেলি একসাথে অফিসে রয়েছে। আর কেলি ডেভিড কে বলে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেকআপ হয়ে গেছে। তখন ডেভিড কেলির প্রতি আকৃষ্ট হয়। ডেভিড তখন চেষ্টা করে কেলিকে ইমপ্রেস করতে। আসলে কেলির প্রেমে পড়ে গিয়েছিল ডেভিড। হঠাৎ আমরা দেখতে পাই ডেভিড আর কেলির বস তাদের রুমে চলে আসে। আর কেলিকে একটি কাজে যেতে বলে। তখন কেলি তার বসের সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করে। বসের সাথে এমন খারাপ ব্যবহার করার কারণে কেলিকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়। ডেভিড কেলির চলে যাওয়ার সময় কেলির কাছ থেকে ফোন নাম্বারটা চেয়ে রাখে। কেলি ও ফোন নম্বর টা দিয়ে যায়।

এর পরের দৃশ্যে আমরা দেখতে পাই কেলি তার বন্ধুবান্ধবের সাথে বসে টিভি দেখছে। তার বন্ধু ছিল একজন চোর। তারা যখন টিভিতে নিউজ দেখছিল তখন একটা নিউজ তারা দেখতে পায় কোন এক জায়গায় ব্যাংকে ডাকাতি হয়েছে। এটি দেখে কেলির বন্ধুর মাথায় খারাপ চিন্তা আসে। কেলির বন্ধু কেলিকে অফার দেয় সে যেহেতু একটি কোম্পানিতে চাকরি করত সেখানে তারা লুট করবে। কারণ সেখানকার সবকিছুই জানে কেলি। প্রথমে কেলি রাজি হয়না। কিন্তু টাকার লোভ দেখালে শেষমেষ রাজি হয়ে যায়। কিন্তু সমস্যা হল কেলি ওই কোম্পানি থেকে তো চলে এসেছে। তখন কেলির বন্ধু কেলিকে বলে যে ওই কোম্পানিতে তোমার কোন পরিচিত আছে কিনা? তখন কেলি ডেভিডের কথা বলে। আর এভাবেই তাদের অপারেশনের পরিকল্পনা শুরু করতে থাকে।

পরেরদিন কেলি ডেভিডের সাথে দেখা করে এবং ডেভিডকে চুরির অফার দেয়। ডেভিডকে অনেক টাকার লোভ দেখায় আর বলে যে ভবিষ্যতে কোন সমস্যা হওয়ার আগেই ডেভিডকে মেক্সিকোতে পাঠিয়ে দেবে। তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না। আর সেখানে ডেভিড গিয়ে আরাম আয়েশে দিন যাপন করতে পারবে। এগুলো শুনে ডেভিড রাজি হয়ে যায়। কারণ ডেভিডের জীবনে কোনো আনন্দ ছিলনা। কোন রোমান্স ছিল না। বোরিং লাইফ কাটাতো ডেভিড। এজন্য ডেভিড সেগুলোর লোভে পড়ে রাজি হয়ে যায়।

এদিকে ডেভিডের এঙ্গেজমেন্টের সময় চলে এসেছে। ডেভিড ওর হবু স্ত্রীর সাথে এঙ্গেজমেন্টের অনুষ্ঠানে ছিল। ঠিক সেইসময় কেলি ডেভিড কে ফোন দেয়। আর বলে যে তুমি যদি এই চুরিটা আমাদের সাথে করো তাহলে আমিও তোমার সাথে মেক্সিকো যাব এবং আমরা দুইজন ওখানে বসবাস করবো। আমরা অনেক আনন্দে থাকতে পারবো। এটা শুনে ডেভিড অনেক খুশি হয় আর ওর এঙ্গেজমেন্ট ক্যানসেল করে দিয়ে চলে আসে। এরপর ডেভিড আর কেলি দুজন প্র্যাকটিস করতে থাকে যে কীভাবে তারা চুরিটা করবে। তারা পরিকল্পনা সম্পূর্ণ সেটআপ করে ফেলে। এরপর কাঙ্খিত দিনে ডেভিড চলে যায় ওদের কোম্পানিতে। যেহেতু ডেভিড ওই কোম্পানিতে জব করতো তাই কেউ তাকে সন্দেহ করে নাই। ডেভিড তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী লকার পর্যন্ত চলে যায়। এরপর লকার খুলে সমস্ত টাকাগুলো গাড়িতে ভরে ফেলে। এরপর সমস্ত সিসিটিভি আর রেকর্ডস মেমোরি গুলো ভেঙে গাড়ি নিয়ে ডেভিড বাইরে চলে আসে। বাইরে কেলি আর তার বন্ধুরা ডেভিডের জন্য অপেক্ষা করছিল। এরপর তারা সবাই একসাথে নিরাপদ জায়গায় চলে যায়। এরপর তারা গাড়িটি খুলে টাকা গুলো দেখে সবাই অবাক হয়ে যায়। কারন তারা এত টাকা একসাথে কখনো দেখেনি।

টাকা চুরির পর্ব শেষ। এখন ডেভিডের মেক্সিকোতে যাওয়ার পালা। কেলি কি ডেবিট কে ম্যাক্সিকোতে পাঠাবে? কেলি কি সত্যিই ডেভিডের সাথে যাবে? নাকি ডেভিডের সাথে প্রতারণা করবে? মুভিটির কাহিনী নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে। বিশেষ আকর্ষণ রেখে আমি প্রথম পর্ব এখানেই শেষ করছি। দ্বিতীয় পর্বে মুভিটির বাকি অংশ আপনাদের সাথে আলোচনা করব। সে পর্যন্ত অবশ্যই চোখ রাখুন আমার ওয়ালে। ভাল থাকবেন সবাই, সুস্থ থাকবেন। নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।

মুভি ট্রেইলারঃ-



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 
ভাই কিছু কিছু মুভি আমার অনেক ভালো লাগে এর মধ্যে ব্যাংক ডাকাতির মুভি একটি। এছাড়াও টাইম ট্রেভিলিং মুভি, হ্যাকিং মুভি এই টাইপের মুভিগুলো অনেক পছন্দ করি। এই মুভিটার প্রথম পার্ট পড়েই আকর্ষন কাজ করছে। বেচারা ডেভিট যে তার বিয়ে বাদ দিয়ে কেলির সাথে যুগ দিলো কি হয় এই নিয়ে টেনশনে আছি।
যে ব্যংক ডাকাতি করবে সে ব্যাংকে কেলি যেহেতু আগে জব করছে তাহলে সফল হবে আশা করি, হাহাহা [খারাপ কাজে সফল হলেও বিপদ পিছু ছাড়ে না।]
 2 years ago 

এই মুভিটির দ্বিতীয় পর্ব রিভিউ দেয়া শেষ হলে আমি আরও একটি ব্যাংক ডাকাতির মুভি রিভিউ দেয়ার চেষ্টা করব। সেটা অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং হবে । ধন্যবাদ।

 2 years ago 

অবশ্যই ভাই, অপেক্ষায় রইলাম। ❤️❤️

 2 years ago 

আজ ভেবেছিলাম রাত্রে একটি মুভি দেখব কিন্তু কোন মুভি দেখব খুঁজে পাচ্ছিলাম না আপনার মুভি রিভিউ এবং ট্রেইলারটি দেখে মনে হচ্ছে এই মুভিটি দেখতেই হয়। মুভির কাহিনী আমার কাছে মোটামুটি ভালোই লেগেছে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর একটি মুভি রিভিউ দেয়ার জন্য।

 2 years ago 

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই রিভিউ টি পড়ার জন্য।

এই মুভিটি আমি দেখিনি তবে আপনার গল্প শুনে মনে হচ্ছে মুভিতে অনেক সুন্দর হবেন। যদিও এই ধরনের সিনেমা সচরাচর দেখি না আমি তবে আপনার এই গল্প শোনার পর মুভি দেখার খুব ইচ্ছে হচ্ছে। ধন্যবাদ আমাকে এত সুন্দর একটি মুভি গল্পর শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

বাস্তব চরিত্রে বানানো মুভি গুলা সব থেকে বেশি ইন্টারেস্টিং হয়ে থাকে।

ইংরেজি মুভি গুলোর তুলনা হয়না।গল্প টা অনেক দারুন লাগলো এমনিতে আমি অনেক ইংলিস মুভি দেখি এটাও দেখে ফেলবো খুব দ্রুত দারুন একটি মুভি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।অনেক সুন্দর ছিল ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 66903.90
ETH 3098.58
USDT 1.00
SBD 3.67