ভরদুপুরে ভুট্টা তুলতে যাওয়া।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। এবারের রোজার প্রথমদিকের পরিবেশ ছিলো খুবই আরামদায়ক। শেষের দিকে এসে রোদের প্রকোপ ছিলো অনেক বেশি আর গরম ছিলো বেশ। তবে ২৭ রোজার পরের থেকে আবার গরমের প্রকোপ টা কমেছিল অনেকটাই। রোদের কারণে তেমন একটা বাড়ি থেকে বের হওয়া হয়নি। সেদিন সকাল থেকে একটু মেঘলা ছিলো আকাশটা। এজন্য মনে হলো আজ একটু বেরনো যেতে পারে।
বের হওয়ার পর দেখি হালকা রোদ বেরিয়েছে । তবুও আমি আর আমার সাথে আরো দুইজন ছিলো, একসাথে চলে গেলাম চরে। রোদ ছিলো মোটামুটি কিন্তু বাতাসটা ছিলো ঠান্ডা। চরের মাঝখানে গিয়ে দারুণ ঠান্ডা বাতাস পাচ্ছিলাম। আমরা একটি ছাঁয়া দেখে দাঁড়াইলাম। ওখানে একটি বরই গাছ ছিলো। জায়গাটা খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে। মনে হচ্ছিল একটা পাটি নিয়ে আসলে এখানে শুয়ে থাকা যেত।
আমরা যে জায়গাটাতে দাঁড়িয়েছিলাম বর্ষার সময় এই জায়গাটাতে পানি উঠে আসে। শুনেছি এই জায়গাতে নাকি প্রচুর সাপের আনাগোনা দেখা যায় তখন। বিশেষ করে আখের জড় এবং উঁচু গাছগুলোতে। যাইহোক অনেকক্ষণ আমরা সেখানে দাঁড়ালাম। এরপর আমরা চিন্তা করলাম ভুট্টা ক্ষেতে গিয়ে কিছু ভুট্টা তুলে আনব। আমার সাথে যে ছিলো ওদের চাচার জমি ছিলো। সেখানেই যাওয়ার প্ল্যান করেছিলাম। চরের পরিবেশটা এই সময় বেশ ভালোই লাগছিল। সবুজ ধান ক্ষেতের সজীবতা চারিদিকে ছড়ানো।
কিছু দূর যেতেই ভুট্টা ক্ষেত পেয়ে গেলাম। ওদের জমিতে প্রচুর ফলন দিয়েছে দেখলাম এবার। ভুট্টা গুলো পেকে গেছে সব। এখন তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য পারফেক্ট সময়। এই জমিতে যে ভুট্টা গুলো চাষ করেছে সবই গরু খাওয়ানোর জন্য চাষ করা। ওদের প্রচুর গরু আছে আর গরুর খাওয়ানোর জন্য প্রচুর খরচ করতে হয়। ভুট্টা নাকি গরু খাওয়ানোর জন্য খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। এক কথায় ভুট্টা চাষ করে নিজের গোহালের গরুর খাওয়ানোটা একটা লাভ প্রজেক্ট।
আমরা দুই তিনটা ভুট্টা ছেড়েছিলাম। এগুলো রাত্রে পুরিয়ে খাব এমনটাই ইচ্ছা ছিলো। এবার ভুট্টা গুলো তুলে সোজা বাড়ির দিকে চলে আসতে শুরু করলাম। চরের সৌন্দর্য আসলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম। শীতের সময় আসলে যে সৌন্দর্যটা দেখা যায় এই সময় আসলে সম্পূর্ণ ভিন্নরকম। বর্ষার সময় আসলে আবার একেবারেই অচেনা। এজন্যই মাঝে মধ্যে সময় পেলে এ দিকে ঘুরতে চলে আসি। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে শীতের সময়ের চর।
শীতের সময় সরিষা ফুলে ছেয়ে থাকে মাঠকে মাঠ। কোথাও কোথাও আবার আখ মারাইয়ের কর্মব্যস্ততা চলে। খেসারির ফুল ফোটে কোথাও কোথাও। কোন কৃষক আবার তার জমিতে বিভিন্ন রকমের শীতকালীন সবজি চাষ করে, সেগুলোও বেশ সুন্দর লাগে দেখতে। যেদিকেই তাকানো যায় একটা ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্যের ছবি দৃষ্টিতে ধরা পড়ে। শীতের সকালে আবার ধোঁয়াটে কুয়াচ্ছন্ন চর ভীষণ ভালো লাগার অনুভূতি জায়গায়। যাইহোক প্রত্যেকটা সময়ই কিছু না কিছু সৌন্দর্য নিয়েই সেজে ওঠে নদী সংলগ্ন চরের জমিগুলি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে ভরদুপুরে মাঠে ভোট্টা তুলতে যাওয়া সত্যি বেশ কষ্টের ব্যাপার। মাঠে গিয়ে বেশ কয়েকটি ভুট্টা তুলেছিলেন আপনারা রাতে পুড়িয়ে খাওয়ার জন্য জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আসলে ভাই আমরাও নিজেরা গরুকে খাওয়ানোর জন্য ভুট্টা চাষ করে থাকি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভোর দুপুরে ভোটটা তুলতে যাওয়ার অনুভূতি। আসলে ভাইয়া এখন ভোটটার সময় আর এই ভুট্টা গুলো যদি ভেজে খাওয়া হয় তাহলে বেশ খেতে খুব ভালো লাগে। ভরদুপুর আপনারা গেলেন এবং খুব সুন্দর কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সেখান থেকে দুই থেকে তিনটা ভুট্টা ছাড়লেন দেখতে তো বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভুট্টা পুড়িয়ে খাওয়া হয়না অনেক দিন হলো। আজকে আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে জানতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো। রাতের বেলায় পুড়িয়ে খেলে মজা লাগবে। চরের পরিবেশ আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ইদানীং শুনছি যাদের গরুর খামার রয়েছে, তাদের অনেকেই নাকি ভুট্টা চাষ করে থাকে গরুকে খাওয়ানোর জন্য। ভুট্টা চাষ নিঃসন্দেহে লাভজনক একটি প্রজেক্ট। ভুট্টা পুড়িয়ে খেতে দারুণ লাগে। তাছাড়া ভাপ দিয়ে সিদ্ধ করে ভুট্টা খেতেও খুবই সুস্বাদু লাগে। চরে অনেক বছর আগে একবার ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। বেশ ভালোই লেগেছিল ঘুরে। যাইহোক ভুট্টা ক্ষেতের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। তাছাড়া শেষের ফটোগ্রাফিটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া, দুপুরবেলায় মাঠে গিয়ে ভুট্টা তোলা সম্পর্কে চমৎকার একটি পোস্ট লিখে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এরকম ভুট্টা আগুনে পুড়িয়ে খেতে বেশ ভালো লাগে। একই সাথে এভাবে ভুট্টা পুড়িয়ে খাওয়ার সাথে সাথে সেই ছোটবেলার কথাগুলোও বেশ মনে পড়ে।
এটা ঠিক বলেছেন ২৭ রোজার পর থেকেই আমাদের এখানেও বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া ছিলো। যাইহোক একটু ঠান্ডায় আবহাওয়া পেয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন চরের দিকে জেনে ভালো লাগলো। তো ঘুরতে ঘুরতে আপনারা সিদ্ধান্ত নিলেন যে ভুট্টা তুলে আনতে যাবেন এবং সেই সিদ্ধান্ত থেকেই আপনার সাথে থাকা একজনের চাচার ভুট্টার ক্ষেত এ গিয়ে কয়েকটা ভুট্টা তুলে এনেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সব মিলিয়ে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গরু খাওয়ানোর জন্য ভূট্টা চাষ। ব্যাপার টা বেশ ইন্টারেস্টিং তো। ভূট্টা পুড়িয়ে খেতে বেশ ভালো লাগে। তবে এজন্য একেবারে নরম এবং ফ্রেশ ভূট্টা হলে ভালো হয়। রোদ কম থাকাই এবং পর্যাপ্ত বাতাস থাকাই আপনি ঐসময়ে চরে যেতে পেরেছেন। না হলে আপনার অবস্থা বেহাল হয়ে যেত হা হা। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর ছিল ভাই।
আকাশটা একটু মেঘলা ছিল সেজন্য আপনি বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন ভুট্টা তোলার উদ্দেশ্যে ।আপনারা তিন চারটা ভুট্টা তুলেছিলেন ভাইয়া ,রাত্রে পুড়িয়ে খাবেন বলে । আসলেই ভুট্টা পোড়ানো খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে ভাইয়া ।যখন ভুট্টার সময় হয় তখন আমরাও অনেক ভুট্টা তুলে ভেজে এবং পুড়িয়ে খাই। ধন্যবাদ ভরদুপুরে ভুট্টা তুলতে যাওয়ার কিছু সময় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
সত্যিই,বেশ গরম পড়ছে।আর ভুট্টাগুলি তো দারুণ হয়েছে।তাছাড়া দুপুরে প্রকৃতির মাঝে ফুরফুরে হাওয়ায় ঘুম চলে আসে।ছোটবেলায় এটা খুবই খাওয়া হতো পুড়িয়ে কিন্তু অনেকদিন যাবত খাওয়া হয় না।ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি পড়ে,ধন্যবাদ দাদা।