সাইকেল চালানো শেখার দিনগুলি।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি প্রত্যেকেই অনেক ভালো আছেন। আমি আজকে আমার ছোটবেলার একটা ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমাদের জীবনে প্রয়োজন লাগুক আর না লাগুক কিছু জিনিস শিখে রাখা খুবই জরুরী। তন্মধ্যে সাইকেল চালানো আর সাঁতার শেখা উল্লেখযোগ্য।
তখন সম্ভবত আমি ক্লাস থ্রিতে পড়ি। তখন স্কুলে যেতাম দল বেঁধে পায়ে হেঁটে। আর ওই সময় আমাদের একটা চায়না ফনিক্স সাইকেল ছিলো। ওটা আমাদের বিভিন্ন কাজে লাগতো। আব্বু সাধারণত অফিসে যেত পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করেই। যাইহোক ওই সময় সাইকেল চালানো শেখার প্রতি আমার বিশাল আগ্রহ তৈরি হয়। প্রথমে আমি কারো কাছ থেকেই সাইকেল চালানো শিখিনি। আমি নিজে নিজেই এক প্যাডেলের উপর পা দিয়ে আরেক পায়ের সাহায্যে মাটিতে পা রেখে জোরছে ধাক্কা দিয়ে কিছুদূর চলে যেতাম। আর এটাই করে বেড়াতাম সবসময়।
ওই সময় আমার মনে হতো আমি যেদিন সাইকেল চালানো পুরোপুরি শিখতে পারবে সেদিন থেকে সারাদিন সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াবো। যাহোক দীর্ঘদিন যাবত এক প্যাডেলের পা দিয়ে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতাম। এরপর আস্তে আস্তে শুরু হয় উপরে উঠে সাইকেল চালানো শেখার চেষ্টা। সাইকেল নিয়ে যখন রাস্তায় বেরিয়ে পড়তাম তখন কেউ একজন সাইকেলের পিছনে ধরে রাখত আর আমি চালাতাম। সাইকেল নিয়ে কোথাও দাঁড়ানোর প্রয়োজন হলে আমার পা তো নিচ পর্যন্ত পৌঁছাতো না, এজন্য লাফ দিয়ে নামতাম। আর এটার জন্য একটু সমস্যা হতো। আছার খেতাম বারবার।
একদিনের ঘটনা আমার মনে আছে, তখন আমাদের বাড়িতে অনেক ব্যস্ততা। আখ কাটতে শুরু করেছে আমাদের মাঠে। বাড়িতেও অনেক কাজ ছিলো। বাড়ির কিছু কাজে সাহায্য করে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম আমাদের রাস্তায়। সেদিনই মনে হয় প্রথম ছিল যেদিন আমি উপরে সাইকেল চালানোর চেষ্টা করেছিলাম। তো রাস্তায় গিয়ে আমি যখন উপরে সাইকেল চালানোর চেষ্টা করছিলাম আমার কোন একটা ভাই সাইকেলের পিছনে একটু ধরে সাপোর্ট দিচ্ছিল আর আমাকে চালাতে বলেছিল। সাইকেলে ব্যালেন্স রাখা যেহেতু আগেই শিখেছিলাম তাই একটু নির্ভয়েই চালাতে পারছিলাম। কখন যে ভাই পিছন থেকে সাইকেল ছেড়ে দিয়েছে আমি খেয়াল করিনি। যখন বুঝতে পারলাম তখন ভয়েই সাইকেল নিয়ে একটু দূরে গিয়েই খেলাম এক আছার। আগেই যদি খেয়াল করতাম তাহলে আগেই পড়তাম।
এভাবেই শুরু হয় আমার উপরে সাইকেল চালানোর চেষ্টা। কিছুদিনের চেষ্টার পর মোটামুটি চালাতে শিখে গিয়েছিলাম উপরে। এই সময়টাতে আমার সবচেয়ে বড় ঝামেলা হতো যখন কোথাও দাঁড়ানোর প্রয়োজন হতো। এজন্য বাড়ি থেকে দূরে কোথাও সাইকেল নিয়ে যেতে দিত না। কিন্তু আমি যে প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম সেটা আমাদের বাড়ি থেকে ২ কিলো মতো দূরে, আর পুরোটাই মাটির রাস্তা। সেখানে বড় গাড়ি চলাচল করে না। আর এজন্যই স্কুলে যাওয়ার সময় সাইকেল নিয়ে যেতাম। প্রথম প্রথম তো আমার প্রচুর ভাব ছিল যে আমি সাইকেল চালানো শিখে গেছি। সাইকেল নিয়ে স্কুলে যেতাম বই পিছনে বেঁধে।
আমি যখন ক্লাস সিক্সে উঠলাম তখন হাই স্কুলে প্রত্যেকদিন সাইকেল নিয়ে যেতাম। ওই সময় আর কোন সমস্যা হতো না। বেশ ভালই সাইকেল চালাতে পারতাম। আর ওই যে আমার আগে মনে হতো যখন সাইকেল চালানো শিখব তখন সব জায়গায় ঘুরে বেড়াবো সারাদিন, আসলেও তাই করতাম। স্কুল শেষ করে চলে যেতাম এদিক ওদিক। ফিরতাম বিকেল করে। স্কুলের পাশে নানু বাড়ি ছিল, একটু দূরে খালামণিদের বাড়ি ছিল, বাড়িতে না গিয়ে নানু বাড়ি, খালা মনিদের বাড়িতেই খেয়ে নিতাম দুপুরের খাবার।
যখন ক্লাস এইটে উঠে গেলাম তখন আর সাইকেলের প্রতি নেশা ছিল না আগের মত। তবে আমার হাই স্কুল জীবনের পুরোটাই আমি সাইকেল নিয়ে ক্লাস করতে গিয়েছি। সাইকেল চালানোর দিনগুলো অনেক সুন্দর ছিলো। সাইকেল নিয়ে কত কিছু করে বেরিয়েছি, বন্ধুদের সাথে কত ঘুরেছি, এলাকার বন্ধুদের সাথে মাঠে-ঘাটে ও চলে যেতাম সাইকেল নিয়ে। এক কথায় অসাধারণ কিছু সময় কেটেছে আমার সাইকেল নিয়ে।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
একটা সময় ছিল যে সময়টা ছিল সত্যি মধুর। এখন দেখবেন কোন ছেলেরাই সাইকেল চালানো চেষ্টা করেন। বর্তমান যুগ হল এডভান্স এ যুগে সবাই চায় মোটরসাইকেল চালাতে। কিন্তু আমরা মেঠো রাস্তায় কত সাইকেল চালানো শেখার জন্য পথ চেষ্টা করেছি। আর সেই সময় সাইকেল চালানো আগ্রহটা সবার জন্য একটু বেশি ছিল সবার কাছে মনে হতো আমি সাইকেল চালানো শিখব ব্যাপারটা ঠিক এমনই। সাইকেল চালানো শেখার প্রথম পর্ব ছিল একটি পা পেডের উপর অন্য পা মাটিতে। এভাবে একটা ঠেলতাম অনেক দূরে চলে যেতাম আবার ঠেলতাম আবার যেতাম। যাই হোক এভাবে আমরা সাইকেল চালানো শিখেছি। তবে যখন সাইকেলে পুরোপুরিভাবে চালানো শিখতাম তখন নিজের মনের ভিতরে একটা আলাদা ভাব আস। সেই অনুভূতির কথাটা বলে শেষ করা যাবেনা। এই বিষয়গুলো আমি আপনি আমরাই বুঝবো এখনকার জেনারেশন এই মজাটা বুঝতে পারবে না। আপনার সাইকেল চালানোর মুহূর্তগুলো পড়ে সে ছোটবেলায় কথা বলেই মনে পড়ে গেল ভাই ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনার মত আমিও প্রথম প্রথম এক প্যাটেলের উপর পা দিয়ে সাইকল এর যাত্রা শুরু হয়। এভাবেই আস্তে আস্তে চালাইতে পারি তখন আমি ক্লাস টু তে পড়ি। সেই সময় সাইকেল চালাতে পার া অনেক বড় সফলতা ছিল। ভালো লাগলো ছোট্টবেলার সাইকেল চালানোর অনুভূতি পড়ে।
একবার না পারিলে দেখ শতবার। আর আপনি তো ভাইয়া দেখছি আছার খেতে খেতে সাইকেল চালানো শিখে নিলেন। চেষ্টা না করলে হয়তো কখনই আপনার সাইকেল চালানো শিখা হতো না। চেষ্টা ছিল বলেই সেই ক্লাস থ্রি হতে আপনার সাইকেল চালানোর হাতে খড়ি। যাক তবুও তো আপনার সখ পূরন হয়েছে। আর জীবনটাই এমন ভাইয়া। এক সময়ে আমরা পুরানো জিনিস গুলো আর পছন্দ করি না। আর তেমনি ভাবে আপনার এত সখের ও অবসান হয়েছে।
যারা খুব অল্প বয়সে সাইকেল চালানো শিখতে চায় তাদের বোধহয় সবারই আপনার মত অবস্থা হয় ভাইয়া। কেননা ছোট থাকার কারণে সাইকেলটি পুরোপুরি রপ্ত করতে না পারায়, এক প্যাডেলের উপর পা দিয়ে সাইকেল চালাতে হয়। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সাইকেল চালাতে গিয়ে বহুবার পড়ে যেতে হয়েছে। যাইহোক ভাইয়া, আপনার সাইকেল চালানো শেখার দিনগুলি পড়ে বেশ মজাই পেলাম। আপনার সাইকেল চালানোর সুন্দর দিনগুলোর কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার সাইকেল চালানো শেখার দিনগুলো বেশ রঙিন ছিল।লেখাটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।সাইকেল চালানো শিখতে গেলে প্রথমে এভাবে পড়তেই হয়। হাই স্কুল জীবনের পুরো সময় সাইকেলে করে যাতায়াত করতেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সাইকেল চালানো শেখার দিনগুলি আপনার পোস্ট পড়ে ছোট বেলায় স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। আমি ছোট বেলায় সাইকেল চালানো শিখতে গিয়ে পুকুরে সাইকেল নামিয়ে দিয়েছিলাম। সত্যি ছোট বেলায় মধুর স্মৃতি গুলো মনে পড়লে মনের অজান্তেই হাসি চলে আসে।
বাহ,আপনার সাইকেল চালানো শেখার অনুভূতিটি দারুণ ছিল ভাইয়া।যেকোনো কাজ শেখার আগে আগ্রহ প্রয়োজন। আপনি আপনার আগ্রহ দ্বারা প্রথমে শিখেছিলেন।প্রত্যেকের জীবনে সাইকেল চালানো নিয়ে মনে হয় আছার খাওয়ার ঘটনা রয়েছে।ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি পড়ে, ধন্যবাদ আপনাকে।