Cox’s Bazar Diary- কক্সবাজারে দু'দিন।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। দেখতে দেখতে প্রায় দুই মাস হয়ে গেল বান্দরবান কক্সবাজার ট্যুর শেষ করে এসেছি। বান্দরবানের পর্বগুলো ইতিমধ্যেই শেষ, এখন কক্সবাজারের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব। বান্দরবান ট্যুর শেষ করে আমরা কক্সবাজার এসেছিলাম আর কক্সবাজার স্টে করেছিলাম মাত্র দুই দিন।
আলীকদম থেকে কক্সবাজার আসতে আমাদের রাত দশটা বেজে গিয়েছিল। আগে থেকেই হোটেল বুক করা ছিল এজন্য আর আলাদাভাবে হোটেল খুঁজতে গিয়ে সময় নষ্ট করতে হয়নি। হোটেলে সবকিছু রেখে রাত্রেই চলে গেলাম বিচে। রাত্রের সমুদ্র আমার সবচেয়ে বেশি প্রিয়। এবার লক্ষ করলাম আগের বার যখন কক্সবাজার এসেছিলাম তার থেকে অনেক উন্নত হয়েছে সবকিছু। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আগে থেকে বেশ ভালো। রাতের সমুদ্র সৈকতে আমরা বেশ মজা করে সময় কাটালাম ঘন্টা দুয়েক। তারপর আবার হোটেলে চলে এসেছিলাম রাত বারোটা একটার দিকে।
পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়েই বিচে গেছিলাম। আমাদের মধ্যে অনেকেই তখনো ঘুম থেকে ওঠেনি। আমার সাথে আরও একজন ছিলো। দুজন মিলেই খুব সকালে সমুদ্র সৈকত দেখতে বেরিয়ে পড়েছিলাম। সমুদ্রের পাশে দাঁড়িয়ে এক কাপ রং চা খাওয়ার শখ ছিল। যাওয়ার সাথে সাথেই দেখলাম বিচে একটা মুরুব্বী চা বিক্রি করছে। এক কাপ রং চা নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম বিশাল নীল জ্বররাশির সমুদ্রের পাড়ে। সকালের সমুদ্র যে এতটা সুন্দর এর আগে কখনো দেখিনি।
গোসলের জন্য কেউ নামেনি এত সকালে। পানি একদম পরিষ্কার নীল। সূর্য সবেমাত্র পুব আকাশে উঁকি দিচ্ছে। বেশ আরামদায়ক একটা পরিবেশ সেই সাথে অমায়িক সৌন্দর্যের হাতছানি। যাইহোক সকালে বেশ কিছুটা সময় ওখানে কাটিয়ে হোটেলে চলে এসেছিলাম আবার। সেদিন দুপুরবেলা যখন সবাই সৈকত দেখতে বেরিয়েছিল তখন আমি রুমেি ছিলাম। হাতে অনেক কাজ ছিল যার কারণে আর দুপুরে যাইনি আমি।
বিকেলবেলা গেছিলাম আবার সবাই একসাথে। বিকালে আমাদের কমিউনিটির শামসুন্নাহার আপুর সাথে দেখা হয়েছিল। সে গল্প অন্য একটি পোস্টে শেয়ার করব। যাই হোক বিকেলটাও খুব সুন্দর কেটেছিল। বিকাল থেকে রাত অব্দি অনেক মজা করেছি সবাই। অনেকের কেনাকাটা করা হয়েছে, স্যালমন ফিশের বারবিকিউ খাওয়া হয়েছে, বার্মিস মার্কেটে ঘুরাঘুরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দিনটা খুব সুন্দর ছিলো।
পরের দিনটা তেমন একটা ভালো কাটেনি। আমাদের অনেক প্ল্যান ছিলো। বিশেষ করে রেজু খালে গিয়ে কায়াকিং করার ইচ্ছে ছিলো আমার অনেক আগে থেকেই। পরের দিন কয়েকজন একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, তারপর আবার রাতের ট্রেনে ঢাকা ফেরার কথা ছিল। আসলে বান্দরবানের ট্যুর শেষ করে এসে সবার শরীরই একটু ক্লান্ত। অনেক কিছু বিবেচনা করে পরের দিনের সবগুলো প্রোগ্রাম ক্যান্সেল করেছিলাম আমরা। তবে দুপুরবেলা এমনিতেই সমুদ্র সৈকতে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম আমরা।
এবার কক্সবাজার গিয়ে খাওয়া-দাওয়ার কোন সমস্যা হয়নি। একটা ভালো হোটেল সিলেক্ট করে নিয়েছিলাম আগে থেকেই। প্রত্যেকবার সেখান থেকে খেয়েছি। ফিরে আসার আগেও আমরা সেই হোটেল থেকেই খাওয়া-দাওয়া করে রওনা দিয়েছিলাম কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে। সম্ভবত রাত সাড়ে আটটায় আমাদের ট্রেন ছিলো। ভালোভাবেই স্টেশন অব্দি পৌঁছে ট্রেনে উঠে ঢাকার উদ্দেশ্যে ফিরেছিলাম। এভাবেই শেষ হলো বান্দরবান কক্সবাজার ট্যুর। আগামী পর্বে কক্সবাজারের শপিং অভিজ্ঞতা এবং শামসুন্নাহার আপুর সাথে দেখা করার অনুভূতি শেয়ার করো আপনাদের সাথে। এরই মধ্য দিয়ে ধারাবাহিক ট্যুরের গল্পের সমাপ্তি হলো।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সকাল বেলা কক্সবাজারের সমুদ্র. সৈকতের কি অপূ৮ সৌন্দর্য দেখে মনে ভরে গেলো ভাই ৷ নিজ চোখে দেখলে না জানি কত সুন্দর প্রকৃতি ৷ যা হোক শামসুন্নাহার আপুর পোষ্টে দেখেছিলাম অবশ্য ৷ ভালো লাগলো পরের পোষ্টে আরও ভালো কিছু দেখবো এমনটাই প্রত্যাশা করি ৷
রাতের বেলা সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাতে আমারও খুব ভালো লাগে। আমি তো বীচে গিয়ে চেয়ারে শুয়ে শুয়ে ৩/৪ ঘন্টা অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারি। তবে গত মাসে যখন কক্সবাজার গিয়েছিলাম,সকাল ৬ টার সময় বীচে গিয়েছিলাম সূর্যোদয় দেখতে। এর আগে কখনো এতো সকালে বীচে যাইনি কখনো। এককথায় দারুণ লেগেছিল সকাল বেলা সমুদ্র সৈকতে। যাইহোক রাতে এবং সকাল বেলা বীচে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনারা। কয়েকজন অসুস্থ না হলে পরের দিনটাও বেশ উপভোগ করতে পারতেন। তবে বান্দরবান ট্যুরে সবচেয়ে বেশি আনন্দ করেছেন আপনারা। যাইহোক সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করেছি প্রতিটি পর্ব। সম্পূর্ণ ট্যুরের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কক্সবাজার অনেক বেশি সুন্দর বিশেষ করে রাতে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। যে কয়বার গিয়েছি রাতের সৌন্দর্যটা বেশি উপভোগ করা হয়েছে কিন্তু এবার অনেক সকালে সমুদ্র এতো সুন্দর হয় সেটাও দেখতে পেয়েছি। সাথে রং চা এর ব্যাপারটা ছিল অসম্ভব সুন্দর।
সকালে সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে চা খাওয়ার ইচ্ছা তাহলে পূরণ হয়েছে আপনার। আপনারা যেহেতু বান্দরবন ঘুরে তারপর গিয়েছিলেন কক্সবাজারে সেজন্য অতিরিক্ত জার্নির জন্য অসুস্থ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। এজন্য আপনাদের দ্বিতীয় দিনের ঘোরাঘুরিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছিল। আর আপনাদের খাওয়ার কোন অসুবিধা হয়নি এবার এটা বেশ ভালো ব্যাপার ছিল।
জ্বী, রাতের সমুদ্র এবং সমুদ্রের পাড়ের পরিবেশটা অনেক বেশী দারুণ লাগে, এটা আমি এবার সেন্টমার্টিন যাওয়ার পর বেশ ভালো ভাবেই বুঝেছি, আমিও প্রায় রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত বীচে ছিলাম। সকালে অবশ্য আমি ঘুম ছেড়ে উঠতে পারি না, তাই এটা আমার দ্বারা সম্ভব হয় না হি হি হি।
আমি এবার সকালে বিচে গিয়ে বুঝলাম সকালের সমুদ্র অসাধারণ সুন্দর।
ট্যুর লম্বা হলে তখন এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় দেখা যায় টুর পার্টনারের ভিতরে কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আপনার কাছ থেকে সেই খাবার হোটেলটার নাম জেনে নেবো কক্সবাজার যাওয়ার আগে। ইচ্ছা আছে সামনের মাসে কক্সবাজার যাওয়ার। বন্ধু-বান্ধব মিলে যে ট্যুরটা আপনারা দিয়েছেন নিঃসন্দেহে সেটা ছিলো দারুণ উপভোগ্য। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
রেস্টুরেন্টের নাম হলো ঢাকা রাঁধুনি। অনেক সুন্দর সুন্দর আইটেম ভাজি ভর্তা পাবেন।
রাতের বেলায় সমুদ্রের পাড়ে বসে থাকার মজাই আলাদা। কিন্তু প্রচুর পরিমাণে মশা থাকে এজন্য খুব একটা আরাম পাওয়া যায় না। তাছাড়া সবাই দেখছি কক্সবাজার গিয়ে শামসুন্নাহার আপুর সঙ্গে দেখা করছে। বেশ ভালো লাগছে এ বিষয়টি। এত সুন্দর সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে রং চা খেলেন। দুধ চা খেলে হতো না?
দুধ চা তো আমার একটুও পছন্দ না। কেমন জানি লাগে। 🥴
আর আমাকে কেউ রং চা দিলে পিটাতে মন চায়।
মনে রাখবেন। আপনার বাসায় গেলে আবার রং চা দিয়েন না কিন্তু।
আর আপনার বাসায় গেলে দুধ চা দিলে আবার রং চা বানিয়ে ডাবল কষ্ট করতে হবে কিন্তু।
আপনার বান্দরবান ডায়রির সব গুলো পর্বই আমি পড়েছি। অনেক কিছু জানতে পেরেছি। বান্দরবন থেকে আসার দিন পাহাড়ি মুরগি দেয়ে খাবার খেয়েছেন। কক্সবাজার বিচে রাতের বেলা বেশি ভালো লাগে। তখন সাগরের আওয়াজ শুনা যায়। ভালোই আনন্দ করেছেন। ধন্যবাদ।