ছোটখাটো সমস্যা হয়তো বড় কোন সমস্যার সমাধান ।
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আর সকাল সকাল একটা উটকো ঝামেলা পোহাতে হলো। গতকালকে আমার হাত থেকে ল্যাপটপের ব্যাগটা পড়ে গিয়েছিল। আমি তেএমন একটা চিন্তিত ছিলাম না কারণ অতটাও জোরে পড়েনি। ল্যাপটপের ব্যাগের মধ্যে ছিল ল্যাপটপের চার্জার, কিবোর্ড, মাউস আর ল্যাপটপ।
আমি সারাদিন জার্নি করে রাতে বসেছিলাম ল্যাপটপ খুলে কাজ করতে। ওমা এখন দেখি আমার ল্যাপটপ ওপেন হয় না। কি একটা ঝামেলা, আমার রাতের কাজ বেধে আছে। তখনই আমি আরিফ ভাইকে আমার কাজটুকু করে দিতে বললাম। একটু ক্লান্ত থাকায় আর তেমন কিছু ভাবি নি। ঘুমিয়ে পড়েছিলাম সমস্যা দেখে। সকালে ঘুম থেকে উঠে আবারো ল্যাপটপ ওপেন করার ট্রাই করলাম। কিন্তু সেই রাতের মতোই অবস্থা। কোনভাবেই ওপেন করতে পারলাম না। কিন্তু আমার একদিন ল্যাপটপ বন্ধ থাকাটা অনেক বেশি ক্ষতির কারণ হবে। অনেক কাজ পেন্ডিং-এ পড়ে যাবে। এতে পরবর্তীতে হিউজ ঝামেলা হয়।
উপায়ন্ত না দেখে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এ ল্যাপটপ নিয়ে শহরে যেতে হবে। যে করেই হোক দুপুরের আগেই সেরে নিয়ে আসতে হবে। তবে এতক্ষণে আমি বুঝে ফেলেছিলাম আমার ল্যাপটপের অভ্যন্তরে কোন ঝামেলা হয়নি। আমার চার্জারে প্রবলেম। ল্যাপটপে বিন্দুমাত্র চার্জ ছিল না যে কারণে ওপেন হচ্ছিল না। আর এদিকে চার্জার দিয়ে চার্জ করাতেও পারছিলাম না। আমার যে চার্জারটা ছিল সেটার ওয়ারেন্টি এখনো আছে। আমি ঢাকা আই.ডি.বি ভবন থেকে চার্জারটা নিয়েছিলাম। কিন্তু আমি তো এখন বাসায় ওখানে তো যাওয়া পসিবল না। তাই নতুন একটা চার্জার কিনার উদ্দেশ্যে শহরে রওনা দিয়েছিলাম সাড়ে দশটার দিকে।
শহরের একটি কম্পিউটার এক্সেসরিজ এর দোকানে গিয়ে সমস্যাগুলো বললাম। উনি চেক করে যেটা বলল তাতে হাসিও পাচ্ছিল আবার মেজাজও খারাপ হচ্ছিল। আসলে আমার ল্যাপটপের চার্জারেও কিছু হয়নি। পাওয়ার ক্যাবল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল শুধু। পাওয়ার ক্যাবল ১৩০ টাকা দিয়ে কিনে নিলাম একটা। পাওয়ার ক্যাবল কিনে আবার সোজা বাড়িতে। তবে একদিক থেকে ভালই হয়েছে। চার্জার কিনতে গেলে হাজার বারোশো টাকা খরচ করতে হতো। সেখানে ১৩০ টাকায় কাজ হয়ে গেল।
তবে এই ব্যাপারটা যদি আমি আগে বুঝতে পারতাম তাহলে পাওয়ার ক্যাবল আমাদের বাড়ির পাশের বাজার থেকেই কিনে আনতে পারতাম। শুধু শুধু সকাল-সকাল শহরে যেয়ে যাতায়াত খরচ আর সময় নষ্ট হল। তবে একটা অভিজ্ঞতা হল।
আমি দীর্ঘদিন ধরেই ভাবছিলাম আমার একটা সেকেন্ডারি ডিভাইস রাখা প্রয়োজন। আজ যেমন মাইনর একটা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি, পরবর্তীতে বড় কোনো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আমার ইমারজেন্সি কোন কাজ থাকলে খুব ঝামেলায় পড়ে যাব। এজন্য সেকেন্ডারি একটা ডিভাইস রাখাটা খুবই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আমার বেস্ট চয়েস একটি উইন্ডোজ সাপোর্টেড ট্যাব। সব জায়গায় নিয়ে বেড়ানো যাবে আবার ল্যাপটপের মতন সব কাজও করতে পারব।
ছোট ছোট সমস্যা থেকে আসলেই অনেক কিছুই শিখতে পারি আমরা। ছোট সমস্যা গুলো বড় সমস্যার হাত থেকে অনেক সময় বাঁচিয়ে দেয়। এটা আল্লাহ্ তাআলার একটি ইচ্ছা। আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি বন্ধুরা। দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে ইনশাহ্ আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
মাঝে মাঝে এমন ছোটখাটো সমস্যার সম্মুখীন হওয়াও ভালো! নয়তো বুঝতেন না, ল্যাপটপের কি দরকার ছিল। ইলেকট্রনিক্স এর জিনিসগুলো একটু সাবধানে ক্যারি করতে হয়। হাত থেকে পরে গেলেই ঝামেলা। হয়তো সেটা তখন বুঝা যায় না। কিন্তু পরবর্তীতে ঠিকই বুঝা যায়! যাক, সমস্যার সমধান তো হলো। আল্লাহ তায়ালা যা করে, ভালোর জন্যই করে 🌼
যাক তাও অল্পতে রক্ষা পেলেন তা না হলে সময় এর পাশাপাশি টাকা লাগতো।আসলে আমাদের সকলেরই অপশন রাখা উচিত একটা নষ্ট হলে যেন আরেকটা দিয়ে কাজ করা যায়।যাই হোক ভাইয়া সেই সুভাতে আমাদেরকে জিলাপি খাওয়ান😉।তা না হলে কিন্তু থাক আর বলবো না😜😜
এটাও লিখে রাখুন। সবকিছু জমা হতে থাক। 😅
লিখতে লিখতে খাতা কলম ফুরিয়ে যাবে কিন্তু 🤣🤣
যাক চার্জার কেনার খরচ থেকে তো টাকা বেঁচে গেছে। ক্যাবলেই কাজ হয়ে গেছে। ভাগ্যিস কাছের শহরে গিয়েছিলেন। সত্যি সত্যি যদি ঢাকায় চলে যেতেন তাহলে কিন্তু মাথাটা গরম হয়ে যেত 😅। আসলে মাঝে মাঝে ছোট ছোট সমস্যা গুলো বুঝতে পারা যায় না। তবে ভাইয়া আপনারা যেহেতু সব সময় ল্যাপটপে কাজ করেন তাই আমার মনে হয় দুটো অপশন রাখা উচিত। যাতে করে একটি ডিভাইসের প্রবলেম হলে অন্য ডিভাইসে কাজ করতে পারেন। যাইহোক বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। স্বস্তি পেলাম মনে।
আসলে ভাই এগুলো সমস্যা প্রায় প্রায় আমাদের সাথে ঘটে থাকে ৷ যেগুলো খুব বড় সমস্যা না ৷ তবুও আমরা কি করি অনেক ব্যস্ত হয়ে রাগ হয়ে যাই ৷ বলতে সামান্য সমস্যা কে অনেক বড় মনে করি ৷
যা হোক ভাগ্য ভালো ল্যাপটপ টা কিছু হয় নি ৷ এটাই বড় কথা ৷ না হলে শহরে যেতে হতো ৷ যা হোক মাঝে মধ্যে সমস্যা হলে ঠান্ডা মাথায় তার সমাধান করা উচিত ৷
যাদের সমস্ত কাজটা ল্যাপটপের উপর নির্ভর করে, তাদের ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ নষ্ট হলে কতটা যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তা কেউ আমায় জিজ্ঞেস করুক। আমি যখন অফিসের কাজ করতাম পুরোটাই ওয়ার্ক ফ্রম হোম ছিল। তাই একবার সাধারণ অ্যান্টিভাইরাস শেষ হয়ে যাওয়াতে ল্যাপটপ এমন ঢুবিয়েছিল আমাকে যে একদিন পুরো আমার অফ গেছে। পরের তিনি এন্টিভাইরাস দেওয়ায় আবার ল্যাপটপ ঠিক হয়েছে। তার উপর যদি ল্যাপটপ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তো আর কথাই নেই।আপনি ঠিকই বলেছেন। সাবস্টিটিউট হিসেবে একটা ট্যাব রাখলে আপনার কাজের অনেক সুবিধা হবে।
জি আপু ঠিক বলেছেন একদম।
তাও ভালো ভাই সমস্যা ধরতে পেরেছিলেন। যদি ল্যাপটপ কম্পিউটার এর দোকানে নিয়ে যেতেন দেখা যেতো মেকানিক্স ব্যাটা আসলেই এক সমস্যা বানিয়ে আপনার কাছ থেকে টাকা খাইতো। সেকেন্ডারি ডিভাইস আসলেও প্রয়োজন। হ্যা উইন্ডোজ সাপোর্টেড ট্যাব গুলো ভালো হবে আপনার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই।
আর একটা ট্যাব কিনতে হবে। খুবই প্রয়োজন। এর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছি আমি।