চাঁদনী রাতে আম চুরি!!
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামুআলাইকুম।
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আপনারা কি কেউ আম, লিচু এগুলো চুরি করে কখনো খেয়েছেন? এ অভিজ্ঞতা আমার আছে কিন্তু যেন পাপ না হয় সে ব্যবস্থা করেই চুরি করে খাওয়া হয়েছে। আচ্ছা বিস্তারিত বুঝতে পারবেন পোস্ট পরলেই।
আমরা সেদিন রাজহাঁস দিয়ে পিকনিক করলাম সে বিষয়ে তো আমার পোস্ট থেকে জেনেছেন। সেদিন পিকনিক করতে করতে বেজে গিয়েছিল এগারো টা বারোটা। যখন রান্না হচ্ছিল তখন মাথায় ভুত চাপলো যে এই রাতে আম চুরি করে মসলা দিয়ে মাখিয়ে খেলে দারুন হত। আসলে আমরা তো পিকনিক করতেছিলাম বাজারের একটা হোটেলের মধ্যে। তো সেখানে ঝাল মসলা সবই ছিল শুধু আমটা প্রয়োজন। আমি শুধু প্ল্যান করলাম, সাথে ছিল সুপার অভিজ্ঞ এক ছোট ভাই। আমরা প্ল্যান করলাম গার্লস স্কুলের আম গাছ থেকে আম পেড়ে খাব।
প্রথমে আমি ভেবেছিলাম আমাদের নিজেদেরই কারোর গাছ থেকে আমরা আম পারবো, কিন্তু রাজু অর্থাৎ ছোট ভাইটি বলল গার্লস স্কুলের আম গাছ থেকে তাদের পারমিশন দেওয়া আছে যে ওরা আম পেরে খেতে পারবে। আসলে গার্লস স্কুলের পাশেই বাড়ি তো, এজন্য এ সুবিধাটা আছে ওদের জন্য। এরপর আমরা দুটো বাইক নিয়ে চোরের মত করেই গেলাম গার্লস স্কুলের উপর। আসতে ধীরে বাইকটা সাইডে রেখে ছোট ভাই উঠলো গাছে। বাইকের আলো বন্ধ করলাম কারন অনেক বেশি আলো ছিল। বাহির থেকেও দেখা যাচ্ছিল স্পষ্ট সব কিছু। এত আলো জ্বালিয়ে রাখলে চুরির ফিলিংস পাওয়া যাবে না। এজন্য ফোনের ছোট আলো জ্বালিয়ে গাছে উঠলো।
আমরা সবাই নিচে দাঁড়িয়ে আছি। এটা ছিল চাঁদনী রাত। নিচ থেকে গাছের পাতার ফাঁক গলে চাঁদ দেখা যাচ্ছে। দৃশ্যটা বেশ ভালই লাগছিল। যাই হোক গাছে আম তেমন একটা বেশি ছিল না। এদিক-ওদিক থেকে বাড়ি ঝুরি দিয়ে ৩-৪ টি আম পাড়লো। এরপর গাছের অন্য সাইডে গিয়ে আরো কয়েকটি আম পেড়লো। এতক্ষণে ও গাছের উপরেই ছিল আর আমরা সবাই গাছের নিচে। আম পারা যখন শেষ হলো তখন ও নেমে আসলো। এরপর আমগুলো কুড়িয়ে এক জায়গায় করলাম। পাঁচ সাতটা আম পাড়া হয়েছে যদিও এর বেশি আর প্রয়োজন নেই।
এরপর আমগুলো নিয়ে আমরা সোজা বাজার হোটেলে চলে আসলাম। হোটেলের মধ্যে ঢুকে ঝাল লবণ দিয়ে আমগুলো খেয়ে ফেললাম সবাই। সবগুলো কেটে এক জায়গায় মাখানো হয়নি। যার যার মত কেটে হাতে নিয়ে খেয়ে ফেললাম। খুবই ভালো লাগছিল ঝাল দিয়ে কাঁচা টক আম খেতে।
অনেক আগের একটা ঘটনা মনে আছে আমরা হাঁস দিয়ে পিকনিক করেছিলাম। সে হাঁসটা চুরি করেছিলাম এক ভাইদের বাড়ি থেকে। মজার বিষয় হচ্ছে সে ভাইও আমাদের সাথেই ছিল এবং হাঁস ডোল থেকে বের করেছিল সে নিজেই। সত্যি সত্যি কাউকে না জানিয়ে তার বাড়ি থেকে কিছু চুরি করা বিশাল পাপের কাজ। আসলে এই পাপগুলো কিয়ামতের দিন যার ক্ষতি হয়েছে সে নিজে না মাফ করলে আল্লাহ্ তাআলা মাফ করবেন না। আর সেদিন সবারই সওয়াবের প্রয়োজন হবে তাই কেউই মাফ করবে না সহজে। এজন্য এই ডেঞ্জারাস পাপ থেকে দূরে থাকাই ভালো। যাইহোক ওই ভাইয়ের বাড়ি থেকে হাঁস চুরি করে সেদিন খুব মজা করেই পিকনিক করেছিলাম।
আসলে এই মুহূর্তগুলো খুবই আনন্দের হয়। সময় কারো জন্য অপেক্ষা করো না। সময় পেরিয়ে যায় কিন্তু একটা সময় গিয়ে এই মুহূর্তগুলোর কথাই মনে থাকে। এজন্য ছোট ছোট আনন্দের মুহূর্তগুলো আমি খুব ভালোভাবে উপভোগ করি। যাইহোক তাহলে আজকে আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।
লোকেশন: গার্লস স্কুল 😜
ডিভাইস: Xiaomi Redmi Note 9 pro max
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
চাঁদনী রাতে আম চুরি দারুন একটি পোস্ট করেছেন। এধরনের আনন্দের মুহূর্ত উপভোগ করতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে আমার ছোটবেলার মধুর স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। ঝাল দিয়ে কাঁচা টক আম খেতে ভীষণ মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ছোটবেলার স্মৃতি গুলো শেয়ার করে ফেলুন ভাই। এ ধরনের স্মৃতি ব্লকচেইনে শেয়ার করে রাখুন ভবিষ্যতে নাতি নাতনিদের দেখাতে পারবেন। 😀
ঠিক বলেছেন ভাইয়া তাই করবো খুব শিগগিরই। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনার হাঁস চুরি আর আজকে আম চুরির গল্প শুনে আমারও একটা চুরির গল্প মনে হলো। আমরা চাচাতো বোনেরা মিলে পানের ক্ষেত থেকে পান চুরি করেছিলাম। অবশ্য চুরি করে হজম করতে পারিনি সাথে সাথেই ধরা খেয়েছি হা হা হা। চুরি করে কোনো কিছু খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে এটা ঠিক যার জিনিস চুরি করা হয় সে মাফ না করলে আমরা কখনো ক্ষমা পাবনা। তারজন্য এমন কাজ না করাই ভালো। আপনার আজকের আম চুরির গল্প পড়ে ভালো লাগলো।
হায় হায় ধরা খেয়ে গেলেন। 😆😆
আসলে এইসব ছোটখাটো চুরি করে কোন কিছু খেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে এইসব চুরির মধ্যে এমন কিছু সিস্টেম করা উচিত যাতে পাপ না হয়। কারণ এসব ছোটখাটো পাপগুলা ডেঞ্জারাস। কারণ এখানে আমি যার গাছ থেকে আম চুরি করে খাচ্ছি সে যদি আমাকে ক্ষমা না করে তাহলে আমি ক্ষমা পাবো না। পারমিশন আছে এমন গাছ থেকে আপনারা আম চুরি করে খেয়েছেন যেনে ভালো লাগলো। আর হ্যাঁ আসলে এই পাপগুলো বেশিরভাগই ছোটবেলায় করা হয়। যাইহোক পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
বিশেষ করে যারা গ্রামে থাকেন তারা প্রত্যেকেই বন্ধুদের সাথে এমন ঘটনা অনেক ঘটে থাকে আম, নারিকেল, খেজুরের রস খাওয়া। অনেক সময় নিজেদের গাছ থেকে বন্ধুদের সাথে রাতে আয়োজন করা হয় । আর এখন সময়ের অভাবে এমন খাওয়া হয় না আর সময় থাকলেও এমন বন্ধুদের একসাথে আর পাওয়া যাবে না....
একদম ঠিক বলেছেন।
পিকনিক শেষ করে আবার আম চুরি করতে গেলেন সুপার অভিজ্ঞ ছোট ভাইয়ের সাথে।এখানে তো চুরি ব্যাপার টা হয়নি কারণ পারমিশন ছিল।স্কুলের গাছের আম তো জনগণের জন্যই ।হাহা যাদের বাড়ি থেকে হাঁস চুরি করেছিলেন, সেও আবার আপনাদের সাথে পিকনিকে ছিল।তাই এটা চুরি না বলা যায়।কারণ মালিক পক্ষ তো ছিল।যেহেতু চুরি না,তাই আপনাদের পাপও হয়নি।ভালো লেগেছে ভাইয়া আপনার চাঁদনী রাতের আম চুরির কাহিনী।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
সবাই মিলে একসাথে চুরি করে খাওয়ার ভেতর আলাদা একটি মজার লুকিয়ে আছে। আমার কাছে মনে হয় চুরি করা বস্তুর স্বাদ বেশি হয়। চাঁদনী রাতে সবাই মিলে অনেক মজা করেছেন শুনে ভালো লাগলো। যাইহোক আজকে বিকালে বুঝলাম যে আমগুলো অনেক টেস্টি ছিল।
সেদিন তুমি থাকলে ভালো হতো৷
হুম ভাই আরো একটা আম চোর বৃদ্ধি পাইতো🙃
আপনি তো ভাইয়া বেশ দুরন্ত লোক। দুষ্টুমি ছুটোছুটিএ বয়সে দেখি সবই করেন। বন্ধুদের নিয়ে বেশ ভালই পিকনিক করলেন। তাও আবার অনুমতি ছাড়া চুরি করা রাজহাঁস দিয়ে। এখন আবার গেলেন আম চুরি করতে। বেশ মজা করে বেড়াচ্ছেন। আম কিন্তু আমার বেশ ফেভারিট । দুই একটি পেলে মন্দ হতো না।
রাজহাঁস তো চুরি করা না। আম চুরি করা 😂
এই বছরে এখন পর্যন্ত আমের স্বাদ নিতে পারি নাই 😥। আমের ছবি দেখে জিভে জল চলে আসতেছে৷ লবণ মরিচ মাখায় গাছ থেকে টাটকা আম পেরে খাওয়ার মজাই আলাদা। অনেক মিস করতেছি এভাবে আম পের খাওয়াকে 😋😋।
এ বছরে বেশ কয়েকবার আম খেয়েছি। কাঁচা আমের মজা বেশি। 👌
হ্যা।
অতীত স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার মত একটি পোস্ট আজ আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অবশ্য আমার লাইফে আম চুরি কোন ঘটনা নেই,কোন বন্ধুদের সাথে এমন কোন কাজে লিপ্ত আমি হইনি তবুও আমার অনেক বন্ধুরা এই সমস্ত কাজ করেছে তা আমার জানা। আমাদের গ্রামে একটি বোরিং ঘর ছিল এখানে অনেক বন্ধুরা থাকতো মাঝেমধ্যে তারা পিকনিকের আয়োজন করতো মোরগ চুরি করে। যাইহোক অনেক ভালো লেগেছে আপনার আজকের এই পোস্ট পড়ে।
হুম বরিং ঘরে এগুলো করায় সুবিধা আছে।
ভাইয়া মসলা দিয়ে কাঁচা মাখিয়ে খেতে বেশ দারুন লাগে। আর চাঁদনী রাতে আম চুরি করার মধ্যে অনেক আনন্দ রয়েছে। আসলে ভাইয়া কিছু কিছু চুরির মধ্যে অনাবিল আনন্দ রয়েছে। আপনাদের হাঁস চুরি করাটা ছিল এক ধরনের আনন্দ করা। যাহোক, অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।