অনেকদিন পর।

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। অনেকদিন বাড়ির বাইরে ছিলাম। এক মাস তিন দিন পর বাড়িতে এসেছি। নদীতে নতুন পানি এসেছে। অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম বাড়িতে গেলে একটু ঘুরতে যাব। গতকাল হঠাৎ করেই এক বন্ধু ফোন দিয়ে বলল কোথায় যেন যাবে। অনেকদিন কোথাও ঘোরাঘুরি করা হয় না, সাথে সাথেই রাজি হয়ে গেলাম।

গেলাম বাড়ি থেকে প্রায় ১৩-১৪ কিলোমিটার দূরে একটি নৌকার ঘাটে। লাস্ট যখন এখানে এসেছিলাম জায়গাটা ছিল শুকনো। বালির চর ছিলো। বালির চরের উপর দিয়ে বাইক ও চালিয়েছি। সেখানে এখন প্রচুর পানি হয়ে গেছে। আমরা পাঁচজন ছিলাম। পাঁচজন নদী পার হয়ে ওই পাশে পাবনায় যাব প্ল্যান করলাম। এবছর প্রথম নৌকা উঠলাম তাও বাইক সহ।
1722009286814-01.jpeg

1722009273273-01.jpeg

প্রচন্ড বাতাস ছিল নদীতে। দু'পাশের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে চলেছি পাবনার দিকে। প্রায় ৩০ মিনিট লেগেছিল নদী পার হতে। নদীর ওপারে গিয়ে ভাবলাম কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে এসে তারপর আবার নৌকাতে ব্যাক করব। সাড়ে ছয়টার দিকে একটি নৌকা এখান থেকে ফিরে যায় সেটাই লাস্ট। এজন্য আমাদের সাড়ে ছয়টার আগেই এখানে এসে পৌঁছাতে হবে। তা না হলে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই আর।

1722009311490-01.jpeg

1722009297004-01.jpeg

একদম অচেনা জায়গা। অন্য জেলায় চলে এসেছি যেখানে আগে কখনো আসিনি। মেইন রাস্তা ধরে বেশ খানিকটা ভেতরেই চলে গেলাম। এলাকাটা খুব ভালো লাগলো। এই এলাকার নাম হলো সাতবাড়িয়া। এখানকার মানুষের রুচি আছে বলতে হবে। সবকিছু গোছানো আর পরিকল্পিত। আমরা একটা বাজারে দাড়িয়ে সেখানকার ফাস্টফুড ট্রাই করেছি।

1722009325471-01.jpeg

বেশিক্ষণ ঘোরাঘুরি করতে পারিনি৷ সাড়ে ছয়টার আগে ঘাটে পৌঁছাতে হবে বলে তারাতাড়ি ঘাটের দিকে চলে গেলাম। আর একটু লেট হলে ঝামেলা হয়ে যেত। শুধু আমরা থাকলে সমস্যা ছিলো না। বাইক তোলার মতো জায়গা ছিলো না নৌকায়। অনেকগুলো বাইক তুলে ফেলেছে অলরেডি। একটু কষ্ট করে বাইক তোলার মতো জায়গা ম্যানেজ কেরা হলো। এরপর নৌকা চলতে শুরু করলো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।

1722009344878-01.jpeg

1722009364622-01.jpeg

1722009382508-01.jpeg

1722009401100-01.jpeg

আধাঘন্টার মধ্যে পৌঁছে গেলাম আমরা এই পাড়ে। সন্ধার এই সময়টায় নদীর দৃশ্য ছিলো মনোমুগ্ধকর। অনেকদিন পর সুন্দর একটা সময় কাটাইলাম। ভেবে রেখেছি আরো একদিন এদিকে আসবো সকাল সকাল। তাহলে অনেক বেশি ঘুরতে পারবো। আজ এপর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ।



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy


20240320_225328_0000.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rex-sumon,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 5 days ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া সন্ধ্যার সময় নদীর দৃশ্য মনোমুগ্ধকর থাকে। আপনারা বাইক নিয়ে ঘুরতে গিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি নৌকা দিয়ে নদীতে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে তবে অনেক দিন নৌকায় চড়া হয় না।আর সকাল সকাল গেলে মনের মতো সময় কাটাতে পারতেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 5 days ago 

আমি তো ভাবছিলাম যে শেষে আপনারা মনে হয়তো নৌকা মিস করেছেন। এরকম হলে অন্যরকম একটা এডভেঞ্চার হয়ে যেত। নদীর মাঝে যখন চর জাগে ওই সময়টা চরে ঘুরতে খুব ভালো লাগে। অনেক সময় হয়েছে নৌকায় ওঠা হয়। নৌকায় ঘুরৎস আমার কাছে খুব ভালো লাগে। যাই হোক ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর মুহূর্তটি দেখে।

 5 days ago 

৩০ মিনিটের নদী পার হয়ে অন্য একটি জেলা পাবনায় চলে গেলেন বন্ধুরা মিলে।খুব ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। তবে আমার খুব ভাবনা হচ্ছিল নদীর ওপারে যেতে আপনারা হয়তো নৌকা মিস করে ফেলবেন।তাই শেষেরটুকু আগে পড়ে নিয়েছি সত্যি ই নৌকা পেয়েছেন কিনা?? 😂আসলে এতো চাপ নিতে পারছি না এখন।যাই হোক ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লেগেছে।

 5 days ago 

কি দারুন সব ছবিগুলো। আসলে বিকেল গড়িয়ে যখন সন্দেহ হয় আর আকাশের সামান্য রোধ থাকে তখন প্রতিটা ছবি যেমনই তোলা হোক না কেন খুব সুন্দর দেখায়। আপনার লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। মাঝে মাঝে অচেনা জায়গায় চলে যাওয়াটাও এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা দেয়।

 5 days ago 

যেহেতু নদী পার হতে ৩০ মিনিট লেগেছে, তাহলে তো নদীটা মোটামুটি বড়। আমরা তো চোখের পলকেই শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে যাই। যাইহোক বর্ষাকালে নদীর সৌন্দর্য দেখতে দারুণ লাগে। চারিদিকে পানি একেবারে থৈথৈ করে। ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে ভাই। নদী পার হয়ে পাবনার দিকে গিয়ে মোটামুটি ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন তাহলে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 days ago 

অনেক দিন পরে অচেনা একটা জাগায় ঘুরে দারুন অনুভূতি শেয়ার করেছেন। সাতবাড়িয়ার চার পাশে পানি থাকার কারনে পরিবেশটা দারুন ছিল। নৌকা দিয়ে যেতে আধা ঘন্টা সময় লাগলে নৌকাভ্রমনটাও দারুন উপভোগ করেছেন। সাথে বাইক ছিল বলে যখন তখন যেখানে সেখানে যেতে পারেন। অনুভূতি ও ফটোগ্রাফি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 63003.41
ETH 3122.79
USDT 1.00
SBD 2.52