গেমিং
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। ঈদের পরবর্তী সময়ে প্রচুর ভালোমন্দ খেয়ে অনেকেই নিজের ওজন কন্ট্রোলে রাখতে পারেনা। ওজন হুড়মুড় করে বেড়ে যায়। এজন্য প্রয়োজন বেশি বেশি খেলাধুলা করা অথবা বিশেষভাবে শরীরচর্চা করা । খেলাধুলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার। কিন্তু বর্তমান জেনারেশন গেমের দিকে প্রচুর ঝুঁকে পড়েছে। যেটা আসলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গেমিং খারাপ আমি সেটা বলছি না। তবে প্রত্যেকটি জিনিসেরই একটা সীমানা থাকে। সেটা ছাড়ায়ে যাওয়া উচিৎ নয়।
আমি কিন্তু আজকে গেম নিয়েই আলোচনা করতে এসেছি। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। কিন্তু গেম ইন্ডাস্ট্রি দিন দিন যেভাবে ডেভেলপ করছে তাতে ফিউচারে গেমিং এর গুরুত্ব এবং পরিসর অনেক বেড়ে যাবে এটা সহজেই অনুমেয়। একটা সময় ছিল যখন গেম শুধুমাত্র ছোটখাটো অলস সময় গুলোতে বিনোদনের খোরাক যোগাতো। আমি ক্লাস নাইন থেকে প্রথম স্মার্ট ফোন ব্যবহার করা শুরু করেছিলাম। ওই সময়ে আমি কিছু অ্যানড্রয়েড গেম এর খবর শুনেছিলাম। সেগুলো প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড দিয়েছিলাম। আর অবসর সময় পেলেই সেগুলো নিয়ে বসে যেতাম। দারুন লাগতো আমার কাছে। একেতো নতুন ফোন এরপর নিত্য নতুন গেম। বেশ জুমে উঠত গেম খেলার মোমেন্ট গুলো।
আসলে ওই সময়টাতে সাধারন পাবলিক কেউই বুঝে উঠতে পারেনি এই গেমগুলোর ফিউচার কেমন। সময়ের সাথে সাথে আমরা এখন প্রায় অনেকেই জানি গেম ইন্ডাস্ট্রিগুলো কিভাবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে নিজেদের জায়গা দখল করে নিচ্ছে। ব্লকচেইন প্রযুক্তি হল হালের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রযুক্তি গুলোর মধ্যে একটি। আর এই গেমিং ইন্ডাস্ট্রি ধীরে ধীরে ব্লকচেইন টেকনোলজির মধ্যে ইন করতে শুরু করেছে। বিষয়টি ভাবতে হয়তো সহজ লাগতে পারে কিন্তু জেনে অবাক হবেন ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে গেমিং ইন্ডাস্ট্রি প্রবেশ করাতে ব্লকচেইন প্রযুক্তি আরো অনেক বেশি পপুলারিটি পাবে। এছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সি সেক্টরেও আমূল পরিবর্তন আনবে এই গেমিং ইন্ডাস্ট্রিগুলো। এমন একটা সময় ছিল যখন গেমিং এর ভবিষ্যৎ আছে, এটা শুনলেই মানুষ ঠাট্টা করত। কিন্তু বাস্তব বিষয়গুলো এখন স্পষ্ট হতে শুরু করেছে ।
গেম খেলে বর্তমানে ইউটিউবাররা প্রচুর অর্থ রোজগার করছে প্রতিনিয়ত। প্রথমত একজন ভালো গেমার যেকোনো একটি গেমের উপর স্পেশাল দক্ষতা অর্জন করে। এর ফলে সে ঐ গেম সম্পর্কে যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি খুব সহজেই হতে পারে। তবে বাংলাদেশে পাবজি এবং ফ্রী ফায়ার গেমারদের বেশি দেখা যায়। বাংলাদেশে এই দুটি গেমের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। ধীরে ধীরে গেমিং ইন্ডাস্ট্রিগুলো নিজেদেরকে উন্নতি করতেইআছে, আর ভালো ভালো গেম আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি।
আমি আজ থেকে ৫-৬ বছর আগে প্রথম ভিডিও গেমের সাথে পরিচিত হোই। খুব অল্পদিনেই কিছু ভিডিও গেম আমার খুব প্রিয় হয়ে ওঠে। খুব মজা হতো বন্ধুদের সাথে কানেক্টে থেকে গেম খেলতে। কিন্তু বেশিদিন আর কন্টিনিউ করতে পারিনি। লেখাপড়ার প্রেসার থাকার কারনে গেমিং আর কন্টিনিউ করতে পারিনি। তবে গেমিং এর প্রতি ভালোলাগাটা একটুও কমেনি। এখন ও মাঝে মাঝে মন চায় গেমিং সেটাপ বানিয়ে নিতে। বর্তমানে লেখাপড়ার প্রেসার থাকার কারনে হয়তো সম্ভব হবে না, তবে সামনে ফ্রী হইলে গেমিংয়ের মাঝে সময় দেয়ার ইচ্ছে আছে। যাইহোক আজ অনেক রাত হয়ে গেলো। গত দুদিন ধরে বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলাম। আজ ঘুম দিতে হবে। শরীর অনেক ক্লান্ত। আজ এখানেই বিদায়। দেখা হবে আবার নতুন কোন পোস্টে। ভালো থাকবেন সবাই। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আসলে ভাই গেমিং ভালো লাগেনা এমন মানুষ হয়তোবা খুঁজে পাওয়া অনেকটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আর গেম ইন্ডাস্ট্রি যেভাবে গেম তৈরি করছে তাতে নিঃসন্দেহে প্রতিটি মানুষের কাছে এগুলো ভালো লাগবে এটাই স্বাভাবিক। গেম ইন্ডাস্ট্রি গুলো বর্তমানে যেভাবে ব্লকচেইন সাথে সম্পর্কিত হতে শুরু করেছে তাতে আমার মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন চলে আসবে।
আর বইলেন না ভাইয়া বাড়িতে এসে তো দুই এক কেজি ওজন বেড়েই গিয়েছে।
ঠিকই বলেছেন কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না । গেম খেলা একটি নেশার মত । এই নেশা একবার ধরলে আর ছাড়ানো কঠিন। গেম খেলেও যে আয় করা যায় জানা ছিল না তো। আজ গেম সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে ভাই একথা সত্য আমাদের ওজন বেড়ে গেলে ব্যায়াম করা জরুরী। আর বর্তমানে স্মার্টফোনের কারণে অনেক ছেলেমেয়েরা গেমিং এর প্রতি মারাত্মকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে যেটা শুভ লক্ষণ নয়। বিনো দিনের জন্য মাঝে মাঝে গেমিং করা যেতে পারে কারণ অনেক সময় এক গেয়ে আসলে একটু গেমিং করলে মনটা আবার নতুনভাবে চাঙ্গা হয়। আপনার মত আমারও ভাই পড়াশোনার ব্যস্ততার কারণে কখনও গেমিং এর দিকে মনোযোগ দিতে পারেনি।
অবসর সময়ে বিনোদনের জন্য আমরা অনেক সময় বিভিন্ন গেমস খেলি। সব কিছুই যদি লিমিটের মধ্যে থাকে তাহলে ভালো। আর যদি লিমিট অতিক্রম হয় তাহলে আমাদের জন্য অনেক বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে। অনেককেই দেখেছি গেমস খেলার প্রতি এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছে যে অন্য কিছুর প্রতি কোন ইচ্ছে আগ্রহ নেই। সেজন্য সে প্রতিনিয়তই অপদস্ত হচ্ছে। তবে যাই হোক সবকিছুকে সিরিয়াসলি না নিয়ে উপভোগ করার মাধ্যমে গেমস খেলতে হবে। ভাইয়া আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো লিখেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। সেইসাথে আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। ❤️❤️❤️
গেমিং সেটাপ আমার দেখতেই ভালো লাগে।তবে নিজে করাটা খুব একটা ভালো লাগে না।
গেম খেলা আমাদের বিনোদনের একটি অংশ। তবে যদি বেশি পরিমাণে নেশা হয়ে যায় তাহলে অনেক বেশি ক্ষতি হয়। বিশেষ করে মস্তিষ্কের উপর অনেক বেশি খারাপ প্রভাব ফেলে। আমরা আসলে সবকিছুই বুঝি তবুও মাঝে মাঝে বেশি গেম খেলি। কথা আছে সবকিছুতেই অল্পতে সন্তুষ্ট হওয়া ভালো।
সত্যি বলেছেন ঈদে খেয়ে বেশ ওজন বেড়ে যাচ্ছে 😋
আর যে গরম কোথাও যাওয়ার উপায় নেই।
গেম খেলার প্রতি কখনো ঝোক ছিল না, তবে মোবাইলে টুকটাক হয়তো খেলেছি কখনো।
তবে কখনো যদি আমাদের স্টীম কয়েন দিয়ে কোন গেমস খেলা যায় তাহলে আমি ভালো একজন গেমার হয়ে উঠবো 😍
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া,
এখনো আমি ক্লাস অফ ক্লান খেলি, পাশা পাশি পাব্জিও খেলি দুটো গেমই আমার প্রিয়।
আপনি এই গেমস খেললে আইডি দিয়ে রিপ্লে করবেন। আপনার সাথেও যদি কানেক্টেড হতে পারি
আপনি আসলে ঠিকই বলেছেন, মাত্রাতিরিক্ত কোন জিনিসই আমাদের পক্ষে ভালো নয়। প্রত্যেকটা জিনিস আমাদের জীবনে কতটুকু দরকার সেটা সবার আগে বোঝা উচিত। এখন দেখি অনেক বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়ে যাদের বয়স ১১-১২ বছর, তাদের গেমের প্রতি একটা মারাত্মক রকমের আসক্তি রয়েছে। এমনকি তাদের বাড়ির লোকজন তাদের হাতে স্মার্ট ফোন পর্যন্ত তুলে দিচ্ছে। এই দিকটা আসলে খুব খারাপ। আমরা আমাদের ছেলেবেলায় পড়াশোনা ও অন্যান্য কাজের পর অবসর সময়ে গেম খেলতাম, আর এখন সবাইকে দেখি গেম খেলার পরে যদি কোন সময় অবশিষ্ট থাকে সেই সময় তারা পড়াশোনা করে বা অন্যান্য কাজ করে।এটি মোটেও ভবিষ্যতের জন্য ভালো লক্ষণ নয়। এই বিষয়গুলি যদি অল্প থাকতেই নজর না দেয়া হয় তাহলে ভবিষ্যতে অনেক খারাপ কিছু হতে চলেছে।