একটি তিক্ত দিনের গল্প।
হ্যালো বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই? সবাই অনেক ভালো আছেন আশাকরি। আজকে আমি একটা তিক্ত দিনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমার একটি ছোট ভাই আছে। ওর অনেক আগে থেকে একটা প্রবলেম ছিল। সেটা হচ্ছে একবার যদি ঠান্ডা লাগে তাহলে এক মাসেরও বেশি সময় স্থায়ী থাকে। অনেকদিন ধরেই ওর ট্রিটমেন্ট চলতেছে কিন্তু তেমন একটা লাভ হচ্ছে না। তাই গত কিছুদিন আগে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি ওকে ভালো একটা হাসপাতালে ভালো একটা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো। এজন্যই পপুলার হাসপাতালের ভালো একটা মেডিসিন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো চিন্তা করেছিলাম। গত শুক্রবারের আগের শুক্রবারে ওকে নিয়ে গেছিলাম ডাক্তারের কাছে। আগেরদিন সন্ধায় সিরিয়াল দিয়েছিলাম। আমাদের সিরিয়াল নম্বর ছিল ১০। ডক্টর এর রোগী দেখার সময় বিকেল ৩ টা হতে রাত দশটা পর্যন্ত।
শুক্রবারের দিন ছোট ভাইকে নিয়ে রওনা দিয়েছিলাম দুপুর দেড়টার দিকে। এক ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলাম শহরের পপুলার হাসপাতালে। আমাদের চিন্তা ছিল যে বিকেলের দিকে আবার আমরা ফিরে আসতে পারবো। কিন্তু আমরা যখন গেলাম তখন সবে মাত্র ১ নাম্বার সিরিয়াল শুরু হলো। তারমানে এখনো নয়টা সিরিয়াল শেষ হবার পর আমাদের সিরিয়াল আসবে। অনেকক্ষণ আমাদেরকে বসে থাকতে হবে। আমরা যে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম ঐ ডাক্তার অনেক সময় নিয়ে রোগী দেখছিল। প্রত্যেকটা রোগীর জন্য প্রায় ২০ মিনিট থেকে আধা ঘন্টা সময় ব্যয় করতেছিল । এটা অবশ্য একটা ভালো দিক ছিল। আমাদেরকে অনেক সময় বসে থাকতে হবে এ জন্য একটা ফ্রেন্ডকে ফোন দিলাম আর একটা ছোট ভাইকে ফোন দিলাম। তারা দুজনেই কিছু সময়ের মধ্যে পপুলারে চলে আসলো। এবার ভালই হলো। আশেপাশে পরিচিত লোক থাকলে বোরিং সময় টা ভালোভাবে কাটানো যাবে।
ওরা আসার পর আমরা সবাই হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গিয়ে একটি চায়ের দোকানে গেলাম। তখন ঘড়িতে বাজে সন্ধ্যা ৫ টা।
চায়ের দোকানে অনেকক্ষণ বসে ছিলাম। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সময় কাটানো । এজন্য সবাই এক কাপ করে চা খেলাম আর কিছু সময় বসে গল্প করলাম। গল্প-গুজব শেষ করে তারপর আবার বেরিয়ে আসলাম। এতক্ষণে মাত্র ২০ মিনিট মতো সময় ব্যয় করতে পেরেছিলাম। যাইহোক কি আর করার। এরপর চলে গেলাম একটা রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টে গিয়ে চারজনের জন্য চারটি চিকেন স্যান্ডউইচ আর একটা কোল্ড্রিংসের অর্ডার দিলাম। চিকেন স্যান্ডউইচ মোটামুটি ভালো লেগেছিল স্বাদের দিক থেকে।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বেড়িয়ে এলাম রেস্টুরেন্ট থেকে। এরপর গেলাম খোঁজ নিতে যে কত নম্বর সিরিয়াল চলছে।গিয়ে দেখলাম সবে মাত্র ৪ নম্বর সিরিয়াল চলছে। তখন একটু বিরক্ত লাগলো। এরপর চিন্তা করলাম মার্কেটের দিক থেকে একটু ঘুরে আসবো। এভাবে সময় কাটছে না। এরপর চলে গেলাম মার্কেটের দিকে।
এদিকসেদিক ঘোরাঘুরি করছিলাম। কোন কাজ নেই কি আর করার। এরপর একটা টুপির দোকানে গিয়ে তিন-চারটা টুপি কিনলাম। টুপি কিনে একটা ফাস্টফুডের দোকানে গেলাম মাংসের চপ কিনতে। অনেকগুলো চপ কিনে একটু ঘোরাফেরা করে আবার হাসপাতালের দিকে চলে এলাম।
এরপর হাসপাতালে এসে আমাদের সিরিয়ালের জন্য অনেকক্ষণ বসে থাকলাম। অনেকক্ষণ যাবত অপেক্ষা করার পর অবশেষে আমাদের সিরিয়াল আসলো। আমি আমার ছোট ভাইকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকলাম। এর পর অনেকক্ষণ ধরে ডক্টর ছোট ভাইকে ভালোভাবে দেখলো। দেখার পর দুইটি টেস্ট দিল। তখন আরো চিন্তায় পড়ে গেলাম। একটা টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগবে। আর একটা টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে। চিন্তার বিষয় ছিল আমাদের এলাকায় এই শীতের সময় বেশি রাত্রে গাড়ি পাওয়া যাবে না। প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা আছে এমন যেখানে বেশি রাত হলে গাড়ি পাওয়া যায় না। এমন সময় একটা ভাই ফোন দিল। ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলো আমাদের আসতে বেশী রাত হবে কিনা, আর আমাদের রিসিভ করতে আসতে হবে কিনা? কথাগুলো শুনে আমি অনেকটাই নিশ্চিন্ত হলাম। কারণ এখন আমার প্রধান টেনশনে ছিল বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা নিয়ে। যাইহোক এই বিষয়ে আর কোন টেনশন থাকল না। এরপর ছোট ভাইকে নিয়ে চলে গেলাম টেস্ট দুটি করাতে। নিচতলা থেকে টেস্টগুলো করিয়ে নিলাম এরপর অপেক্ষায় ছিলাম টেস্টের রিপোর্ট গুলো হাতে পাওয়ার।
কিছুক্ষণ আগে যে ফোন করেছিল আমাদের নিতে আসার জন্য সে আরও তিনজনকে সাথে করে নিয়ে চলে আসলো আমাদের পিক করতে। এত রাত্রে প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে শুধুমাত্র আমাদের নিতে আসার জন্য এতদূর বাইক চালিয়ে আসা টা সত্যিই কষ্টকর ছিল। যাইহোক ওদের এই আসাটা দেখে আমি সত্যি অনেক খুশি হয়েছিলাম।
ওরা যখন এসে পৌছালো তারও কিছুক্ষণ পর আমি রিপোর্টগুলো হাতে পেলাম। রিপোর্টগুলো হাতে পাওয়ার পর ডাক্তারের কাছে গিয়ে রিপোর্ট গুলো দেখিয়ে আসলাম। দশ দিন পর ডাক্তারের চেম্বারে আবারো দেখা করতে বলল। আর কিছু ওষুধ লিখে দিল। এরপর প্রেসক্রিপশনটা নিয়ে পপুলার হসপিটাল এর নিচতলার ফার্মেসীতে চলে এলাম । ওখানে গিয়ে ওষুধ গুলো কিনে নিলাম। এরপর আমরা প্রস্তুতি নিলাম বাড়ি ফেরার।
প্রথমদিকে যেই ছোট ভাইয়ের কথা বলেছিলাম যে আগে থেকেই শহরে এসেছিলো , আমার ফোন পেয়ে আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল, ইতিমধ্যেই ও সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে আমাদের সাথে বাড়ি চলে আসবে। ওর প্ল্যান ছিল শহরে আরও একদিন থাকবে। ওর কিছু কাজ ছিল কিন্তু আমাদের সবার একসাথে দেখে ও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাড়ি চলে আসবে আমাদের সাথে। এরপর আমরা সবাই বাইকে উঠলাম। আসার সময় আমি বাইক ড্রাইভ করেছিলাম। প্রচন্ড বাতাস ছিল। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে বাইক চালিয়ে আসতে হয়েছিল।
প্রায় ৮/১০ কিলোমিটার বাইক চালানোর পর দেখলাম হাইওয়ের পাশে একটা চায়ের দোকান তখনো খোলা। এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। এরপর সবাই ওখানে দাড়াইলাম৷ দাঁড়ায়ে সবাই এক কাপ করে রং চা খেলাম।
অনেক জোরে বাইক চালিয়ে শরীর একদম ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। এমন অবস্থায় এক কাপ গরম চা দারুন লাগছিল। এবার চা খাওয়া শেষ করে আবার সবাই রওনা দিলাম। আরও প্রায় ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার ড্রাইভ করে তারপর বাসায় ফিরলাম। আমি যখন বাসায় ফিরলাম তখন বাজে রাত ১১:০২। বাসা থেকে রওনা দিয়েছিলাম দেড়টার দিকে আর বাসায় ফিরলাম এগারোটায়। যাহোক, সারাটাদিন খুবই বিরক্তিকর ছিল। বাসায় এসে আর দেরি না করে পেন্ডিং এ রাখা কাজগুলো শেষ করে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তো এটাই ছিল আমার সেই বিরক্তিকর দিনটির গল্প। ডক্টর আবার আগামী শুক্রবারে যেতে বলেছে। দেখা যাক কি হয়। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
প্রথমেই আপনার ছোট ভাইয়ের সুস্থ্যতা কামনা করি। এবং এই ডাক্তারের কাছে বসে থাকার মতো বিরক্তিকর কাজ আর নেই। এই অভিজ্ঞতা আমার খুব ভালো জানা আছে। এবং আপনি তো তাও বাইরে গিয়ে সময় কাটিয়েছেন আমি তাও পারিনি। এবং এখন অনেক ডাক্তারই আছে দেখি অনেক সময় ধরে একজন রোগী দেখে। সত্যি এটা অনেক ভালো একটি দিক। যাইশেষ মূহুর্তে কাজের ভাইদের পেয়ে আপনার সুবিধাই হয়েছে।
হুম। তুমি ঠিক বলেছ। একটু বাইরে ঘুরাঘুরি করেছিলাম বলে তাও মোটামুটি সময়টা গিয়েছিল।
আপনি আপনার এক ছোট ভাইয়ের জন্য এত কষ্ট করেছেন শুনে খুবই ভালো লাগলো। আজকাল মানুষের অন্যের জন্য সময় নেই। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। এভাবেই থাকুন। নিজেকে কখনো বদলাতে দেবেন না।
ঠিক বলেছেন ভাই। ভালোবাসা নিবেন।
সত্যি ভাইয়া আপনি আপনার ছোট ভাইয়ের জন্য অনেকটাই কষ্ট করেছেন। আমিও গত কয়েক সপ্তাহ আগে আমার বাচ্চার জন্য লালন শাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এমন ভোগান্তিতে পড়ে ছিলাম। যাহোক আপনার পোস্টটি পড়ে সবচাইতে বেশী ভাল লাগল যে ডাক্তার প্রায় আধাঘন্টা সময় ধরে রোগী দেখছেন। আরো বেশি ভালো লাগলো জানতে পেরে যে আপনাদের পিক করার জন্য তিনজন মানুষ এসেছিল। আলহামদুলিল্লাহ, শেষ পর্যন্ত রাত এগারোটার সময় ভালভাবে বাসায় পৌঁছে গেছেন এটা জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগলো। দুপুর দেড়টা থেকে রাত এগারোটা সত্যি ভাইয়া অনেকটা সময় বিরক্তির মধ্যে ছিলেন। আগামী শুক্রবারের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া। আপনি এবং আপনার ছোট ভাইয়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সত্যিই শীতের মাঝে এটি তিক্ত অভিজ্ঞতা আপনাদের।আমার সব থেকে ভালো লেগেছে যে আপনার বন্ধুরা আপনাদের জন্য সময় দিয়েছে শীতের রাতে।এটি অবশ্যই আপনার ভালো কাজের হাত রয়েছে।টিকে থাকুক এভাবেই প্রত্যেকে প্রত্যেকের প্রতি ভালোবাসা।আপনার ছোট ভাইয়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।ধন্যবাদ দাদা।
ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
ছোট ভাইয়ের জন্য এত কষ্ট বিষয়টি খুবই ভালো লাগলো। এটা কথা আছে, ভাই বড় ধন, রক্তের বাঁধন, যদিও পৃথক হয়, নারীর কারন। মেডিকেলে যাওয়া রোগী দেখানো এবং এই পরীক্ষা করার বিষয়ে গুলো যে কতটা বিরক্তিকর এগুলো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আরে কষ্টগুলো পরিমাপ করা যায় না। মেডিকেলের নাম শুনলেই শরীরটা কেন জানি কেঁপে উঠেন। মেডিকেলের পরিস্থিতি আমার ভিতরে একটা ভয় তৈরি করে দিয়েছিলো। আমি ওপরওয়ালার কাছে এই প্রার্থনা টুকুই করি যেন কাউকে মেডিকেলের দ্বারপ্রান্তে না নেয় এটা যেমন কষ্টের তেমনি যন্ত্রণাদায়ক। যাইহোক আপনার 10 কিলো রাস্তা ড্রাইভ করতে হবে মাঝপথে ব্রেক দিয়েছেন চা খেয়েছেন বিষয় গুলো আমাদের সাথে অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেন এবং আপনার তিক্ততার বিষয়গুলো শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং গভীর ভালোবাসা।
সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
জ্বী ভাইয়া পপুলার হসপিটাল গুলোতে এমনই হয় তবে আমার মনে হয় ডাক্তার একটু বেশী সময় নিয়ে ফেলছে। বোরং টাইম যখন বন্ধুদের সাথে শেয়ার করছেন আশা করি ভালোই লাগছে।তবে বন্ধুরা যদি না আসত তাহলে আপনার ধৈর্য্য থাকত না।
ভালোবাসা রইল আপনার মতো ভাইয়ের জন্য যারা কিনা সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে চাই।
জি ভাই।। আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
সর্বপ্রথম আমি একটি কথাই বলতে চাই ভাইয়া আপনার ছোট ভাই যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায় এই কামনাই করছি। সত্যি কথা বলতে বর্তমানে ডাক্তারের চেম্বারে গেলে খুবই বিরক্ত লাগে। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় সিরিয়ালের জন্য। এরপর যখন সিরিয়াল পাওয়া যায় তখন নানান রকমের টেস্ট করতে অনেক সময় লাগে। মোটকথা বেশ কিছু সময় হাতে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগে। তবে যাই হোক আপনার বন্ধু এত কষ্ট করে আপনাদেরকে নিতে এসেছে এই শীতের রাতে এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো। সত্যিই আজ এমন বন্ধু পাওয়া খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। আপনার এই পোস্টটি পড়ে বোঝাই যাচ্ছে আপনি আপনার ছোট ভাইয়ের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন এবং অবশেষে সফল হয়েছেন সব কাজগুলো সম্পন্ন করতে। গল্পটি একটি তিক্ত দিনের গল্প হলেও এর মাঝে মিশে রয়েছে অনেক ভালোবাসা। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
আসলে আমাদের দেশে কিছু সিস্টেমে ঝামেলা আছে। সিস্টেম গুলো পরিবর্তন করতে না পারলে এমন সমস্যা থেকেই যাবে।
ভাইয়া বর্তমানে ডাক্তারের কাছে গেলে এগুলো খুবই কমন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি কিছুদিন আগে আমার এক আত্মীয়কে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। সেখানের পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে আমার কাছে এতটাই বিরক্ত লেগেছে যে দ্বিতীয়বার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। অনেক সময় দেখা যায় আগে সিরিয়াল থাকলেও তারপরও সিরিয়াল পেতে পেতে অনেক সময় লেগে যায়। আপনার ভাই যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয় এবং সুস্থ থাকে এই দোয়া করছি ভাইয়া। আপনি আপনার ছোট ভাইয়ের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন এটার জন্য খুবই ভালো লাগলো। আপনাদের দুজনের জন্যই শুভকামনা রইলো ভাইয়া। তবে যাই হোক সবশেষে যে আপনার আরেকজন ভাই আপনাকে সাহায্য করেছে বাড়ি ফেরার জন্য এটা অনেক ভালো লেগেছে আমার। আপনি একজন ভালো মানুষ বলেই আপনাকে সাহায্য করার মানুষের অভাব হয়নি। বন্ধুত্ব এভাবেই বেঁচে থাকুক চিরদিন এই কামনাই করি। সকলে সুস্থ থাকবেন এবং ভালো থাকবেন এই কামনাই করি।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই। ডক্টরের কাছে একবার গেলে দ্বিতীয়বার আর যেতে ইচ্ছা করে না ।
আপনার ভাই সুস্থ্য থাকুক এই প্রত্যাশা করছি। তবে হ্যা, ডাক্তার এর কাছে যাওয়া মানেই হলো পেইন্ট খাওয়া। সিরিয়াল হতে শুরু করে সব ক্ষেত্রে বেশ কষ্টকম সময় পার করতে হয়, তবুও আপনারা সময়গুলো পার করতে পারছেন এটাই বড় কথা। ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন ভাই। হাসপাতাল হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বোরিং জায়গা গুলোর মধ্যে একটা।