রোমান্টিক ওয়েদার।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামুআলাইকুম।
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। মাঝেমধ্যে মন চায় ছুটে চলি অজানার পথে। সব সময় মনের চাওয়াকে প্রাধান্য দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা। কিন্তু নিজের আশেপাশে যদি অপরিচিত বা অচেনা কোন জায়গা থাকে সেখানে নতুন ভাবে গিয়ে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে মাঝেমধ্যেই ইচ্ছা জাগে।
সেদিন প্রায় সারা দিনই ঘরের মধ্যে ছিলাম। হঠাৎ মন চাচ্ছিল কোথাও গিয়ে ঘুরে আসতে। এই শীতের সময় কেউই বাড়ি থেকে বের হতে চায় না। রাহুল কে ফোন দিলাম, বললাম চলো কোথাও যাই। ও ঘোরাঘুরি করার জন্য পাগল। ওর মুখে কখনো 'না' শুনিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ও চলে আসলো আমার বাড়িতে। ওর সাথে নামলাম চরের দিকে। প্রথমেই ভাটার উপর গিয়ে ভাটার দোকান থেকে দুজন দু'কাপ চা খেয়ে নিলাম। এরপর রাহুল বলল নতুন একটা জায়গায় যাব আজ আমরা। ওর কথা মতো বাইক নিয়ে এগোতে থাকলাম।
আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো এমন একটা জায়গা দিয়ে আমরা এগোচ্ছিলাম যে জায়গা দিয়ে আমি কখনো এর আগে যাইনি। এসব এলাকার প্রায় সবটাই আমার চষে বেড়ানো। নতুন একটা চরের রাস্তা দিয়ে নতুন এলাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। একটু আগাতেই দেখি অপরুপ সৌন্দর্যে আবৃত কুয়াশাচ্ছন্ন শুকনো নদীর দৃশ্য। পাশদিয়ে রাখাল তার গরু নিয়ে ঘাসের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি মারাত্মক মুগ্ধতা নিয়ে দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে লাগলাম। আমি দুঃখিত যে ওই সময় ফটোগ্রাফি করার কথা মাথায় আসেনি। শুধু মুগ্ধ হয়ে নিজেই দেখে গেছি।
যাইহোক আরো অনেকটা দূর এগিয়ে গিয়ে দেখলাম অনেকগুলো নৌকা রাখা। সেখানে একটা ছোট্ট ছেলে অল্প পানিতে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। এই দৃশ্যগুলো অবশ্য ক্যামেরা বন্দি করেছি৷ ছেলেটির এই শীতের মধ্যে মাছ ধরতে দেখে অবাক হলাম। ওকে জিজ্ঞেস করলাম মাছ পেয়েছে কিনা? উত্তর আসলো : পাচ্ছি ছোট ছোট মাছ।
আসেপাশে অনেক বকের আনাগোনা ছিলো। সামান্য একটু পানি থাকায় হয়তো ছোট ছোট কিছু মাছের অস্তিত্ব আছে এখানে। তাইতো এতোগুলা মাছশিকারি ওঁত পেতে আছে। সেখানে রাখা নৌকাগুলো দেখতে ভিষণ সুন্দর লাগছিল। এসব দেখে কিছুক্ষণ পর আমরা ওই যায়গাটি ত্যাগ করলাম। এরপর চেনা দিকে অগ্রসর হলাম ।
বিশাল বড় চরের মাঝখানে একটা মেঠো পথ দিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কুয়াশার কারণে চরের শেষ সীমানা অর্থাৎ পাড় দেখা যাচ্ছে না ভালোমতো। ওয়েদারটা ভীষণ রকমের রোমান্টিক। খুবই আস্তে ধীরে যাচ্ছিলাম আর ফিল নিচ্ছিলাম । চরের মেঠো রাস্তার পাশে অনেক অনেক বরই গাছ থাকে। ফাঁকা রাস্তায় এরকম অনেক বরই গাছ দেখা যায়। একটা বরই গাছে নিচে দাঁড়িয়ে কয়েকটা বরই পেরে খেলাম আমরা। বরই খাওয়া শেষ করে তারপর আমরা উপরে চলে আসলাম। পুরো সময়টা খুবই অসাধারণ এবং খুবই সুন্দর ছিল।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আসলে অজানা পথে ভ্রমন করলে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। আর হ্যাঁ এরকম কিছু বন্ধু থাকে যাদেরকে কোথাও যাওয়ার কথা বললে কখনোই না করে না। যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে শেয়ার করা দৃশ্যগুলোতে চমৎকার ছিল। তবে এই শীতের মধ্যে ছেলেটির মাছ ধরা দেখে বেশ অবাক হলাম। যাইহোক আশাকরি দৃশ্যগুলো বেশ উপভোগ করেছেন। তবে এই শীতের মধ্যে বাইরে বেরিয়ে দৃশ্যগুলো উপভোগ করা একটু মুশকিল হয়ে যায়। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলেই ভাইয়া এরকম ওয়েদারে সময় কাটাতে ভালোই লাগে। আপনার বন্ধুকে ডাকার সাথে সাথেই দেখছি চলে আসলো। বন্ধুদেরকে নিয়ে এরকম জায়গায় ঘুরতে আর সময় কাটাতে ভালোই লাগবে। বিশেষ করে নদীর দৃশ্যগুলো আমার কাছে দারুন লেগেছে। আবার দেখলাম অল্প পানির মধ্যে কেউ কেউ মাছ ধরেছে। যারা মাছ ধরতে অভ্যাস হয়েছে, তারা অল্প পানিতেও ছাড় দেয় না। সত্যি ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। তবে যেহেতু রোমান্টিক ওয়েদার বলছেন আপনার সাথে, ভাবী থাকলেই ভালো হতো।
এই তীব্র শীতে অনেকেই ঘুরতে যেতে চায় না। তবে যারা ঘুরাঘুরি করার জন্য পাগল,তারা এই সিজনটা আরও বেশি উপভোগ করতে পারে। কারণ ঘুরাঘুরি করার জন্য শীতকাল একেবারে পারফেক্ট। যাইহোক আপনারা দু'জন বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এতো চমৎকার জায়গায় ঘুরতে গেলে মনটা একেবারে জুড়িয়ে যায়। এতো শীতের মধ্যে ছোট ছেলেটা মাছ ধরছে কতো কষ্ট করে। তবুও তেমন মাছ পেলো না,দেখে খুব খারাপ লাগলো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
রাহুলের মত আমারও একটা ফ্রেন্ড আছে দাদা। যাকে ঘোরাঘুরির কথা বললে সেও না করেনা কখনো । তার নাম হলো সৌরভ। যাইহোক, দাদা চরে ঘুরতে গিয়ে যে দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো করেছন তা সত্যিই মারাত্মক লাগছে দেখতে! এগুলো দেখে মুগ্ধ না হয়ে থাকা যাচ্ছে না। চরের এমন জায়গায় জল শুকিয়ে গেলে সেখানে আর বড় মাছ থাকে না , ছোট ছোট মাছই থাকে দাদা। যেগুলো ওই ছোট বাচ্চাটা পাচ্ছিল। এখানে শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারলাম ওয়েদারটা কতটা রোমান্টিক ছিল🥰। নতুন জায়গায় গিয়ে বেশ ভালই ঘুরেছেন যা বুঝতে পারলাম।
জী ভাইয়া সত্যিই দারুন একটি জায়গা ভ্রমন করলেন। চার পাশে বিশাল খালি এলাকা। সারাদিন কম্পিউটারে চোখ না রেখে মাঝে মধ্যে এমন এলাকায় গেলে মন ফ্রেশ হয়ে যায়। আশ্চর্য হলাম বাচ্ছা গুলোর মাছ ধরা দেখে। এত শীতের সুমন ভাই কম্বলের নিচ থেকে বের হতে চাই না,আর ছোট বাচ্ছা গুলো কাদায় নেমে মাছ ধরছে। ধন্যবাদ।