Bandarban Diary - পাহাড়ি জুম ঘরে।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। বান্দরবান ডায়েরির গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম বিউটি কুইন সাঙ্গু পেরিয়ে রেমাক্রিতে পৌঁছে গেছি। পৌঁছানোর পরেই আমাদের সর্বপ্রথম কাজ ছিলো থাকার জায়গার ব্যবস্থা করা।
রেমাক্রি জলপ্রপাতের পাশেই ছিলো অনেকগুলি থাকার ঘর। আমরা থাকতে চেয়েছিলাম এমন একটা গ্রামের মতন জায়গায় যেখানে আদিবাসীদের মত একটি ফিল পাওয়া যাবে সেই সাথে জলপ্রপাতের শব্দ কানে আসবে। মনের মতন পেয়েও গেলাম। প্রথমেই রুমে সবার জিনিসপত্র রেখে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপর রুমের নিচে এসে ওই জায়গায় দাঁড়িয়ে আশেপাশের ভিউ দেখলাম। একটা বাড়ির উঠান যেমন হয় জায়গাটা ছিলো ঠিক এমনই।
আমরা যেখানে ছিলাম সেখানে ওই বাড়িতে অনেকগুলো মুরগি ছিলো। পাহাড়ি মোরগ গুলো দেখেই মনে হচ্ছিল রেঁধে খেয়ে ফেলি। হিহিহি।।। যাই হোক যে বাড়িতে আমরা ছিলাম সেখানে উনাদেরকে বলা হলো আমাদের সবার জন্য একটি করে ডিম সিদ্ধ করতে। আমরা বেশ ভালো ফিল করছিলাম এই বাড়িটাতে। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই ডিম সিদ্ধ নিয়ে হাজির।
আশেপাশের প্রকৃতি দেখতে দেখতে ডিমগুলো সাভার করে ফেললাম সাথে সাথেই। ওইখানে পৌঁছানোর পর ফ্রেস হয়ে আর তেমন সময় ছিল না দূরে কোথাও যাওয়ার। প্ল্যান করেছিলাম পরের দিন সকাল বেলা আমরা বেরিয়ে পড়বো নাফাখুমের উদ্দেশ্যে। যাই হোক, বিকেল বেলা একটুখানি বেরিয়ে পড়লাম জলপ্রপাত দেখতে।
বর্ষার শুরু থেকে এই জায়গাটা ভয়ানক রূপ ধারণ করে। এখন অনেকটাই শান্তশিষ্ট কিন্তু বর্ষার শেষের দিকে যখন পানি নেমে যায় অনেকটা, তখন সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগে।
বিকেলবেলা জায়গাটা অসম্ভব সুন্দর ছিলো। নাফাখুমের পথের দিকে যে নির্জনতা ছিলো সেটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। রেমাক্রির একদম পয়েন্ট অনেক দোকানপাট আর অনেক মানুষজন ও ছিলো। জলপ্রপাতের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়ালে সুন্দর একটি অনুভূতি পাওয়া যায়। পানির অসাধারণ রিলাক্সিং সাউন্ড আপনাকে নিমিষেই প্রশান্ত করে তুলবে।
বিকেল জুড়ে জায়গাটাতে ছিলাম আমরা। যখন অন্ধকার ঘনিয়ে আসলো তখনও আমরা সেই জায়গাটি ত্যাগ করিনি। আসলে জলপ্রপাতের মাঝে একটু শুকনো জায়গাতে বসে পা দুলিয়ে যখন আমরা গল্প করছিলাম তখন এমন একটি অনুভূতি ও ছিল যে "আই উইস আমরা প্রত্যেকদিন এখানে বসে আড্ডা যদি দিতে পারতাম"
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
পাহাড়ি জুম ঘরে ৯টা সিদ্ধ ডিম পানির সাথে ঢেউ খেলছে। আপনার বান্দরবন ডায়রি পড়ে খুব ভালো লাগছে। রেমাক্রির , নাফাখুমের কখনো যাওয়া হবে কি না,আল্লাহই জানে। ব্লগ পড়ে বুঝতে পারলাম নয় বন্ধু দারুন সময় উপভোগ করছেন। ধন্যবাদ।
এই প্রথম কাঠের তৈরি ঘরে থেকে ছিলাম, আর আশেপাশের পরিবেশের সাথে বেশ মানিয়েছিলো ঘরটা। আর ওই মুহূর্তে ডিমগুলো খেতে সত্যি আলাদা একটি অনুভূতি কাজ করছিল। তবে ওই সময় যদি পাহাড়ি মুরগি ধরে রান্না করতে পারতাম অনেক বেশি মজা হতো।
পাহাড়ি জুম ঘরে আমার কখনো থাকা হয়নি।তবে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি ও অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো ফিল হচ্ছে।এমন প্রকৃতির মাঝে কাঠের ঘরে থাকা সত্যি ই অসাধারণ লাগার কথা। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
কাঠের তৈরি ঘরে সাজেক ভ্যালিতে গিয়ে থেকেছিলাম। বেশ ভালোই লাগে থাকতে। যাইহোক এতো সুন্দর রুমে থেকে জলপ্রপাতের সাউন্ড শুনতে যে কারোরই ভালো লাগবে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। আশা করি পরবর্তী পর্বে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পাবো। যাইহোক এমন মনোমুগ্ধকর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
কাঠের ঘরে এবং চাচের বেড়া দেওয়া ঘরটি অনেক সুন্দর মনে হচ্ছে।তাছাড়া আপনারা পরে কি পাহাড়ি মোরগ খেয়েছিলেন দাদা?প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য একটু ভিন্নতা খুঁজে পেলাম।লাল মাটি ও পাথরের মধ্যে জলের রং কালচে মনে হচ্ছে।সত্যিই এমন পরিবেশে পা দুলিয়ে গল্প করতে করতে মনে অদ্ভুত আনন্দ কাজ করে।দারুণ সময় পার করেছেন আপনারা,ধন্যবাদ দাদা।