কলকাতায় শেষ দিন। শেষ পর্ব - শপিংsteemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন আপনারা সবাই? গত পর্বে কিছু শপিং এর গল্প শেয়ার করেছি আপনাদের সাথে। এরপরও কিন্তু আমাদের আরো অনেক কিছু কেনাকাটা বাকি ছিল। আরিফ ভাই ইন্ডিয়ান মসলা কিনে বাংলাদেশে আনবে বলে প্ল্যান করে রেখেছিল। আবার আমার ওয়াইফের জন্য একটা থ্রি-পিস নিব ভেবে রেখেছিলাম সেটাও নেয়া হয়নি। আমরা এবার সোজা নিউমার্কেটে চলে আসলাম। নিউমার্কেটে এসে আরিফ ভাই তো পুরাই হতাশ। উনি এতক্ষণ ধরে মসলা কিনবে ভেবে রেখেছে এখানে এসে, কিন্তু এখানে এসে দেখি সব দোকান বন্ধ হয়ে গেছে।

এরপর আমরা আবারো শ্রীলেদার্স এ গিয়েছিলাম। আমি আমার আব্বুর জন্য একটা জুতা জুতা নিয়েছিলাম। আরিফ ভাই, হাফিজ ভাই ও সম্ভবত আরো কিছু কিনেছিল তখন। বেল্ট, ওয়ালেট এসব কিছু হবে হয়তো। আমার সঠিক মনে পড়ছে না। শ্রীলেদার্স থেকে বেরিয়ে আমরা কিংপ্রোস ভাইকে বিদায় জানিয়ে ছিলাম। দুইদিন যাবত ভাই আমাদের সাথে প্রচুর টাইম দিয়েছে। উনার জন্য অনেক কাজ কভার করতে পেরেছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে। জানিনা উনার সাথে আর কখনো দেখা হবে কিনা, বিদায় মুহূর্তে এটাই মনে পড়ছিল। উনি যদি বাংলাদেশে আসে আর আমরা যদি আবার কলকাতা যাই তাহলে ইনশা আল্লাহ্ দেখা হবে। যাইহোক পুরো সময়টার জন্যই @kingpros ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এবার আমাদের রুমে চলে আসার পালা। রাত তখন অনেক। ১১ টা বাজে সম্ভবত। কিংপ্রোস ভাইকে বিদায় জানিয়ে আমরা রুমে চলে আসলাম। আসার সময় অবশ্যই একটি চকলেট এর দোকান থেকে আমরা অনেকগুলো চকলেট কিনে নিয়ে এসেছিলাম। যাইহোক রুমে এসে আমরা ফ্রেশ হলাম। ফ্রেশ হয়ে খাওয়ার জন্য আবারও বাইরে আসলাম। তখন রাত বাজে বারোটা। ওদিকে সকাল সাতটায় আবার আমাদের ট্রেন আছে। অর্থাৎ আমাদের বেরিয়ে পড়তে হবে সকাল চারটা পাঁচটার দিকে। হাতে সময় খুবই কম। রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে হঠাৎই নজর পড়লো একটি মসলার দোকানের দিকে। আমাদের হোটেলের পাশেই এমন একটা মসলার দোকান রয়েছে যেটা আমরা আগে খেয়াল করিনি। রাত বাজে তখন বারোটার বেশি তবুও দোকানটি খোলা ছিল। শেষমেষ আরিফ ভাইয়ের মসলা পাওয়া গেল। মসলা কেনা শেষ করে এবার ভাবলাম সামনে গিয়ে দেখি কোন দোকান খোলা আছে কিনা থ্রি পিসের। লাক ভালো ছিল। ভালো একটা দোকান পেলাম শেষমেষ।

1686122639221-01.jpeg

1686122743889-01.jpeg

দোকানে প্রচুর থ্রি-পিস, ফোর পিস, শেরওয়ানি, পাঞ্জাবি, বিয়ের শাড়ি সবকিছুই ছিল। এমন একটা দোকান পেলাম আর কোথাও যেতে হবে না। প্রথমেই আমার ওয়াইফের জন্য একটা ফোরপিস পছন্দ করলাম। ইন্ডিয়ান টাকা ৩৭শ নিয়েছিল। দোকানদারের সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথা হলো উনি বলল এই ড্রেসগুলো নাকি বাংলাদেশের বসুন্ধরা, যমুনা শপিং কমপ্লেক্সে বিক্রি করে। ওনারাই নাকি বাংলাদেশে পাঠায়। এখানে উনাদের বিজনেস আছে। শুনে বেশ ভালোই লাগলো। উনি বলল বাংলাদেশে এই ড্রেসগুলো নাকি ৮ থেকে ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। আমি ওখান থেকে দুটো ড্রেস কিনেছিলাম। আমার ওয়াইফের ছোট বোনের জন্য এবং আমার ওয়াইফের জন্য।

1686122668848-01.jpeg

1686122687551-01.jpeg

1686122703650-01.jpeg

একটা ফোর পিস, একটা থ্রি পিস কেনার পর আমার আব্বুর জন্য একটা পাঞ্জাবিও পছন্দ করলাম। এই দোকানের সব প্রোডাক্ট আমার ভালো লাগতেছিল। কোয়ালিটি ছিল। এই মুহূর্তে এসে আমি শান্তি অনুভব করছিলাম। কেনার ইচ্ছা ছিল কিন্তু না কিনে চলে যাওয়াটা খারাপ হত। শেষমেষ সবার জন্যই কিছু না কিছু নিতে পারলাম।

1686122726138-01.jpeg

1686122760547-01.jpeg

যাইহোক কেনাকাটা শেষ করে আমরা এবার সোজা রুমে চলে আসলাম। আমরা যখন রুমে আসলাম তখন সম্ভবত রাত ১২ঃ৪০ বা তার বেশি বাজে। আমাদের টেনশন ছিল সকালে ঘুম থেকে উঠা নিয়ে। একবার ভাবছিলাম না ঘুমিয়ে একবারে সকালে বেরিয়ে যাব, কিন্তু চোখ আর মানলো না। প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছিল। সারাদিন এত ঘোরাঘুরি পর খুব ক্লান্ত ছিলাম। না পেরে শেষমেষ ঘুমিয়ে গেলাম।

এটাই ছিল কলকাতায় শেষ দিনের শেষ পর্বের গল্প। কলকাতা শেষ দিন পর্বের শেষ পর্ব এখানেই শেষ করছি। খুব অল্প সময় ঘুমিয়ে পরের দিন রউনা দিতে হয়েছে সে গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব খুব শীঘ্রই ইনশা আল্লাহ্। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ্ হাফেজ।



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 last year 

আরে ভাইয়া ও শেষ পর্যন্ত মসলা কিনতে পারল এবং আপনিও আপনার ওয়াইফ এর জন্য থ্রি পিস পারলেন। দুর্ভাগ্যবশত আমি কলকাতার শেষ দিন পর্ব টাই দেখলাম। আমি অবশ্যই আগের পর্বগুলো পড়ে দেখব। নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিক্রম করেছিলেন।

 last year 

কলকাতার শেষ দিনটি পড়তে গিয়ে ভেতরে একটা উত্তেজনা কাজ করছিল। ভাবছিলাম,শেষ পর্যন্ত কিছু কিনতে পারবেন কিনা।যাক শেষ মুহূর্তে কিনলেন, হাফ ছেড়ে দিয়ে বাঁচলাম।আপনাদের হোটেলের সামনেই মসলার একটি দোকান আপনারা আগে খেয়ালই করেননি।সবাই কম বেশি কেনাকাটা করলেন, পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

বাহ!!!! কলকাতার শেষ দিনের পর্বে দারুণ কিছু কেনাকাটার মুহূর্ত উপভোগ করলাম৷ সবশেষে যে হাফিজ ভাই মসলা কিনতে পেরেছে এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়৷ নয়তো ভাবি তাকে বাসায় ঢুকতে দিত না৷ হিহিহিহ
যা হোক এবার জমছে রেসিপি বানাবে হয়তো ৷ আর সেই রেসিপিগুলো অনেক সুস্বাদু হবে ৷ এমনটাই আশা প্রত্যাশা৷
আপনিও দেখি ভাবীর জন্য অনেক কিছুই কিনেছেন সেই সাথে কিংপ্রোস দাদা আপনাদের অনেক সময় দিয়েছেন এটাও বেশ ভালোই লাগলো৷

 last year 

কলকাতায় খুব অল্প কয়েক দিনের জন্য গেলেও আপনারা বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছিলে। আপনাদের ঘোরাঘুরি করার পর্বগুলো দেখে বেশ ভালই লাগলো। আর হ্যাঁ আরিফ ভাইয়ের মসলা কেনার ব্যাপারটা যদিও বা ওনার পোস্টে আগেই পড়েছিলাম। আর আপনিও তো দেখতে বেশ ভালই কেনাকাটা করেছেন। আসলে কোথাও গেলে সেখানকার ভালো ভালো জিনিস দেখলে এমনিতেই কিনতে মন চায়। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে কলকাতা ভ্রমণ করার এই পোস্টগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আর হ্যাঁ নিশ্চয়ই খুব শীঘ্রই কলকাতা থেকে ট্রেনে বাড়ি আসার ঘটনাটাও কোন একটা পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবো।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.17
JST 0.031
BTC 87000.16
ETH 3290.95
USDT 1.00
SBD 2.93