প্রথমবার ফুপুবাড়ি।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে সব কাজগুলো কেমন যেন গুলিয়ে ফেলছি। ভাগ্যিস আমি টুডু লিস্ট ইউজ করি তা ছাড়া ভুলেই যেতাম কখন কি করতে হবে। আসলে এতদিন পর বাড়ি এসে পরিবারের সকলের সাথে ঈদ করার আগাম ব্যস্ততাটাও কম নয়। একটু বেশিই ব্যস্ততার মধ্যে পড়ে গিয়েছি।

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে সকালে যে কাজগুলো আমার থাকে শিডিউলে সেই কাজগুলো সব কমপ্লিট করতে হয়। দুপুরের দিকে সাধারণত আমি পোস্ট লিখি। কিন্তু আজ বেমালুম ভুলে গিয়েছি আমার পোস্ট লিখতে হবে। গত কিছুদিন ধরে সারাদিন বিদ্যুৎ থাকছে না। আজ অবশ্য একটু ব্যতিক্রম ছিল। সকাল থেকে দুপুর অব্দি বিদ্যুৎ ছিল। ৫/৬ ঘন্টা একটানা ভিতর থাকার পর দুপুর থেকে আবার ছিল না। আমি যেহেতু দুপুরের পরে সাধারণত পোস্ট লিখি এই গরমের মধ্যে আর পোস্টটা লিখতে ইচ্ছা হয়নি। যাইহোক দুপুরের পরে আবার হঠাৎ করে একটা কাজ পড়ে যায়। আমার চাচাতো ভাই আমাকে ফোন দেয় যে ফুফুদের বাড়িতে যেতে হবে। রোজা থেকে সারাদিন ড্রাইভ করেছে এজন্য উনি নিজের গাড়ি চালাতে পারবে না , তাই আমাকেই দায়িত্ব দিল।

কি আর করার। ভাইয়ের সাথে চলে গেলাম তিনটার দিকে ফুফুদের বাড়িতে। দুটো ফুপুর বাড়ি গিয়েছি আজ। একটা ফুপুর বাড়ি আগেও অনেকবার গিয়েছি,আর মেজ ফুপুর বাড়িতে জীবনের প্রথম আজকে গেলাম। আসলে আমার ছোটবেলা থেকেই আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে একটু কম যাওয়ার অভ্যাস। যদি অভ্যাসটা খুবই খারাপ তবুও কেন জানি যাওয়া হয়। আমার এই খারাপ অভ্যাসটা আছে আমি সেটি বলতেই পারি। আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে যাওয়া আসা থাকাটা ভালো। যাই হোক অনেক দূর বাইক ড্রাইভ করে যেতে হয়েছে। প্রচন্ড রোদে মনে হচ্ছিল আগুনের দমকা হাওয়া মুখে এসে লাগছে। সানগ্লাসটা না নিয়ে গিয়ে খুব ভুল করেছিলাম। চোখ দিয়ে অনেক পানি পড়ছিল আর চোখ জ্বালা করছিল।

যাহোক প্রথমে ছোট ফুপুদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ছোট ফুপুদের বাড়িতে গিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করে যে কাজে গিয়েছিলাম সেটি শেষ করে তারপর আবার রওনা দিলাম মেজ ফুফুদের বাড়িতে যেতে। আরো প্রায় ১৫ কিলোমিটার ড্রাইভ করে তারপর ফুপুদের বাড়িতে পৌছালাম। জীবনের প্রথমবার মেজ ফুপুদের বাড়িতে পা দিলাম। ফুপু আমাকে দেখে প্রথমে যে পরিমাণ খুশি হল সেটা বলে বোঝানোর মত নয়। ফুপুর হাসিটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। যেহেতু রোজা ছিলাম তাই কিছুই খেতে পারিনি। তবে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম প্রথমে কারণ মুখ জ্বালাপোড়া করছিল। হাত মুখ টিউবয়েলের ঠান্ডা পানি দিয়ে ধোয়ার পর একটু ফ্রেশ লাগছিল। এরপর কিছু সময় বসলাম, ফুপুদের সাথে গল্প করলাম। এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল সেগুলো সেরে বাড়ির দিকে রওনা দেয়ার প্রস্তুতি নিলাম।

ফুপু আমাদের আসতেই দিতে যাচ্ছিল না কিন্তু আজকে আমাদের বাড়িতে একটা আয়োজন ছিল এজন্য চলে আসতে হলো। যাইহোক যখন চলে আসলাম তখন ফুপু আবার যেতে বললেন আর ওনার খারাপ লাগছে সেটা মুখ দেখেই বুঝতে পারলাম। ইচ্ছে আছে আবারও খুব শীঘ্রই আরো একবার যাওয়ার। প্রথমবার গিয়েছি কিন্তু মনে হল অনেকবার এসেছি। খুবই ভালো লাগে আমার এই ফুপুটাকে। ফুপুদের বাড়িতে যাওয়ার পথ আজকে চিনে রাখলাম। পরবর্তীতে সময় সুযোগ পেলে ইনশা আল্লাহ্ আবার আসবো। আসার সময় অবশ্য কিছু আম নিয়ে এসেছি, কাঁচা আম। এ বছরে আম বলতে গেলে খাওয়াই হয়নি। এগুলো পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে ব্লিন্ডার করে খাব চিন্তা করেছি।

যাইহোক আজ এ পর্যন্তই। ফুপুদের বাড়িতে প্রথম যাওয়ার অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করে রাখলাম। আজ রাত ৯:৩০ টার দিকে আবার শহরে যাবো ভাই, ব্রাদার বন্ধুদের সবার সাথে । গত বছর মনে আছে কালবৈশাখী শপিং করেছিলাম? এবার না গেলে হয়?? মনে তো হচ্ছে না যে ঝড় হবে কিন্তু সে অনুভূতিটা পুনরায় নিতে চাই। ইনশা আল্লাহ্ অনুভূতিটা শেয়ার করব। এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ্ হাফেজ।

sunset-3563482_1280.jpg
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 last year 

গত বছর মনে আছে কালবৈশাখী শপিং করেছিলাম? এবার না গেলে হয়??

গত বছরের সেই কালবৈশাখী শপিং এর কথা মনে আছে ভাইয়া। সবাই মিলে আটকা পড়েছিলেন। আর আম কুড়িয়েছিলেন। এবার যে গরম পড়েছে কালবৈশাখী হওয়ার কোন সম্ভাবনাই দেখিনা। যাইহোক ভাইয়া আপনার ফুফুর বাড়িতে প্রথমবারের মতো গিয়েছেন জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে সময় পেলে যাবেন তাহলে সবাই অনেক খুশি হবে।

 6 months ago 

আজ তৃতীয় পর্ব শেয়ার করলাম আপু।

 last year 

আপনার ফুপুর বাড়িতে যাওয়ার অনুভূতি পড়ে আমার খুব ভাল লাগলো ভাইয়া।আপনি যখন বললেন, ফুপুর হাসি মুখের কথা তখন আমি যেন একটি হাসি মুখ দেখতে পেলাম।সব আত্নীয়-স্বজনদের বাসায় যেতে হয়।আমার ভাইয়া ও এমন কোথাও যেতে চাইতো না।যাই হোক এত রোদে বাইক নিয়ে গেলেন সান গ্লাস নিলেন না, এটা কেমন কথা হলো?? ভাবি মনে করে দেবে না?? আহারে। আপনি কাঁচা আম নিয়ে এসেছেন।কিন্তু কাঁচা আমে মরিচ দেয় জানি কিন্তু পেঁয়াজ দেয় কি?? বলবেন তো।

 last year 

ভাইয়া প্রথমবার ফুফুর বাড়িতে গিয়ে না থেকে চলে এসেছেন। ফুফুরতো খারাপ লাগবেই। আসার সময় কাচাঁ আম এনেছেন। আমিও এই বছর এখন পর্যন্ত কাচাঁ আম খায়নি। বাড়িতে গেলে খেতে পারবো। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

এটা তো দেখছি সারাদিন অনেক ঝড় ঝাপটা গেছে আপনার উপর দিয়ে, দুপুরে ওই গরমের মধ্যে বাইক চালানোটা আসলেই কষ্টকর, যাই হোক তবুও ফুপুর হাসি দেখে কিছুটা হলেও কষ্ট দূর হয়েছে বলে আমি মনে করি।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 63017.22
ETH 2457.38
USDT 1.00
SBD 2.61