আমার দেশের খাঁটি চাষা।
Thumbnail Owner:- @rex-sumon
হ্যালো বন্ধুরা। আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই ? আমি আজকে আমাদের দেশের কৃষকদের নিয়ে কিছু কথা বলব। তার আগে আজকে আমার একটা বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আমি অনেকদিন আগে করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছিলাম। সেটা ছিল ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখ। করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়ে আমার এলার্জি সমস্যা দেখা দিয়েছিল। অনেকদিন ট্রিটমেন্ট নিয়েছিলাম এলার্জির। এজন্য একমাস পরে আর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়নি। বহুদিন পর আজ নিবো ভাবছিলাম। টিকা নিতে গিয়ে কম্পিউটার দোকান থেকে যখন আমার পেপারটি বের করলাম, তখন একটা অদ্ভুত জিনিস দেখলাম। সেটা হচ্ছে আমার করোনার সেকেন্ড ডোজ অলরেডি দেয়া হয়ে গিয়েছে। সেটাই দেখাচ্ছে ওখানে। আমার প্রচন্ড হাসি পাচ্ছিল প্লাস অবাক ও হচ্ছিলাম। কি আর করার। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা সেক্টরে এমন কিছু লোকজনকে বসায় রাখছে, যাদের সব কাজের মধ্যে ভুল-ভ্রান্তিতে ভরা।
যাইহোক, আমি এখন কথা বলবো আমাদের দেশের কৃষকদের নিয়ে । আজ আমি দুপুরে গোসল খাওয়া-দাওয়া শেষ করে যখন মাঠের মধ্যে গিয়ে একটু রোদ পোহাচ্ছিলাম তখন দেখলাম কৃষকরা মাঠে বিরামহীন কাজ করেই চলেছে। আর এই দৃশ্যটা খুবই কমন। হ্যাঁ আমাদের সবার কাছেই এটি কমন ই লাগে৷ কিন্তু এই কমন বিষয় টার মধ্যে কত শ্রম ধৈর্য ত্যাগ লুকায়িত সেটা আমাদের চোখে পড়ে না। আমরা শুধু বাহ্যিক বিষয়টি সব সময় দেখি। আর তাদের যে আমরা কতটুকু মূল্যায়ন করি সেটা তাদের সাথে কথিত ভদ্র সমাজের আচরণ দেখলে বোঝা যায়। দিন শেষে তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতেও আমরা ব্যর্থ। হ্যাঁ আমি এটাকে প্রাপ্য সম্মান ই বলব। কারণ তাদের অনেক অনেক সম্মান পাওয়ার যোগ্যতা আছে বা তাঁরা ডিজার্ভ করে।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
একটা দেশের সোনার সন্তান হিসেবে তাদের নাম ই আমি প্রথমে আনব। তারা দিনরাত এক করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মাটি চিঁরে সোনার ফসল বের করে আনে। এজন্য তারাই আমার দেশের সোনার সন্তান। স্বাধীনতার পর যখন বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল তখন কৃষকরাই একমাত্র যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে গেছে দেশের জন্য। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যোদ্ধারা দেশকে রক্ষা করেছে আর যুদ্ধের পরবর্তী সময়েও দেশের মানুষকে খাদ্য দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছে এই কৃষকরাই৷ তারা শুধু নিজেদের কথা ভাবেনা। তারা দেশের কথা ভাবে। তাদের জন্য দেশের কখনো ক্ষতি হয় না। ক্ষতি করে তারা, শিক্ষিত সমাজে মিশে থাকা কিছু কীটপতঙ্গ।
ছোটবেলা থেকে একটা হাদিস শুনে আসছি। সেটা হচ্ছে শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও। কিন্তু আমাদের সমাজের যত অবহেলার শিকার হয় ওই নিরীহ কৃষকরাই। আমাদের গভীরতাটা বুঝতে হবে। তারা দিন আনে দিন খায়। তাদেরও সংসার আছে। সারাদিন মাঠে খেটে তাদের পরিবারের সাথে দুবেলা খেয়ে পরে বাঁচতে চায়। আমরা যদি একবার গভীরভাবে চিন্তা করি যে আমাদের দেশের কৃষকরা যদি শুধুমাত্র তাদের নিজেদের জন্য ফসল উৎপাদন করে তখন আমরা কিভাবে খেতে পারব? পেশা তো আরো অনেক আছে। তারা সেইগুলো বেছে না নিয়ে কৃষিকাজ টাই বেছে নিয়েছে।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
আমাদের দেশের বর্তমানে ৭০ থেকে ৮০ পার্সেন্ট জনগণ কৃষিকাজের সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত। যুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত আমরা কিন্তু কৃষিনির্ভর। আমাদের দেশের কৃষকরা যদি যথেষ্ট মূল্যায়ন না পায়, তাদের ন্যায্য অধিকার বা ফসলের ন্যায্যমূল্য না পায় তাহলে তারা ধীরে ধীরে কৃষিকাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তখন আমরা কি পারবো এই ধাক্কাটা সামলে নিতে? সময় থাকতে কৃষকদের মূল্যায়ন করা উচিত আর তাদের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে সরকারের ভাবা উচিত। বাংলাদেশ সরকার কৃষকদের যেভাবে মূল্যায়ন করছে তৃণমূল পর্যায়ে এসে সেই সুযোগ-সুবিধাগুলো কৃষকরা পাচ্ছে না। এ বিষয়ে সরকারকে আরো বেশি তদারকি করা উচিত। একজন ব্লগার হিসেবে আমরা শুধু লিখতে পারবো এবং নিজের জায়গা থেকে তাদেরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে পারব। তাদেরকে যথেষ্ট মূল্যায়ন করার চেষ্টা করতে পারব। কিন্তু সার্বিকভাবে এ বিষয়গুলো গভমেন্টের আমলে নেয়া উচিত।
প্রত্যেকটা পরিবর্তন ধীরে ধীরে আসে। আমি আশা করি আমাদের দেশের কৃষি ব্যবস্থা এবং কৃষকদের যথেষ্ট সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা অচিরেই নিশ্চিত করা হবে। তবে আমাদের প্রত্যেকেরই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হওয়া উচিত এবং যে যেটা ডিজার্ভ করে তার সেই প্রাপ্য সম্মানটুকু দেওয়া উচিত। ভাল থাকবেন সবাই। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
ভাই যে দেশে মৃত মানুষ ভোট প্রদান করতে পারে সে দেশে ভ্যাকসিন নেয়ে তো সামান্য ব্যাপার। সর্বস্তরে অযোগ্য আর অদক্ষ লোক থাকার কারণেই এমনটি প্রতি নিয়ত ঘটে চলেছে। আর কৃষকদের এই দুরবস্থার কারণে আজ কৃষি পেশার সঙ্গে জড়িত সাধারণ মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টি শেয়ার করার জন্য
ঠিক বলেছেন ভাই। এখনই সময় পরিবর্তনের ।
সত্যিই ভাই আমরা একদম তার উল্টো কাজটাই করে থাকি সর্বদা, যত চেষ্টা এই নিরীহ ও গরীবগুলোর টাকা মেরে খাওয়ার চেষ্টা করা হয় সর্বত্র, কি নিদারুণ মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। ফটোগ্রাফিগুলো দারুণ ছিলো।
ঠিক বলেছেন ভাই। আমাদের প্রত্যেকের নিজের জায়গা থেকে ঠিক হতে হবে।
ভাইয়া এটা পড়ে তো মনে হলো ভোটের আগের দিন ভোট সম্পন্ন।🤣😂🥴
আসলে এই মানুষগুলোর সম্মান করা উচিত।
সেটাই তো দেখছি। ভোটে মতোই হইল এই বিষয়টাও ।
এই কথা একদম সঠিক ছিল। তারা যদি ফসল না ফলায় তবে আমাদের ও পেটে দানা পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু সেই তুলনায় আমরা তাদের গুরুত্ব আর সম্মান কোনোটাই করি না। ভালো লাগলো কথা গুলো।
জি আপু।। আমাদের উচিত তাদেরকে সম্মান করা। তাদের ন্যায্য অধিকার গুলো সব সময়ে পৌঁছে দেওয়া।
আরে ভাইয়া,আমার তো প্রথম ডোজ নেওয়ার আগেই দ্বিতীয় দুধের মেসেজ এসে পড়েছে। অথচ প্রথম ডোজের মেসেজই আসি নি।যাই হোক আমাদের দেশে, শুধু আমাদের দেশ কেন পৃথিবীর প্রায়ই দেশে কৃষকদের পাপ্য সম্মানটুকু দেওয়া হয় না । অথচ তারাই দেশের সোনার ছেলে,কখনো কাজে ফাকি দেয় না,রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে আমাদের জন্য সোনার ফসল উৎপাদন করেন।ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
সোনার ফসল যেথায় সোনার মনের মানুষ কৃষক সেথায়। কৃষক ছাড়া সারা বছর সোনার ফসল পাওয়া খুবই মুশকিল । আমার দেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যেমন সারা দেশের সোনার মানুষেরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে । তেমনি দেশের খাদ্য ভান্ডার ঠিক রাখার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে চলেছে এই কৃষক ভাই ।তাই তাদরে তারা বলতে গেলে সবাই অচল ।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর কনসেপ্ট শেয়ার করার জন্য ।
যুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ের যোদ্ধারা দেশকে স্বাধীন করেছেন। আর যুদ্ধপরবর্তী সময়ে কৃষকরা দেশের মানুষকে খাদ্য দিচ্ছেন।
প্রথমেই বলবো ২৭ সেপ্টেম্বর আমার জন্মদিন ছিলো। সেই তারিখেই আপনি প্রথম ডোজ টিকা গ্রহন করেছেন। এলার্জির সমস্যা খুব কম লোকেরই দেখা যায় টিকা গ্রহণের পর। যাইহোক, যে টা বলছিলাম, আমিও বুঝি না টিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভুল কিভাবে হয়। কিছু কিছু অযোগ্য লোক এই সব দায়িত্ব পায়, ভোটার আইডি কার্ডের ক্ষেত্রেও এই সব ভুল লক্ষ্যনীয়।
কৃষকদের নিয়ে কি আর বলবো, তারা হচ্ছে কলুর বলদ। কঠোর পরিশ্রম করবে কিন্ত সুযোগ সুবিধার দিক থেকে তারা কানাকড়িও পায় না। এটা কিন্তু আবার কৃষি প্রধান দেশ।
আপনার লেখা পড়তে অনেক ভালো লাগে অনেক গুছিয়ে লেখেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাই। ❣️❣️❣️
জ্বি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন। আমার দেশের কৃষকদের মূল্যায়ন করতে না পারলে আমরা একসময় হয়তো প্রস্তাব।
কম্পিউটারের প্রিন্ট করা পেজের মধ্যে দুইটি ডোজের নাম দেওয়া থাকে। কিন্তু ডোজ দেওয়ার পরে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ সিগনেচার করে দেয়। যাইহোক ভাইয়া আপনি আজকে বাংলার কৃষকের ও বাংলার মাটি নিয়ে অনেক সুন্দর কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যি কথা বলতে কৃষকদের অনেক মূল্যায়ন করা উচিত। ভাইয়া আপনার এই লেখাগুলো পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার। অনেক সুন্দর কিছু কথা আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
সেটা থাকে কিন্তু একমাস পর ২৫ তারিখে আমার দ্বিতীয় ডোজ নেয়া হয়েছে, এটাতো লেখা থাকার কথা না।
Thank You for using community tag in your Tweet
https://twitter.com/rexprince25/status/1492804360509661185