পবিত্র মাহে রমজানের একটুখানি প্রস্তুতি।
আসসালামুয়ালাইকুম বাংলা ব্লগ কমিউনিটি বাসী। কেমন আছেন সবাই? সবাইকে প্রথমেই জানাই শুভ সকাল। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন বাইরে গিয়েছিলাম তখন দেখলাম হালকা বাতাস বইছে। সকাল ছয়টার দিকে হালকা কুয়াশাও ছিল। সকালের ওই হিমেল বাতাস যখন গায়ে লাগছিল সুন্দর একটা অনুভূতি হচ্ছিল। শীতল একটা অনুভূতি। সকালের হাঁটা হাঁটি শেষ করে এসে বসে গেলাম পোস্ট লিখতে। তাহলে চলুন শুরু করি।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
রমজান মাস তো চলেই এলো। পবিত্র মাহে রমজানের আমেজে মেতেছে মুসলিম বিশ্ব। ঘরে ঘরে এখন রমজান মাসের প্রস্তুতি চলছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে রমজানের আভাষ টা ভালোভাবেই পাওয়া যায়। শহরের মানুষের মধ্যে অতোটা ও আন্তরিকতা নেই। একজন আরেকজনের খোঁজ খবর নেয়ার সময় নেই। কিন্তু গ্রামে এখনো মোটামুটি আনন্দময় সময় বিরাজ করে। যার যতটুকু সামর্থ্য আছে রমজান মাস শুরুর আগেই সবাই পুরো মাসের বাজারটা করে রাখার চেষ্টা করে। সবকিছু হয়তো একবারে ক্রয় করা সবার জন্য সম্ভব হয় না। কিন্তু কিছু সাধারণ জিনিস রমজান মাসে যেগুলো সচরাচর আমরা প্রায় সবাই খেয়ে থাকি, সেগুলো মাসের প্রথমেই সবাই কিনে রাখার চেষ্টা করে। যেমন ছোলা, খেজুর, মুড়ি ইত্যাদি।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমার বাবা দু'চারদিনের মধ্যেই হয়তো রমজান মাসের জন্য বাজার করতে যাবে। কিন্তু আমি এবার চিন্তা করেছিলাম রমজান মাসের জন্য খেজুর আমি নিজেই কিনব। গতকাল বিকেলে দুটো ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম শহরের দিকে। আমার একটা জরুরি কাজ ছিল। সাথে ভাবলাম শহর থেকে আজওয়া খেজুর কিনে আনব যেটা আমি কিছুদিন আগে একটা দোকান থেকে পছন্দ করে এসেছিলাম। আমাদের ধর্ম গ্রন্থে উল্লেখ আছে আজওয়া খেজুরের প্রচুর গুণাবলীর কথা। আজওয়া খেজুরের কিছু বিশেষ গুণ থাকার কারণেই মূলত এই খেজুর আমার কেনার ইচ্ছা হয়েছিল।
গতকাল শহরে গিয়ে প্রথমেই আমার একটা ব্যাংকে যেতে হয়েছিল। কাজ ছিল একটু ইমারজেন্সি। ব্যাংক থেকে এসে একটা ছোট্ট কিউট দেখতে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। শহরের দিকে গেলে এই হচ্ছে সমস্যা। কিছু না কিছু না খেয়ে আসতে ইচ্ছে করে না। আর দিনদিন ভুড়ির বারোটা বাজাচ্ছি। হাহাহা।।।
পছন্দমত কিছু খাবার খেয়ে আমরা চলে গেলাম খেজুর কিনতে। আমরা যেখান থেকে খেজুর ক্রয় করলাম সেটা শুধুমাত্র খেজুরের দোকান না। ওখানে সব রকম জিনিসপত্র বিক্রি করে। অনেক অর্গানিক ফুড পাওয়া যায়। আমরা এক প্যাকেট আজওয়া খেজুর ক্রয় বললাম। যেখানে ২.৫ কেজি খেজুর ছিল। যেহেতু সামনে রমজান মাস, এত অল্প খেজুরে পুরো মাস পার হবে না আবার এত দামি খেজুর তো বেশি কেনা যাবে না। এইজন্য আজওয়া খেজুরের সাথে আরেক কেজি সাধারণ খেজুর নিলাম। মোট সাড়ে ৩ কেজি খেজুর নিয়েছিলাম।
খেজুর কেনা শেষ হওয়ার পর আর শহরে বেশিক্ষণ দাঁড়াইনি। সোজা চলে এসেছি বাড়িতে। বাড়িতে এসে দেখলাম আম্মু ছোলা ভুঁনা করছে। আহ্,, দেখেই জিভে জল চলে আসলো। একটু আগেই শহর থেকে খেয়ে এলাম,বাসায় এসে আবারও খেলাম। যতই ভাবি কন্ট্রোল করব। দিন শেষে ছাতার মাথা কিছুই হয় না।
যাইহোক, এই ছিল আমার খেজুর কিনে রমজানের প্রস্তুতি। আপনাদের জন্য পরামর্শ থাকবে বেশি বেশি অর্গানিক ফুড খাওয়ার চেষ্টা করবেন। বর্তমানে যে পরিমাণ অসুখ বালাই হতে শুরু করেছে মানুষের তার জন্য ৮০% দায়ী আমাদের খাদ্যাভ্যাস। আমার দাদার আমলের গল্প শুনেছি, তারা খাবার পেত না। একবেলা খেয়ে তিনবেলা কাটিয়ে দিয়েছেন। সে সময় তাদের এত এত অসুখ-বিসুখ ছিলনা। কিন্তু এখনকার অবস্থা চিন্তা করলে ভয় লাগে। সবাই সুস্থ থাকুন সেই কামনাই করি। আজকে বিদায় নিচ্ছি তাহলে। সবাই ভাল থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এটি বেশ মজার ছিল দাদা, হি হি😊😊।রমজান মানেই আপনাদের পবিত্র একটি কাজ।আমার বন্ধুদের মুখে শুনতাম, রোজা শেষে মজার মজার খাবার তৈরি হয় প্রত্যেক মুসলিমদের বাড়িতে।পেঁয়াজু, ছোলা ভাজি আরো কত কি!আপনি ঠিক বলেছেন দাদা ,পূর্বে খাবারে কোনো ভেজাল ছিল না।আর এখন ভেজাল দেওয়া খাবার খেয়ে বেশি রোগ -বালাই হচ্ছে।যার জন্য দায়ী মানুষেরা।ধন্যবাদ দাদা,আশা করি আপনাদের রমজান খুবই সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে। রোজা শেষ করে সন্ধ্যার সময় প্রত্যেকের বাড়িতেই সামর্থ্য অনুযায়ী সুন্দর সুন্দর খাবার রান্না হয়। বিভিন্ন প্রকার চপ, পেঁয়াজী, ছোলা ইত্যাদি। দারুন লাগে খেতে 🥰
রমজান এসে গেল। তার মানে কিছুদিন পরেই ঈদ। এবার কিন্তু ছাড়ছি না। ঈদের উপহার চাই 🥰🥰। ছোট বোনের আবদারটা যেন মাথায় থাকে। খেজুর খেতে আমার নিজেরও বেশ ভালো লাগে । এক বক্স আমার বাড়িতেও যদি পাঠানো যেত ☹️। কি আর করার। বাজার করা খাওয়া দাওয়া সব কিছু মিলিয়ে ভালোই সময় কেটেছে দেখি।
ছোট বোন ঈদের উপহার চাবে আর আমি দিব না, এটা কখনো হয়??? উপহারটা জমা থাকলো।
আপনি একটি প্রসঙ্গের মাধ্যমে মাহে রমজান মাসের আগমনের বার্তাটি আমাদের সবার মাঝে দিয়েছেন। রমজান মাসের আগমনের বার্তা সবার আগে মানুষের কানে পৌঁছানোটাও একটি নেক কাজ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে বিভিন্ন দিক তুলে ধরার জন্য। তবে একটি কথা ভাই আপনি সত্যি বলেছেন সেটা হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলের রমজান মাসের সাধ সম্পূর্ণটাই উপলব্ধি করা যায়। সন্ধ্যার পূর্বে মসজিদে মসজিদে ইফতারির আয়োজন মন জুড়ে যায়। আপনার জন্য দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো প্রিয় ভাইয়ের।
ভাই আপনি এত সকালে ঘুম থেকে উঠেন শুনে বেশ ভালো লাগলো। বহুদিন যাবত আমি সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারিনা। যে কারণে কত কি যে মিস করছি তা একমাত্র আল্লাই জানে। যাই হোক রমজান মাসে আমরা সবাই যার যার মতো প্রস্ততি নিয়ে থাকি কিন্তু আমাদের এই আজব দেশ, যেখানে রমজান আসলেই দ্রব্যমূল্যের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীদের কাছে মনে হয় যেন এটাই রমজানের প্রস্তুতি। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবাইকে রমজানের এবাদত এর পাশাপাশি অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তৌফিক দান করুন এই কামনা করি।
আগে থেকেই রমজান মাসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রমজান মাসে সবচেয়ে বড় মজা হচ্ছে সারাদিন রোজা থাকার পর যখন ইফতারের সময়ে বিভিন্ন ধরণের খাবার নিয়ে বসে থাকি সেই অনুভূতি। আপনার পোস্ট পড়ে যে ধারণা পেলাম সেই আনুষাঙ্গিক এ আমার ব্যক্তিগতভাবে রমজান মাস নিয়ে যে অভিজ্ঞতা সেটা শেয়ার করব। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই।
রমজান আসছে এর মানে মুসলমানের বিভিন্ন প্রস্তুতি চলছে ভাই। আপনার রমজানের প্রস্তুতি গুলো আমার কাছে ভালই লেগেছে। আসলে এভাবে আগে থেকে সবকিছু প্রস্তুত করে রাখলে রোজা রেখে আর এত কষ্ট করে সেগুলো বাজারে কিনতে যাওয়া লাগে না। খুবই সুবিধা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই এটা আমাদের সকল মুসলিমদের মধ্যেই একটা প্রচলন হয়ে গেছে বলা যায়। রোজার আগে রমজানের আমেজ সকলের মনেই বিরাজ করে থাকে। আপনার রমজানের প্রস্তুতি অভিজ্ঞতা জেনে বেশ ভালো লাগছে ভাই। আর বর্তমানে আমরা অর্গানিক ফুড কিংবা খাঁটি খাবার না খাওয়ার দরুন বিভিন্ন রোগবালাই ভুগছে এবং জীবনযাত্রাও বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ছে। আগের যুগে এরকমটা ছিলনা কারণ তারা সব সময় সবকিছু খাঁটি জিনিস ব্যবহার করত।
যাইহোক খুব সুন্দর উপস্থাপনা ছিল আপনার ভাই।
পবিত্র রমজান প্রায় মুসলমানদের ঘরে ঘরে চলে এসেছে। আপনি ঠিক বলেছেন রমজানের আমাদের মেতে উঠেছে পুরো বিশ্বের মুসলমান। প্রতিটি মুসলমান ঘরে ঘরে চলছে রমজানের প্রস্তুতি। রমজান এলে যেন অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে মনের মধ্যে শান্তি বিরাজ করে। ধন্যবাদ আপনাকে রমজান নিয়ে একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার আগামীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
পবিত্র মাহে রমজানের প্রস্তুতি আমাদের সকল মুসলমানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ , সকল মুসলমানের উপর রোজা রাখা ফরজে আইন, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনি মাহে রমজানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সে সাথে সকল মুসলমান ভাই ও বোনদের প্রস্তুতির জন্য উদ্বুদ্ধ আহবান করছেন। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল আপনার জন্য।