ইন্টারনেট।
হ্যালো বন্ধুরা। আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। অনেকদিন পর আজকে প্রচুর বৃষ্টির দেখা পেলাম। আজ আমার ক্লাস ছিল সকাল দশটায়। ক্লাস শেষ করে রিক্সা নিয়ে বাসায় ফিরছিলাম। বাসা থেকে একটু দুরে রিক্সা থেকে নেমে গিয়ে হেঁটে আসছিলাম। ঐ সময় হঠাৎ প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হয় । সঙ্গে ছাতা ছিল না। একটি বাসার নিচে আশ্রয় নিয়েছিলাম। সত্যিই ভাল লাগছিল অনেকদিন পর এত বৃষ্টি দেখে। কিছু সময় ওই বাসার নিচে দাঁড়িয়ে থাকার পর বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতেই রুমে চলে এসেছিলাম। আজ দুপুরের দিকে পরিবেশটা মোটামুটি শীতল ছিল। এজন্য দুপুরে বেশ ভালো একটা ঘুম ও দিতে পেরেছি।
যাই হোক, আজকে আপনার সাথে একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আসলাম। সেটি হচ্ছে "ইন্টারনেট"। ইন্টারনেট আমরা কমবেশি সবাই ইউজ করি। আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ি তখন প্রথম ইন্টারনেট ব্রাউজ করেছিলাম। তখন শুধুমাত্র ফেসবুকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলাম। এসএসসি পরীক্ষার পর থেকে আমি অনেক বেশি ইন্টারনেট ব্রাউজিং-এর সাথে জড়িয়ে পড়ি। বাংলাদেশ এই গত পাঁচ বছরের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাত্রা একেবারে দেখার মতো বেড়েছে। গ্রাম অঞ্চলের মানুষ ও চার পাচ বছর আগে থেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
সব বয়সের মানুষই ইন্টারনেট ব্যবহার করছে এখন। টিনএজ থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবাই ইন্টারনেটের মধ্যে নিজের একটা জগত তৈরি করে নিয়েছে। আর এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ শিক্ষা থেকে শুরু করে খেলাধুলা, ভূমি থেকে শুরু করে মহাবিশ্ব, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত সবকিছুই হাতের মুঠোয় চলে এসেছে এই ইন্টারনেটের বদৌলতে। করণা প্যানডেমিক এর মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নেয়া হয়েছিল অনলাইনের মাধ্যমে। আর ইন্টারনেটের সংযোগ ব্যতীত অনলাইন ক্লাস করাটা ছিল অসম্ভব। মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে বিভিন্ন প্রয়োজনে শিক্ষার প্রয়োজনে কেউ আবার গবেষণার প্রয়োজনে। কেউ একাডেমিক শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে, কেউ কৃষি বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য, কেউ বা খেলাধুলার বিষয়ে জানার জন্য, কেউ ভিন্ন খবরা-খবর রাখার জন্য, কেউবা দেশে রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য, কেউ আবার নিজের প্রতিভাকে চারিদিকে ছড়িয়ে দিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে।
প্রত্যেকটা মানুষের ভিন্ন ভিন্ন কারণ থাকতে পারে ইন্টারনেট ব্যবহারের পিছনে। এরকম হাজারো হাজারো কারণ রয়েছে যেজন্য মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে গ্রাম অঞ্চলের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় বেশিরভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রয়োজনে যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য। ভার্চুয়াল কমিউনিকেশন সেক্টরে ইন্টারনেটের ভূমিকা একমাত্র। ইন্টারনেট প্রচুর সহজলভ্য হয়ে গিয়েছে যার কারণে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের সাথে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলেও ব্রডব্যান্ড সংযোগ মিলছে খুব সহজেই। আর এই কারনেই গ্রাম অঞ্চলের মানুষজন ইন্টারনেট ব্যবহারে এখন আর পিছিয়ে নেই। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে গ্রামাঞ্চলেও এখন অনেক ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে যারা প্রতিমাসে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করছে অনলাইন থেকে। এতে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে বহু যুবক মুক্তি পেয়েছে।
আসলে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রসার যতোটা বেড়েছে, তাতে সমস্যাও দেখা দিয়েছে অনেক। যারা ইন্টারনেট সম্পর্কে বেশি একটা জানেনা বুঝেনা, তারা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ইন্টারনেট ব্যবহারের সুফল রয়েছে বহু, এর কুফল ও রয়েছে তেমনি। আর কুফল এড়াতে সতর্ক হতে হবে ইন্টারনেট ব্যবহারে। নিজে সতর্ক থাকতে হবে এবং পরিবারের সদস্যদের সতর্ক করতে হবে। পরিবারের টিনএজ ইউজারদের ইন্টারনেট ব্যবহারে রেস্ট্রিকশন দিয়ে দিতে হবে। নজর রাখতে হবে সব সময়।
আমরা একটা কমন ভুল করে থাকি প্রায়শই। আননোন কোন লিংকে কোনকিছু যাচাই-বাছাই না করেই ক্লিক করে ফেলি। এতে ডিভাইস হ্যাক হয়ে যেতে পারে। আর নিজের ডিভাইসের কন্ট্রোল হ্যাকারের হাতে চলে গেলে কি হতে পারে, আপনারা সকলেই জানেন। এজন্য খুবই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ইন্টারনেটে। ইন্টারনেটে আপনারা সকলেই নিরাপদ থাকুন। আপনাদের জন্য শুভকামনা। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে আবার নতুন কোন পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ঠিক বলেছেন ভাই ইন্টারনেটের জন্য এখন আমাদের জীবন যাত্রার মান অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে হাতের কাছে আমরাও শেখার জন্য অনেক কিছু পাচ্ছি, আমিও প্রথম ক্লাস এইটে ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্টারনেট জগতের সাথে সংযুক্ত হয়।
আমি সর্ব প্রথম ২০১১ এর শেষের দিকে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করি । এখনো মনে পড়ে ২৩টাকার ১৫এমবি ইন্টারনেট কিনে ব্যবহার করার কথা । তখন প্রথম প্রথম ফেসবুক ও ব্যবহার শুরু করেছিলাম কিন্তু পরিচিত মানুষের আইডি কখনো চোখেই পড়তো না । এখন অবশ্য পরিচিত কোন আইডি সামনে এলে দেখাযায় ২০০+ মিউচুয়াল ফ্রেন্ড ।
ভাইয়া এই কথাটা একদমই সত্যি যে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে পৃথিবীতে একেবারে হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। একাধারে শহর ও গ্রামাঞ্চলের লোকজন সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। আমরা সবাই নানাবিধ কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসেই সবকিছুর সমাধান মুহূর্তেই করে দিতে পারি। ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে আপনি অনেক সুফল ও কুফল এর কথা উল্লেখ করেছেন। এটা একেবারেই যুক্তিযুক্ত কারণ কুফলের সমস্যাগুলো আমরা প্রতিনিয়ত সমাজে দেখতে পাই। তারপরেও আমরা এই কথা নির্দ্বিধায় বলতে পারি ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে আমরা গ্লোবালি অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি। ইন্টারনেট নিয়ে বাস্তবচিত্র গুলো আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপকারিতা ও কুফল সম্পর্কে বর্ণনা করার জন্য। আমাদের সকলকে ইন্টারনেটের কুফল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। বিশেষ করে টিনএজ ইউজারদের বেশি নজরদারিতে রাখা উচিত বলে মনে করি।
ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন ইন্টারনেট ব্যবহার আমাদের বর্তমান সমাজকে অনেক উন্নত করেছে। বিশেষ করে পৃথিবী যেন এখন হাতের মুঠোয়। গ্রাম শহর সবই যেন একই সূত্রে গাঁথা। খুব সহজেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে। তবে ইন্টারনেটের কিছু অসুবিধা রয়েছে। যে অসুবিধাগুলো সমাজের উপরে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। তাই আমার মনে করি এই কুফলগুলো বাদ দিয়ে ইন্টারনেটের সুফল গুলো আমাদের বিবেচনা করতে হবে। তাহলে আমাদের দেশ সমাজ অনেক এগিয়ে যাবে।
সব জিনিসেরই ভালো এবং খারাপ দুটি দিক থাকে। প্রযুক্তির এই ছোঁয়ায় আমাদের জীবন যাত্রার মান যেমন আধুনিক হয়েছে আবার কখনো কখনো চরম ভোগান্তির শিকার হতেও হচ্ছে এই প্রযুক্তির জন্যই। সব সময় চোখ-কান খোলা না রাখলেই বিপদ। খুব ভালো একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন আজ ভাই।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া ইন্টারনেট আমাদের জীবনকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমার এখন ইন্টারনেট ছাড়া চলতে পারি না। নেট না থাকলে নিজেকে পৃথিবী থেকে আলাদা মনে হয়। হাতে মোবাইল না থাকলেই কেমন এতিম এতিম লাগে। এইন্টারনেটের উপকারিতা অপকারিতা তুলে ধরে খুব সুন্দর একটি পোষ্ট করেছেন।
এ সময় বৃষ্টিটি আমাদের জন্য অনেক প্রয়োজন ছিল ।চারদিকে প্রচন্ড গরমে জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল ।ঠিক সে মুহূর্তে এক পসলা বৃষ্টি জনজীবনে স্বস্তি ফেলে দিল। অপ্রত্যাশিত ও অযাচিত কোন লিংকে ক্লিক করলে নিজের গোপনীয়তা এবং নিজের ওয়ালেটের সবকিছুই চলে যেতে পারে ।হ্যাকারের নিয়ন্ত্রণে আমাদেরকে ইন্টারনেট ব্যবহারে অনেক সচেতন থাকতে হবে।