স্টিমিটের সেকাল-২০১৭ - কিভাবে জয়েন হয়েছিলাম #১steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago


ছবি: ২০১৭ এর

আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা? আজ থেকে আমি আমার জীবনের একটা চমৎকার ঘটনা সিরিজ আকারে শেয়ার করব। আর ঘটনাটি স্টিমেট সম্পর্কিত। আমি আমার জার্নি ২০১৭ সাল থেকে কিভাবে শুরু করেছিলাম, কিভাবে এসেছিলাম আর কিভাবে বা সারভাইভ করেছিলাম সে বিষয়গুলোই বর্ণনা করবো আমার এই সিরিজে।

এই সিরিজটা হবে আমার আবেগ ভরা স্মৃতি বিজড়িত ঘটনাগুলি নিয়ে। স্টিমিট জার্নির আমার সেই প্রথম থেকে অনেক স্মৃতি রয়েছে। রয়েছে অনেক আবেগ ভালোবাসা আর আনন্দের মুহূর্তের অনেক স্মৃতি। যেগুলো নিয়ে আমি ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করতে পারি যেগুলো নিয়ে আলোচনা করলে মুহূর্তেই আমার মন ভালো হয়ে যায়। আজকে সেই প্রথম দিনের গল্প থেকে শেয়ার করব যেদিন আমি প্রথম স্টিমেটের নাম শুনেছি। আমার এই সিরিজটির নাম দিচ্ছি: স্টিমিটের সেকাল-২০১৭ (পর্ব রিলেটেড টাইটেল)

শুরু হচ্ছে: সাল ২০১৭, তখন কলেজের একজন নিয়মিত ছাত্র আমি। সময়টা আমার খুবই ভালো ছিল। আমার ছিলনা তেমন কোন টেনশন, জীবন যাপনের জটিলতা বা পারিবারিক অশান্তি। সবদিক থেকেই লাইফটা ছিল সুন্দর। বেশ আনন্দ করতাম কলেজ লাইফের ওই সময়টাতে। আমি মেসে থাকতাম ওই সময় আর আমি যে মেসে থাকতাম সেই মেসের সবাই ছিল আমাদের এলাকারই। আর আমাদের মেস যেখানে ছিল সেই এলাকাটা আমাদের নিজের এলাকাই মনে হতো। আশেপাশের সবাই পরিচিত। রুম থেকে বেরোলেই সবার সাথে দেখা হচ্ছে কথা হচ্ছে। ওই সময়ে প্রেমও চলছিল আমার জীবনে বেশ দারুন ভাবে। ঘন্টার পর ঘন্টা মেসের পাশে একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলতাম। এখনো যখন ওই পাশ দিয়ে যাই তখন ওই জায়গাটার দিকে তাকালে খুবই আপন আর চেনা মনেহয়। যাইহোক তখন সব মিলিয়ে দারুন একটি সময় পার করছি ।

কিন্তু ছোট্ট একটা সমস্যা, অন্যান্য ছেলেদের মতো আমারও ওই টাইমে মনে হতো বাড়ি থেকে হাত খরচের টাকাটা না নিয়ে নিজে কিছু একটা করতে। আমার এক বন্ধু তখন আউটসোর্সিং এর কাজ করতে শুনেছিলাম। ওর সাথে যোগাযোগ করি আর ও যে কাজ করে সেই কাজে ঢুকে পরি। কাজটা ছিল পঞ্জি স্কিম ডিজাইনের। সে সময় তো আর এসব বুঝতাম না। যাহোক একটা সময়ের পর স্বাভাবিকভাবেই সেই সাইটটা উধাও হয়ে যায়। বহু ইউজারের চাপে পড়ে আপ লাইনে থাকা লোকটি আমাদের সকলকে স্টিমিট নামের একটি ওয়েবসাইটে কাজ করার পরামর্শ দেয়। তখন তারা আমাদেরকে বিস্তারিত বুঝাতে পারেনি স্টিমেট সম্পর্কে। আবার একটা নিয়মও বেঁধে দেয়। পাসওয়ার্ড থাকবে তাদের কাছে আমরা শুধু কাজ করব। যা আর্ন হবে তারা আমাদের সাথে শেয়ার করবে। আর এখানে কাজ করতে হবে গ্রুপ ওয়াইজ, সবাই সবাইকে কমেন্ট করবে আর ভোট দিবে।


ছবি: ২০১৭ এর

আর একটা ট্রিক্স বলেছিল যে ভোট কেনার সিস্টেম আছে কিন্তু এই ব্যাপারটা আমার মাথার উপর দিয়ে যেত। আমি ভাবতাম আমি যদি স্টিম পাঠিয়ে ভোট কিনি তাহলে সে ব্যক্তির লাভ কী? সে তো তার ভোট নিজেই রাখতে পারে তাহলে আমার কাছ থেকে স্টিম নিয়ে আমাকে কেন ভোট দিয়ে দিবে? আমার এ সকল প্রশ্নের সদ উত্তর দিতে পারত না তারা কারণ তারা নিজেরাই জানত না আসল ব্যাপারটা কি। যাইহোক তাদের কথামতো আমরা অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করি আর সবাই সবাইকে ভোট আর কমেন্ট করি। এক দুই সেন্টের ভোট আসতো। অবশ্যই এটা পেয়ে বেশ খুশি লাগতো। মাঝখানে একদিন ১৯ সেন্টের ভোট পেয়েছিলাম। আমার রেপুটেশন ২৫ থেকে ২৬ এ গিয়ে দাঁড়ালো। সবাইকে দেখিয়ে বেড়ালাম যে আমার রেপুটেশন বাড়ছে। ভীষণ খুশি হয়েছিলাম রেপুটেশন বাড়া দেখে আর ছোট্ট একটা ভোট দেখে।

ওই সময়ে আমাদেরকে বলা হয়নি যে এখানে কেমন পোস্ট করতে হবে। আমাদের কোন গাইডলাইনে দেওয়া হয়নি। আর আমরা যেরকম কাজ করতাম আমাদের যে কাজ শিখিয়েছে সে নিজেও ওই একই রকম কাজ করত। তারপর একদিন হানা দেয় ডাউন ভোট..........

চলবে....



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

20230619_2107145.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 2 years ago 

ভোট কেনা যেন সেই সময় স্টিম থেকে উপার্জনের সব থেকে বড় মাধ্যম ছিল ।কিন্তু Steemcleaner সেই সময় খুব সমস্যা করতো। মাঝে মাঝেই অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিত।

 2 years ago 

হুম, একদম।

 2 years ago 

তাহলে লোকটার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবেন যে আপনাদেরকে স্কিন সম্পর্কে প্রথম ধারণা দিয়েছিল। প্রথমে ১৯ সেন্ট এর ভোট পেয়ে রেপুটেশন ২৬ হয়েছিল তাতেই এতো খুশি হয়েছিলেন। এখন তো আবার ডাউনভোট দেওয়ার গল্প টা জানতে ইচ্ছে করছে। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

দারুন লিখেছেন ভাইয়া। এক কথায় অসাধারন। যদিও কোন সমস্যা ছিলনা। তবুও নিজের হাত খরচ যোগানের জন্য অনেকগুলো গন্ডি পার করে আজ এই স্টিমিট প্লাটফর্মে। আমিও কিন্তু আপনার মত ভাইয়া। প্রথম যখন দেখলাম আমার রেপুটেশন বেড়েই চলছে তখন বেশ ভালোই লাগছিল। সবাইকে দেখিয়েছিলাম। আগামী পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

ভাইয়া তার মানে আপনি কলেজ লাইফে থাকতেই প্রেমে পড়েছিলেন। কি মধুর সময় ছিলো সেটা। আর স্টিমিট শুরু করার জার্নিটা খুবই চমৎকার ছিল। এখন কথা হলো ডাউনভোট আসলো কিভাবে। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

তখন প্রচুর ডাউনভোট দেয়া হতো৷ পরের পর্বগুলোতে লিখবো সব।

 2 years ago 

বিয়ের আগের লাইফটা আসলেই চমৎকার হয় ভাই। একটু বড় হওয়ার পর পরিবারের কাছ থেকে টাকা চাইতে একটু লজ্জা লাগে আসলেই। মাত্র কয়েক সেন্ট এর ভোট পেয়ে কতো ভালো লাগতো আপনাদের তখন। আমরা সেই হিসেবে ভীষণ লাকি। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

সত্যিই ভাই, সেই সময়গুলো অসাধারণ ছিল। স্মৃতি হয়ে থাকবে আজীবন।

 2 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন ভাই, স্মৃতির পাতায় সেগুলো আজীবন লেখা থাকবে। যাইহোক যথাযথ ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.12
TRX 0.34
JST 0.032
BTC 112948.82
ETH 4187.18
USDT 1.00
SBD 0.83