চালকুমড়ার সিম্পল রেসিপি।
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন বন্ধুরা ? আজ আমি আপনাদের সাথে একটি সিম্পল রেসিপি শেয়ার করবো। যেটা কমবেশী সবাই বাড়িতে তৈরি করে থাকে।আজ আমি চালকুমড়া দিয়ে ডিমের ঝোল রান্না দেখাবো।
এটা অনেকেই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে রান্না করে থাকে। কিন্তু ডিম ভাজি করে এভাবে রান্না করলে আমার কাছে একটু বেশীই মজা লাগে।চালকুমড়া অনেকেই পছন্দ করে না। কিন্তু যারা পছন্দ করে তাদের এই রেসিপিটা আশা করি ভালো লাগবে।তাহলে চলুন রেসিপিটা শুরু করি।
উপকরণ সমূহ :
১.চালকুমড়া ১টি
২.ডিম ৪টি
৩.পেঁয়াজ
৪.মরিচ
৫.জিরা
৬.রসুন
৭.তেল
৮.ভাজনা(পেঁয়াজ বেরেস্তা এবং জিরা ভেজে খুব মিহি করে বাটতে হবে।এটাকে আমরা ভাজনা বাটা বলে থাকি। তরকারি নামানোর কিছুক্ষন আগে এই ভাজনা বাটা দিয়ে নামিয়ে নিলে খুব ভালো একটা স্মেল বের হয় এবং অনেক মজা লাগে)
প্রস্তুতপ্রণালী :
চালকুমড়া কেটে ভালো করে ধুয়ে গরম পানিতে হালকা ভাপিয়ে নিবো।
এমনটার ফলে চালকুমড়ার টক টক ভাব আর গন্ধ টা কিছুটা কম হয়।এরপর পেঁয়াজ এবং মরিচ কুচি দিয়ে ডিম গুলিয়ে ভেজে নিবো। তারপর ছোটো ছোটো করে কেটে নিবো।
এখন কড়াইতে তেল গরম কর পেঁয়াজ বাটা,মরিচ বাটা,রসুন বাটা এবং জিরা বাটা দিয়ে নেড়ে লবন হলুদ এবং হালকা পানি দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে।
যেকোনো তরকারি রান্নার সময় মশলাগুলো ভালো করে কষিয়ে নিলে সেই তরকারির টেস্ট কিছুটা হলেও বাড়ে।তাই আমি যেকোনো রান্নায় মসলাগুলো ভালো করে কষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। এখন চালকুমড়া গুলো দিয়ে সিদ্ধ হবে এমন পরিমাণ পানি দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে।
কষানো হয়ে আসলে ঝোলের পানি দিয়ে দিবো। ঝোলের পানি উতলিয়ে আসলে ডিম ভাজি গুলো তরকারির মধ্যে দিয়ে দিবো।
এখন ঝোল শুকিয়ে আসলে তরকারি হয়ে আসার ঠিক আগে ভাজনা বাটা দিয়ে ভালো করে নেড়ে চেড়ে নামিয়ে ফেলবো।
ব্যাস খুব সহজেই তৈরি হয়ে গেলো চালকুমড়া দিয়ে ডিমের ঝোল।আপনারা বাড়িতে অবশ্যই ট্রাই করবেন। আসলে চালকুমড়া আমার অনেক পছন্দের। তবে চাল কুমড়া ভাজি খেতে আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি৷ আজকে যে রেসিপি টা দেখালাম এটা অনেক সুন্দর লাগে খেতে। আর ডিম ভাজি করে রান্না করলে আরোও বেশি মজা লাগে । যাইহোক আজ আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ৷
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া, চালকুমড়া ও ডিম দিয়ে খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আগে কখনো ডিম দিয়ে রান্না করা চালকুমড়া খাওয়া হয়নি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর একটি সিম্পল রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
অব্যশই ট্রাই করবো,যদি গাছের একটা চালকুমড়া দিতেন😜।যাই হোক এভাবে ডিম দিয়ে চাল কুমড়া খাওয়া হয়নি।তবে মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালো হবে।ডিম বলে কথা🙃।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
হায় হায় কি বলেন। আপনি তো অনেক সুস্বাদু একটা খাবার মিস করে যাচ্ছেন। 😋
আসলেই ডিম দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি,যাই হোক এখন খাব,একটা চাল কুমড়া পাঠায় দেন,সাথে কিছু পাতা ও দিয়েন😜😜
চাল কুমড়া টা শুধু ভাজা খেতেই আমার ভালো লাগে, কেন জানিনা। ভালোই রান্না হয়েছে , ডিম দিয়েছেন মানেই খেতে ভালো হবে।হিরো দাদা🫣
সত্যি ভাই খাবারটা অনেক লোভনীয়। এভাবে ডিম রান্না করলে আমার কাছে খেতে অনেক ভালো লাগে। ঐদিন রান্না করলাম ডিম বেশ মজা হয়েছিল।
ভাই চাল কুমড়াটা দেখতে এত সজীব সবুজ মনে হয় যেন কাঁচাই খাওয়া যাবে। আসলে এভাবে ডিম দিয়ে চাল কুমড়া রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। আজ আমার বাসায়ও চালকুমড়া ও মাছ দিয়ে রেসিপি তৈরি করা হয়েছে। চাল কুমড়া দিয়ে রান্না করা তরকারি আসলে অনেক সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি চাল কুমড়া আমাদের দেখানোর পাশাপাশি সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ারের জন্য।
চাল কুমড়ার এরকম রেসিপি এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখলাম ভাইয়া। দেখে তো মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। একদিন ট্রাই করে দেখব এই রেসিপিটি। রেসিপির মাঝখানের লাল মরিচের কালার দেখে তো ঝাল লাগছে🤭। এই মরিচগুলো ভীষণ ঝাল হয়।
সহজ এবং সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার মত চাল কুমড়া আমারও খুব প্রিয়। আসলে চাল কুমড়া এমন একটি সবজি এটা যে কোন ভাবে খেতেই খুব ভালো লাগে। তবে আপনার আজকের রেসিপিটি দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। এভাবে আমার কখনো খাওয়া হয়নি। আমি অবশ্যই রেসিপিটি ট্রাই করে দেখব। তবে রেসিপির পুরো প্রক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ আপনাকে নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চালকুমড়া দিয়ে ডিমের ঝোল রেসিপি খুবই লোভনীয় হয়েছে ভাইয়া। চালকুমড়া ভাজি খেতে আমারও খুবই ভালো লাগে। এছাড়া মাছ দিয়ে চালকুমড়া খেয়েছি অনেক। তবে ডিম দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। আজকে আপনার কাছে নতুন একটি রেসিপি শিখলাম। চালকুমড়া ও ডিমের সমন্বয়ে একেবারে ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করে সকলের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।❤️❤️❤️
ডিম ভাজি করে কখনো এভাবে চাল কুমড়া খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি আসলেই খুবই স্পেশাল। আপনার তৈরি এই স্পেশাল রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আমি কালকেই রেসিপিটি বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
চাল কুমড়া রেসিপি আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমি এভাবে ডিম ভেজে চাল কুমড়ো রান্না করা অনেকবার খেয়েছি। আমার কাছে খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। আপনি আজকে খুব সহজেই আমাদের মাঝে চাল কুমড়া সেই পরিচিত রেসিপিটি আবারো শেয়ার করলেন ভাই। আপনার রেসিপির কালার টা খুবই সুন্দর এসেছে বোঝাই যাচ্ছে খেতে খুব মজার ছিল