নদীর নতুন পানির পুঁটি মাছ।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। বহুদিন পর আজকে একটু ঘুরতে গেছিলাম। যে কদিন ছুটিতে থাকবে সে কদিন তো ঘোরাঘুরি হবেই। আজকে কোন প্ল্যান ছিল না। প্ল্যান ছাড়া ঘুরতে গিয়ে যেমন আগে আপনাদের সাথে মুহূর্তগুলো শেয়ার করতাম ঠিক তেমনি আজকেও একটা গল্প নিয়ে আসলাম।
আজ বিকেলে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে আমাদের এদিকে। বর্ষাকাল শুরু হয়ে গেছে কিন্তু নদীতে এখনো পানি আসেনি তেমন। যাইহোক বৃষ্টি যখন শেষ হলো তখন ধীরে ধীরে বাজারের দিকে গেলাম। বাজারে ছিল এক ছোট ভাই আরেক বন্ধু। কোথায় যাব কি করব ভাবতে ভাবতে চিন্তা করলাম একটা জায়গায় যাব যেখানে মাঝেমধ্যে আগে ঘুরতে যেতাম। যেই ভাবা সেই কাজ। গল্প করতে করতে তিনজন চললাম। অল্প সময়ের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম সেখানে। ওইখানে গিয়ে তো আমরা পুরাই অবাক। একটু আগে যে ঝুম বৃষ্টি হল, তার পড়তে শুরু করেছে। বড় নদী থেকে কোল নদীতে প্রচন্ড স্রোতের সাথে নতুন পানি ঢুকছে। দৃশ্যটা খুবই ভালো লাগছিলো।
বাইক রেখে আমরা একটু নিচে নেমে গেলাম। নতুন পানিতে নাকি পুঁটি মাছ পাওয়া যাচ্ছে অনেক। জেলেরা জাল নিয়ে চলে এসেছে মাছ ধরতে। অনেকেই জাল নিয়ে এসেছে। ওইটুকু জায়গার মধ্যে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন জাল নিয়ে এসেছে মাছ ধরতে। জাল ফেলার দৃশ্যগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। নদীর পানির স্রোত এতটাই বিশাল ছিল যেখানে জাল ফেলছে তার থেকে অনেক দূরে গিয়ে জাল উঠাতে হচ্ছে। আমরা আর বেশিক্ষণ লোভ সামলে রাখতে পারলাম না। একটু দূরে যেখানে অনেকগুলো জেলা একসাথে মাছ ধরছিল সেখানে চলে গেলাম। একটু অবশ্য পানির মধ্যে নামতে হয়েছিল তাতে কি, খুব মজা পাচ্ছিলাম পানিতে নেমেও। অনেকদিন পর গ্রামের এই ফ্রেশ পরিবেশে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে।
একটা জায়গায় নদী ছিল অনেক সরু নদী । আসলে পরিপূর্ণ নদী এটাকে বলা যায় না কারণ এখনো অনেক পানি আসবে এরপর নদীটা বিশাল আকৃতি ধারণ করবে। এটা শুধুমাত্র তলানীর অংশ। যাইহোক সরু জায়গাটিতে স্রোতের বেগ প্রচন্ড ছিল। সেখানেও দেখলাম জেলেরা জাল ফেলছে। একেবারে স্রোতের মাঝখানে ফেললে তো মাছ পাওয়া যাবে না, তাই একটু সাইডে ফেলছিল।
ওখানে যতগুলো জেলে ছিল প্রত্যেকের ঝুলিতে দেখলাম পুঁটি মাছ ছাড়া আর তেমন কোন মাছ নেই। এখানে শুধু পুঁটি মাছই পাওয়া যাচ্ছে। এই নদীর নতুন পানির টাটকা পুঁটি মাছ গুলো দেখে পুঁটি মাছের ঝোল খাওয়ার লোভ জাগলো তখনি। তখনই খিদে খিদে পাচ্ছিল। আলু আর বেগুন দিয়ে নদীর বড় সাইজের পুঁটি মাছের ঝোল, আহ্ কি যে লাগে!!
আমরা আসতে একটু বেশি দেরি করে ফেলেছি। সন্ধ্যা লেগে গেছে চারিদিকে অন্ধকার নেমে আসছে। বেশিরভাগ জেলেই আস্তে আস্তে উঠে চলে যেতে শুরু করেছে। আমরাও আর বেশিক্ষণ দাঁড়ালাম না। উঠে আসলাম ধীরে ধীরে। এরপর সোজা বাজারে চলে আসলাম। বাজার থেকে বাড়িতে। যাইহোক আজকের বিকেলটা খুবই ভালো কেটেছে আমার। মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরেও ভালো লাগলো। ফটোগুলো কেমন লাগছে দেখতে জানাবেন। ধন্যবাদ - আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এতই যখন পুঁটি মাছ গুলো দেখে ভালো লাগছিল তাহলে তো সুমন দা ওখানে বসেই বন্ধুরা মিলে একটা ছোটখাটো পিকনিক করে ফেলতে পারতেন পুটি মাছের ঝোল রেসিপি। হা হা হা... যাইহোক নতুন জলের মাছ সে যাই হোক না কেন, খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আর পুটি মাছ এমনিতেও আমার খুব পছন্দের। জাল ফেলার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল তবে DSLR হলে হয়তো আরো বেশি সুন্দর লাগতো।
সত্যিই আমিও এরকম ভেবেছিলাম। মনে হচ্ছিল জাল ফেলে কয়টা মাছ ধরে নিজেরাই পিকনিক করে ফেলি। পুঁটি মাছের ঝোল,,, মনে পড়লেই জিভে পানি চলে আসে 🤤
ভাই কিছুদিন আগে আমাদের পুকুরের পানি নিষ্কাশন করলাম। ওই পুকুরে কিছু পুটি মাছ ছিল। পুটি মাছ গুলো অনেক বড়। পুটি মাছ গুলো ভেজে খেতে খুব ভালো লাগছিল। আর নদীর পুটি মাছ তো আরো বেশি সুস্বাদু। আপনার সাথে আমি একমত আলু আর বেগুন দিয়ে বড় সাইজের পুঁটি মাছগুলো ঝোল করে খেতে আসলে সুস্বাদু লাগে। যেসব এলাকায় নদী থাকে এই ওই এলাকার মানুষগুলো এ ধরনের মাছ গুলো খুব বেশি খেয়ে থাকে।সব মিলে দারুন কিছু সময় কাটিয়েছেন আপনার লেখা পড়েই বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া প্রথমেই বলব আপনাদের গ্রামটি অসাধারণ সুন্দর। সন্ধ্যার নদীর ধারে এমন দৃশ্যগুলো শুধু বইই দেখেছি। নিজের চোখে কখনো সামনাসামনি এমন সুন্দর দৃশ্য দেখা হয়নি। হয়তো সামনাসামনি এমন কোন দৃশ্য দেখলে আমি ফিট হয়ে যাব। কারণ আমি বেশ প্রকৃতি প্রেমি কিনা তাই। যাই হোক গ্রামে যে এবার ভালোই সময় কাটাচ্ছেন। জেলেদের নতুন পানির মাছ ধরা দেখতে দেখতে নিজেরা দেখছি পানিতে নেমে পড়লেন। বেশ মজাই হয়েছিল না ভাইয়া।