Bandarban Diary - হাতিরটেক পাহাড় ভিউ পয়েন্ট।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম আমরা থানচির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছি। এই যাত্রাটা ছিল বান্দরবান এক্সপ্লোরের সবচেয়ে এক্সিটমেন্টের দিকে যাত্রা। খুব দ্রুত গতিতে পাহাড়ের বিশাল উঁচু নিচু পথ পাড়ি দিচ্ছিল আমাদের চাঁদের গাড়ি।
কখনো খুব দ্রুতগতিতে নিচে নেমে যাওয়া আবার সেই দ্রুত গতিতেই উপরে উঠে যাওয়া, সেই সাথে দু'ধারের বড় বড় পাহাড় অবলোকনে দৃষ্টি জুড়ানো অনুভূতি নিয়ে এগিয়ে চলছিলাম। বাস্তবে এই অনুভূতির সাক্ষী না হলে এটি বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয় এই সুন্দর যাত্রাটা কত বেশি আনন্দের।
চলতে চলতে আমরা একটা ছোটখাট ভিউ পয়েন্ট দেখলাম। ততক্ষণে সূর্যের আলো ছড়িয়েছে বেশ তির্যকভাবে। শীতের সময় হওয়াতে রোদ উঠার পরেও সময়টা নাতিশীতোষ্ণ ছিলো। সুন্দর একটা স্পোট দেখেই আমরা গাড়ি থামাতে বললাম আর সেখানে নেমে পড়লাম। সুন্দর বলতে চলতি পথে একটু জিরিয়ে নেওয়ার মতো ভালো একটা পরিবেশ।
সেখানে বসার সুন্দর ব্যবস্থা ছিলো। একটি ভিউ পয়েন্টেও ছিলো। সবচেয়ে আকর্ষণীয় লেগেছে বিশাল একটা বরই গাছ ছিল যেখানে প্রচুর বরই ধরে আছে।
ভাবছিলাম এখানে এত মানুষ আসা-যাওয়া করে কিন্তু এখনো এত পরিমান বড়ই রয়েছে কিকরে!! বিশাল উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে মূত্র বিসর্জন করে সুন্দর একটি রিলাক্সিং মাইন্ড নিয়ে বরই গাছের নিচে গিয়ে দাঁড়াইলাম। বরই গাছের একটা ডাল ধরে কয়েকটা সুন্দর দেখে বরই পেরে নিলাম।
বরই গুলোর মধ্যে থেকে সুন্দর দেখে একটা বরই যখন মুখে নিলাম তখন বুঝতে পারলাম কেন এত মানুষ এখানে আসার পরও এত বরই এখনো গাছে ধরে আছে। বরইগুলোতে একটুও স্বাদ নেই, আর কসে ভরা। যে চার পাঁচটা পেরেছিলাম ওগুলোই পকেটে নিয়ে আসলাম যে মাঝেমধ্যে মন চাইলে খাওয়া যাবে। তারপর আর একটিও পারিনি।
এরপর আমরা প্রস্থান করলাম। গাড়িতে চড়ে বসলাম আর গাড়ি দুর্বার গতিতে পুনরায় ছুটে চলল। এ সকল রাস্তায় যেনতেন ড্রাইভারের কম্ম নয় গাড়ি চালানো। তাছাড়া এসব ড্রাইভারের এই রাস্তাগুলো মুখস্থ থাকে তাই বাকগুলোতে ও কোথায় কতটুকু গতি নিয়ে চালাতে হবে সেটা খুব নিখুঁতভাবেই ওরা বুঝতে পারে। আমার কাছে এগাড়ি দিলে তো সোজা পাহাড়ের নিচে।।।।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এটা ঠিক বলেছেন যে পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি চালানো যার তার কর্ম নয়।কখন কোথায় বাঁক নিতে হবে এটা তাদের মুখস্ত থাকে।পাহাড়ি রাস্তায় চাঁদের গাড়িতে উঁচু নিচু পাহাড়ি রাস্তা বেশ উপভোগ করেছেন বুঝলাম।বরই খেতে ভালোনা এজন্যই ছিল গাছে ,হাহা।ভালো হলে আর পেতেন না ।ভালো লাগলো আপনাদের ট্যুর বিষয়ক পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
দৃশ্য গুলো দেখে বেশ ভালো লেগেছে। হাতিরটেক পাহাড় ভিউ পয়েন্টে যেয়ে অনেক ঘোরাফেরা করলেন আনন্দ করলেন। আমরা যখন রাঙ্গামাটি ভ্রমণে গেছিলাম ঠিক একই অবস্থা। কিছু রাস্তা উপরের দিকে উঠে আবার কিছু রাস্তা নিচের দিকে অনেক স্পিডে নেমে যায় গাড়ি। আবার যেতে যেতে কিছু রাস্তা সমতল এভাবেই। তবে আমি মনে করি যদি ভ্রমণ করতে হয় এমন স্পট গুলোতে ভ্রমন করলে অনেক আনন্দ উপভোগ করা যায়। আপনারা সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছেন।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই 😂। কারণ বান্দরবানের পাহাড়ি রাস্তা গুলো খুবই বিপজ্জনক। এক্সপার্ট ড্রাইভার না হলে সবার জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে। যাইহোক বরই গুলো খেতে যদি টেস্টি হতো, তাহলে গাছে শুধু পাতা দেখতেন, বরই আর দেখা যেতো না। প্রতিটি ফটোগ্রাফি এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে ভাই। সবমিলিয়ে পোস্টটি ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি চালানো খুব সহজ নয়।যারা প্রতিনিয়ত ড্রাইভ করেন সেখানে তারাই পথের দিক বুঝে চালাতে পারেন।পথে নেমে বরই গাছে এতো বরই দেখে ভেবেছিলেন এতো বরই কেউ খায় না কেন। গাছ থেকে নিয়ে খেয়ে বুঝলেন তো কেন গাছে রয়ে গেছে বরই গুলো।আপনার হাতে দেখে বরই খাওয়ার লোভ আমার ও হয়েছিল।😂 যাই হোক এরপর গাড়ি আবার ছুটে চলল....।
বাহ্ ! অসাধারণ জায়গাটা ৷ এমন জায়গায় কিছুক্ষণের জন্য হলেও সময় কাটানোটা আসলেই দারুণ ভালোলাগা ব্যাপার ৷ কিছুক্ষণের জন্য থেমে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য বেশ ভালো ভাবেই উপভোগ করেছেন নিশ্চয়ই ৷ প্রকৃতির এমন রূপ আসলেই মনোমুগ্ধকর ৷ ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দারুণ হয়েছে ৷ ভীষণ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ৷ তবে সেখানকার মানুষ সেখানকার অবস্থান বেশ ভালো ভাবে জানেন , তাই তো নির্ভয়ে ছুটে চলেন ৷
পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে ছুটে চলা এবং প্রকৃতি সুন্দর করতে করতে ভিউ পয়েন্টে যখন চলে আসলাম তখন আশেপাশের পরিবেশ সত্যি অনেক দারুন ছিল। বিশেষ করে বড়ই পেরে খাওয়া হয়েছিল বিষয়টা বেশ মজাদার ছিল কিন্তু বড়ই মোটেও সুস্বাদু ছিল না। এমন পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালো লাগে। আবার সুযোগ হলেই ছুটে চলে যেতে হবে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।
ভাইয়া বরই গুলো তে দেখতে সুন্দরই দেখা যাচ্ছে। তবে কষ্টি হওয়ার কারন বুঝতে পারছি না। সম্ভব বয়স আঠারো হওয়ার আগেই বখাটেদের নজরে পড়ে গেছে,হা হা হা। আর আপনি চাঁদের গাড়ি চালাতে পারবেন না বলেই আপনার জন্ম বান্দরবন না হয়ে কুষ্টিয়া হয়েছে ,হি হি হি। অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।