হাফিজ ভাই, আরিফ ভাইয়ের সাথে দেখা।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। অনেকদিন পর গত ১১ই ডিসেম্বর আরিফ ভাই আর হাফিজ ভাইয়ের সাথে আবার দেখা হলো। আরিফ ভাই একটা কাজে ঢাকায় এসেছিলেন দু-তিন দিনের জন্য। ১১ তারিখে আমরা প্ল্যান করেছিলাম তিনজন একসাথে দেখা করব আর কিছু সময় একসাথে কাটাবো। আরিফ ভাই আর হাফিজ ভাইকে বলেছিলাম ধানমন্ডি আসতে ওখানেই আমাদের দেখা হবে।
আমি সাড়ে চারটা-পাঁচটার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম। বাসা থেকে বেরিয়ে অবাহনী মাঠের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম অনেকক্ষণ। ওদিকে হাফিজ ভাই আরিফ ভাই একসাথে রউনা দিয়েছে। প্রায় দেড় ঘন্টার মতো সময় পার হয়ে গেছে তারপরও তাদের কোন খোঁজ নেই। হাফিজ ভায়েরা বিশাল এক জ্যামে আটকা পড়ছিল। আসাদগেট থেকে সংসদ ভবনের সামনে পর্যন্ত এই জায়গাটা হেবি খারাপ। সন্ধ্যার টাইমে ব্যাপক যানজট বেঁধে যায়।
বহু সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর ম্যাপে দেখলাম ওনারো প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। আগে থেকেই লাইভ লোকেশন শেয়ার করতে বলেছিলাম হাফিজ ভাইকে। যাইহোক এরপর দেখা হলো তিন জনের, অনেকদিন পর। দেখা হওয়ার পর প্রথম সাক্ষাৎ শেষ করেই চলে গেলাম আগে থেকেই রিজার্ভেশন দিয়ে রাখা একটি বাফেট হলে। আমরা একটু আগে আগেই এসেছিলাম। আমরা যখন পৌঁছাই তখন ওখানে তেমন কেউ ছিলনা। এমন পরিবেশেই তো গল্প আর আড্ডা জমে ভালো।
বিভিন্ন গল্পে হারিয়ে গেলাম তিনজন আর সাথে চলতে লাগলো আমাদের খাওয়া দাওয়া। অল্প অল্প খাচ্ছিলাম, গল্প করছিলাম, একটু বসে থাকতেছিলাম আবার নতুন একটা আইটেম টেস্ট করতেছিলাম। ওখানে ৮০+ আইটেম ছিলো। প্রায় সবগুলোই মোটামুটি টেস্ট করেছি অল্প অল্প করে। ঝাল আইটেমগুলো আমি একটু বেশি খেয়েছি। আফগানি পোলাও, মাটন বিরিয়ানি, থাই ফ্রাইড রাইস এগুলো ছিল ভারতের আইটেম। যদিও আমরা তেমন একটা ভাত খাইনি।
সবগুলোই অল্প অল্প করে টেস্ট করতে গিয়ে পেটের অর্ধেক ভরে গিয়েছিল। বাকি অর্ধেক রেখেছিলাম সবচেয়ে বেশি পছন্দ হবে যেগুলো সেগুলো কার জন্য। ডরি ফিস আইটেম আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। চিকেন ললিপপটা আমার খুব ভালো লেগেছে। অল্প ভাত নিয়েছিলাম অবশ্য তার সাথে সবজি আইটেম থেকে অল্প একটু ট্রাই করেছিলাম। সালাদ আইটেমগুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি সবগুলো সালাদই প্রায় টেস্ট করেছি অল্প অল্প করে।
তিন প্রকার সুপ ছিল কিন্তু আমি একটাই খেয়েছি আর সেটাই ভালো লেগেছে। জীবনের প্রথম কাকড়া খেলাম সেদিন। আগে কখনোই খাইনি। শুনেছি অনেক ভালো লাগে চিংড়ির মধ্যে অনেকটা। হাফিজ ভাই খাওয়ার পর আমাকেও নিতে বলল। ভালই লাগছে নাকি খেতে। হাফিজ ভাইয়ের কথা শুনে আমিও দু-একটা নিয়ে খেলাম। যাইহোক হতাশ হইনি। ভালোই ছিল মোটামুটি। তবে ডেজার্ট আইটেমে একেবারেই ফেল মেরেছি। দু-একটা আইটেম ভালো লেগেছে বাকি সবগুলোই বাজে ছিলো। তাই ডেজার্ট আইটেম বেশি একটা খেতে পারলাম না। কয়েকটা আইটেম তো জাস্ট টেস্ট করতে পেরেছি। পরে আর মুখেও তুলিনি। তবে হ্যাঁ আমরা খাবার অপচয় না করতে চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ।
পুরোটা সময় খাওয়া-দাওয়া আর গল্পের মাঝখান দিয়েই আমরা কাটিয়ে দিয়েছি। আমরা প্রায় দুই আড়াই ঘন্টা ছিলাম সেখানে। কিছু খাবার একটুও ভালো লাগেনি - আবার কিছু খাবার খুবই ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে মোটামুটি ভালোই ছিলো। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ভুরি টান করে নিচে চলে আসলাম আমরা। এরপর বিদায় জানালাম হাফিজ ভাই আর আরিফ ভাইকে।
সময়টা ভালোই কেটেছে। এই দিয়ে আমাদের বেশ কয়েকবার দেখা হলো। ইনশা আল্লাহ আবারো দেখা হবে আমাদের। আজ আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
যাক তাহলে তিনজন হিরোর একসাথে আড্ডা ও খাওয়া-দাওয়া হলো। খুব ভালো লাগলো ভাই আপনাদের এরকম মিলন মেলার গল্প ও খাওয়া দাওয়ার কথা শুনে। তবে অবাক লাগলো এটা শুধু টেস্ট করতেই পেটের অর্ধেক ভরে গেছে, তাহলে একবারে যদি একটা আইটেম ভালো করে খাওয়া যায় তাহলে তো আর কিছু পেটেই ধরবে না।যাইহোক কাঁকড়া কিন্তু আসলেই সুস্বাদু। হাফিজ ভাই কিন্তু ভুল বলেনি। আমিও একবার কি দুইবার খেয়েছি,কাঁকড়া অনেক মজার হয়। সর্বোপরি খুব ভালো লাগলো এবং বেশি খুশি লাগলো যে আপনাদের তিনজনের মিলনমেলা হয়েছে সেজন্য। ধন্যবাদ ভাই আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপনারা তিন ভাইয়া এক সাথে দেখা হয়ে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।তবে যেসকল খাবারের ফটোগ্রাফি দিয়েছেন।খাবার গুলো দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল। যাইহোক ভাইয়া আপনারা বেশ আনন্দ সহকারে খাবার গুলো খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো সময় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হাফিজ ভাইয়া আর আরিফ ভাইয়ার সাথে দেখা হলো। আপনি আবাহনী মাঠের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন।তবে তো আমার বাসার খুব কাছাকাছি ই ছিলেন।যাক দেখা হলো, গল্প হলো। বেশ জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া ও হলো।যদিও ডেজার্ট আইটেম অনেক কিছুই ভালো ছিল না।তবে ঝাল আইটেম গুলো ভালো ই ট্রাই করলেন।ধন্যবাদ অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনি আরিফ ভাই এবং হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের সাথে বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন। আপনারা তিনজন প্লান প্রোগ্রাম করেই ধানমন্ডিতে দেখা করেছেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আপনারা সেখানে বেশ কিছু খাওয়া দাওয়া করেছিলেন আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। সেখানকার কিছু খাবার আপনাদের কাছে একদমই ভালো লাগেনি আবার কিছু খাবার বেশ ভালো লেগেছিল এটা কিন্তু বেশ মজার ব্যাপার ভাই। ধন্যবাদ ভাই অনেকদিন পর আবারো তিনজনের সাক্ষাৎ একসাথে হওয়ায় বেশ আনন্দিত আমিও। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
একদিন হুট করে গিয়ে হাজির হব, সবাইকে নিয়ে জাদুর শহরটা ঘুরে দেখবো, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। আপাতত দূর থেকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানিয়ে রাখলাম।
অপেক্ষায় রইলাম।
আরিফ ভাই ঢাকা এসেছিল এবং আপনাদের সাথে দেখা হয়েছিল, সেটা আরিফ ভাইয়ের পোস্ট পড়ে জানতে পেরেছিলাম। কাছের মানুষদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হলে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক বাফেট রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন এবং জমিয়ে আড্ডা দিয়েছেন। আবাহনীর সামনে ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে বেশ কয়েকটি বাফেট রেস্টুরেন্ট রয়েছে। বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম বাফেট লাঞ্চ করতে। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বাপরে বাপ ৮০+ আইটেম সব টেস্ট করতে পেরেছেন? মাশাল্লাহ ইঞ্জিন বেশ ভালই কাজ করে দেখছি। আবার পেটে অসুখ হলে আমি দায়ী না ভাইয়া হা হা হা। যাক অবশেষে তিন জন এক সাথে হলেন শুনে অনেক ভাল লাগলো। আপনারা তিন জনের ফটো দিলে আরো ভাল হতো ভাইয়া। সবার জন্য শুভকামনা রইলো।
কাছের মানুষগুলোর সাথে অনেকদিন পর দেখা হলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। হাফিজ ভাইয়া ও আরিফ ভাইয়ার সাথে দেখা করেছেন জেনে ভালো লাগলো। খাওয়া-দাওয়া তো বেশ ভালোই হয়েছে দেখছি। যেহেতু ৮০ প্লাস আইটেম ছিল তাই আয়োজনটা বেশ ভালো ছিল বোঝাই যাচ্ছে। ডেজার্ট আইটেম আমার কাছেও কেন জানি ভালো লাগে না। যাইহোক ভাইয়া সময়টা বেশ ভালো কেটেছে জেনে ভালো লাগলো।