কলকাতায় শেষ দিন -৫ [শপিং ]
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম কফি হাউজ দর্শণ এবং মিষ্টি কাওয়া শেষ করে শপিং এর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছিলাম। প্রথমে কলকাতার রাস্তায় অনেকক্ষণ ঘুরেছি। অনেক ভালো মানের একটি কসমেটিক্স এর দোকান খুঁজছিলাম। এর পাশাপাশি কয়েকটি মার্কেটের মধ্যে গিয়ে মেয়েদের কিছু ড্রেস দেখার চেষ্টা করেছি। অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরির পর সত্যি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।
কালকেই চলে যেতে হবে। আজকে যদি কেনাকাটা শেষ না করতে পারি আর সুযোগ থাকবে না। এদিকে ঘড়িতে বেজে গেছে ৬ টা। তখন একটু টেনশন হতে লাগলো। কিংপ্রোস ভাই না থাকলে বিপদ হয়ে যেত। উনি খোঁজখবর নিয়ে একটা লোকেশন নিলেন, যেখান থেকে উনার বোন কসমেটিক সামগ্রী কিনে থাকেন। ওখানে ভালো প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। আমরা আর কোথাও না গিয়ে একবারে ওই জায়গাটাতেই যাওয়ার মনস্থির করলাম। কলকাতায় এসেছি কিন্তু মেট্রোতে চড়া হয়নি তখনো। আমরা মেট্রোতে চড়েই সে জায়গাটাতে যেতে রউনা দিলাম।
মাটির নিচের মেট্রোরেল। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কাঙ্খিত জায়গায় চলে আসলাম। মেট্রোরেলের জার্নি ছিল খুবই আরামদায়ক এবং স্বস্তির। যাইহোক আমরা মেট্রো থেকে নেমে হাঁটা শুরু করলাম। আমরা যে এলাকায় ঢুকলাম এই এলাকাটা আবাসিক এলাকা। আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে হাঁটতে ভালই লাগছিল। আমরা কলকাতা কে যেভাবে চিনি অনেকটা সেই রূপ এখানে। ছোটবেলা থেকে কলকাতাকে টিভিতেই দেখেছি। মনের মধ্যে একটা ভাবনা তৈরি হত, আর ঠিক সেরকমই লাগছিল চারদিকের ঘরবাড়িগুলো। এটি কলকাতার অনেক পুরনো একটি এলাকা। ঐতিহাসিকভাবে ও নাকি এই এলাকাটার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। যাইহোক হাঁটতে হাঁটতে আমরা সেই মার্কেটের কাছে পৌঁছে গেলাম।
ওইখানে অনেকগুলি দোকান ছিল। প্রত্যেকটা দোকানই দেখে মানসম্মত মনে হল। প্রথমে আমরা দাঁড়িয়ে থাকলাম হাফিজ ভাই এক এক করে মেয়ের জন্য, ভাবির জন্য যা যা অর্ডার ছিল বাড়ি থেকে সবকিছু কিনে ফেলল। হাফিজ ভাইয়ের বিল হয়েছিল ১০ হাজারের আশেপাশে। এটা দেখে আরিফ ভাইয়ের অবস্থা খারাপ। বলে বিয়ে না করে ভালো করছি, হাহাহা। এরপর আরিফ ভাই ও অল্প কিছু কেনাকাটা করলো। দুজনের কেনাকাটা শেষ এদিকে আমিও বাড়ির সবার জন্যই একটু আধটুক কেনার চেষ্টা করলাম। মোটামুটি এক ঘন্টার মধ্যে আমরা কসমেটিক্স সামগ্রী কেনাকাটা শেষ করলাম।
এরপর হাফিজ ভাই অর্নামেন্টসের দোকানে গেল। সেখানে অবশ্য আমি কিছু কেনাকাটা করিনি শুধু হাফিজ ভাই কিনলেন। এরপর একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম ভালো একটা ফার্মেসির খোঁজে। বাংলাদেশের রেয়ার, কিন্তু খুবই ভালো মানের একটা প্রোডাক্ট খুঁজছিলাম সেটা পেয়ে গেলাম। ফার্মেসি থেকে কেনাকাটা শেষ করে একটা পারফিউমের দোকানে গেলাম। সেখান থেকে আরিফ ভাই আর আমি কয়েকটা পারফিউম নিলাম। পারফিউমটা কিনেছিলাম সত্যিই দারুণ। বাড়িতে সবাই প্রশংসা করছে।
পারফিউম কিনে এরপর আমার ভাগ্নের জন্য একটা ঘড়ি কিনতে ঘড়ির দোকানে গেলাম। অনেক রকমের ঘড়ি তার মধ্য থেকে বয়সের বিষয়টি মাথায় রেখে ছোটদের একটি ঘড়ি পছন্দ করলাম। ঘড়িটি দেখতে বেশ ভালো। আমাদের সবারই পছন্দ হয়েছিল। হাফিজ ভাইও নিলেন একটা ফিমেল ঘড়ি। যাহোক এবার মোটামুটি স্বস্তি লাগছিল। অনেক কিছু কেনাকাটা শেষ করলাম।
এদিক থেকে সবকিছু কেনাকাটা শেষ, এবার মেট্রোতে করে আবার নিউমার্কেটে যেতে হবে। তখন রাত বাজে প্রায় ৯ টা। মেট্রোতে উঠে দেখি একেবারেই ফাকা। অল্প কিছু মানুষজন আছে। খুব রিলাক্সে আমাদের গন্তব্যে চলে আসলাম অল্প সময়ের মধ্যে। এবার মজার কিছু কাহিনী ঘটে। হতাশ হতে হতে আশার আলো দেখতে পাওয়া। নেক্সট পর্বে গল্প হবে পরের কাহিনী নিয়ে, ইনশা আল্লাহ্ । আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ্ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া কলকাতার দিনে শপিং করার পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার ভাগ্নের জন্য ঘড়ি কেনার বিষয়টি আমার কাছে সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে। একই সাথে হাফিজ ভাইয়া ফিমেল ঘড়ি কিনেছে এটা জেনে আরো বেশি ভালো লেগেছে আমার। যাহোক ভাইয়া, পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
প্রথমেই আপনার সেই হতাশ হতে হতে আশার আলো দেখতে পাওয়া মজার গল্প শোনার অপেক্ষায় রইলাম। ঘড়ি কিনলেন, অরনামিক্স কিনলেন। আমার তো মনে হয় এত কেনাকাটার চেয়ে আরিফ ভাইয়ের কথাই ঠিক। বিয়ে না করলে বেঁচে যেতেন। নিউ মার্কেটের ঘটনার অপেক্ষায় রইলাম।
কিংপ্রস ভাইয়ের সাহায্যে আপনারা শপিং করতে গিয়েছিলেন।সেখানে বেশ ভালো প্রোডাক্ট পেয়েছিলেন আপনারা।হাফিজ ভাই বেশ মোটা অংকের শপিং করেছিলেন।আপনিও নিজের পরিবারের জন্য কেনাকাটা করলেন,ভাগ্নের জন্য ঘড়ি নিলেন।হাফিজ ভাই ও ফিমেল ঘড়ি নিয়েছিলেন।মেট্রোরেলের জার্নি আপনাদের ভালো লেগেছে।সব মিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনারা।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনারা যে কলকাতায় অনেক মজা করে কাটিয়েছেন তা বোঝা যাচ্ছে।হাফিজ ভাই,আরিফ ভাই আর আপনি বেশ কেনাকাটা করেছেন। হাফিজ ভাই বেশি করেছেন কেনাকাটা। কেনাকাটা আর মেট্রোতে ভ্রমনের প্রাণবন্ত লিখনি " কলকাতায় শেষ দিন -৫ [শপিং ]" শিরোনামে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আর হ্যা পোস্টকৃত ছবি গুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে।