এবছরের প্রথম গরম গুড় খাওয়ার অভিজ্ঞতা।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামুআলাইকুম।
সবাইকেই জানাচ্ছি শীতের সকালের শীতলতম শুভেচ্ছা। সময় চলে এসেছে ভাপাপিটা খাবার, সকালবেলা খেজুরের রস খাওয়ার, খুলায় গিয়ে আখের রস আর গরম গুড় খাওয়ার। তাইতো শীতের আগমনের প্রথমেই গরম গুড় খেয়ে অভিজ্ঞতাটা নিয়ে নিলাম।
ছোটবেলায় যখন আমাদের খুলা বানাতো বাড়ির পাশে তখন ভীষণ আনন্দ লাগতো সবসময়। সকাল বেলা আখের রস, বিকেল বেলা গরম গুড় আর মাঝেমধ্যে রস জ্বালানোর সময় গরম রসের মধ্যে আলু দিয়ে সেদ্ধ করে খাওয়ার সময়গুলো অসাধারণ ছিল। গত দুবছর আমাদের আখ চাষ করেনি। শেষবার আমাদের খুলা বানিয়েছিল ২০২১ সালে। ছোটবেলায় আমাদের বাইনের খোলা ছিল আর এখন তো সব জায়গায় করাইয়ের খুলা বানায়। ছোটবেলায় দেখেছি আমার আব্বু, মাঝি কাকুরা সবাই মিলে খুলার কার্যক্রম চালাত। সে সময় গুলো সত্যি দারুন ছিল।
সবে মাত্র শীতের আগমনের বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। এত তাড়াতাড়ি খুলা চালু হতে সাধারণত দেখা যায় না। কিন্তু আমার এক ভাগ্নে আছে ওদের খুলা বানিয়েছে এবার আগে আগেই। কারণ হলো ওদের আখ গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল যার কারণে আগে আগেই সেগুলো ভাঙিয়ে ফেলতে হচ্ছে। সেদিন বিকেলে আমি আর রাহুল বাজারে গিয়েছি। হঠাৎ কি মনে হল আমি রাহুলকে বললাম যে ভাগ্নে কোথায়? রাহুল বললো খুলায়। আমি বললাম চলো ঘুরে আসি।
খুলাটায় যেতে একটু হেঁটে মাঠের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। দুই পাশে জমি ভরা ধান। ধানের একটা ফ্রেশ স্মেল নাকে আসছিল। এ ঘ্রান একদম খাঁটি আর সাথে তো মাটির ঘ্রাণ আছেই। যাইহোক একটু হেঁটেই পেয়ে গেলাম আমরা সেই কাঙ্খিত খুলা। খুলায় পৌঁছাতেই প্লেটে করে গুড় ঢেলে দিল আমাদের জন্য। আমাদের জন্য অল্প একটু যথেষ্ট ছিলো। কিন্তু যা দিয়েছে সেটাও খেতে পারব কিনা সন্দেহ, তাই খানিকটা নামিয়ে রাখলাম। আসলে মিষ্টি জাতীয় জিনিস আমি বেশি খেতে পারি না। অল্প একটু খেলেই মুখ মেরে যায়।
এরপর প্রথম মুখে নিলাম এ বছরের গরম গুড়। খুবই মজার ছিলো আঠালো গরম গুড়। আখের খোসা দিয়ে তুলে তুলে খেলাম। একথায় দারুন লেগেছে গরম গুড় খেতে। তবে যা খেয়েছি একটু বেশি খাওয়া হয়ে গেছে। গরম গুড় খাওয়া শেষ করে মোটামুটি সন্ধ্যার দিকে আমরা আবার জায়গাটি থেকে চলে আসলাম। সাধারণ একটি বিকেল কিন্তু অনুভূতিটা সুন্দর ছিলো। এ বছরে অনেক আগে আগেই গরম গুড় খাওয়ার অভিজ্ঞতাটা হয়ে গেল।
এ বছরে আপনারা গরম গুড় খেয়েছেন কিনা কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমাদের এদিকে তো ভাইয়া আখের চাষই হয় না ঘুড় খাবো কিভাবে ! তবে আপনার গুড় খাওয়ার অভিজ্ঞতা পড়ে খুবই ভালো লাগলো । আমার এই খেতে ইচ্ছে করছে আপনাদের গুড় খাওয়া দেখে । গরম গরম গুড় খেতে পারলে ভালোই লাগতো
চলে আসেন একদিন।
গরম গুড় পাবো কোথায় দাদা!আমরা তো ফ্রেস কোনো গুড়-ই পাই না।আগে তাও ফ্রেস খেজুর গুড় পেতাম এখন সেটাও দেখি না।আর এভাবে একা একা নতুন বছরের গুড় খেলে হবে দাদা,আমার তো লোভ লেগে গেল।গরম রসের মধ্যে আলু দিয়ে সেদ্ধ করে খাওয়ার অনুভূতি এই প্রথম শুনলাম।কাঁচা ধানের গন্ধ আমার ও খুবই ভালো লাগে।গুড়ের রং টি সুন্দর এসেছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
বাংলাদেশে চলে আসেন দিদি।
☺️☺️
আমাদের বাড়ির আশেপাশ এরকম খোলা তৈরি হয় না তো তাই কখনোই গরম গুড় খাওয়ার সুযোগ হয়নি। তবে আজকে আপনার এ বছরে প্রথম গরম গুড় অনুভূতিটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আর হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন মিষ্টি জিনিস খুব বেশি খাওয়া যায় না মুখ মরে যাই। তবে থেমে থেমে না খেয়ে একভাবে খেতে থাকলে মোটামুটি ভালোই খাওয়া যায়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকেই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমার জীবনে একবারই সুযোগ হয়েছিলো এমন টাটকা টাটকা গররম গুড় খাওয়ার! আপনার এই পোস্ট দেখে সেই দিনের স্মৃতি মনে পড়ে গেলো! কী অপার আনন্দের অভিজ্ঞতা ছিলো! আহা! আর খুলা শব্দ টার সাথে আগে পরিচিত ছিলাম না। আপনার পোষ্ট পরে চিনলাম।
সত্যি অসাধারণ লাগে খুলায় গিয়ে গরম গুড় তুলে খেতে।
বিকেলে এমন পরিবেশে আখের গুড় খেতে বেশ ভালোই লাগছিল। কাহিনীটা হলো আপনি বললেন এত গুড় খাবোনা কিন্তু কিছু সময় যাওয়ার পর দেখি পেল্ট ফাঁকা করে দিয়েছেন সাথে অবশ্য আমিও অনেক খেয়েছি।
তুমিই বেশি খাইছো, 😜
তা তো এখন বলবেনই। কে যেনো শেষ পর্যন্ত খাইলো🙄
প্রথমেই ভাইয়া আপনাকে ধন্যবাদ জানাই যে আপনি বেশ সুন্দর করে গ্রামীন পটভূমির কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। তার সাথে আপনার খোলা হতে গরম গুড় খাওয়ার পুরো গল্পটাই যেন মন কেড়ে নিল। ইস্ যদি একবার এভাবে খেতে পারতাম। আপনি আর রাহুল ভাইয়া মিলে মনে হয় বেশ স্বাদ উপভোগ করেছেন। তবে আপনার পোস্টটি পড়তে পড়তে আমি কিন্তু আমার ছেলেবেলায় কিছু সময় ঘুরে এসেছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর করে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
একটা সময় আমাদের এলাকায় আখের খোলা তৈরি করা হলেও এখন আর হয় না। আমাদের এলাকায় এখন আখ চাষই করা হয় না আফসোস। তবে ছোটবেলা আখের খেতে গিয়ে রস গরম গুড় খাওয়ার অভিজ্ঞতা আমার আছে। এটার মজা আমি জানি। বেশ চমৎকার ছিল আপনার অভিজ্ঞতা ভাই। এবং গরম গুড় দেখে আমারই তো লোভ লেগে যাচ্ছে ভাই হা হা।
একদিন চলে আসো আমাদের এদিকে।
ইনশাআল্লাহ ভাই যাব।
আপনার পোস্টের মাধ্যমে জীবনে প্রথম বারের মতো আখের খুলা দেখতে পেলাম ভাই। আখ থেকে কিভাবে গুড় তৈরি করা হয়,এর আগে কখনো দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমার। দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আপনার মতো আমিও মিষ্টি জিনিস তেমন খেতে পারি না। তবে গরম গরম গুড় খেতে তো অবশ্যই দারুণ লাগবে। আখগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল বিধায়, আপনার ভাগ্নে চমৎকার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। না ভাই এই বছর কেনো,আমি কখনোই গরম গুড় খাইনি। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বলেন কী ভাই, এটাই প্রথম দেখা ছিলো!! 😳
হ্যাঁ ভাই আসলেই প্রথম দেখলাম, তাই আপনার পোস্টটি আমার কাছে খুব ইউনিক লেগেছে। ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাইয়া আমি কখনও গরম গুড় খাইনি।আর এমন গুড় বানানো চোখেও দেখিনি।আসলে দুচোখে অনেক কিছুই দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লেগেছে।এমন অভিজ্ঞতা কখনো আসবে কিনা জানিনা।তবে ইচ্ছে খুব।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে।