হাফিজ ভাই, আরিফ ভাইয়ের সাথে একটি দিন।
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা সবাই ? আশা করছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালই আছেন। ভালো খারাপ নিয়েই আমাদের জীবন। জীবন চলার পথে অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়। হাজারো মানুষের ভিড়ে কিছু মানুষের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে ওঠে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে এসে অনেককেই চিনেছি জেনেছি। অনেকের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি আমাদেরকে অনেক কিছু দিয়েছে। সবকিছুর মধ্যে অন্যতম ভালো কিছু বন্ধু পেয়েছি এখান থেকে।
প্রায় দেড় বছর আছি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে। এই শুরু থেকেই আরিফ ভাই, হাফিজ ভাই, শুভ ভাইয়ের সাথে পরিচয়। আমাদের কমিউনিটির অন্যান্য এডমিন মডারেটরের সাথেও প্রথম থেকেই চেনা জানা। কিন্তু @moh.arif ভাই, @hafizullah ভাই এবং @shuvo35 ভাইয়ের সাথে আমার কাজগুলোর একটা লিংক থাকায় ভার্চুয়ালী বহু সময় ব্যয় করেছি আমরা একসাথে। দেড় বছর একসাথে পথ চলা কিন্তু কখনো আমাদের দেখা হয়নি সামনাসামনি। অনেকদিন আগে থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল সময় করে একদিন আমরা দেখা করব। কিছুদিন আগেই আরিফ ভাই বলতেছিল উনার একটা কাজে ঢাকায় আসবে। এটাই ছিল দেখা করার একটা সুযোগ। আরিফ ভাইয়ের ঢাকায় আসাকে কেন্দ্র করেই আমরা প্লান প্রোগ্রাম করে ফেললাম যে আমরা চারজন দেখা করব।
গত পরশুদিন আরিফ ভাই ঢাকায় এসেছেন। আমি আর হাফিজ ভাই ঢাকাতেই থাকি। আর শুভ ভাই ঢাকার বাইরে। শুভ ভাইয়ের অবস্থান ঢাকা থেকে ৫০০-৬০০ কিলোমিটার দূরে। দুদিন আগেই শুনতে পারলাম শুভ ভাইয়ের শরীরটা খারাপ। উনার আসার ইচ্ছা থাকলেও উনি আসতে পারবে না। অসুস্থ শরীর নিয়ে এত দূরের জার্নি আসলে করা সম্ভব হয় না।
অনেক প্রতীক্ষার পর গতকাল আমাদের দেখা হয়েছিল। আরিফ ভাই ওনার আত্মীয়র বাসায় এসেছিলেন গত পরশুদিন। কাল দুপুর ১২ টার সময় আরিফ ভাই আমার বাসায় এসেছিলেন। আরিফ ভাইকে রিসিভ করতে এক ছোট ভাইকে পাঠিয়েছিলাম। ছোট ভাই যখন আরিফ ভাইকে রিসিভ করে নিয়ে বাসায় আসলো তখন আরিফ ভাইকে দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগছিল। এরপর হাফিজ ভাইকে ফোন দিয়েছিলাম। হাফিজ ভাইয়ের আসার প্ল্যান ছিল নামাজের পরে। কথা ছিল হাফিজ ভাইয়ের সাথে দেখা হবে আমাদের ফার্মগেট থেকে। হাফিজ ভাই যখন বাসা থেকে রওনা দিয়েছিল আমরাও তখন ফার্মগেট এর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছিলাম। ফার্মগেট এ যেতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। কারণ শুক্রবারে রাস্তাঘাটে তেমন জ্যাম থাকে না। এজন্য আমরা আগে আগে গিয়েই অপেক্ষা করছিলাম হাফিজ ভাইয়ের জন্য।
বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর হাফিজ ভাইকে ফোন দিলাম। হাফিজ ভাই বলল ফার্মগেটে উনি মাত্রই বাস থেকে নামলেন। একটু খোঁজাখুঁজির পর আমি প্রথমে হাফিজ ভাইকে দেখতে পাই। এরপর হাফিজ ভাইয়ের দিকে ইশারা করার পর হাফেজ ভাই ও আমাদেরকে দেখতে পায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে রাস্তার ঐপাশ থেকে এই পাশে আসার কোন ব্যবস্থা ছিল না। একটু ঘুরে ফুটওভার ব্রিজের উপর দিয়ে আসতে হবে এই পাশে। হাফিজ ভাই সেটাই করলেন। এখন আমাদের তিনজনের অবস্থান একই জায়গায়। এটাই সেই মুহূর্ত, যার জন্য অপেক্ষা করে ছিলাম আমরা অনেকদিন। এতদিনে একসাথে কাজ করেছি, অনেক কথা হয়েছে কিন্তু এটাই প্রথম দেখা। সরাসরি তিনজন তিনজনকে দেখলাম। এরপর ভালোবাসার কমরেডদের একটুখানি বুকে জড়িয়ে ধরা।
এই মুহূর্তে শুভ ভাইকে মিস করছিলাম আমরা। তো এরপর আমাদের প্ল্যান ছিল ধানমন্ডি লেক অথবা রবীন্দ্র সরোবরে গিয়ে বসার। একটি সিএনজি নিয়ে সরাসরি চলে গিয়েছিলাম রবীন্দ্র সরোবর। সকালে খাবার খেয়েছিলাম। তখন দুপুর তিনটা বেজে গেছে। প্রচন্ড খিদে ছিল পেটে। একটু আগে আরিফ ভাইকে মাত্র একটি সিঙ্গারা খাইয়েছিলাম। 😁 এরপর আমরা প্লান করলাম আগে খাওয়া-দাওয়া করে এসে তারপর এখানে বসে গল্প গুজব করা যাবে। রবীন্দ্র সরোবর থেকে একদম সোজা হেঁটে গিয়ে ধানমন্ডির সুলতান ডাইনে চলে গেলাম। এরপর হাফিজ ভাইয়ের পছন্দমত তিনজনের জন্য একটি প্যাকেজ অর্ডার করলেন। এরপর দুপুরের খাওয়া শুরু। তিনজন একসাথে বসে খাবার খাওয়াটা খুবই এনজয় করছিলাম। এই মুহূর্তেও আমরা শুভ ভাইকে অনেক মিস করেছি।
যাইহোক খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা আবার হাঁটতে হাঁটতে ধানমন্ডি থেকে রবীন্দ্র সরোবর এসেছিলাম। রবীন্দ্র সরোবর বসে অনেকক্ষণ আড্ডা দিয়েছি তিনজন। অনেকক্ষণ বসে গল্প গুজব করার পর আবারও হাঁটতে হাঁটতে ধানমন্ডি ৩২ লেকের দিকে চলে আসলাম। লেকের পাশের সরু রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় গল্প করতে করতে আসতে খুবই ভালো লাগছিল। সময়টা যেন খুব দ্রুতই চলে যাচ্ছিল।
ধানমন্ডি ৩২ থেকে একটা রিক্সা নিয়েছিলাম তিনজন। ধানমন্ডি ৩২ থেকে রিক্সায় চড়ে একেবারে আমার বাসার সামনে এসে নেমেছিলাম। দুপুরের খাওয়াটা এতই বেশি হয়েছে যে আরিফ ভাই আর হাফিজ ভাই রুমে এসে সাথে সাথেই একদম শটাং হয়ে শুয়ে পড়ছে। হাহাহাহা।। এরপর অনেকক্ষণ আমরা রুমে বসে আড্ডা দিয়েছি। আরিফ ভাইকে বলেছিলাম আজকে থেকে যেতে। কিন্তু ভাইয়ের মা চিন্তা করবে জন্য আরিফ ভাই আর থাকলো না। রুমে বসে আমরা যখন আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন মন-ই চাচ্ছিল না যে আড্ডা শেষ করে ভাইদের বিদায় জানাই।
সম্ভবত সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উনারা বেরিয়ে পড়েছিলেন। রিক্সায় করে ভাইদেরকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত আগিয়ে দিয়ে এসেছিলাম। একটা দিন মাত্র একসাথে ঘুরেছি, একসাথে আড্ডা দিয়েছি গল্প করেছি, খাওয়া-দাওয়া করেছি তাতেই বিদায়ের মুহূর্তে সত্যিই খারাপ লাগছিল। যাইহোক, এরপর ভায়েরা চলে যায় আমিও রুমে ফিরে আসি। হাফিজ ভাই আমার আর আরিফ ভাইকে একটা গিফট ও দিয়েছে। রুমে এসে প্রথমেই গিফট টা খুলেছিলাম।
গিফট বক্সটা আমার দারুন পছন্দ হয়েছে। অনেকগুলো সেন্ট এবং আতর ছিলো বক্সের মধ্যে। সব মিলিয়ে মোট দশ পিস ছিল। তার মানে দশ দিন আলাদা আলাদা সেন্ট আর আতর ইউজ করা যাবে।
যাইহোক অনেক প্রতীক্ষার পর আমাদের দেখা হয়ে গিয়েছে কালকে। এখন চারজনের আবারো দেখা করার ইচ্ছা আছে। শুনেছি ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। দেখা যাক আমাদের দেখা আবার কবে হয়। কালকের দিনটি স্মৃতিতে রয়ে যাবে। অসম্ভব সুন্দর ছিল দিনটি। আজকে পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এই পোস্টটি ও দিনটির স্মৃতি ধরে রাখবে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ্ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সুন্দর মুহূর্ত গুলো সারাজীবন সজীব রাখুক স্মৃতি হয়ে।অনেক ভালো লাগলো একসাথে দেখে তিনজনকে।
ধন্যবাদ দাদা।
আমরা তিনজন যে সময়টুকু একসাথে ছিলাম ওই সময়টুকু কিভাবে যে কেটে গেছে বুঝতেই পারিনি। স্মৃতিতে গেঁথে থাকবে দিনটি।
এই বন্ধন আরও বেশি দঢ় হোক হয়তো আবারও একদিন সবাই মিলে দেখা করবো, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। ভালো থাকুক কাছের মানুষ গুলো, সুস্থ ও সুন্দর ভাবে তাদের নিজ নিজ স্থানে। ভালোবাসা অবিরাম কমরেড।
😍☺️🙏
আপনার জন্যেও ভালোবাসা রইলো ভাই। ইন শাহ্ আল্লাহ ভবিষ্যতে দেখা হবে।
ভাইয়া দুইটা সেন্ট আমারে দিয়েন তো😜।তিনজনের মুখে কেন স্টিকার দিলেন,একটু দেখতাম আমাদের এডমিন ভাইদের কেমন ফাটাফাটি লাগছে😜।যাই হোক বেশ ভালে সময় কাটিয়েছেন তিনজন একসাথে,শুভ ভাই থাকলে আরো ভালো সময় কাটতো।এভাবেই সব সময়ই ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি।নিজের মুখে স্টিকার দিলেন,খাবারের দিকে স্টিকার দিতেন, তাহলে তো আর লোভ লাগতো না😜😜।
এখন তাহলে খিচুড়ি আর দুটো সেন্ট পাওনা থাকলো। ঈদের দিন চলে আসেন। 😆
হ্যা,খালি লিষ্ট করে রাখেন😉😉।ভালো কথা সব রেখে ঈদের দিন কেন,কত দূরে ঈদ😉😉
বাকি আর কিছুই রইল না। সবাই মিলে ঘুরাঘুরি করলেন, আড্ডা দিলেন, খাওয়া-দাওয়া করলেন। অবশেষে গিফটও পেলেন। ভালো লাগলো আপনাদের সবার সাক্ষাৎ হয়েছে জানতে পেরে। তবে খাওয়া বেশি হয়ে যাওয়াতে রুমে গিয়ে শুয়ে পড়েছেন এ বিষয়টি অনেক মজা লাগলো। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য
জি ভাই। অনেক ঘোরাঘুরি করেছি। আমাদের কাছেও অনেক ভালো লেগেছে দিনটি।
ভাই আপনাদের নসিব ভালো আর আমাদের নসিব মন্দ। না হলে আমাদেরও কিন্তু আপনাদের সাথে দেখা করার সৌভাগ্য হত।😥😥
আপনারা অনেকটা সময় একসাথে কাজ করেছেন ।কিন্তু কারও সাথে সামনাসামনি দেখা করতে পারেননি।এই প্রথম দেখা করলেন ৩ জন একসাথে।তবে একজন মিস করে গেলেন আনন্দের মুহূর্ত টা অসুস্থতার জন্য।খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনারা ।তারপরে আবার হাফিজ ভাই এর থেকে সুন্দর একটি গিফট ও পেয়েছেন আপনারা দুইজন এবং বড় ভাই নিজে পরিবেশন করে খাইয়েছেন।সব মিলিয়ে খুব আনন্দে কাটিয়েছেন সময় টা।তবে আরিফ ভাই থাকতে পারলেননা তার মা চিন্তা করবেন বলে।বিদায় জানাতে আপনার খারাপ লেগেছে ।সুন্দর ছিল আপনাদের মুহূর্ত গুলো।ধন্যবাদ ব্লগটি শেয়ার করার জন্য ভাইয়া।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
পোস্ট টি পড়ে দারুন উপভোগ করেছি। আর মনে মনে ভাবছি আমিও যদি থাকতে পারতাম এরকম একটা মিলন মেলায়। বিশেষ করে আমাদের প্রিয় বড় ভাইয়েরা একসাথে হয়েছে। আরিফ ভাই তো চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় গিয়ে আপনাদের সাথে একদম দেখাই করে ফেলল। তবে শুভ ভাইয়ের উপস্থিতিও কামনা করেছিলাম। কিন্তু তার অসুস্থতা নিয়ে এতদূর যাওয়া আসা সত্যিই কষ্টকর ব্যাপার। অনেক ভালো লাগলো আপনাদের তিনজনের সারাদিনের মুহূর্তটি পড়ে। ভার্চুয়ালিও যে সম্পর্কগুলো এত গভীর হয়ে যায় এখানে কাজ না করলে হয়তো জানাই হতো না। ভালোবাসার বন্ধন টিকে থাকুক সারাজীবন।
আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন। ভার্চুয়াল সম্পর্ক গুলো যে এত গভীর হয় সেটা আমিও এখানে না আসলে বুঝতাম না।
দিন টি সত্যিই বহুদিন মনে থাকবে। হাফিজ ভাই সত্যিই অনেক মজার মানুষ, আর ভাই আপনার কথা কি বা বলব আমি সত্যিই ভাগ্যবান আপনার মত এমন বন্ধু পেলাম। জীবনে।
শুভ ভাই থাকলে দিনটি আরো উপভোগ্য হত।
আবার আমরা একসাথে হব একদিন। ইনশাহ্ আল্লাহ্।
ভাইয়া আমি পড়ছিলাম আর আমার মধ্যে ভাল লাগা তৈরি হচ্ছিল।এই প্রথম আপনারা সরাসরি দেখলেন। 😊 আপনাদের মুখ ঢাকা তারপরেও আমি ধারনা থেকে বলছি পিংক কালারের শার্ট হাফিজ ভাই,গেঞ্জি পরা আরিফ ভাই আর আপনি সামনে। ঠিক হয়েছে কি?? 🤔অনেক ভাল লাগলো পড়ে। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
হাহাহা। কালো গেঞ্জিতে আমি 😁
😃
রিলেক্স বেবি তো আপনিই হবেন😜😜
হা হা হা আমি তো সীল মারা সবাই দেখেই চিনে ফেলে।
এভাবে আসলে চেনাটা ঠিক হয়নি।মুখটা দেখালে ছোট এই ঢাকা শহরে কোথাও দেখা হয়ে গেলে বলতাম,হাফিজ ভাই কেমন আছেন। হয়ত সেই দেখার অনুভূতি নিয়ে একটা ব্লগ ও শেয়ার করতে পারতাম। তা তো হলো না আর। 😂এখন পাশাপাশি হেঁটে গেলেও জানব না, এটা হাফিজ ভাই ছিল। 😥
কি ভয়ানক বুদ্ধিরে বাবা, আমিতো আতকে উঠে জ্ঞান হারিয়ে ফেলতাম, হি হি হি।
যাক অবশেষে দেখা হলো সবার। শুভ ভাই অল্পের জন্য মিস করে ফেললো। অনেক দিন ধরেই সবার কাছেই শুনছিলাম এই দিনটার কথা। শেষমেশ যে দিনটা এসেছে এটাই অনেক বড় পাওয়া। আসলে এই মুহুর্ত গুলোর অনুভূতি সত্যিই লিখে প্রকাশ করা যায় না। আমি কিছুটা হলেও এটা বুঝি। ঘোরফেরা, খাওয়া দাওয়া সব একদম জম্পেশ হয়েছে দেখি। গিফটও তো ফাটাফাটি ছিল। সত্যিই ভালো লাগলো ভাই আপনাদের তিন জনকে এক সাথে দেখে। ভালোবাসার এই বন্ধন গুলো এভাবেই অটুট থাকুক সারা জীবন।
একদম ভাই। সময়টা যে কিভাবে কেটে গেছে বুঝতেই পারিনি।
প্রথমে চিনতে একটু কষ্ট হচ্ছিল, তবে আমি ঠিকই ধরেছি। পিংক কালারের শার্টে হাফিজ ভাইয়া, কালো গেঞ্জিতে আপনি, আর সামনের জন আরিফ ভাইয়া। সত্যি দেড় বছর একসাথে কাজ করার পর যখন সামনাসামনি দেখা হয়, সেই মুহূর্তটা কি রকম বুঝতে পারছি। আসলে এখানে আমরা যতজন কাজ করি, কেউ কারো সাথে দেখা না হলেও মনে হয় যেন অনেক দিনের পরিচিত। কন্ঠ শুনলেই বুঝতে পারি কে কোনটা। তবে আপনারা আগে শুধুমাত্র কন্ঠ শুনলেও এখন যে সামনাসামনি দেখা করেছেন বেশ ভালো লাগলো। শুধু শুভ ভাইয়াকে মিস করছি। আর হাফিজ ভাইয়ের দেওয়া গিফট ভীষণ ভালো লেগেছে। খাওয়া-দাওয়া তো একদম জমিয়ে হয়েছে। সব মিলিয়ে দিনটা যেন উপভোগ্য ছিল। নিশ্চয়ই এই দিনটা আপনাদের মাঝে স্মৃতি হয়ে থাকবে।
ঠিক বলেছেন আপু। দিনটি আসলেই স্মৃতি হয়ে থাকবে। এতদিন একসাথে কাজ করা, আর এতদিন পর সামনাসামনি দেখা হওয়া, খুবই আনন্দের ব্যাপার ছিল।