- ব্লাড ডায়মন্ড
হ্যালো বন্ধুরা
কি অবস্থা সবার? রক্ত হীরে নাম শুনেছেন কখনো? আজকে আমি একটা মুভি রিভিউ করতে যাচ্ছি যেটার নাম ব্লাড ডায়মন্ড। কাহিনী অনুযায়ী যথার্থ নাম দেয়া হয়েছে মুভিটির। মানুষের রক্ত দিয়ে কেনা ডায়মন্ড যেটা আমরা খুব আরামসেই পেয়ে যাই। কত কত কাহিনী আর কত রক্ত যে আছে এই হীরে উত্তোলনের পিছনে সেটাই এই মুভিতে ফুটে উঠেছে। তাহলে চলুন শুরু করি।
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রপ্ত পোস্টার
মুভি সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ-
নাম: ব্লাড ডায়মন্ড
পরিচালক: এডওয়ার্ড জিকে
দেশ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,জার্মানি
মুক্তি: ৮ ডিসেম্বর, ২০০৬
ভাষা: ইংরেজি,মেন্ডে,ক্রিও,আফ্রিকান্স
নির্মাণব্যয়: $১০০ মিলিয়ন
আয়: $১৭১.০৪ মিলিয়ন
তথ্যগুলো Wikimedia থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে
কাস্ট-
নং | বাস্তব নাম | চরিত্রে |
---|---|---|
১ | লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও | ড্যানি আর্চার |
২ | জেনিফার কনেলি | সাংবাদিক ম্যাডি বয়েন |
৩ | জিমোঁ উন্সু | সলোমন ভ্যান্ডি |
৪ | কাগিসু কাইপারস | দিয়া ভ্যান্ডি |
প্লট/ স্টোরিলাইনঃ-
এই মুভিটি বাস্তবের সাথে অনেকটাই মিল রয়েছে । কাহিনী হয়তোবা বাস্তব কোনো ঘটনা থেকে নেয়া হয়নি কিন্তু এরকম ঘটনা অহরহ ঘটে যাচ্ছে আমাদের এই দুনিয়াতেই। এ সিনেমাটি ডায়মন্ড চোরাচালানের ঘটনা নিয়ে নির্মিত। আফ্রিকার দেশগুলো খুবই গরীব কিন্তু সেখানে প্রচুর পরিমাণে হীরে পাওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আফ্রিকার দেশগুলোর রাজনৈতিক অবস্থা খুবই ভঙ্গুর। আমি মুভিটির বিষয়েই বলছি। আর এমনটা একসময় বাস্তবেই ছিল। এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যাইহোক আমরা মুভিতে দেখি একটি অঞ্চলে যেখানে বিদ্রোহী দল আফ্রিকার একটি দেশের বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে সেখানকার মানুষদের নির্বিচারে হত্যা করছে। যারা শক্তিশালী তাদের ধরে নিয়ে গিয়ে হীরা উত্তোলনের কাজে লাগিয়ে দিচ্ছে। এই বিদ্রোহী দলগুলো হীরা পাচার করে যে অর্থ পায় সেগুলো দিয়ে অস্ত্র ক্রয় করে। আর তাদের দেশের সরকারের সাথে সব সময় যুদ্ধে লেগেই থাকে।
এরপর আমাদের দেখানো হয় একদিন বিদ্রোহী জনগোষ্ঠী সিয়েরালিওন নামের একটি শহরে হামলা চালায়। সেখানে সলোমন নামের একজন লোক থাকতো তার পরিবারের সাথে। বিদ্রোহী জনগোষ্ঠীর আক্রমণে বহু মানুষ সেদিন মারা যায়। সলোমন তার পরিবারকে নিয়ে পালাতে গিয়ে নিজেই ধরা পড়ে যায়। তখন সলোমনের হাত কেটে দিতে উদ্যত হয় সবাই। তখন বিদ্রোহী জনগোষ্ঠীদের মধ্য থেকে একজন বলে ওঠে একে আমরা কাজে লাগাতে পারব। একে হীরার খনিতে কাজে লাগালে ভালো হবে। এরপর সলোমনের পরিবারকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় আর সলোমনকে হীরার খনি তে নিয়ে গিয়ে কাজে লাগিয়ে দেয়া হয়। সেখানে অনেক কড়াকড়ি নিয়ম ছিল। কেউ যদি হীরে খোঁজার সময় সেটা লুকিয়ে ফেলে তাহলে তাকে সেখানেই মেরে ফেলা হয়। কিন্তু আমরা দেখতে পাই সলোমন যখন হীরে খুঁজছিল তখন সে অনেক বড় সাইজের একটা হীরা পায়, যেটা পিংক কালারের ছিল। এই হীরা গুলো খুবই রেয়ার আর প্রচুর মূল্যবান। সলোমন এটা পাওয়ার সাথে সাথে পায়ের আঙ্গুলের মধ্যে লুকিয়ে ফেলে, আর টয়লেটে যাওয়ার নাম করে সেখান থেকে চলে আসে।
সলোমন যখন ফাঁকে চলে এসেছে ঠিক তখনই সলোমনকে ফলো করে বিদ্রোহীদের মধ্যে একজন চলে এসেছে। সে বুঝতে পেরেছিলো সলোমন কোন কিছু লুকাচ্ছে হয়তো। ঠিক ঐ মুহুর্তে ওইখানে সরকারি দলের সেনাবাহিনীরা চলে আসে আর হামলা করে। সবাই তখন যার যার নিয়ে ব্যস্ত। বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীদের সাথে যুদ্ধ করছে আর এদিকে সবাই এলোমেলো ছুটাছুটি করছে। এই সুযোগে সলোমন মাটির নিচে হীরেটি লুকিয়ে ফেলে। এরপর সেনাবাহিনীরা প্রায় সব বিদ্রোহীদেরকে মেরে ফেলে। এরপর সলোমনকে সেনাবাহিনীরা ধরে নিয়ে যায়।
এখানে আরো একটি চরিত্রের আগমন ঘটে। তার নাম হচ্ছে ড্যানি। এর কাজ হচ্ছে বিদ্রোহীদের কাছ থেকে হীরে কিনে কর্নেলের কাছে বিক্রি করা। আর সেই কর্নেল সারাবিশ্বে সেই হীরে গুলো সাপ্লাই দিত । এই ড্যানি জানতে পারে যে সলোমনের কাছে অনেক দামী একটা হীরে আছে। তাই সে সলোমনকে জেল থেকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করে। সলোমনকে জেল থেকে ছাড়ানোর পর ড্যানি সলোমনকে প্রশ্ন করে তুমি ঐ হীরে কোথায় রেখেছো ? তখন সলোমন কোন উত্তর দেয় না। কিছুক্ষণ পর সে বলে শুধুমাত্র আমার পরিবারকে আমার এখন খুঁজতে হবে। এরপর সলোমন তার পরিবারকে খুঁজতে চলে যায় । আর এদিকে ড্যানির সাথে একটি বাড়ে একটি মেয়ে সাংবাদিকের দেখা হয়। তার সাথে ভালো সম্পর্ক হয়ে যায় কিছুক্ষণ কথা বলতে বলতে। এরপর ড্যানি জানতে পারে ওই মেয়েটি হীরা চোরাচালানকারীদের সম্পর্কেই নিউজ করতে এসেছে।
ড্যানি এখানে একটা বুদ্ধি খাটায়। সে সাংবাদিকের সাথে পরের দিন আবার দেখা করে। দেখা করে ড্যানি সাংবাদিককে বলে আমি তোমার সব তথ্যই দিব শুধুমাত্র তুমি সলোমনের পরিবারকে খুঁজে দিতে সাহায্য করো। যেহেতু তুমি সাংবাদিক, তোমার কাছে অনেক তথ্য থাকে। তাই তুমি এটা করতে পারবে। এরপর সাংবাদিক মেয়েটি রাজি হয়ে যায়। আর সলোমনকে সাহায্য করে তার পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য। এরপর সলোমন তার পরিবারকে খুঁজে পায়। কিন্তু তার ওয়াইফ তাকে বলে আমাদের ছেলেকে তারা অন্যত্র নিয়ে গেছে। তারা হয়তো বিদ্রোহী ট্রেনিং দেওয়াচ্ছে। তখন সলোমনের প্রচন্ড রাগ হয়। কিন্তু কিছুই করার ছিলনা তখন। সলোমন এখন সিদ্ধান্ত নেয় সে তার ছেলেকে খুঁজতে যাবে। কিন্তু ড্যানি বলে আমি তোমার পরিবারকে খুঁজতে সাহায্য করেছি। এই শর্তে তুমি আমাকে ওই লুকোনো হীরাটি দেবে। তুমি তোমার ছেলেকে এখন খুঁজতে যেতে পারো না। কিছুক্ষণ ড্যানি আর সলোমনের মধ্যে গ্যাঞ্জাম হয়। এরপর ড্যানি সিদ্ধান্ত নেয় সলোমনের ছেলেকে আগে খুঁজতে যাবে। আর তার সাথে ড্যানিও সাহায্য করবে।
এরপর তারা দুজন বেরিয়ে পড়ে তার ছেলেকে খুঁজে বের করার জন্য। তারা সলোমনের ছেলেকে একটি বিদ্রোহী ক্যাম্পে খুঁজে পায়। সেখানে তারা দেখে তার ছেলেকে বিদ্রোহীরা ট্রেনিং করিয়ে এমন ভাবেই ব্রেন ওয়াশ করেছে যে সলোমনকে দেখার পর তাদের সাথে যেতেও চাচ্ছিল না। এরই মাঝে ড্যানি সেনাবাহিনীদের ফোন দিয়ে রেখেছিল এই বিদ্রোহী ক্যাম্পের খোঁজ দিয়ে। ঠিক সেই মুহূর্তে সেনাবাহিনীরা ওই ক্যাম্পে আক্রমণ করে। আর এই সুযোগে সলোমন তার ছেলেকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসে। এরপর তারা সেই হীরে লুকানো জায়গাটিতে এসে সেই হীরাটি খুঁজে বের করে। চারিদিকে এত গুলাগুলির ফলে এরই মাঝে ড্যানির গায়ে এসে একটি গুলি লাগে। এরপর তারা দ্রুত সেখান থেকে প্রস্থান করে। তারা নিরাপদ দূরত্বে আসার পর ড্যানি সলোমনকে বলে, তুমি এই হীরেটি নিয়ে চলে যাও। আমি হয়তো আর বাঁচবো না। আমি সব ব্যবস্থা করে রেখে এসেছি। তুমি তোমার পরিবারের সাথে এই হীরেটি নিয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে। সেখানে তোমার জীবন সুখে-শান্তিতে কাটবে। আসলে ড্যানির মনটা খুবই ভালো ছিল। যেহেতু ড্যানি সলোমনকে দেশের বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে রেখেছে তাই এদিকে সলোমনের আর কোন চিন্তা থাকলো না। সলোমন চলে আসার সময় ড্যানি আরো বলে তুমি অবশ্যই সাংবাদিকের সাথে দেখা করবে। (ওইযে আমরা যে সাংবাদিকে একটু আগে দেখেছিলাম ড্যানির সাথে কথা বলতে)। ওই সাংবাদিক তোমাকে সব ধরনের হেল্প করবে।
ড্যানির কাছ থেকে সলোমন যখন বিদায় নিয়ে চলে আসে তখন আমরা দেখতে পাই সলোমন সাংবাদিকের কাছে ফোন করেছে। আসলে সেই সাংবাদিককে ড্যানি মনে মনে পছন্দ করেছিল। ফোন দিয়ে সে সাংবাদিককে বলে আমার মনের কথা তো কখনই বলা হলো না। আমি হয়তো মারা যাবো, তুমি ভালো থেকো। এগুলো শুনে মেয়ে সাংবাদিকটি খুবই কষ্ট পায়। আর এরপর ড্যানি সেখানে মারা যায়। এবার আমরা দেখতে পাই সলোমন দেশের বাইরে চলে গেছে পরিবারের সাথে এবং সাংবাদিক তাকে অনেক সাহায্য করেছে ড্যানির কথা মত। এরপর ওই সাংবাদিক সারা বিশ্বের কাছে আফ্রিকার এই চোরাচালান কারবারীদের সব গোপন তথ্য ফাঁস করে দেয় যেগুলো ড্যানি সাংবাদিককে সব বলে গিয়েছিল আগেই।
এবার তাহলে বুঝুন আফ্রিকার কি অবস্থা। তাদের এত এত সম্পদ রয়েছে অথচ তাদের দেশে কোন শান্তি নেই। এটা বাস্তবেই ওখানকার অবস্থা। তবে পরবর্তীতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। জানাবেন কেমন হলো মুভি রিভিউটি। ধন্যবাদ ।
মুভি ট্রেইলারঃ-
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
মুভি রিভিউ আমার খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। আসলে আফ্রিকা ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ। কিন্তু এখানে যুদ্ধ লেগেই আছে। আসলে যেখানে ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ থাকে সেখানে শান্তি থাকে না। কারণ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সেই ধন-সম্পদ নিজেদের করে পেতে চায় এবং অশান্তি তৈরি করে। তবে শেষের দিকে গিয়ে সলোমন তার পরিবারকে ফিরে পেয়েছে এবং ভালো আছে এটা জেনে ভালই লাগলো। ড্যানির কথা ভেবে একটু খারাপ লাগলো। কারন বেচারি শেষ পর্যন্ত তার জীবন দিয়ে দিল। অনেক সুন্দর মুভি রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
"ব্লাড ডায়মন্ড" এই নামটি দেখার সাথে সাথেই আমি মুভি রিভিউটি পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আসলে মুভির নামের মাঝে অনেক কিছুই নির্ভর করে। যখন আমি সম্পূর্ণ মুভি রিভিউ পড়লাম তখন আমার বারবার মনে হয়েছে এই মুভির নামটি পুরোপুরিভাবে সার্থক হয়েছে। ডায়মন্ড কে কেন্দ্র করে এই মুভিটি তৈরি হয়েছে। আসলে আমরা জানি আফ্রিকা ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ। আসলে এই ধন-সম্পদ তাদের জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অনেক মূল্যবান ধন-সম্পদ থাকার পরেও তারা শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না। কারণ অর্থলোভী মানুষেরা এই ধন সম্পদ পাওয়ার লোভে আফ্রিকান মানুষগুলোকে অনেক বিপদগ্রস্ত করে ফেলেছে। সেই মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশায় সাধারণ জনগণের জীবন বিষিয়ে তুলেছে। মুভির শেষের দিকটায় যেমন সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে ও সলোমন তার পরিবারকে আবারো ফিরে পেয়েছে ও তার ছেলেকে রক্ষা করতে পেরেছে এটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে। এটা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে ড্যানি ও সেই সাংবাদিক মেয়েটির জন্য। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে এই মুভি রিভিউ খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। আশা করছি এই ধরনের মুভি রিভিউ আরো পাবো। অনেক সুন্দর ভাবে মুভি রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। 💗💗💗💗
ব্লাড ডায়ামন্ড সম্পূর্ণ মুভি আমি দেখি নাই তবে ফেসবুকে বেশ কিছু ক্লিপ দেখেছি। যদিও ওইটা দেখে মুভির মাথামুন্ডু কিছুই বুঝছিলাম না। তবে আপনার রিভিউ থেকে মোটামুটি অনেক পরিষ্কার হলাম মুভির মূল প্রেক্ষাপট কী। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি হীরা রয়েছে আফ্রিকায়। অথচ দেখা যায় তারা গোলাম হিসেবে ঐ হীরা শুধুমাত্র উদ্ধার করে কিন্তু মালিকানায় নিতে পারেনা। অনেক সুন্দর রিভিউ করেছেন মুভি টার।
এই মুভিটা খুবই সুন্দর এবং পুরনো একটি মুভি। এই মুভি আমি দুই থেকে তিনবার দেখেছি, এবং বিশেষ করে খুবই ভালো লাগে যে একটি ডায়মন্ড পেয়ে অবশেষে সে অনেক বড় ধনী হয়ে যায়। অনেক কষ্টে ডায়মন্ডেকে যত্নে লুকিয়ে রাখে সে। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মুভি রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
কি ব্যাপার ভাই এত সুপারহিট একটা মুভি আপনি এত দেরিতে দেখলেন। আমার দেখা পছন্দের ছবিগুলোর মধ্যে এটি একটি। হীরার মতো মূল্যবান জিনিসের পেছনে যে মানুষের কত রক্ত আর পরিশ্রম এই ছবিটা না দেখলে জানতে পারতাম না। দারুন একটি রিভিউ লিখেছেন আপনি। খুব ভালো লাগলো।
ব্লাড ডায়মন্ড মুভিটির নাম শুনেই কিরকম যেন অদ্ভুত লাগলো আমার কাছে। তাই আপনার রিভিউটি ভালোভাবে পড়লাম। আসলে রক্তের হীরা এই মুভিটি খুবই সুন্দর ভাবে আপনি রিভিউ করেছেন। আসলেই বাস্তবের সাথে এই মুভিটির গল্প অনেকটাই মিল রয়েছে। আসলে আফ্রিকা অনেক হীরা রয়েছে। তাদের সম্পদ রয়েছে অনেক। এই মূল্যবান সম্পদ থাকা সত্বেও তারা আর্থিকভাবে উন্নতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। তাদের মধ্যে মারামারি যুদ্ধ লেগে আছে। মুভিটিতে আফ্রিকার বাস্তব ঘটনা তুলে ধরেছে। এই মুভিটি রিভিউ পড়ে, মুভিটি দেখার খুব ইচ্ছা জাগল। আপনার রিভিউ আমার খুবই ভালো লেগেছে। তাই আমি মুভিটি দেখে নেব। আসলেই বেশি সম্পদ থাকলেই শান্তি আসে না।পরবর্তীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনেকটাই বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। তবে আফ্রিকা মহাদেশের মূল্যবান সম্পদ থাকা শর্তেও জনগণ তাদের সম্পদ ঠিকভাবে পায় না। এটাই প্রধান সমস্যা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দরভাবে ব্লাড ডায়মন্ড মুভি রিভিউ করেছেন। আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
অসম্ভব সুন্দর একটি মুভি রিভিঊ দিয়েছেন ভাই। মুভি নামটি ও আকর্ষণীয় ছিল। আসলে মুভির সাংবাদিক এর মতন অনেক সাংবাদিক এখনো রয়েছে কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তারা তাদের প্রতিবেদনগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করতে পারছে না। আরেকটি বিষয় ঠিক আমরা উপরে উপরে অনেক সময় মনে করি তাদের অনেক টাকা রয়েছে তারা হয়তো অনেক শান্তিতে রয়েছে কিন্তু আসলেই অনেক সময় বিষয়টা এমন হয় না। এই মুভিতে অনেক বাস্তবতা ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে।
আপনি খুবই সুন্দর ও জনপ্রিয় এমনকি শিক্ষা নিয়ে একটি পুরাতন মুভি রিভিউ আমাদের মাঝে সহজ-সরল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন, সম্পূর্ণ মুভিটি হীরার জন্য রক্তাক্ত প্রান্ এর মতো। মুভিটি আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লেগেছে, আমার দেখা 10 টি মুভির মধ্যে সেরা একটি মুভি।
আশা করি ভাইয়া ভালো আছেন? আজকে আপনার মুভি রিভিউ পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আমি এই মুভিটির নাম অনেকবার শুনেছি কিন্তু দেখার সুযোগ হয়নি। আপনার পোস্টটি পড়ার পর দেখার খুব ইচ্ছে হচ্ছে। এত সুন্দর মুভি রিভিউ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
আপনি অসাধারণ একটি মুভির রিভিউ শেয়ার করেছেন। আসলে যে দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ঠিক নেই সে দেশ উন্নতি করা হয় কঠিন হয়ে পড়ে। আফ্রিকান দেশগুলোতে নিজেদের শক্তি কোন কাজে লাগিয়ে গ্রহণ করত এবং তার বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে কিছু তাহলে তারা হয়তো বা গরিব দেশের তালিকায় থাকতে হয়। আপনার মুভির রিভিউ টি আমার সত্যিই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মুভি আমাদের সাথে সেয়ার জন্য।