স্মৃতিময় কাব্য।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই ? সবাই ভালো আছেন আশা করি। সবাই সবসময় ভালো থাকুন সেটাই চাই। আজকের দিনের আমার কিছু অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজকের ওয়েদার টা ছিল অনেক রোমান্টিক। প্রচুর কুয়াশা ছিল সারাদিন। সেই সাথে আকাশটা ছিল মেঘলা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ও দেখা মিলেছে। সব মিলিয়ে আজ যারা অবসর দিন কাটিয়েছেন তাদের জন্য সারাটা দিন ছিল খুবই উপভোগ্য।

এমন ওয়েদার আমার খুবই পছন্দের। অনেকের কাছে এরকম ওয়েদার ভালো লাগে না। কিন্তু আমার মনটাই ভালো হয়ে যায় যদি বাইরের পরিবেশটা থাকে কুয়াশায় ঢাকা। এমন পরিবেশে আমার সেই সোনালী অতীত গুলোর কথা মনে পড়ে যায়। এই সময়টাই সকল পরীক্ষা শেষ হয়ে যেত। অনেক ছুটি পেতাম। কোন কাজ ছিল না, লেখা পড়ার কোনো প্রেসার ছিল না। শুধুই ঘোরাঘুরি করতাম আর খেলাধূলা করে দিন কাটাইতাম। আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সুন্দর মধুময় স্মৃতি গুলো এই শীতের মেঘলা পরিবেশে আর কুয়াশার চাঁদরে মোড়ানো। যেগুলো এখনও ফিল করতে পারি। অতীব ভালো লাগার মুহূর্ত গুলোর অনুভূতি কখনো ভোলা যায়না। প্রয়োজন শুধু সেই চিরচেনা পরিবেশ, তাতেই মনের আঙিনায় উঁকি দেয় সেই স্নিগ্ধ মুহূর্তগুলোর স্মৃতি।

আজ সকালে আমি একটু দেরী করেই ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ঘুম থেকে উঠার পর ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে আমার যা কাজ ছিল সে কাজগুলো শেষ করে নিয়েছিলাম। কাজগুলো শেষ করে আবার বিছানায় চলে গিয়েছিলাম, কারন ভালোই শীত করছিল বাহিরে। লেপের মধ্যে শুয়ে শুয়ে ইউটিউবে কিছু মুভি রিভিউ দেখলাম আর স্টিমিটে ঘোরাঘুরি করে সময় কাটালাম। এতক্ষণে প্রায় দুপুর একটা বেজে গিয়েছিলো। তখন আমি বাইরে গিয়ে গোসলটা সেরে নিলাম। বাইরে গিয়ে বাইরের পরিবেশটা দেখে আমি পুরাই অবাক। প্রচণ্ড কুয়াশা, আকাশে মেঘ, হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। আমার সেই চিরচেনা আর সেই ভালো লাগার পরিবেশটাই আজ অনেকদিন পর দেখতে পেলাম।

তখন আমি চিন্তা করলাম এরকম পরিবেশে বাড়িতে বসে থাকা যাবে না। কোথাও যেতে হবে, তাহলে ভাল লাগবে। একটু ঘোরাঘুরি করতে ইছে হচ্ছিলো ওই সময়। দ্রুত গোসল করে খাওয়া-দাওয়া করে বাজারের দিকে চলে গেলাম।

Polish_20220123_170920288-02.jpeg

বাজারে গিয়ে প্রথমেই ইচ্ছে ছিল এক কাপ রং চা খাওয়ার। কারণ এই শীতের সময় রং চা খেতে দারুন লাগে। আর বাড়ি থেকে এই বাজারে আসার সময়টায় আমি অনেকটা অন্যমনস্ক ছিলাম। পুরনো সেই স্মৃতি গুলো বার বার মনের আঙিনায় উঁকি দিচ্ছিল। যদিও আমার ভালবাসার পূর্ণতা পেয়েছে তবুও সে দিনগুলোতে বারবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। যাইহোক বাজারে গিয়ে প্রথমে চায়ের দোকানে থেকে এক কাপ রং চা খেলাম।

রং চা খাওয়া শেষ করে আমরা বাজারে যে স্থানে বসে আড্ডা দেই ওই সাইডে চলে গেলাম। এরপর আমরা সবাই চিন্তা করলাম এরকম ওয়েদারে নুডুলস খেতে পারলে মন্দ হতো না। এরপর ভাবা মাত্রই আমরা স্থির করলাম একটা ফ্রেন্ডের বাসায় চলে যাব। যেমনি ভাবা, অমনি কাজ। যাওয়ার সময় দুই প্যাকেট নুডুলস কিনে নিয়ে চলে গেলাম আমার ফ্রেন্ডের বাসায়। যাওয়ার সময় এক জায়গায় একটু দাঁড়িয়ে ছিলাম। দাঁড়িয়ে মাঠের দু'চারটা ছবি তুলে নিলাম। যেটা দেখতে আমার কাছে ভাল লাগে, সেখানে ক্যামেরা চালু না করলে আমার ভাল লাগেনা।

1642936325452-01.jpeg

1642936398605-01.jpeg

দু'চারটা ছবি তুলে এবার সোজা চলে গেলাম আমার ফ্রেন্ডের বাসায়। গিয়ে দেখলাম ও এখনো শুয়ে আছে। ও এখন পর্যন্ত কোথাও যায়নি। তখন কিন্তু ঘড়িতে বাজে প্রায় সন্ধ্যা ৫ টা । তখনই ওকে উঠিয়ে ওর বাড়িতেই নুডুলস রান্নার ব্যবস্থা করলাম। আমি নুডুলস রান্নার কাজে যাইনি। আমি ওর রুমেই শুয়েছিলাম। দুজন গিয়ে কিছুসময়ের মধ্যেই নুডুলস রান্না করে নিয়ে চলে আসলো। খুবই সুস্বাদু হয়েছিল খেতে। নুডুলস নিয়ে এসেছিলাম দুই প্যাকেট। আমরা খেলাম পাঁচজন। যথেষ্ট ছিল, আর ভালই তৃপ্তি সহকারে খেতে পেরেছিলাম।

1642964484272-01.jpeg

এরপর নুডুলস খাওয়া শেষ করে আমরা মনস্থির করলাম আবারো বাজারের দিকে যাব। ততক্ষণে চারিদিকে অন্ধকার নেমে এসেছে। সেই সাথে শীত ও অনেকটাই বেড়ে গেছে। বাইকের উপরে উঠতেই ভয় লাগতেছিল। ওরকমই আস্তে ধীরে বাইক চালাতে চালাতে বাজারের দিকে চলে গেলাম। বাজারে গিয়ে আরেকটি ফ্রেন্ডের সাথে দেখা। এরপর ওর সাথে আমরা সবাই গিয়ে বসলাম আমাদের আড্ডার জায়গায়। কিছু সময় আড্ডা দিলাম সেখানে বসেই।

1642965030703-01.jpeg

আড্ডা দেওয়া শেষ করে আবার বাড়ির দিকে চলে আসলাম। তবে আসার সময় বাইকে কিংবা অটোতে আসিনি। চিন্তা করেছিলাম এবার হেঁটেই বাড়িতে যাব। পুরো পথ হেঁটেই চলে আসলাম অনেকদিন পর। এত পথ হেঁটে আসতে ভালোই লাগলো। আবার ভালোই খাটুনি ও হয়ে গেছে।

যাইহোক, সব মিলিয়ে বিকেলটি ভালোই ছিল। আপনাদের সাথে এমন মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে আমার বেশ ভালোই লাগে। এজন্য বারে বারে আমার কাটানো মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসি। আজ আমি তাহলে বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে আবার আগামী কোন পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 3 years ago 
ওহ দারুণ সময় কাটিয়েছেন দাদা।এইরকম পরিবেশে অনেক মানুষ মানে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে ভালোই লাগে এছাড়া মজার মজার খাবার খেতে ও ভালো লাগে সবাই মিলে।আমি এইরকম দিনগুলোতে মুভি দেখি কারন মুভি দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে।

এমন পরিবেশে আমার সেই সোনালী অতীত গুলোর কথা মনে পড়ে যায়।

কিন্তু আমি যদি অতীতের স্মৃতি স্মরণ করতে যাই তাহলে কুয়াশায় ঢাকা পরিবেশে আমার খুবই একা ও নিঃসঙ্গ বোধ হয়।কেন জানি না সব দুঃখ 😢কষ্টের কথাগুলো মনে পড়ে ,অন্যরকম অনুভূতি। ধন্যবাদ দাদা।নুডুলস খুবই লোভনীয় ছিল😊👌

ভাই আজকের আবহাওয়া টি বাড়িতে বসে উপভোগ করার মতো। অনেক ভালো দিন কাটিয়েছেন ভাই। আপনার পোষ্টটি পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। শুভকামনা আপনার জন্য

 3 years ago 

ভাই, আপনার লিখাটা পরলাম,ভালোই লাগলো।আসলে কুয়াশায় ঢাকা,কিংবা বৃষ্টি আবহাওয়া আমার খুব ভালো লাগে।আগে তো বৃষ্টি হলে আমি জালানার পাশে বসে থাকতাম।আর টং দোকানে চা খাওয়ার মজাই আলাদা, আমরা কাজিনরা মিলে একবার গ্রামের দোকানে গিয়েছিলাম চা খেতে।আর ভাইয়া,আপনার বন্ধুদের নুডলসটা মনে হয় মজা হয়েছে।

 3 years ago 

বেশ কেটেছে বিকেলবেলা
শীতের চাদরে
প্রফুল্ল হয়েছিলে
চায়ের আদরে

বন্ধুর বাসায় নুডুলস খেতে
লাগলো ভীষণ ভালো
তখন কিন্তু আকাশটা
দেখতে ছিল কালো

সব মিলিয়ে বিকেলটা
কাটলো ফাটাফাটি
এই সুযোগেই দেখে এলে
অতীত পরিপাটি♥♥

 3 years ago 
  • আসলে ভাইয়া এরকম পরিবেশেই ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগে না। আপনি খুবই সুন্দর একটি কাজ করেছেন। সুন্দর পরিবেশের মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়েছেন। খুবই ভালো লাগলো তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে এরকম পরিবেশের মধ্যে বাইরে বেশি সময় না থাকাটাই ভালো কারণ এখন সব সময় তাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ আমাদের সবারই অসুস্থতা পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। যাই হোক তারপরে আপনি আপনার ফ্রেন্ডের বাসায় আসলেন। আপনার ফ্রেন্ড এখনো ঘুম থেকে ওঠেনি।যাইহোক আপনার যাওয়ার পর এসে ঘুম থেকে উঠল এবং লুডুস রান্নাটা আমার খুবই ভালো লেগেছে, কারণ আমরা বন্ধুরা যখন এক জায়গায় হই তখন আমরাও লুডুস রান্না করি। তবে আপনাদের নুডুলস রেসিপিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি অনেক মজার সময় পার করলেন খুবই ভালো লাগলো। আপনাদের সবার জন্য রইলো শুভকামনা।
 3 years ago 

EZrGNWcrMDNczaEXa66AEJHcKH7nrfa7r2fnEEb26owGbKmVZzVNY38ZTpQGcSKBRTWKQQ1NYenwo9LEQ2PvU7bfyvF5uQyBcpg9GAJ2va...2w7ep3LhhQa9kvWQkCLWjKffNejcyyHjp9ScganhREzkD3tjt9Po5p3UVrueKo7yazdVpNDXMDDSuBxwSR2of5d3Hw7x1SEccV31Hi7jLan7SSYxXeu1BPFSh4.png

এই রকম পরিবেশ আমারও অনেক ভালো লাগে। গতকাল বিকালের দিকে গ্রাম আসছি হুট করেই। গ্রামীণ পরিবেশে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি খুবই ভালো লাগে।

অতীব ভালো লাগার মুহূর্ত গুলোর অনুভূতি কখনো ভোলা যায়না। প্রয়োজন শুধু সেই চিরচেনা পরিবেশ,

এই কথাটার সাথে আমি ১০০% সহমত পোষণ করছি। স্মৃতিগুলোকে জাগ্রত করে এই চিরচেনা পরিবেশ। যা গতকাল গ্রামে আসার পর টের পাচ্ছি।
আমার লেখা পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। আপনার লেখার কোয়ালিটি সব সময় সুন্দর হয়। লেখা পড়ার পর একটা সুন্দর থিম খুঁজে পাওয়া যায়। ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। 💞

EZrGNWcrMDNczaEXa66AEJHcKH7nrfa7r2fnEEb26owGbKmVZzVNY38ZTpQGcSKBRTWKQQ1NYenwo9LEQ2PvU7bfyvF5uQyBcpg9GAJ2va...2w7ep3LhhQa9kvWQkCLWjKffNejcyyHjp9ScganhREzkD3tjt9Po5p3UVrueKo7yazdVpNDXMDDSuBxwSR2of5d3Hw7x1SEccV31Hi7jLan7SSYxXeu1BPFSh4.png

 3 years ago 

ভাইয়া আমার কাছে ও খুব ভালো লাগে কুয়াশায় চারিদিকে। পুরনো সৃতি গুলো মনে পড়ে যায় ইচ্ছে করে খুব আবার ফিরে যায় সেই হারিয়ে ফেলা দিন গুলোতে।
ভাইয়া আপনি বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। তবে ভাইয়া আজকেও নুডলস বন্ধুদের সাথে খেয়েছেন, ভাবির জন্য নিয়ে যাননি ভাবি আসলে সব বলে দিবো।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মূহুর্ত গুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আপনার জন্য অনেক দুআ ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া ছোট বোনের পক্ষ্য থেকে।

 3 years ago 

হেঁটে আসার ঘোর বিরোধীতা করি আমি।হেঁটে আসতে বললেই আমার অসম্ভব সমস্যা হয়ে যায়।
তবে এই অভ্যাস ভালো।তবে এই নুডলস গুলো আমার খুব একটা পছন্দের না।

 3 years ago 

সময় টি সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করেছেন পুরোন স্মৃতি কে স্মরন করে। আমারও আপনার মত এমন ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে তবে কখনই আমার এই রোদ বিহীন দিন ভাল লাগে না। তবে আমি কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য উঠার দৃশ্য কে বেশী অনুভব করি এই শীতে । যাই হোক রং চায়ের সাথে ভালই কেটেছে সময় । ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

এইরকম ওয়েদার আমারো অনেক ভালো লাগে। আজকের আবহাওয়া টাও এমন মনে হচ্ছে। আসলে এই রকম ওয়েদার অনেক মিস্ করি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 67443.33
ETH 3253.95
USDT 1.00
SBD 2.66