অভিশপ্ত যানজট!!
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজ আমি একটা বিষয়ে আলোচনা করব যেটা নিয়ে সবাই কখনো না কখনো বিরক্ত হয়েছেন। আমাদের জীবন চলার পথে হাজারো রকমের বাধা আসে। প্রত্যেকটা বাধা আমাদেরকে পার করতে হয় নিজ প্রচেষ্টায়। বাধা বিপত্তি এগুলো জীবনেরই অংশ। কিন্তু চূড়ান্ত অব্যবস্থাপনার ফলে সৃষ্ট কৃত্রিম বাধা বিঘ্নতা জীবন চলার ফ্লোকে চরমভাবে ব্যাহত করে।
আমি যানজটের কথা বলছি। ঢাকা শহরে ট্রাফিক জ্যাম একটি কমন বিষয়। এটা কমন হয়ে গেছে যখন লোকে ভেবেছে এর কোন সমাধান নেই। সমাধান অবশ্যই আছে কিন্তু দিন দিন পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে যাচ্ছে। এ সমস্যার সমাধান কখন হবে?? পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে?? প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষের কোটি কোটি ঘন্টা বিফলে যাচ্ছে এই ট্রাফিক জ্যামের কারণে। এই সময়গুলো যদি আমরা কোন না কোন ভাবে কাজে লাগাতে পারতাম তবে দেশ আরো ২০ পার্সেন্ট এগিয়ে থাকতো।
এ ক্ষতির জন্য ব্যবস্থাপনাকেই আমি দোষারোপ করব। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট গুলোর কি বাজে অবস্থা দেখেছেন?? যা সমর্থ্য আছে প্রাইভেট কোন যানবাহন ক্রয় করার সে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে কখনোই চাইবে না। সরকারের উচিত পাবলিক ট্রান্সপোর্ট গুলোর কোয়ালিটি এবং ফ্রিকুয়েন্সি বৃদ্ধি করা। একটি বাসে ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী চড়তে পারে। আর এই পঞ্চাশ জনের যদি প্রাইভেট কার থাকে তাহলে রাস্তার কতটুকু জায়গা দখল করে নেবে ভেবে দেখেন৷ আমাদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও রয়েছে সেই পুরনো আমলের সিস্টেমগুলি। ট্রাফিক সেন্সর এবং ক্যামেরার মত প্রযুক্তি গুলো ব্যবহার করে ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। ট্রাফিক জ্যামে অপেক্ষার সময় কমাতে ট্রাফিক সিগন্যাল অপটিমাইজ করতে হবে।
ঢাকা শহরে এখনো প্রচুর রাস্তা আছে যেগুলো খুবই সরু, ভাঙাচোরা, পানি জমে থাকে আর সেখানে চলাচল করতে প্রচুর অসুবিধা হয়। এমন রাস্তাগুলো অবশ্যই মেরামত করা উচিত, আর সেই সাথে এই সকল রাস্তাতেও ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেম আনা উচিত। এই সকল সরু রাস্তা গুলির ট্রাফিক প্রভাব সরাসরি বড় রাস্তা গুলোতে পড়ে। সেই সাথে বেপরোয়া ড্রাইভিং, ওভারলোডিং, যানজট সৃষ্টিকারী অন্যান্য অভ্যাস গুলি কমাতে ট্রাফিক নিয়মের প্রয়োগ শক্তিশালী করতে হবে।
আরো একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে যদি আমরা সচেতন হই। আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি ইঞ্জিন চালিত যানবাহনে চলাফেরা করতে করতে। আমরা যদি পায়ে হাঁটায় অভ্যাস করি অথবা অ-ইঞ্জিন চালিত পরিবহন ব্যবহার করি তবে একটা বিশাল পরিবর্তন দেখা যাবে। আমি নিজেও একটি সাইকেল কিনবো কিনা ভাবতেছি। একটি সুন্দর স্টাইলিশ সাইকেলের নাম জানলে কমেন্ট বক্সে আপনারা সাজেস্ট কোরিয়েন।
আপনারা পথ চলতে খেয়াল করবেন কোন একটা রোডের পাশে এক সাইড ব্লক করে রেখেছে পার্কিং করা যানবাহন গুলি। এটা কোন ধরনের নিয়মের মধ্যে পড়ে আমার মাথায় ঢুকে না। এখানে আইন প্রয়োগ করা কেন হয় না সেটাও আমি বুঝিনা। কিছু কিছু রাস্তায় চলাফেরা করার সময় আমি খেয়াল করি যানজট বেধে আছে কিন্তু রাস্তার পাশে ব্লক হওয়া পার্কিং এরিয়াটুকু দিয়েও যদি গাড়ি চলাচল করতো তাহলে এই যানজটটা অনেকাংশে কমে আসতো। লেখা আছে এখানে পার্কিং নিষেধ কিন্তু সেখানে সারিসারি গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলের পাশে এগুলো বেশি দেখা যায়। প্রাঙ্গণে শৃংখলার অভাব আর মূর্খতার ছড়াছড়ি ।
কোথায় যাবেন আপনি বলুন। আমি উপরে যেগুলো লিখলাম এগুলোর যদি বাস্তবিক অর্থেই প্রতিফলন ঘটানো যেত তাহলে পরিবর্তনটা খুব দ্রুতই চলে আসতো। দিনদিন আমরা সবাই রোবট হয়ে যাচ্ছি, মানিয়ে নিতে শিখে যাচ্ছি। কিন্তু এ মানিয়ে নিতে শেখাটা অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে একসময়। যাই হোক আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আপনাদের মতামত জানাতে কিন্তু ভুলবেন না। আল্লাহ্ হাফেজ।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
ভাইয়া ভাল আছেন আশাকরি। আপনি একদম ঠিক বলেছেন জ্যাম এর কারনে আমরা সবকিছু থেকে পেছনে পরে আছি।যতটা এগোবো এই জ্যাম তার সবকিছু নষ্ট করে দিয়েছে। স্কুলে গেলে এখন বেশ বিরক্ত লাগে, এই পাকিং করে রাখা গাড়িগুলো দেখলে। রাস্তা পুরো ব্লক করে রাখে মানুষ হাঁটাচলাও করতে পারে না। বেশ কিছু পথ হেঁটে তবেই রিকশা নিতে হয়। তার উপর আবার এসে জ্যাম। আমরা সত্যি ই সবকিছু মানিয়ে নিতে শিখে যাচ্ছি।সুন্দর আর গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঢাকা শহর মানেই জ্যামের শহর। আসলে মাঝে মাঝে জ্যামে আটকা পড়লে জীবনটা অভিশপ্ত মনে হয়। সত্যি কথা বলতে আমরা হয়তো ধীরে ধীরে মানিয়ে নেওয়া শিখে গিয়েছি। তাই তো সবকিছুই আমাদের কন্ট্রোলের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই পদক্ষেপ গুলো যদি আগে থেকেই নেওয়া হতো তাহলে হয়তো এতগুলো মানুষের ভোগান্তি হতো না। এমনকি সময় বেঁচে যেত।
আশা করি ভাইয়া ভালো আছেন? আসলে আমাদের দেশে যানজট এখন খুবই সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা শহরে এখন প্রতি নিয়ত প্রচুর যানজট সৃষ্টি হয়। যা কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কোন শেষ নেই। এতে করে কাজের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। জ্যামের মধ্যে আটকে থাকার কি যে কষ্ট তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আমি কয়দিন আগে ফার্মগেট থেকে শাহবাগ এলাকা যেতে তিন ঘন্টা লেগেছে। যা সর্বোচ্চ ১০ মিনিটের পথ। ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভাইয়া।
ভাই যদিও এখনো ঢাকা যায় নি ৷ তবে ঢাকা যে জ্যাম এর শহর তা ভালোই জানি ৷ যা হোক এখানে কারো কিছু করার নেই৷ আমি মনে করি সর্বোপরি জনসংখ্যা অনেক বেশি ঢাকা শহরে ৷ আর ঢাকা তো সমস্ত বাংলাদেশের প্রান কেন্দ্র ৷
ঢাকা শহরে জ্যামে পড়লে বুঝা যায় জীবন কতটা বেদনার বিষয়! ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে বসা থাকা লাগে। ত্রিশ মিনিটের রাস্তা, যেতে লেগে যায় দুই ঘন্টা! বিশেষ রে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এতো বেশি পরিমানে হয়ে গেছে, রাস্তা ওসবই দখল করে নেই! আর প্রাইভেট কার তো জনে জনে। রিকশা দিয়েও এখন চলাচল করা মুশকিল! রিকশার সংখ্যাও বেড়ে গেছে! সাইকেল দিয়ে চিপাচাপা দিয়ে চলে যেতে পারবেন যদি স্বল্প দূরত্বের রাস্তা হয় 😁। ফনিক্স এর মধ্যে গ্যারের সাইকেলগুলা কিনতে পারেন