ভাটার আগুনের চা।

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। যে পরিমাণ শীত পড়তেছে ইদানিং তাতে ঘর থেকে বের হওয়াটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই বলে সব সময় তো আর ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগে না। সেদিন বিকেলবেলা বাজারে গেলাম, কিন্তু বাজারে বসে থাকতে ভালো লাগছিল না। হঠাৎ মাথায় এলো এই কঠিন শীতের মধ্যে যদি ভাটার আগুনে আগুন পোহাতে যাই তবে মন্দ হয় না।

৫-৬ জন মিলে চলে গেলাম ভাটার উপর। দুটো ভাটা আছে, সবচেয়ে বড়টায় গেলাম আমরা। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। উপরে ওঠা মাত্রই উষ্ণতার ছোঁয়া পেলাম। সেদিন শীত অনেক বেশি ছিল আর সাথে প্রচন্ড বাতাস ছিল যার কারণে শীতের প্রভাব ছিল ব্যপক। বাতাসে এক মুহূর্তও দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছিল না। অবশেষে আমরা যখন উপরে উঠলাম তখন বেশ আরাম পাচ্ছিলাম।

1705321299596-01.jpeg

1705321318499-01.jpeg

ওখানে যারা কাজ করছিল তাদের সাথে গল্পে গল্পে অনেকটা সময় পার করে ফেললাম। তাদের কাছ থেকে ভাটার ব্যাপারে অনেক নতুন নতুন ইনফরমেশন জানতে পারলাম। হঠাৎ উনারা আমাদেরকে চা খেতে অফার করলো। শুনলাম ওনারা নাকি এখানেই ভাত রান্না করে। একটা ইট উঠিয়ে সেখানে পাতিল বসিয়ে রান্না করে। যাইহোক আমরাও খুব আগ্রহের সাথে চা খাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলাম। ভাটার আগুনের চা - নতুন এক্সপেরিয়েন্স।

1705321353308-01.jpeg

1705321381669-01.jpeg

1705321428818-01.jpeg

কেতলিতে পানি দিয়ে দু একটা ইট উঠিয়ে সেখানে কেতলিটা রেখে দিল। বেশি সময় লাগলো না পানি হিট হতে। পানি হিট হওয়ার পর ওখানকার এক ভাই আমাদেরকে চা বানিয়ে দিলেন নিজে হাতে। ওই সময় প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস বইছিলো সেখানে। চায়ের প্রথম চুমুক ছিল ঠিকঠাক, কিন্তু শেষের চুমুক ছিল হালকা গরম পানির মত। মনে হয় এক মিনিটও লাগেনি, পানি ঠান্ডা হয়ে গেছে।

1705321399802-01.jpeg

1705321412091-01.jpeg

ইটের ভাটার উপর দাঁড়িয়ে চা খাওয়ার এক্সপেরিয়েন্স এটাই ফার্স্ট টাইম। ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে আর আমি ব্যাপারটা এনজয়ও করেছি। চা খাওয়া শেষ করে আরো অনেকক্ষণ সেখানেই ছিলাম আমরা। যখন চলে আসার সময় হল তখন ভাবছিলাম নিচে গেলে কি অবস্থা হবে। সত্য সত্যই ওইখান থেকে যখন নিচে নামলাম তখন মনে হচ্ছিল বরফ পড়তেছে। তার উপর আবার বাইক চালিয়ে আসতে হলো আমাদের।

1705321452376-01.jpeg

অসাধারণ একটি বিকেল সন্ধ্যা কাটলো আমাদের। যাইহোক যে পরিমাণ শীত পড়তেছে সবার উদ্দেশ্যেই বলবো সবাই খুবই সাবধানে থাকবেন। এরকম ওয়েদার আরো কিছুদিন হয়তো থাকবে। সবাই সাবধানে থাকবেন, নিজের পরিবারের যত্ন নিবেন। ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

20230619_2107145.gif

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 7 months ago 

আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া ইটের ভাটার চা কখনো খাওয়া হয়নি। তবে কখনো নিজেদের কেউ খেয়েছে বলে ও আমার জানা নেই। তবে আপনার পোস্ট পড়ে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। তবে শেষেরটা যদিও গরম পানির মতো ছিল হা হা হা। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 7 months ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।

 7 months ago 

ভাটার আগুনের চা - নতুন এক্সপেরিয়েন্স ভাইয়া। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে নতুন একটি আইডিয়া পেলাম। ভাটার আগুন এর শিখা দেখতে দেখছি লাল হয়ে গিয়েছে। শীতের দিন আশাকরি যারা ভাটায় কাজ করে তাদের মনে হয় শীত কম লাগে। বিকেলের সন্ধ্যা অনেক সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন। ভালো লাগলো আপনার ভিন্ন রকম পোস্ট পড়ে। শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

হ্যাঁ এই কনকনে শীতে ওই জায়গাটা বেশ আরামদায়ক৷

 7 months ago 

আহ্ ভাই ইটের ভাটার আগুনের চা খেতে কতই না সুন্দর হবে ভাবতেই তো লোভ পাচ্ছে। বিকেলটা বেশ দারুন কাটিয়েছেন। নতুন একটা এক্সপেরিয়েন্স আমাদের সাথে সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

এই এক্সপেরিয়েন্স নিতে চাইলে আজকে চলে আসো।

 7 months ago 

আজকেই তো ঢাকায় চলে যাচ্ছি ভাই আবার পরের বার এসে খাবো ইটের ভাটার রং চা।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

ইটের ভাটারে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিক্রম করেছে। এটা কি আপনাদের এলাকায়? ইটের ভাটাযরে গিয়ে চা খেয়ে এসেছেন। আপনাদের ৫/৬ জনকে চা খাওয়ালো? বাপরে বাপ। 😅🤣🤣আর বাইকে তো শীত আরো বেশি লেগেছে।

 7 months ago 

হ্যাঁ আপু আমাদের এলাকার পাশেই। উনারা অনেক মিশুক ছিল। নিজেরাই চা খেতে অফার করেছিল।

 7 months ago 

শীতের প্রকোপ অনেক বেশি ৷ আর এই সময় জ্বলন্ত ইটের ভাটায় সময় কাটানো আসলে ভীষণ আরামদায়ক ব্যাপার ৷ আমাদের এদিকেও অনেক ইটের ভাটা আছে , খুব কাছেই ৷ তবে সেখানে গিয়ে এভাবে কখনো সময় কাটানো হয়নি ৷ আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে আমারও এখন চলে যেতে ইচ্ছে করছে ইটের ভাটায় ৷ ভাটার জ্বলন্ত আগুনে চা বানিয়ে খাওয়ার বিষয়টা ভীষণ ভালো লাগলো ৷ খুবই সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন ৷ অনেক ভালো আপনার এই সুন্দর অনুভূতি গুলো ৷ ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই।

 7 months ago 

বাহ্! ভাটার আগুনের চা খেয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন ভাই। এই প্রচন্ড শীতে ভাটার উপর সময় কাটাতে দারুণ লাগবেই। ইট ভাটায় যারা কাজ করে তারা মোটামুটি আরামে থাকতে পারে শীতকালে। কিন্তু গরমের সময় তো তাদের অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যায়। প্রচন্ড গরমে তাদের জীবন একেবারে দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। যাইহোক বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনারা। পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো ভাই। এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

গরমের সময় তো ভাটা চলে না। ভাটা শুধুমাত্র শীতের সময়েই চালানো হয় সব জায়গাতেই।

 7 months ago 

বলেন কি ভাই, গত বছর রমজান মাসের শেষের দিকে অর্থাৎ এপ্রিল মাসে, আমি নিজে ইটের ভাটায় গিয়ে ইট কিনে নিয়ে আসলাম। প্রচন্ড গরম ছিলো তখন।

 7 months ago 

ইট সারা সিজন বিক্রি করে কিন্তু পুরায় শুধুমাত্র শীতের সময়।

অন্য সিজনে ইট পুরানো যায় না। কারণ হঠাৎ কখনো বৃষ্টি হলে বিশাল অসুবিধা হয়ে যায়।

 7 months ago 

বিষয়টা কেমন একটু অদ্ভুত লাগছে আমার কাছে, যদিও আমি কখনো এই পরিবেশে এইভাবে যাই নাই, কারন ছোট বেলায় আমাদের এক রকম ভয় দেখানো হয়েছিলো, ডাকাতরা মানুষ ধরে নিয়ে ইটের ভাটার আগুনে ফেলে দিতো। যদিও সেই অতীত এখন আর নেই, কিন্তু সেই ভয়টা ঠিকই রয়েগেছে।

 7 months ago 

হাহাহা। আমি অবশ্য এমনটা শুনিনি কখনো।
তবে এই কনকনে শীতে ভাটার উপরে কিন্তু দারুণ একটা পরিবেশ লাগে। ওইখানে দাঁড়িয়ে চা খাওয়ার মজাই আলাদা।

 7 months ago 

সত্যিই ব্যাপরাটা আমার কাছেও আশ্চর্য লাগছে। ভাটার মধ্যে এভাবে চা বানিয়ে খাওয়া যায়। আমি তো চিন্তা করতেছি যদি ইটের ফাঁক দিয়ে কোন কিছু পড়ে যায় তাহলে অবস্থা কি হবে। যাক লোক গুলোর সাহস আছে বলতে হবে। তবে এই শীতে সেখানে দাড়িয়ে চা খেতে পারাটা সত্যিই আনন্দের। ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 61098.19
ETH 2625.94
USDT 1.00
SBD 2.63