নীল নেচার।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। সুস্থতা সৃষ্টিকর্তার দেওয়া অনেক বড় একটি নিয়ামত। আমরা যখন অসুস্থ থাকি তখন বুঝতে পারি সুস্থতার মর্ম। আসলে সুস্থতাই সকল সুখের মূল। শরীর সুস্থ থাকলে সব কিছুর মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়। আর শরীর ভালো না থাকলে যতই বিনোদনের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করা হোক না কেন বিনোদিত হওয়া সম্ভব হয় না। এই গরমের মধ্যে নিজের প্রতি সবসময় খেয়াল রাখবেন, আর পরিবারের অন্য সদস্যদের উপরেও যত্নশীল হবেন। ইদানীং অনেকই অসুস্থ হচ্ছে। তাই এই পোস্টের শুরুতেই একটুখানি সতর্কবার্তা।
যাই হোক মূল কথায় আসি। পৃথিবীতে আমরা কোটি কোটি মানুষ। একেক জনের চাহিদা, পছন্দ একেক রকম। প্রত্যেকের পছন্দের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। কেউ গ্রাম পছন্দ করে, কেউবা শহর পছন্দ করে। কেউ চায় গ্রামের বিশুদ্ধ প্রকৃতির মাঝে হারাতে, আবার কেউ চায় শহরের লাক্সারিয়াস লাইফ। আমার ভাই শহর একেবারেই পছন্দ না। দায় ঠেকে থাকতে হয়। আমার লাক্সারিয়াস লাইফ লিড করার জন্য ইচ্ছেও জাগে না। আমার গ্রাম ভালো লাগে। গ্রামে বড় হয়েছি, কিন্তু একটুও বিরক্তি আসেনি। আর কখনো আসবে বলেও আমার মনে হয় না।
শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে থাকতে হয় শহরে। কিন্তু কোন ছুটিতে বাড়ি যেতে পারলে সারা গ্রামে এত ঘুরাঘুরি করি যেন মনে হয় গ্রামে নতুন এসেছি। এইতো দু'চারদিন আগে বেড়িয়েছিলাম বাইরে কোথাও ঘুরবো বলে। কিন্তু দুপুর বেলায় সূর্য ছিলো মাথার উপর। সূ্র্যের আলো আর ভূমির মাঝে কোন বাধা নেই। তীর্যকভাবে সূর্যের উত্তপ্ত রশ্মিগুলো পতিত হচ্ছে ভূমিতে। এই পরিবেশে বাইরে ঘুরাফেরা করার চাইতে নদীর ধরের বাগানে গিয়ে বসা শ্রেয়। জায়গাটা দারুন। ওই বাগানে আবার একটা দোকান ও হয়েছে দেখলাম।
দুপুর বেলায় নদীর ধারে প্রচন্ড বাতাস ছিলো। আকাশ একদম পরিষ্কার। নীল আকাশের কারনে নদীর পানি নীল বর্নের লাগছিলো। আর নদীর পাড়ে কৃষকরা পাট শুকাতে দিয়েছে। নদী থেকে বয়ে আসা বাতাসে পাট এর গন্ধ। একদম পিওর গ্রামীণ পরিবেশ।
এই নদীর পাড়ে বিভিন্ন রকমের শ্রমজীবীদের বসবাস। কৃষক, জেলে, তাঁতি, মাঝি ইত্যাদি। সকালে নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত সারাক্ষণ। এই সময়টাতে নদীর ধারে সবচে বেশি চোখে পড়ে পাট শুকনোর দৃশ্য। নদীর কোল ঘেষা জমি গুলোতে প্রচুর পাট চাষ করা হয়। কারন পাট জাগ দেয়ার জন্য নদীর পানিই সেরা। কোন জলাধার বা পুকুরে জাগ দিলে পাটের কালার তেমন একটা ভালো আসে না। কিন্তু নদীর বহমান সচ্ছ পনিতে পাটের রং অনেক সুন্দর আসে। সোনালী কালার একদম। আর পাটের কালার ভালো হলে দাম ও ভালো পাওয়া যায়।
যাইহোক, আমরা ওখানে অনেক্ষণ অবস্থান করেছিলাম। আসলে আপনারা ছবিতে যে দৃশ্য দেখছেন এটা কিন্তু এই সময়ের অপরিচিত একটি দৃশ্য। এখন তো বর্ষাকাল, নদী এই সময়ে তার ভরা যৌবন ফিরে পায়। কিন্তু এবার বৃষ্টির দেখা পাওয়াই যাচ্ছে না। নদীর পানি তলানিতে। গতবছর এই সময়েও এই নদীর পানি ছিলো প্রায় রাস্তার উচ্চতার সমান। আর এবারের পরিবেশ তো দেখতেই পাচ্ছেন। আচ্ছা যাইহোক, ফটো গুলো কেমন লাগলো জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে আবার নতুন কোন পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
লোকেশনঃ- Padma River
ডিভাইসঃ- Xiaomi Redmi note 9 pro max
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
ওয়াও প্রাকৃতিক অসাধারণ ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। চোখ ও মন দুটোই জুড়িয়ে গেল ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।যাকে বলা যায় মনোমুগ্ধকর। ফটোগ্রাফির সাথে খুব সুন্দর বর্ণনাও শেয়ার করেছেন। ভালো লাগলো পুরো পোস্টটি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন এবং অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
বর্ষাকালকে বর্ষাকাল এর মতোন একেবারেই মনে হচ্ছে।এক্কেবারেই বাজে অবস্থা। এতো গরম আর নেওয়া যায়না।একটু গ্রামে যেতে পারলে স্বস্থি পেতাম।
আসলে ভাইয়া শিক্ষার বা কর্মের জন্য আমরা গ্রাম ছেড়ে শহরে গিয়ে থাকি, কিন্তু গ্রামের যখন আসি তখন গ্রামের সৌন্দর্যময় পরিবেশ দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগে। গ্রামের এই প্রকৃতির সৌন্দর্য দৃশ্য গুলো মুগ্ধ করে তোলে। আপনারা দুপুরবেলা নদীর পাড়ে গিয়েছিলেন নদীর পাড়ে প্রচন্ড বাতাস ছিল। খুবই সুন্দর সময় পার করেছেন এবং নীল আকাশের অপরূপ সৌন্দর্য ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগলো।
আমারও গ্রাম খুব পছন্দ। গ্রামের সবুজ শ্যামল প্রকৃতির মাঝে থাকলে খুবই ভালো লাগে। আজকে আপনার মাধ্যমে গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যের কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বিশেষ করে নদীতে নৌকার ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া এত সুন্দর সুন্দর কিছু গ্রাম বাংলার ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আমার জানামতে আপনি একজন ভ্রমণ প্রেয়সী মানুষ ।কারণ আপনার পোস্টগুলো দেখলেই বোঝা যায় আপনি ভ্রমণ করতে কতটা ভালোবাসেন। নদীর পাড়ে নীল আকাশের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি মুগ্ধ হলাম। আপনি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি প্রায় আমাদের মাঝে শেয়ার করে থাকেন ।এইবার তার ব্যতিক্রম হয়নি ।।ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
বর্তমানে আকাশের সৌন্দর্যতা খুবই সুন্দর থাকে। যেগুলো প্রকৃতির রূপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। সত্যিই এই ধরনের দৃশ্য উপভোগ করতে খুবই ভালো লাগে। আপনার কাটানো মুহূর্তের দৃশ্যগুলো অসাধারণ ছিল ভাইয়া।
এত সুন্দর মেঘের দৃশ্য দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যিই অসাধারণ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সুস্থতা সবথেকে বড় নিয়ামত ভাই।
গত কয়েকদিন অসুস্থ হয়ে বেশ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি।
আবহাওয়া সত্যিই খুব খারাপ, অনেকেই অসুস্থ আমার আশেপাশে, যাক উপর ওয়ালা সবাইকে সুস্থতা দান করুন।
গ্রাম মানে নির্মল পরিবেশ আর মন মাতানো সৌন্দর্য। গ্রাম আমারও ভালো লাগে কিন্তু বাধ্য হয়ে শহরে থাকতে হয়।
নদী আর নীল আকাশের ছবিগুলো সত্যিই অসাধারণ হয়েছে।
গ্রামের মাটির মিষ্টি গন্ধ প্রাণ ভরিয়ে তোলে। আমি গ্রামে থাকার খুব একটা সুযোগ পাইনি। তবে যখন গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছি সেই কয়টা দিন খুবই আনন্দ করেছি। বর্তমানে বর্ষাকাল হলেও প্রকৃতির ভিন্ন রূপ দেখা যাচ্ছে। তবে যাই হোক প্রকৃতি সবসময় সুন্দর। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
ভাইয়া আমিও গ্রামেই বড় হয়েছি, আমার কাছেও শহর ভালো লাগেনি পরিশেষে গ্রামেই ফিরে এসেছি। আমার কাছে মনে হয় যারা গ্রামে বড় হয়েছে তারা কখনো সখ করেও শহরে থাকতে চাইবে না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার ফটগ্রাফি গুলোও বেশ চমৎকার হয়েছে।