দাদাদের সাথে সাক্ষাতের অনুভূতি।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন আপনারা সবাই?
আশা করি আল্লাহ্ তাআলার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন। গত দুদিন যাবত বৃষ্টির কারণে পরিবেশটা একটু ঠান্ডা লাগছে। তার আগে বেশ গরম ছিল ঢাকা শহরে। ২৫ তারিখে আমরা ঢাকা থেকে কলকাতা গিয়ে ফিল করেছিলাম যে ঢাকা থেকে কলকাতায় গরম বেশি। তবে স্বস্তির কারণ ছিল রাস্তায় জ্যাম না থাকা। ঢাকা শহরে যেটা কল্পনাও করা যায় না।

২৫ তারিখে আমরা ঢাকা থেকে কলকাতা গিয়েছি আর ২৫ তারিখেই দাদাদের সাথে আমাদের দেখা হয়েছে। দাদার সাথে দেখা করা আর প্রথমবার কলকাতা শহরে আসা, দুটো এক্সাইটমেন্ট একসাথে কাজ করছিল। দাদা রাতে টাইম দিয়েছিল দেখা করার জন্য। আমরা সাতটার দিকেই রেডি হয়ে গিয়েছিলাম। রেডি হতে অবশ্য বেশ সময় লেগেছিল আমাদের। সেদিনের রবিবারের আড্ডায় হয়তো শুনেছেন কেন সময় বেশি লেগেছিল। আসলে দাদার সাথে দেখা করতে যাচ্ছি বলে কথা, একটা প্রস্তুতির তো ব্যাপার আছে। আমি ব্ল্যাক শার্ট পড়তে বেশি পছন্দ করি, কিন্তু আগে ভেবে রেখেছিলাম দাদার সাথে যেদিন দেখা করতে যাব সাদা একটি শার্ট পড়ে যাবো। কিন্তু সেদিন হাফিজ ভাই আর আরিফ ভাই বলল কালো শার্টেই ভালো লাগছে। এরপর কালোটাই পড়ে নিলাম।

ড্রেসে যে শুধু আমি একাই কনফিউজড ছিলাম তা নয়। হাফিজ ভাই আরিফ ভাই ও কিন্তু কনফিউজড ছিল। তারাও আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখেছে আর জিজ্ঞেস করেছে কেমন লাগছে। হিহিহি....।। যাইহোক মুহূর্তটা বেশ মজার ছিল। এরপর আমরা রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। আমাদের হোটেলের নিচে গিয়ে প্রথমেই উবারে একটি ট্যাক্সি কল করলাম কিন্তু লাভ হলো না। একজন রিসিভ করল কিন্তু অনেক দূরে ছিল। আসতে তার সময় লাগবে। এজন্য ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ট্যাক্সি ভাড়া করে সোজা চলে গেলাম আইটিসি রয়েল বেঙ্গলে।

1680363530433-01.jpeg

1680363715754-01.jpeg

ঝা চকচকে আইটিসি রয়েল বেঙ্গলের সামনে এসেই এক্সাইটমেন্ট আরো বেড়ে গেল। আমরা অবশ্য দাদাদের আগেই পৌঁছে গিয়েছিলাম। পৌঁছানোর পর আমরা লেভেল টু রিসেপশনের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ওখান থেকে একজন এসে আমাদের হাত থেকে ব্যাগ নিয়ে ভিতরে যেতে লাগলো। উঁহু বাপু, ব্যাগ নিয়ে কই যাও?? আমরা এখন ঢুকবো না। হেহেহে। যাইহোক আমরা বললাম আমরা অপেক্ষা করছি কারো জন্য, তারা আসবে তারপর ঢুকবো। এরপর রাজকীয় সেই পরিবেশ দর্শন করতে লাগলাম আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। আর হাফিজ ভাই তার শালীর সঙ্গে ভিডিও কলে লাইভ সম্প্রচার করছিল।

1680363644953-01.jpeg

1680363560955-01.jpeg

1680363580079-01.jpeg

1680363608288-01.jpeg

1680363627010-01.jpeg

1680363675215-01.jpeg

1680363700946-01.jpeg

আমরা অনেকক্ষণ যাবৎ ওখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম দাদাদের জন্য। সম্ভবত দাদা একটু দৌড়াদৌড়ি করে নিচ্ছিল আগেই, বেশি খাবে বলে। এই জন্য দাদাদের আসতে দেরি হচ্ছিল। এরপর অনেক দেরি হওয়াতে আমরা নিচে গিয়ে আরেকটু অপেক্ষা করলাম, আর কিছু কলকাতার মশার কামড় খেলাম। মশাগুলো বেশ মজাই পাচ্ছিল বুঝলাম বিদেশী মানুষের রক্ত খেয়ে। সুযোগ পেলে মশা গুলোকে প্যাকেটে ভরে বাংলাদেশের নিয়ে ছেড়ে দিতাম। কিন্তু ওসব এখন করবে কে,, আমরা তো খুব এক্সাইটমেন্ট নিয়ে বসে আছি।

আসলে সময়টা খুব বেশি লম্বা ছিল না। তবে আমাদের কাছে অনেক লম্বা মনে হচ্ছিল। কারণ তো বুঝতেই পারছেন দাদার সাথে দেখা করব বলে কথা। যাইহোক কিছুক্ষণের মধ্যেই দাদারাও চলে আসলো। দাদা আগে থেকেই একটি স্পেস বুক করে রেখেছিল। দাদারা সেখানে গিয়ে বসেছে আর নিলয় ব্রো আমাদের রিসিভ করতে এসেছিল। @nilaymajumder ভাইয়ের মুখ ভর্তি দাড়ি বেশ ভালই লাগলো। তবে তার গায়েও ঢিলে ঢালা পোশাক ছিল। দেখে বোঝা যাচ্ছে খাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে 😂। আচ্ছা যাইহোক এরপর নিলয় ভাইয়ের সাথে গেলাম ভেতরে।

1680363733694-01.jpeg

1680363764001-01.jpeg

সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে দেখি রান্নাঘরে ঢুকে গেছি। পরে বুঝলাম ওমা না,,,এ তো বুফে এরিয়া। এক জায়গাতেই সব আয়োজন। এরপর আর একটু সামনে এগিয়েই প্রিয় দাদার মুখটা চোখে পড়লো। দাদা আমাদের সাথে যখন ছবি শেয়ার করে তখন দাদার চোখের উপর একটা স্টিকার মারা থাকে তাই না?? কিন্তু সেখানে দাদার চোখে কোন স্টিকার মারা ছিল না। 😛 দেখে তো চিন্তায় পড়ে গেলাম!! আচ্ছা যাই হোক এবার দাদার ডান পাশে বসে থাকা আমাদের ব্ল্যাকস ভাইকে দেখলাম। এর আগে বলে রাখি @winkles ভাইকে ব্ল্যাক্স ভাইয়ের আগেই দেখেছি কিন্তু প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি। ব্ল্যাক্স ভাইয়ের দিকে যখন তাকাইলাম @blacks ভাইয়ের মুখে ছিল একটা মৃদু হাসি। এরপর আমি winkles ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে দু সেকেন্ড ভাবলাম। তারপর বুঝতে পারলাম এটা winkles ভাই। আসলে ভাইকে আগে ছবিতে দেখেছিলাম অনেক মোটা। কিন্তু ভাই জিম করে আগের থেকে অনেক স্লিম হয়ে গেছে। এজন্যই ক্যাচ করতে ২ সেকেন্ড দেরি হয়েছে।

এখনকার অনুভূতিটা আমি লিখে কোন ভাবেই প্রকাশ করতে পারবো না। দাদাদের সামনে বসে আছি এটা আমার নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছিল না। আসলে দাদাকে আপনারা যেরকম দেখেন দাদা কিন্তু ওরকম না। দাদার চোখে মুখে কোথাও স্টিকার মারা নেই, দাদার মুখখানা একটু গোলগাল, চোখে চশমা থাকে, আর গর্বে অলওয়েজ পেট উঁচু হয়ে থাকে। গর্বে লোকের বুক উঁচু হলেও দাদা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। যাইহোক দাদার সামনে বসে অনেক নার্ভাস ছিলাম। তবে ব্ল্যাক্স ভাইয়ের দিকে যখন তাকাচ্ছিলাম তখন আবার ইজি লাগতেছিল। জানিনা হুয়াই,,। এরপর আমাদের বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা চলল। এরপর দাদা বলল এখন আমরা খেতে খেতে গল্প করব। বুফেতে ১৫০ টি আইটেম ছিল। দাদার পিছে পিছে আমরা প্লেট নিয়ে চল্লুম খাবার সংগ্রহ করতে। প্রথমে দাদা যা যা নেয় সেটাই নিচ্ছিলাম কিন্তু পরে দেখলাম এ বান্দাকে ফলো করলে আমার আর খাওয়া হবে না। দাদা শাকপাতা, সালাদ এগুলো বেশ পছন্দ করে যা বুঝলাম।

আমি মাতুব্বারী করে কয়েকটা ইউনিক আইটেম প্লেটে নিয়ে পরে এই খাবার লোকে কেমনে খায় সেটা নিয়ে দুই মিনিট ভেবেছি। প্রথমবার প্লেটে যা কিছু সাজিয়েছিলাম সেগুলো কষ্টে মস্টে শেষ করে দ্বিতীয় রাউন্ডে গিয়েছিলাম খাবার সংগ্রহ করতে। এইবার পেয়েছিলাম একটা স্বাদের খাবার। সেটাই বেশ কিছু নিয়ে, সাথে কিছু লতা পাতা সাজিয়ে আবার খেতে বসে পড়লাম। এমন ভাব ধরলাম যেন এগুলো আমি রেগুলার খাই। কিন্তু তলে তলে ওগুলো খেতে আমার খুব মেজাজ খারাপ হয়েছে। এদিকে আরিফ ভাইয়ের অবস্থাও আমার মত হাফিজ ভাইয়ের অবস্থা ও নাজুক। আর সামনে যে কি হচ্ছে ভাইরে ভাই!! দাদা তো অলরাউন্ডার। ব্ল্যাক্স ভাই ও কিছু খাচ্ছে আর ভাবছে আর খাবে কিনা, কিন্তু তারপর ঠিক আবার প্লেট নিয়ে চলে যাচ্ছে খাবার আনতে। আর এদিকে winkles ভাই জিম আবার প্রথম থেকে শুরু করার প্ল্যান নিয়েই এসেছে যেটা বুঝলাম। উনি কিছু মুহূর্তের জন্য ওসব জিম টিম ভুলে গিয়ে অন্য জগতে আছে। আর নিলয় ভাই আমাদের হেল্প করতেছিল খাবার চয়েস করতে। সে নিজেও খাচ্ছিল আবার এদিকটাও সামলাচ্ছিল।

খাবার খেতে খেতে আমরা অনেক গল্প করছিলাম। কমিউনিটি, কমিউনিটির বাইরের সব রকম গল্পে মগ্ন ছিলাম আমরা ওই দু'তিন ঘন্টা। আসলে দাদার খাওয়া দেখতে আমার খুব ভালো লেগেছে। তাছাড়া সব মিলিয়ে ওই সময়টা আমাদের সবার জন্য দারুন ছিল। এক কথায় অমায়িক। খাবারদাবারের চ্যাপ্টার ক্লোজ করে দিয়ে দাদার সাথে হেঁটে হেঁটে সবাই নিচে চলে এসেছিলাম। তখন ঘড়িতে বাজে প্রায় ১১ টা। সবাই একসাথে বাইরে এসে দাঁড়াইলাম। তখন বিদায়ের পালা। মুহূর্তটা শেষ করতে ইচ্ছে করছিল না। আমরা ওখানে দাঁড়িয়েই উবার ডেকেছিলাম। ভাবছিলাম উবার আরেকটু দেরি করেই আসুক।

আমাদের অনেক ইচ্ছে ছিল দাদাকে বুকে একবার জড়িয়ে ধরার। সেই ইচ্ছেটা তখন পূরণ হয়েছে। অনুভূতিটা বলে প্রকাশ করার মতো নয়। মনে হচ্ছিল অনেক আপন সম্পর্ক, ভাইকে বুকে জড়িয়ে ধরছি। ব্লাকস ভাই, ফ্যান্টম দাদা, উইঙ্কলেস ভাই, নিলয় ভাই - সবাইকে হাগ দিয়ে খুবই ভালো লাগছিল। আসলে আমাদের ব্ল্যাকস ভাই সবসময়ই হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন। উনার ওই ফেসটা খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। আর আমাদের উইঙ্কলেস ভাই উনিও খুব ফ্রেন্ডলি। তবে ওনার সাথে ডিল করেছি বাংলাদেশে আসলে উনার জন্য অনেকগুলো মুরগি রেডি রাখবো। আর নিলয় ভাই ও খুব হেলফুল ছিল আর উনার মধ্যে কেয়ারিং একটা ভাব আছে । সবমিলিয়ে সবার সাথে দেখা-সাক্ষাৎ হওয়ার পর একটা প্রশান্তি কাজ করছিল মনের মাঝে। দীর্ঘদিনের ইচ্ছে পূরণ হলো অবশেষে।

এরপর আমাদের গাড়ি আসলো। আমরা গাড়িতে উঠে যেতে লাগলাম। দাদারা আমাদের গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে তারপর নিজেরা গাড়িতে উঠলেন। এরপর আমরা একই সাথে আইটিসি রয়েল বেঙ্গল থেকে বেরিয়ে গেলাম। তারপর সোজা বাসার দিকে। পুরো মুহূর্ত টাই নিজে ফিল করতে পেরেছি যে এই মুহূর্তটা আজীবন মনে থাকবে। যাইহোক এরপর বাসায় এসে তৃপ্ত হৃদয় নিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। এরপর তিনজনের আড্ডা গল্প তারপর ঘুম। এটাই ছিল দাদাদের সাথে দেখা হওয়ার মুহূর্তের অনুভূতি। দাদাদের ব্যাপারে আপনার এখন কেমন মনে হচ্ছে আর আগে কেমন মনে হতো কমেন্টে জানাবেন। বিদায় এখানেই। আল্লাহ্ হাফেজ।



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

বোঝাই যাচ্ছে দাদাদের সঙ্গে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন পুরো পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ছিলাম। যখন এটা পড়লাম যে আপনি দাদার সঙ্গে হাগ করেছেন তখন মনে হচ্ছিল সে জায়গাটায় আমিও ছিলাম হাহাহা। মনে হচ্ছিল যে আমি নিজেও হাগ করছি, অনুভূতিটা আসলে এমন ছিল। দাদাকে সব সময় অনেক বেশি শান্ত মনে হয়েছে আমার কাছে কিন্তু ব্ল্যাকস দাদাকে বরাবরই মনে হয়েছে অনেক বেশি রাগান্বিত একজন মানুষ। কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে বুঝলাম তিনিও অনেকটাই হাস্যরসিক এবং আমি যতটা রাগী ভেবেছিলাম ততটাও রাগী নয়। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মুহূর্তের গল্পটা পড়ে।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

ভাই আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। সত্যিই দাদাদের সাথে দেখা হওয়ার অনুভূতিটা অন্য রকম। আপনারা একসাথে দেখা করেছেন এবং একসাথে খাবার খেয়েছেন ১৫০ টি আইটেম ছিলো।আর প্রথমে winkles দাদাকে চিনতে একটু সমস্যা হয়েছিল। আসলে এভাবে স্টিকার ছাড়া সরাসরি দাদাদের দেখার আমার খুবি ইচ্ছা রয়েছে।আর আপনি winkles দাদাকে ছবিতে মোটা দেখেছিলেন,আর গিয়ে দেখতে পেলেন যে স্মিম হয়েছে। যাইহোক আপনি সরাসরি দাদাদের দেখেছেন খুবই ভালো লাগলো এই মুহূর্তটা সত্যিই অসাধারণ ছিলো। আজকে যেন আমার খুবই ভালো লাগতেছিল আপনাদের পোস্ট পড়েরই।যাইহোক আপনাদের সকলের জন্য দোয়া রইল।

 2 years ago 

আপনার লেখাগুলো যখন পড়ছিলাম তখন আমি নিজেই আনইজি ফিল করছিলাম আসলে নতুন কারো সাথে দেখা করতে গেলে এমনই সমস্যা হয়। প্রিয় দাদার সাথে দেখা করতে গেছেন সবাই মিলে কিন্তু অনেক সুন্দর একটি পরিবেশে দেখা করার সুযোগ হয়ে গেল।অসাধারণ সময় কাটিয়েছেন মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন শুনে অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।

 2 years ago 

গোপন কথাগুলো এভাবে ফাঁস করতে নেই, কিছু কথা আলমারিতে লক করে রাখতে হয় হি হি হি।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে আমারও ইচ্ছে করছে কলকাতা যেতে। আসলেই সামনাসামনি দাদাদের সামনে যেতে একটু নার্ভাস হওয়ারই কথা আমরা ফোনে কথা বলতেই নার্ভাস হয়ে যায় আর সামনাসামনি দেখলে না জানি কি করব। আপনি কেন শাক পাতা নিতে গেলেন আমাদের দেশীয় আইটেম ছিল না সেখানে। আর খাবার দেখলে কি জিমের কথা মনে থাকে। তিনজন মিলে একসাথে ভালোই মজা করছেন মনে হচ্ছে । খুবই ভালো লাগলো আপনার সুন্দর অনুভূতিগুলো পরে। যাক শেষ পর্যন্ত হাগ করতে পেরেছেন মনের আশা পূর্ণ হয়েছে।

 2 years ago 

যদিও সেদিন রাতে আড্ডা তে কিছুটা শুনে অনুমান করতে পেরেছিলাম, তবে লেখাটা পড়ে বেশ ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা কাজ করছিল। সময় গুলো আবারও ফিরে আসুক, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

 2 years ago 

সময়টা কিন্তু দাদা খুব ভালো কেটেছিল। আপনারা খুব ভালো মনের মানুষ। আপনাদের খুব মিস করছি। আবার দেখা হবে দাদা।

 2 years ago 

আমাদের প্রিয় ফাউন্ডার দাদার সাথে সাক্ষাৎকারের দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। দাদার সাথে সাক্ষাৎকারের অনুভূতির কথা গুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে দাদার পিছনে প্লেট হাতে নিয়ে বেড়ানোর পরে আপনি বুঝতে পারবেন যে দাদার সাথে প্লেট হাতে করে বেড়ালে আপনি আপনার পছন্দের খাবারগুলো খেতে পারবেন না। আর দাদার খাবারের মেনুটা সত্যি অসাধারণ ছিল। খুবই চমৎকার একটি পোস্ট পড়তে পেরে সত্যি আমি খুবই আনন্দ পেয়েছি। আর আমাদের প্রিয় দাদাকে বুকে জড়িয়ে ধরাটা আপনার জন্য বিশাল একটি সৌভাগ্য। ভাইয়া এরকম অনুভূতির কথা যদি আরো থাকে তাহলে আগামী দিন পুনরায় শেয়ার করেন। পড়তে খুবই ভালো লাগছে ‌

লেখাগুলো পড়ছিলাম আর মনে হচ্ছিল আমি নিজেও সেখানে উপস্থিত হয়ে সবকিছু চাক্ষুস দেখেছি। দাদা আসলে এত বড় মানুষ হয়েও তার আচার-আচরণের যে সারল্য। এটা আজকালকার দিনে সচরাচর দেখা যায় না। তবে আমি মনে করেছিলাম ব্ল্যাকস ভাই একটু গম্ভীর টাইপের হবেন। কিন্তু আপনার পোস্ট থেকে বুঝতে পারলাম তিনিও বেশ হাসিখুশি মানুষ। আমার আপনাদের অভিজ্ঞতাটা পড়েই এত ভালো লাগছে। সেখানে থাকতে পারলে না জানি আর কতো ভালো লাগতো। আমিও আপনাদের মত কলকাতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর। দেখা যাক কত দিনে যেতে পারি।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 68855.28
ETH 2441.78
USDT 1.00
SBD 2.38