প্রকৃতি বাঁচান - জীবন বাঁচান। পর্ব ২
হ্যালো বন্ধুরা। আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। গত পর্বে আমাদের প্রকৃতিকে আমরা কিভাবে বাঁচাতে পারি সে বিষয়ে আমি ক্ষুদ্র একটি আলোচনা আপনাদের সাথে তুলে ধরেছিলাম। প্রকৃতিকে নিয়ে আমরা বিভিন্নভাবে সাবধান হতে পারি। বিভিন্ন উপায়ে আমাদের প্রকৃতির সজীবতা আবার আমরা ফিরিয়ে দিতে পারি। এটি আলোচনা করতে অনেক অনেক পেইজ খরচ করতে হবে। আর শুধুমাত্র আলোচনা করে কোন লাভ হবে না এর প্রতিফলন টা খুবই জরুরী।
আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের আলাদা আলাদা ভাবে সচেতন হওয়াটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গত পর্বে একজন কমেন্ট করেছিলেন এ লেখাটার মাধ্যমে যদি একজন ও কিছুটা পরিবর্তন হয় তাহলে সেটাই সার্থকতা। আমিও উনার সাথে একমত। অনেক বেশি আলোচনা করে কোন লাভই হবে না যদি সেটা ফলশ্রুত না হয়। কিন্তু আলোচনাটাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আলোচনা যখন শুরু হবে তখনই পরিবর্তনটার সূচনা ঘটবে। সব কিছুরই একটি শুরুর প্রয়োজন আছে। আমি চিন্তা করেছি আমি যে বিষয়গুলো লিখব সেই বিষয়গুলো নিজে মেনে চলার আপ্রাণ চেষ্টা করব।
আচ্ছা গত পর্বে যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছিলাম তারপর থেকে আরও কিছু বিষয় আমি আজ যুক্ত করছি। এ প্রকৃতি প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের কারণে। গাড়ি থেকে নির্গত হওয়া কালো ধোঁয়া প্রকৃতিকে চরমভাবে বিষাক্ত করে তুলছে। এখন সময় এসেছে আমাদের ইলেকট্রিক যানবাহনের উপর নির্ভরশীল হওয়ার। আপনার ইতিমধ্যেই জানেন ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদন শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানি। বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর ট্যাক্স কমানো এবং এটি ব্যবহার করতে উৎসাহ প্রদান করতে হবে। এই পার্টটা সরকারকেই দেখতে হবে।
শিক্ষাজীবনে আমরা কতশত বই নিয়ে পড়াশোনা করেছি। অনেক বইতে প্রকৃতি রক্ষার বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখও আছে। কিন্তু সেগুলো শিক্ষার্থীদের সেরকম গুরুত্ব সহকারে পড়ানো হয় না। এস এ স্টুডেন্ট আমি তো সেটি দেখে এসেছি। প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুরুত্বের সাথে এ বিষয়ে থিওরি এবং প্রাক্টিক্যাল শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
আমরা সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধভাবে আমাদের বসবাস। প্রত্যেকটা সমাজেই আলাদাভাবে উদ্যোগ নিতে হবে যেন নিজেদের এরিয়াটা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে সমাজের সবচেয়ে গণ্যমান্য লোকদেরকে। তৃণমূল পর্যায় থেকে যখন পরিবর্তন শুরু হবে তখন সেটির ইফেক্ট বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। এরপর আরো একটি ছোট বিষয় তুলে ধরছি সেটি হচ্ছে পর্যটন খাতে আরও বেশি সতর্ক হওয়া। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি আমরা লক্ষ্য করি তাহলে দেখা যাবে আজ থেকে ১০ বছর আগে যে জায়গাগুলো পর্যটন কেন্দ্র ছিল তা এখন অনেকটাই নোংরা হয়ে গেছে। আমি কৃত্রিম কোন পর্যটন কেন্দ্রের কথা বলছি না, আমি প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্রগুলোর কথা বলছি। যেমন কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি,সাজেক ইত্যাদি। দশ বছর আগের ম্যাপ আর আজকের ম্যাপ দেখলে বুঝতে পারবেন। যত্রতত্র নির্মাণ কার্যক্রম আর পর্যটকদের যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলে রাখার অভ্যাসটা খুব বাজেভাবে ক্ষতি করছে প্রকৃতিকে।
আজকের পর্বের শেষে আমি আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে কথা বলবো। এটি হচ্ছে প্রাকৃতিক শক্তিকে কাজে লাগানো। আমরা বিদ্যুৎ খরচ করছি বড় ধরনের কাছ থেকে শুরু করে খুবই নগণ্য কাজ পর্যন্ত। আমরা যদি সোলার প্যানেল ব্যবহারে অভ্যস্ত হই তাহলে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে, তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন ও করতে হবে কম। বায়ু, সৌর, জলবিদ্যুৎ এর মতন রিনিউয়াবল শক্তির প্রতি সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া খুবই প্রয়োজন। এ সকল শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগতভাবে বাসা বাড়িতেও এই শক্তিগুলো ব্যবহার করে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা যায়।
আমার নিজের বাড়িতেও সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার ইচ্ছা আছে আমার। যাইহোক আজকে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করলাম আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন কমেন্ট বক্সে। আর কোন ভুল ভ্রান্তি হলে সেটি অবশ্যই ধরিয়ে দেবেন। আজ আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তী পর্বে ইনশাহ আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এটা ঠিক আমরা নিজেরা নিজেদের দিক থেকে একটু একটু সচেতন হলে পরিবেশ টাকে বাঁচাতে পারি।এখন সমস্যা হচ্ছে ইলেকট্রিক গাড়ি আমাদের দেশে কেমনে ব্যবহার করবে,আমাদের দেশে তো ইলেকট্রিসিটিই থাকে না।এখন ই যে হারে লোডশেডিং হচ্ছে আর গরম পরলে তো আরো থাকবে না।
প্রকৃতি বাঁচান, জীবন বাঁচান -এর প্রথম পর্বটি আমি আগেই পড়েছিলাম দাদা। আজকের দ্বিতীয় পর্বটি পড়েও অনেক ভালো লাগলো ,অনেক কিছু জানতে পারলাম। প্রকৃতি বাঁচাতে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই, প্রকৃতি বাঁচলেই আমরা বাঁচবো। আমরা যখনই নিজেরা ঠিক হব আমাদের প্রকৃতিও বেঁচে থাকবে।জলবিদ্যুৎ, বায়ু, সৌর এর মত রিনিউয়াবল শক্তির প্রতি সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা প্রকৃতি দূষণ অনেকটাই রোধ করতে পারব।
আমরা আজ বড্ড সচেতন ভাই। আর আমাদের অসচেতনতার কারণে আমরা আমাদের নিজেকে ধ্বংসের মুখে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আপনার পোষ্টের মধ্যে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলেছেন। এখান থেকে অনেক কিছু শেখারও আছে। তবে একটা কথা কি ভাই প্রাকৃতিক বাঁচলে আমরা বাঁচবো।তবে চারদিকে যে হারে দূষিত হচ্ছে বায়ু গাছপালা নিধন করছে, তাতে আশা করা যায় এই প্রকৃতিকে টিকিয়ে রাখা আমাদের জন্য খুবই কঠিন। অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।