ব্যাডমিন্টন খেলায় এই সিজনের প্রথম দিন।
খেলাধুলা। এটি এমন একটা জিনিস যার মধ্যে আনন্দ এবং শারীরিক কসরত দুটিই বিদ্যমান। আমি ছোটবেলায় প্রায় সবরকম খেলাধুলা করে বেড়াতাম। কিন্তু একটা মেজর অ্যাক্সিডেন্টের কারণে আমার পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। যার ফলে আমি তারপর থেকে খেলাধুলা একেবারেই কমিয়ে দিয়েছিলাম। তাছাড়া আমার ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা থাকার কারণে বেশি একটা দৌড়াদৌড়ি করতে পারি না। কিন্তু আমার সবচেয়ে ফেভারিট খেলা হল ব্যাডমিন্টন। প্রত্যেকটা শীতের সময় আমি ব্যাডমিন্টন না খেলে থাকতে পারি না। কিন্তু গত দুই বছর আমি কোথাও খেলাধুলার তেমন একটা সুযোগ পাইনি। কারণ দুই বছর আমি লেখাপড়ার মধ্যে একটু বেশি ব্যাস্ত ছিলাম। আর শহরে সাধারণত খেলার জায়গা খুবই কম। আর খেলার সঙ্গী ও তেমন একটা ছিল না। যার কারণে খেলতে পারিনি। তো এবার শীতের সময় পুরোটাই বাড়িতে থাকব ডিসিশন নিয়েছি। আর এবার কোনভাবেই ব্যাডমিন্টন খেলার মত এত বড় একটা সুযোগ আর আমার এতবড় একটা ফেভারিট খেলা কখনোই মিস করা যাবে না। বাড়িতে এখন প্রচুর ফ্রেন্ড সার্কেল এবং ছোট ভাই ব্রাদার আছে তাদের সাথে ইচ্ছা মত খেলতে পারব।
এখনও তেমন একটা ভালো শীত পরা শুরু করে নি। তারপরও আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকেই খেলা শুরু করব। আমরা গতকাল দুপুরের দিকে সবাই গার্লস স্কুলের মাঠে জড়ো হয়ে কোর্ট কেটে ফেলি। দুপুরের দিকেই কোর্ট কেটে প্রস্তুত করে রেখেছিলাম। আমরা কোর্টের স্ট্যান্ডার মাপ অনুসরণ করে ছিলাম । প্রায় ঘন্টা খানেক এর মধ্যে কোর্ট কাটা শেষ হয়ে গিয়েছিল। সবাই একসাথে কাজ করার কারণে খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়। এরপর কোর্ট কাটা শেষ করে বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে গোসল খাওয়া-দাওয়া করে কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম। কিছু সময় রেস্ট নেওয়ার পর আমার প্রত্যেক দিনের যে কাজগুলো থাকে সে কাজগুলো শেষ করলাম। এরপর বিকেলের দিকে আবার আমরা সবাই মাঠে আসলাম। মাঠে এসে নেট লাগানো, ইলেকট্রিসিটি সংযোগ দেওয়া সহ যে কাজগুলো বাকি ছিল সেগুলো শেষ করলাম।
যাক শান্তি,, মোটামুটি সব কাজ কমপ্লিট। এখন রাতে শুধু খেলতে হবে। এসব কাজগুলো শেষ করে আমি আবারও বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে কমিউনিটির যে কাজগুলো ছিল সবই একেক করে শেষ করলাম। কমিউনিটির কাজগুলো শেষ করে রাত সাড়ে সাতটার দিকে আমার সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে মাঠের দিকে রওনা দিলাম।
মাঠে পৌঁছনোর পর প্রথমেই ইলেকট্রিসিটি সংযোগ টা অন করে দিলাম। এরপর নেট লাগিয়ে তখনই খেলা শুরু করে দিলাম। খুবই এক্সাইটেড ছিলাম বেশি একটা দেরি করতে মোটেই ইচ্ছা করছিল না। আস্তে-ধীরে মাঠে প্রায় সব প্লেয়ারই চলে আসলো। খুব আনন্দের সাথে আমরা খেলছিলাম। আমি প্রথমে দুইটি গেম খেলি এর পর কিছু সময় বিশ্রাম নিই। অনেকক্ষণ যাবৎ খেলেছিলাম আমি।
বছরের প্রথম দিন ছিল তো এজন্য বেশি একটা দক্ষতার সাথে খেলতে পারছিলাম না। তবে আমি মনে করি কিছুদিন এরকমই চলবে। তারপরে আস্তে ধীরে হাত ঠিক হয়ে যাবে।
আমি সর্ব মোট আটটি ম্যাচ খেলে ছিলাম। আট টি ম্যাচ খেলার পরেও আমার মনে হচ্ছিল আরও অনেকক্ষণ খেলি। কিন্তু খেলতে খেলতে রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা বেজে গিয়েছিলো। সাড়ে এগারোটার সময় আমরা চিন্তা করলাম আবার আগামী কাল খেলা যাবে। আজ এ পর্যন্তই। বেশি রাত হয়ে গেলে আবার সমস্যা। আগামীকাল ঘুম থেকে উঠতে সমস্যা হবে। এজন্য রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ইলেকট্রিসিটি লাইন বন্ধ করে সবকিছু গুছিয়ে যথাস্থানে রেখে আমরা বাসায় চলে আসলাম।
তখন তো অনেক রাত। রাস্তায় তেমন একটা গাড়ি ঘোড়া নাই। এজন্য এক ছোট ভাইকে বললাম বাড়ির দিকে নামিয়ে দিয়ে আসতে। ছোট ভাইটির গাড়িতে করে আমার আর আমার একটা ফ্রেন্ড কে প্রায় বাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেল। এরপর আমি আর আমার ফ্রেন্ড বাসায় চলে আসলাম। আমি বাড়িতে এসে ফ্রেস হয়ে বিছানায় চলে গেলাম। কারণ খুব ক্লান্ত ছিলাম। অনেকক্ষণ খেলেছি তো।
যাইহোক বাড়িতে এসে বিছানায় শুয়ে কমিউনিটিতে কিছুটা সময় কাটালাম। এরপর যখন ঘুম চলে আসলো তখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এটাই ছিল আমার ব্যাডমিন্টন খেলার প্রথম দিন। আপনাদের যাদের এই খেলাটি ফেভারিট তাদেরকে আমি রিকোয়েস্ট করব আপনারা আপনাদের খেলার মুহূর্ত গুলো অবশ্যই কমিউনিটিতে শেয়ার করবেন। বিষয়টি খুবই এনজয়েবল হবে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
ভাইয়া আমার খুব খুব পছন্দের একটি খেলা ব্যাডমিন্টন।
শীতের সময় সন্ধা থেকে শুরু করে রাত নয়টা পর্যন্ত খেলি।
অনেক ভালো লাগে ভাইয়া ব্যাডমিন্টন খেলতে।
চট্টগ্রাম যখন ছিলাম তখন এতো খেলতে পারতাম না কারণ খেলার মতো তেমন কেউ ছিলো না।
বি বাড়িয়াতে চলে এসেছি এখানে অনেক খেলতে পারি ভাইয়া।
আমি শীতের মধ্যে হাডুডু আর ব্যাডমিন্টন খেলি।
এই খেলা গুলো খেলতে খুব ভালো লাগে ভাইয়া।
চাচাতো বোন ভাই সবাই মিলে অনেক ভালো লাগে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর মূহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
🐎🐎🐎🐎🐎
ভাইয়া শীত আসলেই ব্যাডমিন্টন খেলার ধুম পড়ে যায়। সন্ধ্যার পর সবাই লাইট লাগিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করে। শীতের রাতে এই খেলা দৈর্ঘ্য রাত পর্যন্ত হয়। আপনাদের খেলা দেখে আফসোস হচ্ছে যদি আমিও আপনাদের সাথে যোগ দিতে পারতাম। আপনার বাস্তব জীবনের অসাধারণ পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ, ভাইয়া ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে, আপনারা এই সময়টা অনেক এঞ্জয় করেন, সব বন্ধুরা মিলে, আর এই সময় টা হচ্ছে বেডমিন্টন খেলার আসল সময়। অনেক ভালো লাগলো আপনার প্রতিটি কথা, অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলছেন, খেলাধুলা মধ্যে আনন্দ এবং শারীরিক কসরত দুটিই বিদ্যমান। ব্যাডমিন্টন আমার অনেক প্রিয় একটি খেলা। যদি একদিন খেলি তাহলে পরের দিন সকালে আর ঘুম থেকে উঠা হয় না। শরীরে প্রচন্ড ব্যথা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার আনন্দময় মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
শীত আসছে নতুন নতুন খেলা আসছে। রাতের আধারে ব্যাডমিন্টন খেলার আনন্দটাই যেন অন্যরকম। তবে ভাইয়া আমরা বেশি খেলতে পারিনা। এভাবেই আপনার প্রতিদিনের আনন্দময় গুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেবেন এই প্রত্যাশাই করতেছি। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল অবিরাম।
দুর্দান্ত ছিল আপনার ব্যাডমিন্টন খেলার গল্পটি। অ্যাজমার সমস্যা দেখা দিলে না খেলায় ভালো। তবে শীতকালে সেটি খুব একটা আঘাত না আনতে পারে।
বিশেষ করে সবথেকে রাতের প্রস্তুতি গ্রহণ টা আমার খুব ভালো লেগেছে।
আমারও খুব খেলতে ইচ্ছে হয় তবে সময়ের অভাবে হয়তো সেটি আর হয়ে ওঠে না
সত্যিই শীতের সময় ব্যাডমিন্টন খেলার ধুম পড়ে যায় বাংলাদেশে।এই খেলাটি আমারও অনেক পছন্দের। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল, আমাদের বাসার সামনে বড় একটি মাঠ ছিল, ওই মাঠে ছেলেপেলেরা যখন ব্যাডমিন্টন খেলতো তখন দেখে খুব ইচ্ছা করত খেলতে। তখন আব্বু ছোট ছোট দুটি ব্যাডমিন্টন আমাদের কিনে দিয়েছিলেন, আমরা তা নিয়ে মাঠে খেলতাম মাঝেমধ্যে। এই খেলার মাধ্যমে বড় একটি শরীরচর্চাও হয়ে যায়, এতে শরীর ফিট থাকে।অনেক ধন্যবাদ আপনার এই দিনটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ব্যাডমিন্টন খেলায় বেশ মজা আছে। বিশেষ করে শীতের সময় আরো বেশি আমেজটা পাওয়া যায়। আমাদের এখানেও চলে সন্ধ্যা থেকে রাত ১১/১২ টা অব্দি। খেলাধুলা শরীরের জন্য একটা ভালো ব্যায়াম, আর এতে মন মেজাজও ভালো থাকে।
সত্যি বলতে ভাই গত পাঁচ বছর ধরে আমি ব্যাডমিন্টন খেলতে পারিনি, কোনো না কোনো কারণে ঢাকায় থাকতে হয়েছে এবং ঢাকায় পর্যাপ্ত পরিমান জায়গা না থাকার কারণে তেমন একটা খেলার সুযোগ হয়নি। তবে এবার মনে হচ্ছে একটি সুযোগ আছে। আমার তো অনেক খেলতে ইচ্ছা করছে ভাই,, কি করা যায়?? এখন ভাই সমাধান কি??