আলো ঝলমলে রাতের ঢাকা ।
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। বাড়িতে ছিলাম যেমনটি গরম ছিল, ঢাকাতে যেন গরম তার দ্বিগুণ। শীত আমার সহ্য হয়, শীতকালীন সময়টা আমার আরো ভালো লাগে। কিন্তু গরম আমি একবারে সহ্য করতে পারি না। ঢাকায় এসে এটাই আমার জন্য হলো সবচেয়ে বড় বিপত্তি। যাইহোক গতকাল আমি গিয়েছিলাম একটু মোহাম্মদপুর এর দিকে। আমার একটা টেবিল কিনতে হয়েছে। টেবিল কেনার অভিজ্ঞতা আর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব।
ঢাকায় আর যাই হোক বিকালবেলা আর রাতে রিকশায় ঘুরতে দারুন লাগে। কালকে ভেবেছিলাম আমার যেহেতু টেবিল প্রয়োজন, চলে যাব একেবারে ওই জায়গায় যেখানে প্রচুর প্রচুর টেবিল পাওয়া যায়। যেখান থেকে টেবিল অন্যত্র কিনে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে। এই সমস্ত জায়গায় গিয়ে টেবিল কিনলে দাম ও অনেক কম পড়ে। আমি রাহুল আর আমার বন্ধু পাপ্পু বেরিয়ে পড়লাম বিকেলের দিকে৷ প্রথমেই একটা রিক্সা নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম৷ রিকশায় যেতে দারুন লাগছিল। ওয়েদার টা সুন্দর ছিল, বাতাস লাগছিল আর রাস্তায় তেমন কোন জ্যাম ছিল না । বিন্দাস চলে গেলাম মোহাম্মদপুরে।
প্রচুর দোকান ছিল ওইখানে। অনেক মালামালও ছিল। একটা দোকানে গিয়ে পছন্দ হলো আমাদের অবশেষে। ওইখানে দাম টা চেয়েছিলো প্রোডাক্ট এর তুলনায় মোটামুটি কম। আমরা ৩৬০০ টাকায় একটা সুন্দর কম্পিউটার টেবিল পছন্দ করলাম। টেবিলটা পছন্দ করার পর আমরা একটা ভ্যান ঠিক করলাম। এখানে ভ্যান ছাড়া নিয়ে যাওয়ার তেমন কোনো সিস্টেম নেই। ৪২০ টাকায় ভ্যান ভাড়া করে আমাদের আসতে হয়েছিল৷ তাহলে টেবিলের দাম টোটাল পড়ে গেল চার হাজার টাকার বেশি। যাইহোক, কালকে এভাবেই টেবিলটি রুমে নিয়ে এসেছি। কালকে আসার সময় আমি রাতের ঢাকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আপনাদের সাথে এগুলো এখন শেয়ার করব। আমরা যখন ভ্যানে চড়ে আসতেছিলাম টেবিল নিয়ে তখন রাস্তা থেকেই ছবিগুলো তুলেছিলাম। আমার ফটোগ্রাফি করতে এমনিতেই ভালো লাগে ।
ফটোগ্রাফি করেছিলাম উদ্দেশ্যহীনভাবে। ভালো লাগলো তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেললাম। রাতের ঢাকা ছবিতে আসলেই সুন্দর লাগে। আর রাতে রিকশায় চড়তে দারুন লাগে। সবমিলিয়ে কালকের দিনটা ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে। ঢাকা শহরের নতুন বাসায় গোছগাছ করে থাকার মতো পরিবেশ করতে ভালই বেগ পোহাতে হয়।
ফটোগ্রাফি গুলো করা হয়েছে: Xiaomi Redmi note 9 pro max
লোকেশন: Dhanmondi, Dhaka,Bangladesh
No Edit ( Raw Photo)
এ পোস্টের মধ্যে আজকের একটা গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করি । যেহেতু প্রচন্ড গরম, ঢাকা শহরে বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি পাওয়া খুবই কষ্টের । পানি ফুটিয়ে খেতে হয়। আর যখন পানি তৃষ্ণা লাগে তখন যদি দেখা যায় ফুটানো পানি রয়েছে, এখনো ঠান্ডা হয়নি। তাহলে কেমনটা লাগে ভেবে দেখুন। এত গরমের মধ্যে ওই ফুটানো পানি কি করে পান করা সম্ভব। এজন্য আজকে ওয়ালটনের শোরুমে গিয়েছিলাম একটা ফ্রিজ কিনতে।
শোরুমে গিয়ে অনেক রকম ফ্রিজ দেখলাম। যেহেতু আমাদের ছোট্ট রুমের জন্য একটা ফ্রিজ দরকার, বেশি বড় হলে তো প্রবলেম। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এরকম কোন ফ্রিজ পেলাম না। একটি ফ্রিজ পেয়েছিলাম যেটার সাইজ ছোট ছিল, আমাদের পছন্দ ও হয়েছিল। কিন্তু ভেতরের ডিপ ফ্রিজ টা ছিল খুবই ছোট। যার কারণে ওটা আর নেওয়া হলো না।।
এই গরমের মধ্যে একটা ফ্রিজ নাহলে সত্যিই পানি খাওয়ার বিষয়টা খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। কিন্তু আজ ফ্রিজ কেনা হলো না। দেখি নেক্সটাইম যদি এর থেকে ভাল কোন অপশন পাই তাহলে সেটাই নিতে হবে। আজ তাহলে আমি বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে আবার নতুন কোন পোস্টে৷ সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
জ্বী ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন এই গরমের মধ্যে যদি ফ্রিজের ঠান্ডা পানি না খাওয়া যায় তাহলে খুবই কষ্ট লাগে। গরমের মধ্যে একটু পরপরই ফ্রিজ খুলে থান্ডা পানি খেতে হয়। ভাই আপনি খুব সুন্দর করে রাতের শহরের ফটোগ্রাফি করেছেন। ঝমকালো আলোর সুন্দর একটি পরিবেশ ছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ভাই আপনার মত আমারও একই অবস্থা। গরম মোটেই সহ্য করতে পারিনা। টেবিল কিনতে পারলেও ফ্রিজ কিনতে পারলেন না জেনে খারাপ লাগলো। এই প্রচণ্ড গরমে ঠান্ডা পানি খাবার জন্য একটা ফ্রিজ আসলে খুবই দরকার। আশা করি ওখানে না হলেও অন্য কোথাও পেয়ে যাবেন।
ঢাকা শহর না বলে টাকার শহর বললে মন্দ হয় না😁।
আর টেবিল এর থেকে তো দেখেই যাতায়াত ভাড়ায় বেশি হাহা।আর আমাদের এইদিকে জা ভেপসা গরম সেই হিসেবে ঢাকাতে কি হবে সেটা বুঝাই যাচ্ছে।আর যত দ্রুত পারেন একটা ফ্রিজ কিনে ফেলেন।এই গরমে পানি ফুটিয়ে না খেলেও আবার সমস্যায় পড়বেন।🙏
হু ভাই। সব টাকা পয়সা সুধু উরে চলে যায়।
রাতের ঢাকা রিক্সায় করে ঘোরার সৌভাগ্য হয়েছিল একবার। একবার বলতে বেশ কয়েকবার। তখন দেখেছিলাম রাতের ঢাকা শহর কেমন হয়। একেবারে যেন দিনের চারিদিক ঝলমল করে। টেবিল টা বেশি দাম পড়েনি। আমাদের এখানে কিনতে গেলেও বেশি পড়ে যাবে। আর ঢাকার শহরে সবচেয়ে বেশি হয় পানির কষ্ট। হুট করে আমাদের মতো পরিবেশ থেকে গিয়ে ঐ পানির কষ্ট মানিয়ে নেওয়া কিন্তু বেশ কষ্টের।।
হুম। টেবিল টা বেশ সস্তায় পেয়েছি।
ভাইয়া আপনি হচ্ছেন ফটোগ্রাফির গুরু। আপনি বাহির হলে ফটোগ্রাফি করবেন না আমাদের জন্য এটা কি হতে পারে। আর ফটোগ্রাফি মানেই হচ্ছে বাড়তি একটা আকর্ষণ, অপরূপ কিছু সৌন্দর্য উপভোগ করা। আর আপনার কম্পিউটারের টেবিল কিনার সাথে সাথে আমাদেরকে উপহার দিয়ে গেছেন ঝলমলে রাতের ঢাকার ফটোগ্রাফি গুলো। দেখে এতটাই ভাল লেগেছে যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। ভালোবাসা অবিরাম ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন ভাই। অনেকেই পোষ্টের মধ্যে ফটোগ্রাফী দেখতে একটু বেশি পছন্দ করে।
ভাইয়া ঢাকা শহর বিশেষ করে গরমের কারণে আমার কাছে অপছন্দনীয়। কিন্তু দিনের ঢাকার চেয়ে রাতের ঢাকা আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। চারিদিকে অনেক রংবেরঙের আলোর বিচ্ছুরণ মন কেড়ে নেয়। আমার মনে হয় আপনার কম্পিউটার টেবিলটি দামে বেশ সস্তা হয়েছে। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে ফ্রিজ না কিনে আপনি কম্পিউটার টেবিল কিনতে গেলেন কেন এটাই আমার বোধগম্য হচ্ছে না। যদিও কম্পিউটার টেবিল টা অনেক প্রয়োজনীয় তারপরেও এই গরমে ঠান্ডা পানি খাওয়াটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। রাতের ঢাকার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে দেখতে অসাধারণ লাগছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ওয়ালটনে ভালো তেমন ফ্রিজ আশা করাটাও একটু কঠিন কারণ খুব চাহিদা।তাই একটু খুঁজতে হবে।রাতের ঢাকা সত্যিই দারুণ!কবে যে যেতে পারবো।
আপনার বাসার টা পাঠিয়ে দিন। 😁
দাদা তোমার পোস্ট দেখে রাতের ঢাকার এক ঝলক নজরে এলো। আর ছোটো ফ্রিজ হয়ে যাবে দাদা। চাপ নেই। গরম টা সত্যিই অনেক বেশি পড়েছে । সুস্থ থেকো দাদা।
সুমন ভাই ঢাকাতে রাতের বেলা রিক্সা করে ঘুরতে আমারও অনেক ভালো লাগে কিন্তু কষ্ট একটাই টাকা লাগে অনেক বেশি 🤪। ঢাকার রিক্সা ভাড়া টা অনেক। তবে রাতের ঢাকার সৌন্দর্য একটু বেশি ভালো। আর ভাই ওয়ালটনের ফ্রিজ গুলো আমার কেন যেন ভালো লাগেনা। একই রকম কালার একই রকম ডিজাইন সবগুলোতে। তবে নিজেদের দেশে উৎপাদিত পণ্য হিসেবে ঠিক আছে 😊
সবকিছুর যা দাম।। কি একটা অবস্থা। 😑
ভাই রাতের ঢাকা আসলেই দেখতে অনেক সুন্দর। কিন্তু আপনি এই ভয়াবহ গরমের সময় ঢাকা গিয়েছেন শুনেই ভয় লাগছে। এতদিন গ্রামীণ পরিবেশে কত শান্তিতে ছিলেন। এখন দূষণের শহর ঢাকায় গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। কিভাবে থাকবেন সেটাই চিন্তা করছি। আর হ্যাঁ ফ্রিজ কেনার জন্য আপনি একটা ফেসবুক গ্রুপ এর সহায়তা নিতে পারেন। রিসাইকেল বিন নামে একটা পেজ আছে। সেখান থেকে আপনি কম দামে ভালো মানের পণ্য পেতে পারেন। চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
সত্যিই ভাই। গ্রামীণ পরিবেশে খুবই ভালো ছিলাম।
এখনই একটু খুঁজে আসি।