Bandarban Diary- থানচি টু আলীকদম।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। সবচেয়ে সুন্দর টাইম কাটানো রেমাক্রি আর নাফাখুমের পর্ব শেষ করে আমরা এবার প্রস্তুত হয়েছি ফিরে আসার জন্য। গোসল খাওয়া-দাওয়া শেষ করেই ব্যাগ পত্র গুছিয়ে নৌকায় উঠে পড়লাম ফিরে আসার জন্য।
এবার স্রোতের অনুকূলে যাব তাই জন্য নৌকা আরো জোরে যেতে পারবে। অর্থাৎ আসার সময় যে সময় লেগেছিল তার থেকে অনেক কম সময়ে পৌঁছে যাব থানছিতে। অপরূপ সৌন্দর্য ফেলে রেখে চলে আসার সময় একটু খারাপ লাগছিল। তবে মনের সান্ত্বনা যে এবার আমরা কক্সবাজার যাবো।
যাওয়ার সময় যে সৌন্দর্য গুলো দেখতে দেখতে গিয়েছিলাম সেগুলো আরো একবার দেখার সুযোগ হলো। বড় পাথর এলাকা পেরিয়ে তিন্দু পাড়া হয়ে আমাদের নৌকা চলতে লাগলো থানছির পথে। পাহাড়ের গায়ে বিকেল বেলার সূর্যের আলো এসে পড়েছে বলে দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছিল। পাহাড়ি রা নদীর কোল ঘেষে বিভিন্ন কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত। পাহাড়ের কোন একটা বিন্দুতে দেখা মিলবে ছোট্ট একটি ঘর আর সেখানে কয়েকজন পাহাড়ি তাদের কর্মে ব্যস্ত। এদের জীবন বৈচিত্র্য একেবারেই ভিন্ন।
ঘড়ির কাঁটা যখন সবেমাত্র তিনটা পেরিয়ে সাড়ে তিনটার দিকে ঠিক তখন মোবাইলে নেটওয়ার্কের ছোঁয়া পেলাম। নেটওয়ার্ক পেতেই সঙ্গে সঙ্গে ডাটা অন করে ইন্টারনেটে ঢুকলাম। এরপর বাড়িতে ফোনে কথা বললাম। নৌকা থেকে নেমেই আমরা আগে থেকেই ভাড়া করে রাখা গাড়িতে উঠে বসলাম। এবার আমরা সোজা চলে যাব আলীকদমে। সেখান থেকে কক্সবাজারের বাস ধরে সোজা কক্সবাজার চলে যাব।
পাহাড়ি উঁচু নিচু রাস্তায় আমরা আপন গতিতে ছুটে চলেছি। রাস্তার মাঝে আচমকাই একটা লোক গাড়ি থামাতে বলল। আসলে উনি একজন বাদাম বিক্রেতা। এই পাহাড়ের মাঝে গাড়ি পাওয়া দুষ্কর। আমরাও সম্মতি জানালাম ওনাকে সাথে নেওয়ার। উনি আমাদের সাথেই উঠে বসলো। কিছু দূর যাওয়ার পর আবারও আমাদের গাড়িটাকে থামিয়ে উনি একটা বাড়িতে গিয়ে ওনার আগে থেকে রেখে দেওয়া কয়েকটি ব্যাগ নিয়ে আসলো। পাহাড়ি রাস্তায় বেশি ব্যাগ নিয়ে চলাফেরা কষ্টকর তাই এখানে আগে থেকে রেখে কিছুটা ভার হালকা করে নিয়েছিলেন।
লোকটির সাথে অনেকক্ষণ গল্প করে অনেক কিছু জানতে পারলাম। পাহাড় সম্পর্কে অনেক গল্প করলেন তিনি। পাহাড়ে জীবন বৈচিত্র্য, এখানকার মানুষ কেমন, এখানে ব্যবসা করতে তার কেমন কি অভিজ্ঞতা হয়েছে সবকিছু। এভাবে গল্প করতে করতে আর সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আমরা পৌঁছে গেলাম আলীকদমে। এবার আলীকদম থেকে একটি বাসে উঠে পড়লাম সবাই। এরই মধ্য দিয়ে বান্দরবানের সুন্দর স্মৃতিময় ডায়রির সমাপ্তি ঘটলো।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বাহ! জায়গা গুলো দেখতে বেশ চমৎকার বলতে হয়। যদিও কাছাকাছি আছি এখনো থানছি আর আলীকদম ভ্রমণ করা হয়নি। মাঝেমধ্যে এমনই হয় যে ঘরের মানুষ পাশের মানুষ গুলো পাশে জিনিস গুলো দেখার সুযোগ পায় না। কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে আমার অনেক বেশি আগ্রহ জমে গেল। আর বাচ্চাদেরকে নিয়ে সব জায়গায় ভ্রমন করা খুবই কষ্ট হয়ে যায় যেহেতু পাহাড়ি এলাকা। অনেক ভালো লেগেছে আপনার ব্লগ টি পড়ে।
ওয়াও চমৎকার পাহাড়ি এলাকার ফটোগ্রাফি ৷ আসলে ভাই নদীতে নৌকা যখন স্রোতের বিপরীতে যাবে তখন বেস বেগ পেতে হয় ৷আর যখন অনুকূলে তখন ইজি ৷ যা হোক আলিকদমে যাওয়ার পথে বাদাম বিক্রেতা কে হেল্প করে ভালোই করেছেন ৷ আর যার জন্য হয়তো বা এই পাহাড়ি এলাকার বিষয়ে জীবন যাপন খাদ্য-ভ্যাস সবকিছু বিষয়ে জানতে পেরেছেন ৷ যা হোক এবার কক্সবাজারে বিষয়ে জানবো ৷ সেই অপেক্ষায় রইলাম ৷
এতো সুন্দর জায়গা থেকে ফিরে যাওয়ার সময় আসলেই খারাপ লাগে। রেমাক্রি আর নাফাখুমের পর্ব গুলো মনে হচ্ছে অনেক তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গিয়েছে। অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি দেখেছি এই পর্ব গুলোতে। যাইহোক হঠাৎ করে ফোনের মধ্যে এভাবে নেটওয়ার্ক দেখলে আসলেই খুব ভালো লাগে। সাজেক থেকে রওনা দিয়ে যখন খাগড়াছড়ির দিকে যাচ্ছিলাম,তখন আমার অনুভূতিটা এমন হয়েছিল। যাইহোক বান্দরবান পর্ব যেহেতু শেষ হয়ে গিয়েছে,এবার তাহলে কক্সবাজার পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকের কাছেই শুনেছি,বান্দরবন সব থেকে বেশি সুন্দর। আমরাও একদিন তিন্দু পাড়া পেরিয়ে পাহাড়ি সুন্দর্য উপভোগ করবো। সেই আশায় আছি। আপনারা পাহাড়ি রাস্তায় একজন বাদাম বিক্রেতাকে সাহায্য করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।