ঢাকাতে প্রথমবার মোটরসাইকেলে চড়ে ।
আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। গত শুক্রবার এর আগের শুক্রবারে আমি হঠাৎই বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এই বিষয়ে একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। ডাক্তার দেখিয়ে, অসুস্থতা কাটিয়ে পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক করে আবার আজকে ফিরলাম ঢাকাতে। এরই মাঝে আমার অনেকগুলো ক্লাস মিস হয়ে গেছে।
আমি আরো আগে ঢাকাতে চলে আসতাম। কিন্তু গতকাল রাতে আমার রিপোর্টগুলো ডাক্তার দেখেছেন ৷ রিপোর্টগুলো একটু দেরিতে হাতে পাওয়ায় ঢাকাতে আসতেও দেরি হয়ে গেল। ডক্টর ওষুধ লিখে দিয়েছেন এবং সাতদিন পর আবারও দেখা করতে বলেছেন। কিন্তু ইতিমধ্যে আমার অনেকগুলো ক্লাস মিস হয়ে গেছে। আমাকে ঢাকাতেও চলে আসতে হল ৷ আমি তো সাত দিন পর ডাক্তারের সাথে দেখা করতে পারবো না ৷ এইজন্য ডাক্তার একটা সমাধান ও দিয়ে দিয়েছে। উনার সাথে আগামী শুক্রবারে ভিডিও কলে কথা বলতে হবে। সমাধান পেয়ে নিশ্চিন্ত মনে আজকে ঢাকা ফিরেছি।
রওনা দিয়েছিলাম সকাল সাড়ে দশটার দিকে। আমি আগে কখনোই ঢাকা পর্যন্ত বাইকে আসিনি। তবে এবার আমি এবং আমার এক ছোট ভাই যে আমার সাথেই থাকে, আমার রুমমেট রাহুল। ওর মোটরসাইকেলে দুইজন ঢাকা পর্যন্ত আসবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সকাল সাড়ে দশটার দিকে আমরা রওনা দিয়েছিলাম বাসা থেকে। আমাদের বাসা থেকে ঢাকায় পাটুরিয়া ফেরীঘাট অথবা যমুনা সেতু হয়ে আসতে হয়। পাটুরিয়া ফেরীঘাট হয়ে আসাটাই বেশি সুবিধা। এজন্য এই পাশ দিয়েই এসেছি।
সূর্য যখন প্রায় মাথার উপর, দুপুর বাজে বারোটা। তখন আমরা ফেরীতে উঠলাম। বাসে ফেরীতে উঠতে মিনিমাম ৩০ মিনিট থেকে ৬০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। এ পর্যন্ত যতবার যাতায়াত করেছি তার এক্সপেরিয়েন্স থেকেই বললাম। কিন্তু আমরা কোথাও এক মিনিটের জন্যও জ্যামে দাঁড়াইনি। বাইক নিয়ে আসার এটা একটা সুবিধা। ফেরীতে ওঠার পর আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে সৌন্দর্য দর্শন করতে করতে নদী পাড়ি দেওয়া। সৌন্দর্য প্রেমীরা সব জায়গায় সৌন্দর্য খোঁজে।
Device: Redmi Note 9 Pro Max
ঘাট পার হতে আমাদের ৪০± মিনিট সময় লেগেছিল। ঘাট পার হওয়ার পর একেবারে এক টানে চলে এসেছি নবিনগর। আমরা ভেবেছিলাম স্মৃতিসৌধের ওইখানে এসে কিছু সময় রেস্ট করব। কারণ মোটরসাইকেলের পিলিওন হয়ে দীর্ঘ সময় বসে থাকাটা সত্যিই পেইনফুল। আমরা এদিকে এসে কিছু সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম কিন্তু স্মৃতিসৌধের ওইখানে দাঁড়ানো হয়নি। ওটা অনেক ঝামেলা পূর্ণ একটা জায়গা। নিরিবিলি সাইডে এসে দু'চার মিনিট জিরিয়ে নিয়ে আবার আমরা রওনা দিয়েছিলাম। এবার সোজা গাবতলী বাস টার্মিনাল হতে ডান সাইডের রাস্তা ধরে সোজা ধানমন্ডিতে চলে এলাম। আমরা এসে পৌছালাম সাড়ে তিনটার সময়। তাহলে আমাদের আসতে মোট সময় লাগলো সাড়ে চার ঘন্টা। একটু কম বেশি হতে পারে। কিন্তু অনেক কম সময় লেগেছে। বাসে আসতে আমাদের ৭ ঘন্টা বা তারও বেশি সময় লাগে।
যাহোক আবার ঢাকাতে এসে পৌছালাম। ঈদের আগ পর্যন্ত নিয়মিত ক্লাস করতে হবে। ঈদের পরে হয়তো আমার আসতে দেরি হবে এজন্য এখন একটুও ফাঁকি দেওয়া যাবে না। তো.. সবমিলিয়ে আজকের জার্নিটা খুবই সুন্দর ছিল। ঢাকাতে এসে যখন পৌঁছেছি তখন একটুও ক্লান্তি লাগছিল না। এইতো একটু পরেই আবার আমি আর রাহুল ঘুরতে বেরোবো । এখন তাহলে আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বাইকে করে ঢাকা যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমার কখনোই হয়নি, তবে ইচ্ছা আছে যাওয়ার। বাইক জার্নিটা আমার অনেক পছন্দের কারন আপনিও বলে দিয়েছেন। বাইকে করে গেলে জ্যামে আটকানোর অসুবিধা থাকে না।অলিগলি দিয়ে বের হয়ে যাওয়া যায়।
ফেরিতে ওঠার পর চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলেই সৌন্দর্য প্রেমীরা সব জায়গায় সৌন্দর্যই খুঁজে এবং সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে খুবই পছন্দ করে।
আপনার বাড়ি থেকে ঢাকা যাওয়ার এই পোস্ট টি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে শরীর এবং মন দুটোই যদি ভাল থাকে তাহলে যেকোনো জায়গাতেই সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
মোটরসাইকেলে ঢাকা যাবার অভিজ্ঞতা আমার কখনো হয়নি। 7 ঘন্টার রাস্তা 4 ঘন্টায় আসতে পারাটা দারুন ব্যাপার। সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ইচ্ছেমতো ব্রেক নেয়া যায়। তবে একটা অসুবিধাও আছে আর তা হচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। আমার খুব কাছের এক ভাই কয়েক বছর আগে ঢাকা যাবার পথে এক্সিডেন্ট এ মারা গিয়েছিল। যাই হোক ভাল লাগলো আপনাদের বাড়ি থেকে ঢাকা যাওয়ার অভিজ্ঞতা। আশা করি সবরকম সর্তকতা অবলম্বন করে বাইকে উঠবেন। শুভকামনা রইল
ভাইয়া আপনার লং ড্রাইভের কথা শুনে আমার ভেতরটা কেমন জানি একটু কাপন ধরেছে। বলতেই পারেন কেন, লং জার্নিটা আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর। যদিও আপনি ৭ ঘন্টার রাস্তা চার ঘন্টায় এসেছেন এবং জিরিয়ে জিরিয়ে আসছেন। তবুও রিক্স থেকে যায়। আপনার বাড়ি থেকে বের হওয়া থেকে শুরু করে ঢাকায় পৌঁছানো পর্যন্ত আপনার মনের ভাবগুলো শেয়ার করার সাথে সাথে আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন দৃষ্টিনন্দন কিছু ফটোগ্রাফি। আপনার জন্য রইল ভালোবাসা অবিরাম।
ব্যাপার না,ক্লাস মিসের গ্যাপগুলো পুষিয়ে নিয়েন।আগে শরীর ভালো রাখতে হবে।
নতুন অভিজ্ঞতায় ঢাকা গেলেন এবার,পড়ে ভালোই লাগলো।ফটোগ্রাফিগুলো সুন্দর ছিল।
শুভ কামনা জানাই 💜
জি ভাই। শরীর ভালো না থাকলে আসলে কিছুই ভালো লাগেনা।
ভাইয়া আপনি ডাক্তার দেখিয়ে এবং অসুস্থতা কাটিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনি মোটরসাইকেলে জার্নি করে ঢাকায় ফিরেছেন তাই সময় অনেক কম লেগেছে। আপনার এই জার্নি অনেক সুন্দর হয়েছে এটা বোঝাই যাচ্ছে। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার জার্নির গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। ♥️♥️
আপনার জন্য অনেক ভালোবাসা এবং শুভকামনা রইল ভাই।
প্রকৃতির প্রেমিক যারা তারা প্রকৃতির সৌন্দর্য সবয়ই খুঁজে বেড়াই যেমনটি আপনি ফেরিতে ওঠার পর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলো মনোযোগ সহকারে উপভোগ করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভাইয়া, মোটরসাইকেল করে ঢাকায় আসা খুবই একটি জার্নি বলতে গেলে, তবে বাসে যাওয়া থেকে মোটরসাইকেলে যাওয়া কারণে জ্যাম আটকান নি ভাইয়া। ভাইয়া, আমার খুব খারাপ লেগেছে যখন পোষ্টের প্রথম দিকে পড়েছি যে আপনার শরীর অসুস্থ আল্লাহ যেন আপনাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেয়। ভাইয়া, মোটরসাইকেল দিয়ে এত দূরে জার্নি না করাটাই ভালো সাবধানে মোটর সাইকেলে চলাচল করবেন আর সুস্থ থাকবেন দোয়া করি। ধন্যবাদ ভাইয়া।।
ধন্যবাদ আপু দোয়া করার জন্য। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে জাস্ট অবাক হয়ে গেলাম। মাত্র চার ঘন্টায় আপনি বাইকে করে ঢাকায় পৌঁছে গেলেন। এটা সত্যিই অবাক করার মত। তবে এটা অনেক রিস্কি। আমি বলবো এভাবে রিক্স নিয়ে বাইকে জার্নি না করাই ভালো।আরো ভালো লাগছে ডাক্তারের সাথে ভিডিও কলে কথা বললে সমাধান করে নেবেন।তবে আপনার ক্লাসগুলো মিস হয় একটু কষ্ট পেলাম।আপনার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।♥♥
খুবই সুন্দর একটি বাইক জার্নি করেছ বন্ধু। বাইকে করে প্রথমবার ঢাকাতে গেছ এজন্য একটু বেশি কষ্ট হয়েছে নিয়মিত বাইক নিয়ে যাতায়াত করলে অভ্যাস হয়ে যাবে তখন আর কিছু মনে হবে না। আমিও বাইক নিয়ে অনেকবার ঢাকাতে গিয়েছি সেটা অবশ্যই তুমি জানো। ইনশাল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি ঢাকাতে আসতেছি।
দ্রুত ঢাকায় চলে আয় একসাথে ঘোরাঘুরি হবে।
ইনশাআল্লাহ খুব তারাতাড়ি আসবো। অনেক ঘোরাঘুরি করতে হবে।
কত জার্নি! তবে ফেরী ঘাটের সৌন্দর্য্য দূর্দান্ত ছিল। আমি ভীষণ পছন্দ করি ফেরী থেকে দেখতে পাওয়া সৌন্দর্য্য টা। মনে হয় চারদিকের সব টা যেন ওখান থেকেই দেখা যাচ্ছে। মাঝ নদীতে দৃশ্য টা আরো বেশি মনোরম লাগে।
ঢাকাতে মোটরসাইকেল নিয়ে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমার এখনো হয়নি। কেমন অনুভূতি কষ্টদায়ক হয় সেটা জানিনা। আপনার প্রথম অভিজ্ঞতার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।