অকারণে!!steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? জীবনে আমরা কত কিছুর সাক্ষী হই, কত কিছু দেখি। পৃথিবীতে কত অযথা কাজ চলছে প্রতিনিয়তই। কোন কারন ছাড়া আমরা অনেক কিছুই করে ফেলি মাঝেমধ্যেই। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপার আর আমাদের পার্সোনাল লাইফের ব্যাপার কিন্তু সেইম না। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন অনেক কিছুই আছে যেগুলো অযথাই করানো হয়।

তখন ক্লাস নাইনে উঠেছি। শুরু হয়েছে অ্যাসাইনমেন্টের প্যারা। প্রথম কিছুদিন ভালোই লাগছিল কিন্তু পরবর্তীতে বিষয়টা আমার বিরক্ত লাগতো খুব। স্যারেরা কিছু বিষয়ের উপর লিখতে দিত আর আমরা সেগুলো বই থেকে দেখে দেখে লিখে আনতাম। এক্সপেরিমেন্ট তো দূরের কথা যে বিষয়টা লিখছি সেই বিষয়টা নিয়ে আলাদা কোন ক্লাসে আলোচনা পর্যন্ত হতো না। হ্যাঁ ওই অধ্যায় টা নিয়ে ক্লাস হতো কিন্তু স্পেসিফিক ভাবে অ্যাসাইনমেন্টের টপিকস নিয়ে কোন স্পেশাল আলোচনা ছিল না।

রোবটের মতন স্যারেরা অ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছেন আর আমরা এসাইনমেন্ট করে নিয়ে জমা দিচ্ছি। আমার প্রতিনিয়তই মনে হতো যে এসাইনমেন্ট গুলো আমরা করতেছি এর কোন প্রয়োজনীয়তা নেই পরবর্তীতে। এখন তো আমরা সবাই ব্যাপারটা বুঝি। কৃষি শিক্ষা বইয়ে তো কিছু এসাইনমেন্ট ছিল যেগুলো একটু মজাই পেতাম। আর বাকিগুলোতে প্রচন্ড বিরক্ত হতাম। ফিজিক্স আর কেমিস্ট্রির অ্যাসাইনমেন্ট গুলো না বুঝেই করত প্রত্যেকটা স্টুডেন্ট। ভেবেছিলাম হাই স্কুল লেভেলে হয়তো এগুলো এরকমই গুরুত্বহীন। হয়তোবা কলেজে গিয়ে এগুলো খুব ভালোভাবে শেখাবে।

কলেজে উঠার পরও দেখি সেই একই অবস্থা। তবে কলেজের ব্যাপারটা একটু ভালো ছিল। সেই ব্যাপারে একটা আলাদা প্রাকটিক্যাল ক্লাস নেওয়া হত। কিন্তু দিন শেষে কি শিখতো? ল্যাবে গিয়ে সবাই আড্ডা দিতো। ল্যাবের ক্লাসের দিন আমাদের খুব মজাই হতো, হাহাহা। প্রথম সেমিস্টার থেকে শুরু করে অষ্টম সেমিস্টার পর্যন্ত প্রচুর প্রচুর অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছি যেগুলো এক জায়গায় করলে হয়তো বড়সড় একটা বস্তা ভরে ফেলা যাবে। আর স্টুডেন্ট রা তো সবসময়ই একজনেরটা দেখে অন্যজন কপি করত এটা চিরচারিত একটা ব্যাপার। মাঝেমধ্যে স্যার বলে দিতে একজনের লেখার সাথে আরেকজনের লেখার মিল থাকলে মার্ক দেওয়া হবে না কারোরই। আমরাও ছিলাম এক ধাপ উপরে ওই ঘুরিয়ে পেচিয়ে লিখে দিতাম। যেমন একজন লিখেছে আমার সোনার বাংলা। আর একজন লিখলো সোনার আমার বাংলা। আর একজন লিখল বাংলা আমার সোনার , এরকম।

কলেজ লাইফ শেষ করে ভার্সিটিতে আসার আগে ভেবেছিলাম ভার্সিটির ব্যাপারটা হয়তো অন্যরকম। হয়তোবা এখানে ল্যাব ক্লাস গুলোর উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। কিন্তু যে লাউ সেই কদু, সেই একই অবস্থা। আসলে স্কুল লাইফ থেকে আমি দেখে আসছি স্যাররা কখনোই অ্যাসাইনমেন্ট খুঁটিয়ে দেখেনা। যে জমা দিয়েছে নাম দেখেই মার্ক দিয়ে দেয়। পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে আমার এখনো মনে হয় এটাই চলে প্রত্যেকটা লেভেলে। যেমন স্কুল কলেজ ভার্সিটি ইত্যাদি ইত্যাদি। যাহোক যেভাবে চলছে করার তো আর কিছু নেই আমাদের হাতে কপি পেস্ট ছাড়া।

আমার গত সেমিস্টারে একটা সাবজেক্টে পরীক্ষার কিছুদিন আগে এসাইনমেন্ট দিয়েছিল। মোট টপিক ছিল পাঁচটি। প্রত্যেকটা টপিক্সে লিখতে হয়েছিল ৮-১০ পেইজ করে। আমার লাইফে সবচেয়ে বিরক্তিকর অ্যাসাইনমেন্ট ছিল সেটি। আমি জানি প্রত্যেকটা স্টুডেন্টেরই এমন অভিজ্ঞতা আছে। আপনাদের অভিজ্ঞতাগুলোও শেয়ার করিয়েন একদিন। আজ এখানেই বিদায়, আল্লাহাফেজ।

abstract-1264071_1280.webp
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

20230619_2107145.gif



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

20230619_2107145.gif

Sort:  
 11 months ago 

আপনার অনুভূতি দিয়ে লেখা গুলো সবটাই সত্যি। আর এমন অভিজ্ঞতা আমাদের দেশের প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীদের ই জানা।এ দেশে শিক্ষা ব্যবস্থাতে বেশীরভাগই ফর্মাল।এভাবেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।আমরা যে বিষয় নিয়ে পড়াশোনা শেষ করি।কিন্তু জব পাই অন্য কিছুতে।এটা তো নতুন নয়।পড়াশোনার পদ্ধতি বদলানো হলেও শিক্ষার মান একই আছে।ধন্যবাদ ভাইয়া বিষয়টিকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য।

 11 months ago 

বেশ সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজ আপনি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আমার মনে হয় পড়াশুনার মান ঠিকই পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কি সবাই পাচেছ। আমরা যে বিষয় নিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করছি সে বিষয় নিয়ে আমাদের কর্ম হচেছ না। সেই ক্ষেত্রেও বেড়েই চলছে জটিলতা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

সত্যি বলেছেন ভাই যে লাউ সেই কদু। সেই ক্লাস নাইন থেকে অ্যাসাইনমেন্ট করা শুরু করেছেন এখনো অ্যাসাইনমেন্ট করেই যাচ্ছেন আরও যে, কতদিন করতে হবে এর কোন ঠিক ঠিকানা নেই। আসলে অ্যাসাইনমেন্ট মানেই বিরক্তি।

 11 months ago 

এটা স্যারেরাও খুব ভালোভাবে জানে যে, অ্যাসাইনমেন্ট একে অপরেরটা কপি করেই রেডি করে প্রতিটি স্টুডেন্ট। তবু্ও সবাইকে ব্যস্ত রাখতে অ্যাসাইনমেন্ট করতে দেওয়া হয়। স্যারেরা জাস্ট ফর্মালিটি মেইনটেইন করে। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাটাই অদ্ভুত টাইপের। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59493.68
ETH 2649.33
USDT 1.00
SBD 2.45