গ্রামটি সুন্দর।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। গত দুই তারিখে এসেছিলাম যশোর। সাধারণত আত্মীয়দের বাড়িতে গিয়ে আমার বেশিদিন থাকা হয় না। অনেকগুলো সমস্যা থাকে। বিশেষ করে ইন্টারনেট প্রবলেম টা আমার সবচেয়ে বেশি টেনশনে ফেলে দেয়।
এবার দু তারিখ থেকে আট তারিখ পর্যন্ত লম্বা একটা সময় নিয়ে এসেছিলাম। আগামীকাল সকালে ইনশা আল্লাহ বাড়ির দিকে রওনা দিব। এই লম্বা সময়ের জন্য ইন্টারনেটের একটা ব্যবস্থাও করে ফেলেছি এখানে এসে। আসার পরের দিনেই ওয়াইফাই লাইন নিয়ে নিয়েছি এখানে। ইন্টারনেট সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।
আসলে এখানে এসেছি একটা বিয়ের দাওয়াতে। বিয়ের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন কাজে থাকতে হবে তাই ছুটিটা লম্বা সময়ের। বিয়েটা হচ্ছে আমার ওয়াইফের চাচাতো বড় ভাইয়ের। যাইহোক যেদিন এসেছিলাম তার পরের দিন খেজুরের রস খেয়েছি এখানে এসে। একদিন পরে আবারো চার গ্লাস খেয়েছি। আসলে যশোরে খেজুরের গাছ প্রচুর। সারাদেশেই বিখ্যাত এখানকার খেজুরের রস আর খেজুরের গুড়।
যাইহোক, গত পরশুদিন গিয়েছিলাম বিয়ের সাথে। বিয়েটা বেশি দূরে হচ্ছে না। পাশেই কয়েকটা গ্রাম পরে। যেদিন বিয়েতে যাচ্ছিলাম সেদিন যাওয়ার সময় গ্রামের দৃশ্য গুলো দেখে আমার এতটাই ভালো লেগেছে যে ক্যামেরা বন্দি করতে ভুলিনি। যদিও গাড়ির মধ্যে থেকে ভালোভাবে তুলতে পারিনি।
জায়গাটিতে না নামলে গ্রামের এই আসল সৌন্দর্যটা কখনোই ফোনের মাধ্যমে ছবি তুলে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। অসাধারণ অপূর্ব সুন্দর একটি গ্রাম। গ্রামের বড় একটি মাঠ আর মাঠের মাঝখান দিয়ে রাস্তাটা অত্যন্ত সুন্দর ছিলো। যাওয়ার সময়েই আমি মনস্থির করে ফেলেছি সুযোগ পেলে কোন একদিন এই গ্রামে শুধুমাত্র এই জায়গাটায় ঘুরতে আসবো।
সৌন্দর্যটা বহুবনে বেড়ে গিয়েছে সরিষা ফুলের কারনে। ভাবছিলাম আরো কিছুদিন আগে আসতে পারলে আরো বেশি সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেতাম। সরিষা ফুলের পরিমান এখন অনেকটাই কমে গেছে। যাইহোক, সুন্দর দৃশ্য দেখতে দেখতে বিয়ে বাড়িতে পৌঁছে গেলাম।
বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বরের পাশে বসে ভরপুর খেয়েছি সেদিন। এই কদিনে এতটাই খাওয়া হয়েছে যে আমার তিন কেজি ওজন বেড়ে গেছে। খাওয়া-দাওয়া আগামী কাল পর্যন্ত চলবে। তারপর বাড়িতে গিয়ে কিছুদিন শুধুই শাকসবজি খেতে হবে। যাইহোক, এলোমেলো এই পোস্টটি এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সারি সারি সরিষার খেত, খেজুরের গাছ, আবার তাল গাছও দেখছি! শীতের এই সময়ে আমরা যারা গ্রামে যেতে পারি নি, আপনাদের শেয়ার করা ছবি দেখে দেখেই সাধ মিটিয়ে নিচ্ছি আর কি! গ্রামটি আসলেই বেশ সুন্দর, নয়ন জুড়ানো যাকে বলে।
অনলাইন ভিত্তিক কাজ তাই ইন্টারনেটের সমস্যা হলে বেশ বিরক্ত লাগে। আর যেখানে ইন্টারনেটের সমস্যার সে সব জায়গায় যেতেও ইচ্ছা করে না কারণ কাজের সমস্যা হয়ে পড়ে। যাক যেহেতু ইন্টারনেট সমস্যা আপনি নিশ্চিত করলেন তাহলে বেশ ভালোই হলো। তবে গ্রামের দৃশ্য গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর পরিবেশ মনে হচ্ছে কোন শিল্পীর আঁকা দৃশ্য দেখতেছি। এত নিখুঁত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে অনেক ভালো লাগলো।
ভাই শীতকালে বিয়ে মানেই ভরপুর খাওয়া দাওয়া। তাই ওজন নিয়ে টেনশন করবেন না,নির্দ্বিধায় খেয়ে যান😂। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। এতো চমৎকার জায়গা অনেকদিন পর দেখলাম মনে হচ্ছে। সরিষা ফুলের সৌন্দর্য্য দেখলে মনটা এমনিতেই ভরে যায়। তার সাথে সবুজ ক্ষেত,গাছগাছালি, এককথায় একেবারে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এই শীতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যি অনেক গুণ বেড়ে যায় এই সরিষা ক্ষেতের জন্য। জাস্ট বলবো ওয়াও লাগছে ফটোগ্রাফি গুলো দাদা! খুবই সুন্দর গ্রামীণ দৃশ্য দেখতে পেলাম এই পোস্টটির মাধ্যমে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ভ্রমণের সময় আমি যশোর এলাকায় ঘুরতে গেছিলাম। সেখানে সত্যিই অনেক খেজুরের গাছ দেখা যায়, এটা আমি নিজেও দেখেছি। যাইহোক, ওভারল বলবো গ্রামের সৌন্দর্যটা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সেই সাথে, সেদিন বিয়ে বাড়ি গিয়ে ভরপুর খাওয়া দাওয়া করেছেন জেনে ভালো লাগলো। তবে এত কি খাওয়া দাওয়া হলো ভাই, যে এই কয়েকদিনে তিন কেজি ওয়েট বেড়ে গেল?