মটরশুঁটির ফল সেদ্ধ।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আমি আজ আমার বাড়িতে পুরো একা ছিলাম। সকালের দিকে আমার ফ্যামিলির সবাই আপুদের বাসায় গিয়েছে। আপুদের বাসায় যেতে আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ৬ ঘন্টা সময় লাগে। ফ্যামিলির সবাই বাসা থেকে রওনা দিয়েছিল সকাল ১১ টার দিকে। বাড়িতে আমি পুরো একা থাকায় বাড়িতে মন বসছিল না। চিন্তা করলাম অনেকদিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়না। আমরা কয়েকদিন আগে থেকেই প্ল্যান করছিলাম সুযোগ-সুবিধা আসলে আমরা সবাই মটরশুঁটির ফল সেদ্ধ খেতে যাব। আজ পরিবেশটা সম্পূর্ণ অনুকূলে ছিল। তাই আজকেই যাব ডিসিশন নিয়ে ফেললাম।
আমরা দুপুর তিনটার দিকে বেরোলাম। আজকের দিনটা রোদ্রউজ্জল ছিল। দুপুরের এই টাইমটা তে শীত ছিলই না বলতে গেলে। কিন্তু যাওয়ার সময় সাথে করে একটি জ্যাকেট আর একটি চাঁদর নিয়ে গিয়েছিলাম। কারন আসতে আসতে রাত হয়ে যেতে পারে। আমরা মোট গিয়েছিলাম ৭ জন। বাইক ছিল তিনটি। উদ্দেশ্য ছিল দূরের একটি ফাঁকা মাঠে যাওয়ার। আমাদের মধ্যে যারা গিয়েছিল তাদের মধ্যেই একজন ছিল যাদের জমিতে মটরশুঁটি আছে ।
আমরা খুব অল্পসময়ের মধ্যেই পৌঁছে গিয়েছিলাম মাঠে। মাঠে পৌঁছানোর পরে প্রথমে আমরা একটা খুলায় গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে কয়েকটি আঁখ খেলাম।
আঁখ খাওয়া শেষ করে আমরা আর একটু সামনে এগিয়ে গিয়ে আমাদের সেই জমিতে পৌছালাম । যাওয়ার পর প্রথমে আমরা যেটা করেছি, প্রত্যেকেই গাছগুলো থেকে অল্প অল্প করে মটরশুঁটি ছিঁড়ে পাত্রে রাখছিলাম। এটা আমরা সবাই করেছি। একসাথে সবাই করার ফলে বেশি একটা সময় লাগেনি। আমার যাবার সময় সাথে করে একটি পাত্র নিয়েছিলাম। যেটাতে ফলগুলো সিদ্ধ করা হবে। কিছু সময়ের মধ্যে পাত্রটি প্রায় ভরে ফেল্লাম আমরা সবাই মিলে। পত্রটি যখন ভরে গেল তখন পাশের একটা শ্যালো মেশিন থেকে পাত্র ভরে পানি নিয়ে এসে লবণ মিক্স করে নিলাম আমরা।
এরপর যেটা করলাম, আমার খুবি ভালো লাগছিল। ছোটবেলার স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যাচ্ছিল। ছোটবেলায় বড় বড় ঢিল এক জায়গায় জড়ো করে ভাটা বানাতাম, আর সেখানে আগুন ধরিয়ে দিতাম। আজ মাঠের মধ্যে এসে সেই ছোটবেলার মতন করে একটি চুলা বানিয়ে আমাদের মটরশুঁটি ভরা পাত্রটি চুলার উপর রেখে আগুন জ্বালিয়ে দিলাম।
সময়টা বেশ ভালই কাটছিল। অনেক আড্ডা আর অনেক মজা করছিলাম আর এদিকে আমাদের ফলগুলো সিদ্ধ হচ্ছিল। ফলগুলো সেদ্ধ হতে বেশি একটা সময় লাগল না। ফলগুলো সিদ্ধ হওয়ার পর সেগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ঢেলে সবাই খুব মজা করে খেলাম। একদম পরিমাণ মতই সেদ্ধ করা হয়েছিল। বেশিও না কমও না। সবাই খুব তৃপ্তি সহকারে খেতে পেরেছে।
ফল সিদ্ধ খাওয়া শেষ হওয়ার পর আমরা আরো কিছুক্ষণ সময় মাঠের মধ্যেই ছিলাম। এরপর বেলা ফুরিয়ে আসছিল। তখন আমরা সবাই বাইক নিয়ে বাড়ির দিকে আবার রওনা দিলাম। আর এটাই ছিল আমার মটরশুঁটির ফল সিদ্ধ খাওয়ার অভিজ্ঞতা। মাঝে মধ্যে এরকম ছোটবেলায় ফিরে যেতে খুবই ভালো লাগে। তো যাই হোক আজ আমি বিদায় নিচ্ছি। সকলেই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
আমি ঠিক বুঝলাম ই না আপনি কি খেলেন!!
কোথায় ফল?
এগুলো তো মটরশুঁটি না?
ওই যে সবুজ লম্বা লম্বা যেগুলো দেখতাছেন ওই গুলোর মধ্যে মটরশুঁটির ফল থাকে। আর এগুলোকে মটরশুঁটি বলে।
এগুলো তো লবণ মরিচ দিয়ে ভেজে খায়না?
হুম,, বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়।
ছোটবেলায় আমরা খোলা মাঠে এরকম করে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি রান্না করে খেতাম। আপনার পোস্টটি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।এরকম ভিন্নধরনের একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই ।
মাঝে মাঝে আমরাও অনেকে মিলে ঝোলাপাতিল খেলতাম।এ রকম মাটি কিংবা ইট দিয়ে লারকি চুলা বানিয়ে রান্না করা হতো। আজকে আপনার মটর শুটি সিদ্ধ দেখে আমার মনে পরে গেলো এই দিনগুলার কথা।তাছাড়া গ্রামে আলু ক্ষেতে আলু তোলার সময় এভাবে আলু সিদ্ধ করে খাওয়া হতো। ধন্যবাদ ভালো ছিলো।
ছোটবেলায় আমরা এরকম মাটির জিনিসপত্র নিয়ে খেলা করতাম। সত্যি দিনগুলো অনেক সুন্দর ছিল।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার অসাধারণ পোস্টটির জন্য। মটরশুটি জমি বাড়িতে গিয়ে সুন্দরভাবে পাতিলে করে মোটর সুটি সেদ্ধ করে খেলেন। আমার কাছে মনে হচ্ছে, মটরশুটি দিয়ে পিকনিক খাচ্ছেন। বিকেলের এই সময়টা খুব উপভোগ করেছেন,তা আপনার পোষ্টের ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে। জমি বাড়ি থেকে বিদায় নেবার বেলায় সূর্য অস্ত যাওয়ার প্রাকৃতিক দৃশ্যটি আমার কাছে খুবই চমৎকার লেগেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপনি সঠিক বলেছেন। বিকেলটা খুবই উপভোগ্য ছিল। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
মটরশুঁটির ফল সিদ্ধ শিরোনামে আপনি চমতকার একটি গল্প বানিয়ে ফেলেছে।আপনার উদাসী মনের এমন বিচলতা আমাকে কৈশোরে ফিরিয়ে নিয়েছে।নদীর পাশে বসে অন্যের জমি থেকে আখ খাওয়া,বিলের জমিতে হাড়ি বসিয়ে পুস্নো(পিকনিক)খাওয়া। সত্যিই ভাইয়া অসাধারণ রেসিপির আড়ালে সুন্দর গল্প যা সত্যিই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ, শ্রদ্ধা ও ভালবাসা রইলো।
গতকাল আরো অনেক কিছু করেছি, অনেক মজা করেছি। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে সবকিছু তুলে ধরতে পারিনি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় খুব সুন্দর ছিলো ভ্রমনের অভিজ্ঞতা।
আপনার এই ধরনের উদ্দীপনা সত্যি খুব ভালো লাগে ।এই বয়সেও আপনি শৈশব কালের মত দিন যাপন করছেন যা সত্যিই অসাধরন।কারণ সবাই পারেনা ।তাছাড়া আখ খাওয়া ,খোলা মাঠে মটরশুঁটি সিদ্ধ খাওয়া সব মিলে অন্য ধরনের এক অনুভূতি কাজ করছে ।আমার জীবনের এই অভিজ্ঞতার কিছুই অর্জন হলো না ।আপনার ফটোগ্রাফি নিয়ে আমি কিছু বলব না ।ভালো থাকবেন ভাইয়া ।
আসলে আমি বড়দের মতো চুপচাপ গাম্ভীর্য জীবন-যাপন পছন্দ করিনা। বাচ্চাদের মতন ছুটোছুটি করে বেড়াতে মন চায় সবসময়। আর আমার যেটা মন চায় সেটাই করি। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যি আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। আমরাও ছোটবেলাই ঠিক এমন ভাবেই অনেকগুলো ঢিল এক জায়গায় করে ভাটা বানাতাম এবং সেখানে আগুন জ্বালাতাম। 🙂। আপনার পোস্টটা সত্যিই চমৎকার ছিল। মটরশুঁটির সিদ্ধ খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি ছোটবেলায় অনেক খেয়েছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটা গোছালো পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।❤️❤️❤️❤️
মাঝে মাঝে সময়-সুযোগ পেলে আবার ছোটবেলায় হারিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। ভালো লাগবে।
মটরশুটি ফল শুধু আপনি খুবই ভালো হবে উপস্থাপন করেছেন। আমরা আগে গ্রামের ধারে নদীর পারে বন্ধুরা মিলে দলবেঁধে গিয়ে মোটর সুটি তুলে কচায় খেয়ে ফেলতাম। এটি খেতে বেশ দারুন লাগতো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ এটা কাঁচা খেতেও ভালো লাগে। আমিও খাই মাঝেমধ্যে। কিন্তু সেদ্ধ করে খেতে ভিন্ন এক স্বাদ পাওয়া যায়।
মটরশুঁটি সেদ্ধ করা দেখে আমারও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল ভাইয়া। আমরা ছোটবেলায় সকলে মিলে মাটির বড় বড় ঢিলগুলো একত্র করে চুলা তৈরি করতাম। এরপর এই চুলায় ভাত রান্না করতাম। সত্যি সেই দিন গুলো অনেক সুন্দর ছিল। আপনার এই পোস্ট পড়ে ছেলেবেলার সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। আপনি অনেক আনন্দ করেছেন এটা বোঝা যাচ্ছে ভাইয়া। আপনার এই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ঠিক বলেছেন আপু। আসলে সেই সময়ের স্মৃতি গুলো সত্যিই দারুণ ছিল। যখন মনে পড়ে তখন সেই সময়ে হারিয়ে যেতে হয়।
ভাই আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ। তারপরে আপনি মটরশুঁটির খুবই সুন্দর ভাবে সিদ্ধ করে সবাই মিলে খেলেন। অনেকগুলো মটরশুঁটি ছিল সব গুলো আপনাদের ঠিক পরিমাণমতো হয়েছিল। খুবই ভালো লাগলো। মটরশুঁটির খেতে খুবই ভালো লাগে। এরকম মটরশুঁটির আমি আমার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে চরের ভিতর খেয়েছিলাম। যাইহোক আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।