কি সুন্দর দিনগুলি!! পার্ট -১
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামুআলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। গত দু তিন দিন ধরে বৃষ্টিতে পরিবেশটা বেশ ঠান্ডা হয়ে আছে। এরকমটা চলতে থাকলে ভালই হয়। এমন ঠান্ডা সুন্দর পরিবেশে মনটাও ভালো থাকে। ভালো একটা মন নিয়ে গ্যালারিতে ঢুকে কিছু ছবি দেখে পুরনো কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
সময়টা নভেম্বর মাসের ৬ তারিখ, ২০২৩ সাল। বেশি অতীত হয়নি। তবে সে দিনটা খুব সুন্দর কেটেছিল। বেশি আয়োজন নয়, শুধুমাত্র এলাকার বন্ধুদের সাথে উদ্দেশ্যবিহীন ঘোরাঘুরির মধ্যে অফুরন্ত সুখ কাজ করে। কোন জটিলতা নেই, কোন বাধা নেই, ফুরফুরা মেজাজে ঘুরে বেড়ানো। কোন কারনে সেদিনটার কথা এ পর্যন্ত শেয়ার করা হয়নি। শুধুমাত্র ফটোগুলো তুলে রেখেছিলাম। ফটোগুলো তুলেছিলামই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে।
আগে থেকেই সবাই মিলে আলোচনা করে রেখেছিলাম বিকেল বেলায় একটু শুকনো নদী পার হয়ে মেইন পদ্মায় যাব। প্লান মত বেরিয়েছিলাম, সাথে কিছু চপ সিঙ্গারাও নিয়েছিলাম। শুকনো নদী যেটা ভেবেছিলাম সেখানে গিয়ে দেখি সামান্য পানি জমে আছে। তবে এ পানি কোন বিষয়ই না। এর মধ্য দিয়েই বাইক চালিয়ে চলে যাওয়া যায়।
নদীটুকু পার হয়ে গিয়ে কিন্তু সামনে একেবারেই শুকনো রাস্তা। সবাই একসাথে এরকম ঘুরতে বেরোনোর মধ্যে যে ভীষণ একটা আনন্দ কাজ করে সেটা ওখানে থাকা প্রত্যেকেই অনুভব করতে পারে। আসলে সব সময় চাইলেই এরকম আর বেরোনো হয় না। অনেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। এ যেমন সেদিন, টিমের কয়েকজন কিন্তু মিসিং ছিলো।
যাইহোক ভেজা রাস্তা পার দিয়ে সামনে যেতেই ধুলোর রাস্তা সামনে আসলো। ধুলোর রাস্তা পার দিয়ে আমরা এগোতে থাকলাম সামনের দিকে। ভীষণ সুন্দর সুন্দর কিছু ভিউ পাচ্ছিলাম যাওয়ার পথে।
কোথাও ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করা হচ্ছে, কোথাও গরু চরানো হচ্ছে, আবার কোথাও শেচ দেওয়া হচ্ছে। কোথাও আবার শুষ্ক জমিতে নৌকা রেখে দেয়া হয়েছে অনেকদিন ধরে। যখন পানি ছিল তখন নৌকা পানি স্পর্শ করে এখানে দাঁড়িয়ে ছিলো, এখনো সেখানেই রয়ে গেছে।
গ্রামে বড় হয়েছি, নদীর সৌন্দর্য দেখেছি বারে বারে। তবুও যেন এই সৌন্দর্য দর্শনের পিপাসা শেষ হয় না। মাটির গন্ধ, কৃষকের কাজ করার দৃশ্য, পশুপাখির বিচরণ, ফসলের বেড়ে ওঠা, হারভেস্টিং - এসবের মধ্যে মারাত্মক সৌন্দর্য লুকায়িত রয়েছে।
এসব সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আমরা এক জায়গা দাঁড়িয়ে সাথে করে নিয়ে যাওয়া চপ সিঙ্গারাগুলো খেয়ে নিলাম। মজার ব্যাপার হলো সেদিন মিষ্টিও কিনেছিলাম কিন্তু সেই মিষ্টি বাজারে একটা দোকানে রেখে চলে এসেছিলাম। সেটা পরে খেতে হয়েছিল। যাইহোক, সেদিনের আরো এক্টিভিটিস এবং ফটোগ্রাফি শেয়ার করব দ্বিতীয় পর্বে। দ্বিতীয় পর্ব দেখার জন্য আমন্ত্রণ রইল। আজ এখানেই বিদায় আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আসলে কিছু কিছু স্মৃতি কখনোই ভুলা যায় না। কয়েকজন মিলে এভাবে ঘুরাঘুরি করতে আসলেই খুব ভালো লাগে। আর এমন প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটাতে যে কারোরই ভালো লাগবে। এমন পরিবেশের সাথে ভাজাপোড়া একেবারে পারফেক্ট। মিষ্টি কিনে দোকানে রেখে না আসলে তো ভাজাপোড়া খেয়ে, এতো চমৎকার পরিবেশে সবাই মিলে মিষ্টি খেতে পারতেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
সুন্দর মন্তব্য। ধন্যবাদ ভাই।
বেশ কয়জন মিলে চমৎকার একটি জায়গা ঘুরে ঘুরে বেড়ালেন।আজকাল কাজের জন্য সবাই নানান জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।তাই চাইলেও সবার সাথে দেখা হওয়া সম্ভব হয় না। ভাইয়া আপনি ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করেছেন।জায়গাটা সত্যি ই সুন্দর। এমন পরিবেশে ঘুরে বেড়ালে মন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। আশাকরি আপনার সময় গুলো ভালো কেটেছে।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ছোটবেলা থেকেই যারা গ্রামের পরিবেশ এইরকম নদী এর আশপাশে বড় হয়েছে তাদের এগুলো ছাড়া চলে না। তারা বেশিদিন থাকতেই পারে না এগুলো ছাড়া। চমৎকার লাগল আপনার ঐদিনের ফটোগ্রাফি এবং কথাগুলো। বন্ধুদের সাথে ছুটে চলা একসঙ্গে এইরকম দিগন্ত বিস্তৃত পরিবেশ উপভোগ করা। দারুণ ছিল আপনার পোস্ট টা ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ।
ভালোবাসা অবিরাম। সুন্দর মন্তব্য।